ক্রীড়া ডেস্ক

থ্রিলার মুভির গল্পকেও যেন হার মানিয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট। লন্ডনের ওভালে যে ম্যাচটা এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের দখলেই ছিল, সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ৬ রানের জয় পায় ভারত। ম্যাচ জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে চলছে ভারত বন্দনা।
সবাই যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রশংসায় ব্যস্ত, তখন প্রধান কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীর তো চুপ করে বসে থাকতে পারেন না। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর অধীনে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়সহ ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কিন্তু টেস্টে সে অর্থে সাফল্য ছিল না তাঁর। ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত যেখানে এক পা দিয়ে রেখেছিল, সেই অবস্থায় তারা পা হড়কেছে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই, বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে হার—টেস্টে গম্ভীরের অধীনে ভারতের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হচ্ছিল।
We’ll win some, we’ll lose some…. but we’ll NEVER surrender! 🇮🇳 Well done boys! pic.twitter.com/lZ5pk4C4A5
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) August 4, 2025
এবারের ইংল্যান্ড সফরের প্রথম চার ম্যাচে ভারত হেরেছে দুই ম্যাচে। জিতেছে কেবল একটিতে। ড্র হয়েছে এক ম্যাচ। সিরিজ বাঁচাতে ওভালে জিততেই হতো ভারতকে। যে ভারত হেডিংলি, লর্ডসে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেনি, তাদের জন্য ওভাল জয় করা অনেক কঠিনই। অবশেষে গতকাল শেষ দিনে পঞ্চম টেস্টে ৬ রানের নাটকীয় জয়ে সিরিজ ড্র করল ভারত। ম্যাচ শেষে নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে গম্ভীর ওভালে ভারতের উদযাপনের কয়েকটি মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেন। ভারতের প্রধান কোচ ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘আমরা কিছু জিতব। কিছু হারব। তবে কখনোই আত্মসমর্পণ করব না। ছেলেরা দারুণ খেলেছে।’
টেস্ট ক্রিকেট যে ঘন ঘন রং বদলায়, ওভালে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। ৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ৩৫ রান যেখানে সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, সেখান থেকে ভারত পায় ৬ রানের নাটকীয় জয়। শুবমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতের প্রশংসা করে শচীন টেন্ডুলকার নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট আসলেই শিহরণ জাগানোর মতো ব্যাপার। সিরিজ ২-২ হলো। পারফরম্যান্স দশে দশ। ভারতের সবাই সুপারম্যান। কী দারুণ জয়।’
গাস অ্যাটকিনসনকে গতকাল মোহাম্মদ সিরাজ বোল্ড করতেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের উদযাপন শুরু। ধারাভাষ্যকক্ষে তখন সিরাজকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন মাইকেল আথারটন। ১৯০ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ওভাল টেস্টের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন সিরাজ। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট পেয়েছেন ভারতীয় এই পেসার। সিরাজের প্রশংসা তো সৌরভ গাঙ্গুলী করেছেনই। সৌরভ প্রশংসায় ভাসিয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল, প্রসিধ কৃষ্ণা, আকাশ দীপকেও। এক্সে সৌরভ লিখেছেন, ‘ভারত দারুণ খেলেছে। টেস্ট ক্রিকেট এখনো সেরা সংস্করণ। শুবমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের কোচ ও সবাইকে অভিনন্দন। সিরাজ বিশ্বের যে কোনো ভেন্যুতেই দলকে মাথা নত করতে দেয় না। দেখে অসাধারণ লাগল। প্রসিধ, আকাশ দীপ, জয়সওয়াল দারুণ খেলেছে।’
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন গিল। সিরিজে সর্বোচ্চ ৭৫৪ রান করে পেয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার। চার ফিফটির চারটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন। ব্যাটিং করেছেন ৭৫.৪০ গড়ে। টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ২৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন এজবাস্টনে। জয়সওয়ালও এই সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। প্রসিধ কৃষ্ণা, আকাশ দীপ এই সিরিজে নিয়েছেন ১৪ ও ১৩ উইকেট।
গিলের পাশাপাশি হ্যারি ব্রুকও ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পেয়েছেন। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ৫৩.৪৪ গড় ও ৮১.৩৮ স্ট্রাইকরেটে ৪৮১ রান করেছেন ব্রুক। দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন তিনি। গিলের পর সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩৭ রান করেছেন রুট। তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি এসেছে রুটের ব্যাট থেকে। গিল, রুটসহ ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৫০০-এর বেশি রান করেছেন চার ব্যাটার। লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন ৫৩২ ও ৫১৬ রান।
আরও পড়ুন:

থ্রিলার মুভির গল্পকেও যেন হার মানিয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট। লন্ডনের ওভালে যে ম্যাচটা এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের দখলেই ছিল, সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ৬ রানের জয় পায় ভারত। ম্যাচ জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে চলছে ভারত বন্দনা।
সবাই যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রশংসায় ব্যস্ত, তখন প্রধান কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীর তো চুপ করে বসে থাকতে পারেন না। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর অধীনে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়সহ ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কিন্তু টেস্টে সে অর্থে সাফল্য ছিল না তাঁর। ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত যেখানে এক পা দিয়ে রেখেছিল, সেই অবস্থায় তারা পা হড়কেছে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই, বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে হার—টেস্টে গম্ভীরের অধীনে ভারতের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হচ্ছিল।
We’ll win some, we’ll lose some…. but we’ll NEVER surrender! 🇮🇳 Well done boys! pic.twitter.com/lZ5pk4C4A5
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) August 4, 2025
এবারের ইংল্যান্ড সফরের প্রথম চার ম্যাচে ভারত হেরেছে দুই ম্যাচে। জিতেছে কেবল একটিতে। ড্র হয়েছে এক ম্যাচ। সিরিজ বাঁচাতে ওভালে জিততেই হতো ভারতকে। যে ভারত হেডিংলি, লর্ডসে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেনি, তাদের জন্য ওভাল জয় করা অনেক কঠিনই। অবশেষে গতকাল শেষ দিনে পঞ্চম টেস্টে ৬ রানের নাটকীয় জয়ে সিরিজ ড্র করল ভারত। ম্যাচ শেষে নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে গম্ভীর ওভালে ভারতের উদযাপনের কয়েকটি মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেন। ভারতের প্রধান কোচ ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘আমরা কিছু জিতব। কিছু হারব। তবে কখনোই আত্মসমর্পণ করব না। ছেলেরা দারুণ খেলেছে।’
টেস্ট ক্রিকেট যে ঘন ঘন রং বদলায়, ওভালে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। ৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ৩৫ রান যেখানে সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, সেখান থেকে ভারত পায় ৬ রানের নাটকীয় জয়। শুবমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতের প্রশংসা করে শচীন টেন্ডুলকার নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট আসলেই শিহরণ জাগানোর মতো ব্যাপার। সিরিজ ২-২ হলো। পারফরম্যান্স দশে দশ। ভারতের সবাই সুপারম্যান। কী দারুণ জয়।’
গাস অ্যাটকিনসনকে গতকাল মোহাম্মদ সিরাজ বোল্ড করতেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের উদযাপন শুরু। ধারাভাষ্যকক্ষে তখন সিরাজকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন মাইকেল আথারটন। ১৯০ রানে ৯ উইকেট নিয়ে ওভাল টেস্টের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন সিরাজ। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট পেয়েছেন ভারতীয় এই পেসার। সিরাজের প্রশংসা তো সৌরভ গাঙ্গুলী করেছেনই। সৌরভ প্রশংসায় ভাসিয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল, প্রসিধ কৃষ্ণা, আকাশ দীপকেও। এক্সে সৌরভ লিখেছেন, ‘ভারত দারুণ খেলেছে। টেস্ট ক্রিকেট এখনো সেরা সংস্করণ। শুবমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের কোচ ও সবাইকে অভিনন্দন। সিরাজ বিশ্বের যে কোনো ভেন্যুতেই দলকে মাথা নত করতে দেয় না। দেখে অসাধারণ লাগল। প্রসিধ, আকাশ দীপ, জয়সওয়াল দারুণ খেলেছে।’
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন গিল। সিরিজে সর্বোচ্চ ৭৫৪ রান করে পেয়েছেন ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার। চার ফিফটির চারটিকেই সেঞ্চুরিতে পরিণত করেছেন। ব্যাটিং করেছেন ৭৫.৪০ গড়ে। টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ২৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন এজবাস্টনে। জয়সওয়ালও এই সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। প্রসিধ কৃষ্ণা, আকাশ দীপ এই সিরিজে নিয়েছেন ১৪ ও ১৩ উইকেট।
গিলের পাশাপাশি হ্যারি ব্রুকও ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পেয়েছেন। অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ৫৩.৪৪ গড় ও ৮১.৩৮ স্ট্রাইকরেটে ৪৮১ রান করেছেন ব্রুক। দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছেন তিনি। গিলের পর সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩৭ রান করেছেন রুট। তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি এসেছে রুটের ব্যাট থেকে। গিল, রুটসহ ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৫০০-এর বেশি রান করেছেন চার ব্যাটার। লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন ৫৩২ ও ৫১৬ রান।
আরও পড়ুন:

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী।
১৪ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
২ ঘণ্টা আগে
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী।
দলে রাখা হয়েছে জিসান আলম, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রাকিবুল হাসান, আবু হায়দার রনি, রিপন মন্ডলদের মতো পরিচিত মুখদের। সব মিলিয়ে দারুণ একটি দল নিয়েই রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ খেলতে কাতারের উদ্দেশ্যে উড়ারল দেবে বাংলাদেশ।
‘এ’ দল ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে আটটি দল। বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দলগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, হংকং ও ওমান। দলগুলো দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। ‘বি’ গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল শেষ চারে পা রাখবে।
কাতারের রাজধানী দোহায় রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের পর্দা উঠবে আগামী ১৪ নভেম্বর। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পরদিন। প্রতিপক্ষ হংকং। এরপর ১৭ ও ১৯ নভেম্বর আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে আকবরের দল। ২৩ নভেম্বর ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড: আকবর আলী (অধিনায়ক), জিসান আলম, হাবিবুর রহমান, জাওয়াদ আবরার, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রাকিবুল হাসান, এস এম মেহেরব হোসেন, আবু হায়দার রনি, তোফায়েল আহমেদ, শাদীন ইসলাম, রিপন মন্ডল, আব্দুল গাফফার সাকলাইন, মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী।
দলে রাখা হয়েছে জিসান আলম, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রাকিবুল হাসান, আবু হায়দার রনি, রিপন মন্ডলদের মতো পরিচিত মুখদের। সব মিলিয়ে দারুণ একটি দল নিয়েই রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ খেলতে কাতারের উদ্দেশ্যে উড়ারল দেবে বাংলাদেশ।
‘এ’ দল ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে আটটি দল। বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দলগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, হংকং ও ওমান। দলগুলো দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। ‘বি’ গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল শেষ চারে পা রাখবে।
কাতারের রাজধানী দোহায় রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের পর্দা উঠবে আগামী ১৪ নভেম্বর। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পরদিন। প্রতিপক্ষ হংকং। এরপর ১৭ ও ১৯ নভেম্বর আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে আকবরের দল। ২৩ নভেম্বর ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে।
রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড: আকবর আলী (অধিনায়ক), জিসান আলম, হাবিবুর রহমান, জাওয়াদ আবরার, আরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রাকিবুল হাসান, এস এম মেহেরব হোসেন, আবু হায়দার রনি, তোফায়েল আহমেদ, শাদীন ইসলাম, রিপন মন্ডল, আব্দুল গাফফার সাকলাইন, মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

থ্রিলার মুভির গল্পকেও যেন হার মানিয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট। লন্ডনের ওভালে যে ম্যাচটা এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের দখলেই ছিল, সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ৬ রানের জয় পায় ভারত। ম্যাচ জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে চলছে ভারত বন্দনা।
০৫ আগস্ট ২০২৫
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
২ ঘণ্টা আগে
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিগ ব্যাশ সামনে রেখে চেন্নাইয়ে অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পান অশ্বিন। সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। মাঠে ফিরতে লম্বা সময় লেগে যাবে এই স্পিনারে। ততদিনে আর সিডনির হয়ে বিগ ব্যাশের পরবর্তী আসরে খেলতে পারবেন না অশ্বিন।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশী লিগে খেলার অনুমতি দেয় না বিসিসিআই। গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন অশ্বিন। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপএল) বিদায় বলেন তিনি। এরপর প্রথম বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করেন অশ্বিন।
বিগ ব্যাশের পরবর্তী আসরে সিডনি থান্ডারের হয়ে তিন থেকে পাঁচটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল অশ্বিনের। যেখানে ডেভিড ওয়ার্নার, ক্রিস গ্রিন, শাদাব খানদের মতো ক্রিকেটারদের সতীর্থ হিসেবে পেতেন ভারতীয় দলের এক সময়কার নিয়মিত মুখ। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে সিডনি।
বিবৃতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, ‘সিডনি থান্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে শুভকামনা জানিয়েছে। তিনি যেন হাঁটু অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়ে দ্রুত মাঠে ফিরতে পারেন। ইতোমধ্যে এই ক্রিকেটার বিগ ব্যাশের এই মৌসুম থেকে ছিটকে গেছেন।’
এক বিবৃতিতে অশ্বিন বলেন, ‘বিগ ব্যাশের ১৫ তম আসর খেলতে পারব না ভেবে আমি হতাশ। আমার সব মনোযোগ এখন সেরে ওঠা নিয়ে। আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চাই। সিডনি পরিবার এবং সমর্থকরা আমাকে যে উষ্ণতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। যদি পুনর্বাসন এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুকূল থাকে, তাহলে আমি মৌসুমের শেষের দিকে দলের সাথে থাকতে এবং ভক্তদের সাথে দেখা করতে চাই। সিডনির জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিগ ব্যাশ সামনে রেখে চেন্নাইয়ে অনুশীলনের সময় হাঁটুতে চোট পান অশ্বিন। সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। মাঠে ফিরতে লম্বা সময় লেগে যাবে এই স্পিনারে। ততদিনে আর সিডনির হয়ে বিগ ব্যাশের পরবর্তী আসরে খেলতে পারবেন না অশ্বিন।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশী লিগে খেলার অনুমতি দেয় না বিসিসিআই। গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন অশ্বিন। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপএল) বিদায় বলেন তিনি। এরপর প্রথম বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে সিডনি থান্ডারের সঙ্গে চুক্তি করেন অশ্বিন।
বিগ ব্যাশের পরবর্তী আসরে সিডনি থান্ডারের হয়ে তিন থেকে পাঁচটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল অশ্বিনের। যেখানে ডেভিড ওয়ার্নার, ক্রিস গ্রিন, শাদাব খানদের মতো ক্রিকেটারদের সতীর্থ হিসেবে পেতেন ভারতীয় দলের এক সময়কার নিয়মিত মুখ। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে সিডনি।
বিবৃতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, ‘সিডনি থান্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে শুভকামনা জানিয়েছে। তিনি যেন হাঁটু অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়ে দ্রুত মাঠে ফিরতে পারেন। ইতোমধ্যে এই ক্রিকেটার বিগ ব্যাশের এই মৌসুম থেকে ছিটকে গেছেন।’
এক বিবৃতিতে অশ্বিন বলেন, ‘বিগ ব্যাশের ১৫ তম আসর খেলতে পারব না ভেবে আমি হতাশ। আমার সব মনোযোগ এখন সেরে ওঠা নিয়ে। আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চাই। সিডনি পরিবার এবং সমর্থকরা আমাকে যে উষ্ণতা দেখিয়েছে তার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। যদি পুনর্বাসন এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুকূল থাকে, তাহলে আমি মৌসুমের শেষের দিকে দলের সাথে থাকতে এবং ভক্তদের সাথে দেখা করতে চাই। সিডনির জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

থ্রিলার মুভির গল্পকেও যেন হার মানিয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট। লন্ডনের ওভালে যে ম্যাচটা এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের দখলেই ছিল, সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ৬ রানের জয় পায় ভারত। ম্যাচ জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে চলছে ভারত বন্দনা।
০৫ আগস্ট ২০২৫
রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী।
১৪ মিনিট আগে
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
২ ঘণ্টা আগে
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা চারটায় শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে। ম্যাচ শুরুর প্রায় ২ ঘণ্টা আগে (বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে দিল দুঃসংবাদ। সিএসএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কাঁধের মাংসপেশিতে চোট পেয়ে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে ছিটকে গেছেন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন। পাকিস্তানে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল টিমে তাঁর পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম চলবে। ওয়ানডে সিরিজে তাঁর বদলি খেলোয়াড়ের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদে। ইকবাল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও হয়েছিল ওয়ানডে। ১৭ বছর আগে সেই ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন মেথডে পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সালমান বাট।
ফয়সালাবাদ স্টেডিয়ামের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোনোর দিনটা বিশেষ শাহিন শাহ আফ্রিদির জন্যও। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করলেও ওয়ানডেতে কখনো নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আজ এই সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলো শাহিনের। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। এর আগে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তান জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বাবর আজম ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার রেকর্ড।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও হবে ফয়সালাবাদে। ৬ ও ৮ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। সব ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে। এই সিরিজ শেষে প্রোটিয়ারা যাবে ভারত সফরে। ১৪ নভেম্বর কলকাতায় শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ২২ নভেম্বর শুরু হবে গুয়াহাটিতে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্যই পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করবেন ব্রেভিস।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা চারটায় শুরু হচ্ছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ানডে। ম্যাচ শুরুর প্রায় ২ ঘণ্টা আগে (বেলা ২টা ৩ মিনিটে) ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে দিল দুঃসংবাদ। সিএসএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কাঁধের মাংসপেশিতে চোট পেয়ে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে ছিটকে গেছেন। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শনিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন। পাকিস্তানে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল টিমে তাঁর পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম চলবে। ওয়ানডে সিরিজে তাঁর বদলি খেলোয়াড়ের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদে। ইকবাল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০০৮ সালে। সেবারও হয়েছিল ওয়ানডে। ১৭ বছর আগে সেই ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন মেথডে পাকিস্তান ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশকে। সেবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সালমান বাট।
ফয়সালাবাদ স্টেডিয়ামের ১৭ বছরের অপেক্ষা ফুরোনোর দিনটা বিশেষ শাহিন শাহ আফ্রিদির জন্যও। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করলেও ওয়ানডেতে কখনো নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আজ এই সংস্করণে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হলো শাহিনের। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। এর আগে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তান জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বাবর আজম ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার রেকর্ড।
পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেও হবে ফয়সালাবাদে। ৬ ও ৮ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। সব ম্যাচই বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে। এই সিরিজ শেষে প্রোটিয়ারা যাবে ভারত সফরে। ১৪ নভেম্বর কলকাতায় শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ২২ নভেম্বর শুরু হবে গুয়াহাটিতে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্যই পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু করবেন ব্রেভিস।

থ্রিলার মুভির গল্পকেও যেন হার মানিয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট। লন্ডনের ওভালে যে ম্যাচটা এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের দখলেই ছিল, সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ৬ রানের জয় পায় ভারত। ম্যাচ জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে চলছে ভারত বন্দনা।
০৫ আগস্ট ২০২৫
রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী।
১৪ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছুই করে দেখালেন
২ ঘণ্টা আগেকারিমুল ইসলাম

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছু করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতা দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায়ে দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই-বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন একসময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘোরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিনমজুর, কেউ আবার বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট-বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছু।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই একটুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকে নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, নেচেগেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদ্যাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এত আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়ক বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথি হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।

জীবন কখনো কখনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সময় কখনো দেয় দুই হাত ভরে, যা একসময় ভাবা হয়নি, তার চেয়েও অনেক বেশি। ঈর্ষণীয় সাফল্য এমনি ধরা দেয় না। এসবের পেছনে থাকে অধ্যবসায়ের গল্প। শুধু কঠোর পরিশ্রম আর দুচোখ ভরা স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্নকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। লেখা যায় নতুন ইতিহাস। ঠিক তেমন কিছু করে দেখালেন ক্রান্তি গৌড়। স্বপ্নকে তাড়া করতে গিয়ে তিনি এখন বুন্দেলখন্ডের ছোট শহর ঘুয়ারা ছাপিয়ে গোটা ভারতের গর্বের কারণ।
ক্রান্তি প্রমাণ করলেন, প্রবল ইচ্ছা, তাড়না বা লেগে থাকার তীব্র শক্তি থাকলে কোনো প্রতিকূলতা দমিয়ে রাখতে পারে না। কঠোর অধ্যবসায়ে দারিদ্র্যকে হার মানিয়ে স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা যায়। দরিদ্র পরিবারে সাত ভাই-বোনের মধ্যে ক্রান্তিই সবার ছোট। বাবা পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন একসময়। কিন্তু কয়েক বছর আগে চাকরি হারান তিনি। তাতে দুর্দশা বাড়ে। পরিবারের চাকা ঘোরাতে বড় ভাইয়েরা কেউ দিনমজুর, কেউ আবার বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। এমন পরিস্থিতিও ক্রান্তির মনে ব্যাট-বলের ভালোবাসায় বিন্দুমাত্র ছেদ পড়তে দেয়নি। দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন। যে লড়াই ক্রান্তির হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফি। যেটা ভারতের ইতিহাসে প্রথম।

নভি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে নতুন ইতিহাস লিখেছেন ভারতের মেয়েরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়ে গোটা দেশ ভেসেছে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। হারমানপ্রীত কৌরের দলের এই প্রাপ্তির পেছনে যে কয়েকজনের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের মধ্যে ক্রান্তির নামটা আলাদাভাবেই নিতে হবে। দীপ্তি শর্মা, শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমা রদ্রিগেজদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারলেও ক্রান্তি যা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে সেটাও অনেক কিছু।
ফাইনালের দিন গোটা ভারতের নজর ছিল ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের দিকে। টিভি পর্দার সামনে বসে দলের প্রতিটি চার, ছক্কা কিংবা বোলারদের উইকেট নেওয়া উপভোগ করেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না ঘুয়ারার বাসিন্দারাও। নিজেদের মেয়ে ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ বলে কথা। ফাইনালের দিন তাই একটুকরো উৎসবের নগরীতে রূপ নেয় ঘুয়ারা। খেলা দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরুর বেশ আগে থেকে নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকে সবাই। ভারতের জয় নিশ্চিত হতেই ঢোল বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, নেচেগেয়ে শুরু হয় শিরোপা উদ্যাপন। ক্রান্তি বিশ্বকাপ দলের অংশ হওয়ায় কারণেই যে এত আয়োজন সেটা বলা বাহুল্য।
ক্রান্তির সফলতার গল্পটা যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো খুব যত্ন করে লেখা। যার শুরুতেই আছে নাটকীয়তা। যে গল্পে কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নায়কের ভূমিকায় ক্রান্তি। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারের শুরুটা হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। একদিন বিশেষ এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের কম থাকায় একাদশে সুযোগ পেয়ে যান ক্রান্তি। সেই যে শুরু, আর থামেননি এই পেসার। এরপর একে একে নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন। যে মঞ্চ পেয়েছেন, সেখানেই দিয়েছেন নিজের সেরাটা। সর্বশেষ বিশ্বকাপের মঞ্চে বুন্দেলখন্ড ছাপিয়ে গোটা দেশের নায়ক বনে গেলেন।

সেই টেপ টেনিস ম্যাচে ব্যাট-বল দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে সেরা খেলোয়াডড়ের পুরস্কার জেতেন ক্রান্তি। সেদিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন ছত্রপুর জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ এবং সচিব রাজীব বিলথ্রে। খেলায় মুগ্ধ হয়ে ক্রান্তিকে প্রশিক্ষণের জন্য ডাকেন। একই সঙ্গে এই ক্রিকেটারের ফিটনেস এবং কৌশলগত উন্নতি নিয়েও কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই ক্রান্তিকে টেপ টেনিস থেকে চামড়ার বলের ক্রিকেটারে রূপান্তরিত করেন বিলথ্রে। তাঁর সহায়তায় ক্রান্তি ছত্রপুর একাডেমিতে যোগ দেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০২৪ সালে প্রথমবারের মধ্যপ্রদেশকে আঞ্চলিক ওয়ানডে শিরোপা জেতাতে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্রান্তি।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান ক্রান্তি। ১০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নেয় ইউপি ওয়ারিয়র্স। এই দলের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে নজর কাড়েন, প্রথমবারের মতো ডাক পান ভারত নারী দলে। জাতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরে সাড়া ফেলে দেন এই তরুণী। চেস্টার লে স্ট্রিটে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে খবরের শিরোনাম হন। এরপরের গল্পটা তো সবারই জানা।
বিশ্বকাপেও নিজেকে প্রমাণ করেন আলাদাভাবেই। টুর্নামেন্টজুড়ে ৮ ম্যাচে তাঁর শিকার ৯ উইকেট। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেটের যে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, এর শুরুর দিকেই ছিল পাকিস্তান বধের আনন্দ। লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিবেশী দেশকে ৮৮ রানে হারায় ভারত। সে ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ২০ রানে প্রতিপক্ষের ৩ ব্যাটারকে ফেরান ক্রান্তি। জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ভারতের ইতিহাস রচনার সারথি হয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রান্তি। তার সফলতায় সবচেয়ে খুশি হয়েছে পরিবার। ফাইনালে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দের বন্যা বয়ে যায় ঘুয়ারার দুই কক্ষের একটি বাড়িতে। মেয়ের হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে সেই বাড়িতে বসে আনন্দে কেঁদেছেন বৃদ্ধ মা-বাবা। দর্শনার্থী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে বোনকে নিয়ে কথা বলেছেন ক্রান্তির ভাই-বোনেরা। হয়তো তখন পরিবারের সবার ছোট মানুষটাকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে গেছে তাঁদের। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্যকে নিয়ে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।

থ্রিলার মুভির গল্পকেও যেন হার মানিয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের পঞ্চম টেস্ট। লন্ডনের ওভালে যে ম্যাচটা এক পর্যায়ে ইংল্যান্ডের দখলেই ছিল, সেখান থেকে নাটকীয়ভাবে ৬ রানের জয় পায় ভারত। ম্যাচ জয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে চলছে ভারত বন্দনা।
০৫ আগস্ট ২০২৫
রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেল। দলটির নেতৃত্বে থাকছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলী।
১৪ মিনিট আগে
প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশ খেলার অপেক্ষায় ছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এই তারকা ক্রিকেটারের অপেক্ষা আপাতত ফুরাচ্ছে না। হাঁটুর ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। এক বার্তায় বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। ওয়ানডেতে ১৫৯.৪২ স্ট্রাইকরেটই বলে দিচ্ছে ব্যাটিংয়ে তিনি বেশ তাণ্ডব চালাতে পারেন। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।
২ ঘণ্টা আগে