নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কখনোই স্থানীয় কোচকে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ করতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি স্থানীয় দু-একজন ভালো কোচকে সর্বোচ্চ সহকারী কোচ হিসেবে সুযোগ দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। তামিম ইকবালও মনে করেন, বাংলাদেশের কোনো কোচ এখনো দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত নন।
চলমান ভারত সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা তামিম ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খেলাধুলাবিষয়ক সাময়িকী স্পোর্টসস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশের কেউ এখন পর্যন্ত প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত নন, ‘আমার মনে হয় না, বাংলাদেশের কারও প্রধান কোচ হওয়ার সামর্থ্য আছে। বর্তমানে দুই অথবা তিনজন আছেন, যাঁরা সহকারী কোচ হওয়ার উপযুক্ত। তবে আমার মনে হয় না, কেউ প্রধান কোচ হওয়ার মতো উপযুক্ত।’ সহকারী কোচের তালিকায় অবশ্য বাংলাদেশিদেরই বেশি দেখতে চান তামিম, ‘বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত; যেখানে একজন বিদেশি প্রধান কোচ থাকবেন, দুজন বিদেশি কোচ; বাকি ৭০ শতাংশ সহকারী কোচ বাংলাদেশের হতে হবে। এই প্রক্রিয়া স্থানীয় কোচদের দিকনির্দেশনা দিতে সহায়তা করবে; যাতে তাঁরা (স্থানীয়রা) প্রধান কোচ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন।’
তামিমের এই মন্তব্য নিয়ে বেশ আলোচনা হলে কাল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে প্রেসবক্সে কথা বলতে হলো তাঁকে। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তাঁর আগের মন্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করেছেন, ‘মনে করি না, এই মুহূর্তে কেউ বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার জন্য তৈরি।’ বিষয়টি নিয়ে তিমিমের যুক্তি, ‘খেলোয়াড়দের যেভাবে অভিজ্ঞ হতে হয়, কোচদেরও একইভাবে অভিজ্ঞ হতে হয়। অনেক ক্রিকেটারও স্থানীয় কোচের ওপর ভরসা করে। আমরাও করি। তবে প্রধান কোচ হওয়া পুরোই ভিন্ন বিষয়। তবে তাঁরা সেটআপে থাকলে ভালো হবে। এই ৭০ শতাংশ অভিজ্ঞ হলেই একসময় বাংলাদেশি কেউ প্রধান কোচ হতে পারেন।’
তামিমের এই কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেননি বিপিএলের সবচেয়ে সফল কোচ সালাহ উদ্দীন। গতকাল ম্যাচ শুরুর আগে টি-স্পোর্টসের বিশ্লেষণীতে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় তামিম ঠিক। তবে জাতীয় দলে যখন কোনো খেলোয়াড় আসে, সে কি ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে পুরোপুরি তৈরি হয়ে জাতীয় দলে খেলে? হাতে গোনা কয়েকজন বাদে বেশির ভাগই জাতীয় দলে আসার পর প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত হতে অনেক খেলোয়াড় ৫-৭ বছর সময় নেয়। তারা যদি ৫-৭ বছর সময় নেয়, তবে কোচদেরও ওই সময় দেওয়া উচিত। কোচকে গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে অনেকভাবে তৈরি করেছেন। কোচকে তৈরি করেছেন এভাবে?’
সহকারী কোচ হিসেবে যাঁরা সুযোগ পেতে পারেন জাতীয় দলে, এ তালিকায় তামিম সবার আগে রেখেছেন সোহেল ইসলামের নাম। তামিম মনে করেন, সোহেল যে সময় দেন ক্রিকেটারদের, যেভাবে তিনি নিবিড়ভাবে কাজ করেন, তাতে তাঁর একটি সুযোগ পাওনা। সূত্র জানিয়েছে, বিসিবি বাংলাদেশ দলে সোহেলকে স্পিন কোচ বা সহকারী হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব আগেও দিয়েছে। পারিবারিক কারণে সোহেল সে প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারেননি। তবে তিনি তামিমের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করছেন না, ‘সে যে কোচদের অভিজ্ঞ হওয়ার কথা বলেছে, এটা ভালোই বলেছে, যৌক্তিক বলেছে।’
আরেক স্থানীয় কোচ মিজানুর রহমান বাবুল বলেছেন, ‘আমরা কীভাবে বলি, স্থানীয় কোচরা কতটা উপযুক্ত। যাদের সঙ্গে কাজ করি, তারাই বলবে উপযুক্ত কি উপযুক্ত নই। তামিম একটা মনে করেছে; অন্যদেরও তো মতামত আছে। তবে তার কথায় যুক্তি আছে যে আমাদের কোচদের আগে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের কোচরা বিপিএলে নিয়মিত সফল। কিন্তু তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে, তখন বুঝবেন, যোগ্য কি যোগ্য না।’
বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কখনোই স্থানীয় কোচকে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ করতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি স্থানীয় দু-একজন ভালো কোচকে সর্বোচ্চ সহকারী কোচ হিসেবে সুযোগ দিতে ইচ্ছুক ছিলেন। তামিম ইকবালও মনে করেন, বাংলাদেশের কোনো কোচ এখনো দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত নন।
চলমান ভারত সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা তামিম ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খেলাধুলাবিষয়ক সাময়িকী স্পোর্টসস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশের কেউ এখন পর্যন্ত প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত নন, ‘আমার মনে হয় না, বাংলাদেশের কারও প্রধান কোচ হওয়ার সামর্থ্য আছে। বর্তমানে দুই অথবা তিনজন আছেন, যাঁরা সহকারী কোচ হওয়ার উপযুক্ত। তবে আমার মনে হয় না, কেউ প্রধান কোচ হওয়ার মতো উপযুক্ত।’ সহকারী কোচের তালিকায় অবশ্য বাংলাদেশিদেরই বেশি দেখতে চান তামিম, ‘বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত; যেখানে একজন বিদেশি প্রধান কোচ থাকবেন, দুজন বিদেশি কোচ; বাকি ৭০ শতাংশ সহকারী কোচ বাংলাদেশের হতে হবে। এই প্রক্রিয়া স্থানীয় কোচদের দিকনির্দেশনা দিতে সহায়তা করবে; যাতে তাঁরা (স্থানীয়রা) প্রধান কোচ হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন।’
তামিমের এই মন্তব্য নিয়ে বেশ আলোচনা হলে কাল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে প্রেসবক্সে কথা বলতে হলো তাঁকে। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তাঁর আগের মন্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করেছেন, ‘মনে করি না, এই মুহূর্তে কেউ বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার জন্য তৈরি।’ বিষয়টি নিয়ে তিমিমের যুক্তি, ‘খেলোয়াড়দের যেভাবে অভিজ্ঞ হতে হয়, কোচদেরও একইভাবে অভিজ্ঞ হতে হয়। অনেক ক্রিকেটারও স্থানীয় কোচের ওপর ভরসা করে। আমরাও করি। তবে প্রধান কোচ হওয়া পুরোই ভিন্ন বিষয়। তবে তাঁরা সেটআপে থাকলে ভালো হবে। এই ৭০ শতাংশ অভিজ্ঞ হলেই একসময় বাংলাদেশি কেউ প্রধান কোচ হতে পারেন।’
তামিমের এই কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেননি বিপিএলের সবচেয়ে সফল কোচ সালাহ উদ্দীন। গতকাল ম্যাচ শুরুর আগে টি-স্পোর্টসের বিশ্লেষণীতে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় তামিম ঠিক। তবে জাতীয় দলে যখন কোনো খেলোয়াড় আসে, সে কি ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে পুরোপুরি তৈরি হয়ে জাতীয় দলে খেলে? হাতে গোনা কয়েকজন বাদে বেশির ভাগই জাতীয় দলে আসার পর প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত হতে অনেক খেলোয়াড় ৫-৭ বছর সময় নেয়। তারা যদি ৫-৭ বছর সময় নেয়, তবে কোচদেরও ওই সময় দেওয়া উচিত। কোচকে গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে অনেকভাবে তৈরি করেছেন। কোচকে তৈরি করেছেন এভাবে?’
সহকারী কোচ হিসেবে যাঁরা সুযোগ পেতে পারেন জাতীয় দলে, এ তালিকায় তামিম সবার আগে রেখেছেন সোহেল ইসলামের নাম। তামিম মনে করেন, সোহেল যে সময় দেন ক্রিকেটারদের, যেভাবে তিনি নিবিড়ভাবে কাজ করেন, তাতে তাঁর একটি সুযোগ পাওনা। সূত্র জানিয়েছে, বিসিবি বাংলাদেশ দলে সোহেলকে স্পিন কোচ বা সহকারী হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব আগেও দিয়েছে। পারিবারিক কারণে সোহেল সে প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারেননি। তবে তিনি তামিমের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করছেন না, ‘সে যে কোচদের অভিজ্ঞ হওয়ার কথা বলেছে, এটা ভালোই বলেছে, যৌক্তিক বলেছে।’
আরেক স্থানীয় কোচ মিজানুর রহমান বাবুল বলেছেন, ‘আমরা কীভাবে বলি, স্থানীয় কোচরা কতটা উপযুক্ত। যাদের সঙ্গে কাজ করি, তারাই বলবে উপযুক্ত কি উপযুক্ত নই। তামিম একটা মনে করেছে; অন্যদেরও তো মতামত আছে। তবে তার কথায় যুক্তি আছে যে আমাদের কোচদের আগে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের কোচরা বিপিএলে নিয়মিত সফল। কিন্তু তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে, তখন বুঝবেন, যোগ্য কি যোগ্য না।’
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৬ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৮ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে