Ajker Patrika

অস্ট্রেলিয়া বাধা টপকে চ্যাম্পিয়ন হতে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ২৮২ রান

ক্রীড়া ডেস্ক    
লর্ডসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এমন উদযাপন করতেই এখন মুখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: ক্রিকইনফো
লর্ডসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এমন উদযাপন করতেই এখন মুখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি: ক্রিকইনফো

লর্ডসে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম দিন থেকেই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন বোলাররা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেখানে ব্যাটে-বলের ভারসাম্য লড়াই দেখতে চেয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা, সেই পিচ ব্যাটারদের জন্য এখন বধ্যভূমি। রান করতে ব্যাটারদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়া একাধিকবার আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাবিনেট ট্রফির জন্য হাহাকার করছে। ১৯৯৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ই প্রোটিয়াদের একমাত্র মেজর শিরোপা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের কাছাকাছি গিয়েও প্রোটিয়াদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। বছর না ঘুরতেই এবার লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ২৮১ রান।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তাদের নামের পাশে তখন ৪০ ওভার। লিডসহ অজিদের রান তখন ২১৮। আর তৃতীয় দিনের সকালে দ্রুতই আরও এক উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে নাথান লায়নকে এলবিডব্লিউ করেন কাগিসো রাবাদা। রিভিউ নিয়েও বাঁতে পারেননি লায়ন (২)।

লায়নের বিদায়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ৪২.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান। প্রত্যেকটা রান যখন মূল্যবান, তখন ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন জশ হ্যাজলউড ও মিচেল স্টার্ক। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি স্টার্ক তুলে নিয়েছেন ১৩১ বলে। দশম উইকেটে ১৩৫ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন স্টার্ক-হ্যাজলউড। ৬৫তম ওভারের শেষ বলে হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ইতি টানেন এইডেন মার্করাম। ৫৩ বল খেলে ১৭ রান করেন হ্যাজলউড। ৬৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ২০৭ রানে অলআউট হলে লিডসহ তাদের স্কোর হয়ে যায় ২৮১ রান। ১৩৬ বলে ৫ চারে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টার্ক।

২০২৩-২৫ চক্রের ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে শুরুর ধাক্কা সামলে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর এক পর্যায়ে ছিল ৫ উইকেটে ১৯২ রান। সেখান থেকেই বিশাল ধসে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা। ৫ উইকেট নিয়ে কাগিসো রাবাদা ভাঙেন অ্যালান ডোনাল্ডের রেকর্ড। রাবাদার জবাব এরপর দিয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে টেস্টে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন কামিন্স। তাঁর আগুনে বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানে অলআউট প্রোটিয়ারা।

বাভুমার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন পর্যন্ত কোনো টেস্ট হারেনি। এর আগের ৯ ম্যাচের ৮টিতেই জিতেছে দলটি। এক ম্যাচ ড্র করেছে। দলপতি হিসেবে ১০ নম্বর টেস্টেও অপরাজিত থাকতে পারেন কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে। অজি বোলারদের তোপ সামলে ২৮২ রানের পাহাড় টপকাতে এখন প্রোটিয়াদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হামজা-শমিতকে নিয়েই নেপাল-ভারত ম্যাচের দল

নিজস্ব প্রতিবদেক
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৮
দলে আছেন হামজা চৌধুরী, শমিত শোমের মতো ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে
দলে আছেন হামজা চৌধুরী, শমিত শোমের মতো ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে

চলতি মাসে নিজেদের মাঠে নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ম্যাচ দুটির জন্য আজ ২৬ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যথারীতি দলে আছেন হামজা চৌধুরী, শমিত শোমের মতো ফুটবলাররা।

দলে রাখা হয়নি ফাহামিদুল ইসলামকে। সবশেষ গত মাসে হংকংয়ের বিপক্ষে ও জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেন এই ফুটবলার। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাইলজ অনুযায়ী, কোনো ফুটবলার দুটি হলুদ কার্ড দেখলে পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবেন। ফাহামিদুলের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে একই ভেন্যুতে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে জামাল, হামজারা। দুটি ম্যাচই শুরু হবে রাত ৮টায়।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। ‘সি’ গ্রুপ থেকে ভারতের সঙ্গে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার দলের। এর আগে গত মার্চে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। সে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় হামজার।

বাংলাদেশ দল:

গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, পাপ্পু হোসেন ও মেহেদী হাসান শ্রাবন।

ডিফেন্ডার: তারিক রায়হান কাজি, রহমত মিয়া, শাকিল আহমেদ তপু, আবদুল্লাহ ওমর, শাকিল হোসেন, জায়ান আহমেদ, তপু বর্মন, তাজউদ্দিন ও সাদ উদ্দিন।

মিডফিল্ডার: শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা. মোহাম্মদ হৃদয়, হামজা চৌধুরী ও শমিত শোম।

ফরোয়ার্ড: আল আমিন, আরমান ফয়সাল আকাশ, শাহরিয়ার ইমন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘শিগগিরই অবসর নেব’, রোনালদোর বার্তা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৪
৯৫২টি গোল করেছেন রোনালদো। ছবি: এক্স
৯৫২টি গোল করেছেন রোনালদো। ছবি: এক্স

গত মাসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জানিয়েছিলেন, অবসরে যাওয়ার আগে এক হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে চান তিনি। এবার নিজের সেই কথা থেকে সরে এলেন সাত নম্বর জার্সিধারী। পরিবারের কথা ভেবে শিগগিরই অবসরে যেতে চান তিনি।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৪১ এ পা দেবেন রোনালদো। এই বয়সে এসেও দারুণ ফর্মে আছেন। এখনো পর্তুগাল জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ তিনি। আল নাসরে তো তাঁকে মানা হয় প্রাণভোমরা হিসেবে। সৌদি আরবের ক্লাবটির হয়ে মাঠে নামলেই পান গোলের দেখা। রোনালদোর জোড়া গোল ভর দিয়ে সৌদি প্রো লিগের সবশেষ ম্যাচে আল ফেইহাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে আল নাসর।

রোনালদোর বর্তমান গোলসংখ্যা ৯৫২ টি। হাজারতম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে চাইলে আরও ৪৮ বার জালে বল জড়াতে হবে তাঁকে। এজন্য যে অন্তত আরও দেড় মৌসুম খেলা চালিয়ে যেতে হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফর্ম না থাকলে তো অপেক্ষা আরও বেড়ে যাবে। পরিবারের কথা ভেবে তাই অবসর সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে ভাবছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাসের মতো ইউরোপ সেরা ক্লাবের হয়ে খেলা রোনালদো।

সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান রোনালদোর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কবে অবসর নেবেন? জবাবে পর্তুগিজ তারকা বলেন, ‘শিগগিরই।’ অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া যে মোটেও সহজ হবে না সেটাও জানালেন রোনালদো, ‘অবসরের জন্য আমি প্রস্তুত থাকব। তবে আমার জন্য এটা খুবই কঠিন হবে।’

পরিবারের জন্য ফুটবল ছাড়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা ব্যাখ্যা করেছেন ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন, ‘সবকিছুরই শুরু আছে। সবকিছু আবার শেষও হয়ে যায়। ফুটবল ছাড়ার পর নিজেকে এবং পরিবারকে সময় দিতে পারব। আমার বাচ্চাদের লালন-পালনের জন্য সময় ব্যয় করতে পারব।’

অবসরে যাওয়ার পর ফুটবলে কাটানো দারুণ সময়গুলো মিস করবেন রোনালদো, ‘আমি ২৫,২৬, ২৭ বছর বয়স থেকেই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি। আমার মনে হয় আমি সেই চাপ সহ্য করতে সক্ষম হব। ফুটবলে গোল করার জন্য যে অ্যাড্রেনালিন নিঃসৃত হয়, তার সাথে আর কিছুরই তুলনা হয় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুনীল ছেত্রীকে ছাড়াই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৬
১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামবে ভারত। ছবি: এক্স
১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামবে ভারত। ছবি: এক্স

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামবে ভারত। সে ম্যাচের জন্য আজ ২৩ সদস্যের দল দিয়েছেন ভারতের কোচ খালিদ জামিল। দলে জায়গা হয়নি সেরা ফুটবলার সুনীল ছেত্রীর।

আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। এর আগে গত মার্চে দুই দলের প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। সে ম্যাচ দিয়ে অবসর ভেঙে দলে ফেরেন ছেত্রী। তবে খালিদ জামিল কোচ হয়ে আসার পর দলে জায়গা পাননি ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। মূলত নতুনদের জায়গা করে দিতেই ছেত্রীকে দলের বাইরে রেখেছেন ভারতীয় কোচ।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। তাই দুই দলের পরবর্তী ম্যাচটি কেবলই নিয়মরক্ষার। প্রথম চার ম্যাচ থেকে দুই দলের সংগ্রহ সমান ২ পয়েন্ট। এই গ্রুপ থেকে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর ও হংকং।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে আগামীকাল থেকে বেঙ্গালুরুতে ক্যাম্প শুরু করবে ভারত। ১৫ নভেম্বর দলটির ঢাকায় পা রাখার কথা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ভারতের স্কোয়াড:

গোলরক্ষক: গুরপ্রীত সিং সান্ধু, হৃতিক তিওয়ারি, সাহিল।

ডিফেন্ডার: আকাশ মিশ্র, আনোয়ার আলি, বিকাশ ইউমনাম, হামিংথানমাউইয়া রাল্টে, মুহাম্মদ উভাইস, প্রমবীর, রাহুল ভেকে, সন্দেশ ঝিংগান।

মিডফিল্ডার: আশিক কুরুনিয়ান, ব্রিসন ফার্নান্দেস, লালরেমটলুয়াঙ্গা ফানাই, ম্যাকার্টন লুই নিকসন, মহেশ সিং নওরেম, নিখিল প্রভু, সুরেশ সিং ওয়াংজাম।

ফরোয়ার্ড: ইরফান ইয়াদওয়াদ, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, মোহাম্মদ সানান, রহিম আলী, বিক্রম প্রতাপ সিং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভবিষ্যতে বিএনপি কীভাবে কাজে লাগাতে চায় তামিমকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৬
ক্রিকেটের বাইরে অন্যান্য ঘটনায় তামিমকে নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা। ছবি: ফাইল ছবি
ক্রিকেটের বাইরে অন্যান্য ঘটনায় তামিমকে নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা। ছবি: ফাইল ছবি

ক্রিকেট নিয়ে তামিম ইকবালের ব্যস্ততা অনেকটাই কম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা তামিম সবশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলেছেন এ বছরের মার্চে। ক্রিকেটের চেয়ে বরং অন্যান্য ঘটনায় তাঁকে নিয়ে চলে আলাপ-আলোচনা। তামিমকে নিয়ে এরপর কী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছেন দেশের সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক।

এ বছরের ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বিসিবি নির্বাচনে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তামিম ইকবাল। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ করে শেষ পর্যন্ত নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তামিম। এমনকি নির্বাচনের দিনও তামিম ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। পরবর্তীতে বুলবুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চার বছরের মেয়াদে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

আজকের পত্রিকাকে পরশু দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমিনুল হকের কাছে যখন তামিমকে নিয়ে প্রশ্ন হয়েছে, তখন এসেছে সদ্য সমাপ্ত বিসিবি নির্বাচনের প্রসঙ্গও। আমিনুল বলেন, ‘এটাকে (বিসিবি নির্বাচন) একটি মহল রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যেটা আমরা আসলে কখনোই আশা করিনি। ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে গঠিত হবে বা বর্তমানে যেহেতু ক্রিকেট বোর্ড গঠিত হয়েছে, সেটা আসলে আমরা ভবিষ্যতের ওপরই ছেড়ে দেব। ক্রিকেট বোর্ড যেহেতু চার বছরের জন্য। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে। ক্রিকেট বোর্ডের এই নির্বাচন ঘিরে মামলাও রয়েছে কিছু। এগুলো চলবে আইন অনুযায়ী। আমরা সেটার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই।’

সাবেক ফুটবলারের পাশাপাশি আমিনুলের রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দেশের এই সাবেক ফুটবলার। জাতীয় নির্বাচন হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হবে। আর আমিনুল-তামিমকে এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে দেশের সাবেক ফুটবলার বলেন, ‘তামিম ইকবাল যে আমাদের বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে, বিষয়টি এ রকম নয়।

এখানে তামিম ইকবালসহ যাঁরা কাজ করেছেন বা ভবিষ্যতে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান, আমরা চেয়েছি যাতে বিষয়টা অবাধ, সুষ্ঠু হয়। যাতে একেবারে নিরপেক্ষভাবে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা হয়। সেই চিন্তা থেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে যেহেতু তামিম ইকবাল একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বুলবুল ভাই থেকে শুরু করে যাঁরাই ছিলেন, আমরা চেয়েছি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হোক।’

বিসিবির নির্বাচনকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বারবার উল্লেখ করেছেন আমিনুল। তবে দেশের সাবেক ফুটবলারের চাওয়া এমনটা যেন ভবিষ্যতে আর না হয়। আমিনুল বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে শতভাগ দলীয়করণমুক্ত, রাজনীতিকরণমুক্ত রাখতে চাই। এটা আজ বলছি। ভবিষ্যতেও বলব একই কথা।’ আমিনুলের কাছে এসে সাকিবের প্রসঙ্গও। যে সাকিব গত ১৩ মাস ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারছেন না। এমনকি ঘরের মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) খেলার সুযোগ মিলছে না। আমিনুল হক মনে করেন সাকিবের ব্যাপারে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত