২০১০ থেকে নিউজিল্যান্ডের মাঠে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলা শুরু বাংলাদেশের। ১৩ বছর ধরে প্রথম ১১ ম্যাচের ১১টিই হেরেছিল বাংলাদেশ। অবশেষে নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে আজ ‘ডেডলক’ ভাঙল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৩৫ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে টিম সাউদিকে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন রনি। তবে দ্বিতীয় ওভারেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে অ্যাডাম মিলনেকে পুল করতে যান রনি। টপ এজ হওয়া বল মিড অনে তালুবন্দী করেছেন সাউদি। ৭ বলে ১ ছক্কায় ১০ রান করেন রনি। বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১.৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৩ রান।
রনি আউট হওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। একের পর এক বাউন্ডারি মারছিলেন তিনি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে জিমি নিশামকে দুর্দান্ত স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মারেন শান্ত। ঠিক তার পরের বলে আবারও চার মারতে যান শান্ত। টাইমিংয়ে গড়বড় করা বাংলাদেশ অধিনায়ক মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন মিচেল স্যান্টনারের হাতে। ১৪ বলে ৪ চারে ১৯ রান করেন শান্ত। বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৮ রান । এরপর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সৌম্য সরকার। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ইশ সোধিকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন সৌম্য। পরের বলে উল্টো দিকে ঘুরে শট খেলেন সৌম্য। বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারের সুইচ হিটে শর্ট থার্ড ম্যানের ওপর দিয়ে হয়ে যায় চার।
তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকা সৌম্যও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নবম ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার বোল্ড হয়েছেন বেন সিয়ার্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। তাতে ৮.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩ উইকেটে ৬৭ রানে। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তাওহীদ হৃদয়। হৃদয়কে নিয়ে লিটন বেশ সাবলীলভাবেই এগোতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে ২৯ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন লিটন-হৃদয়। হৃদয়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে হৃদয় ধরা পড়েন শর্ট এক্সট্রা কাভারে সাউদির হাতে। ১৮ বলে ১ ছক্কায় হৃদয় করেন ১৯ রান।
হৃদয়ের পর উইকেটে এসে দ্রুত আউট হয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। সাউদির শর্ট বল পুল করতে যান আফিফ। মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ ধরেন জেমস নিশাম। হৃদয়, আফিফের দ্রুত বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১৪.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৭ রান। একই ওভারে বাংলাদেশ হারাতে পারত ষষ্ঠ উইকেট। লিটনের বিপক্ষে সাউদি এলবিডব্লু আবেদন করলে আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাতে বেঁচে যান লিটন।
বেঁচে যাওয়ার পর লিটন এগোতে থাকেন সাবলীলভাবে। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে সাউদিকে মিড অফ দিয়ে চার মারেন লিটন। পরের বলে স্কুপ করে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। এই ছক্কা নিয়ে হয়েছে একটু নাটকীয়তা। প্রথমে ফাইন লেগে ক্যাচ ধরেন ইশ সোধি। তবে দ্রুতই সীমানার দড়িতে পা দিয়ে ফেলায় তা হয়ে যায় ছক্কা। বলতে গেলে এই ওভারেই ম্যাচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নেয় বাংলাদেশ। বাকি ৪ বলে ৪ রান নিলে শেষ ২ ওভারে বাংলাদেশের দরকার হয় ১০ রান।
হাতে ৫ উইকেটে ২ ওভারে ১০ রানের সহজ সমীকরণ দ্রুতই মিলিয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন মেহেদি। পরের বলে নিয়েছেন ২ রান। এরপর চতুর্থ বলে মিড অফ দিয়ে চার মেরে মেহেদি বাংলাদেশকে এনে দেন ঐতিহাসিক এক জয়। ৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে চক্রপূরণ করেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-তিন সংস্করণেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ঐতিহাসিক জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শেখ মেহেদি। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ৯ উইকেটে করেছে ১৩৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন নিশাম। ২৯ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন নিউজিল্যান্ডের এই বাঁহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম।
২০১০ থেকে নিউজিল্যান্ডের মাঠে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলা শুরু বাংলাদেশের। ১৩ বছর ধরে প্রথম ১১ ম্যাচের ১১টিই হেরেছিল বাংলাদেশ। অবশেষে নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে আজ ‘ডেডলক’ ভাঙল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৩৫ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে টিম সাউদিকে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন রনি। তবে দ্বিতীয় ওভারেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে অ্যাডাম মিলনেকে পুল করতে যান রনি। টপ এজ হওয়া বল মিড অনে তালুবন্দী করেছেন সাউদি। ৭ বলে ১ ছক্কায় ১০ রান করেন রনি। বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১.৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৩ রান।
রনি আউট হওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। একের পর এক বাউন্ডারি মারছিলেন তিনি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে জিমি নিশামকে দুর্দান্ত স্ট্রেইট ড্রাইভে চার মারেন শান্ত। ঠিক তার পরের বলে আবারও চার মারতে যান শান্ত। টাইমিংয়ে গড়বড় করা বাংলাদেশ অধিনায়ক মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন মিচেল স্যান্টনারের হাতে। ১৪ বলে ৪ চারে ১৯ রান করেন শান্ত। বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৮ রান । এরপর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সৌম্য সরকার। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ইশ সোধিকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন সৌম্য। পরের বলে উল্টো দিকে ঘুরে শট খেলেন সৌম্য। বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারের সুইচ হিটে শর্ট থার্ড ম্যানের ওপর দিয়ে হয়ে যায় চার।
তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকা সৌম্যও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নবম ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার বোল্ড হয়েছেন বেন সিয়ার্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। তাতে ৮.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩ উইকেটে ৬৭ রানে। এরপর পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তাওহীদ হৃদয়। হৃদয়কে নিয়ে লিটন বেশ সাবলীলভাবেই এগোতে থাকেন। চতুর্থ উইকেটে ২৯ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন লিটন-হৃদয়। হৃদয়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে হৃদয় ধরা পড়েন শর্ট এক্সট্রা কাভারে সাউদির হাতে। ১৮ বলে ১ ছক্কায় হৃদয় করেন ১৯ রান।
হৃদয়ের পর উইকেটে এসে দ্রুত আউট হয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। সাউদির শর্ট বল পুল করতে যান আফিফ। মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ ধরেন জেমস নিশাম। হৃদয়, আফিফের দ্রুত বিদায়ে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১৪.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৭ রান। একই ওভারে বাংলাদেশ হারাতে পারত ষষ্ঠ উইকেট। লিটনের বিপক্ষে সাউদি এলবিডব্লু আবেদন করলে আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাতে বেঁচে যান লিটন।
বেঁচে যাওয়ার পর লিটন এগোতে থাকেন সাবলীলভাবে। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে সাউদিকে মিড অফ দিয়ে চার মারেন লিটন। পরের বলে স্কুপ করে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। এই ছক্কা নিয়ে হয়েছে একটু নাটকীয়তা। প্রথমে ফাইন লেগে ক্যাচ ধরেন ইশ সোধি। তবে দ্রুতই সীমানার দড়িতে পা দিয়ে ফেলায় তা হয়ে যায় ছক্কা। বলতে গেলে এই ওভারেই ম্যাচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নেয় বাংলাদেশ। বাকি ৪ বলে ৪ রান নিলে শেষ ২ ওভারে বাংলাদেশের দরকার হয় ১০ রান।
হাতে ৫ উইকেটে ২ ওভারে ১০ রানের সহজ সমীকরণ দ্রুতই মিলিয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন মেহেদি। পরের বলে নিয়েছেন ২ রান। এরপর চতুর্থ বলে মিড অফ দিয়ে চার মেরে মেহেদি বাংলাদেশকে এনে দেন ঐতিহাসিক এক জয়। ৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে চক্রপূরণ করেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-তিন সংস্করণেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে ঐতিহাসিক জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শেখ মেহেদি। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ৯ উইকেটে করেছে ১৩৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন নিশাম। ২৯ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন নিউজিল্যান্ডের এই বাঁহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম।
আঙুলের ইশারায় সুনীল গাভাস্কার বোঝাচ্ছিলেন ‘ডিগবাজি দাও’। কারণ প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এভাবেই উদ্যাপন করেন ঋষভ পন্ত। গাভাস্কারও বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন তখন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও এল উদ্যাপনের সুযোগ। কিন্তু গাভাস্কারের অনুরোধ রাখেননি পন্ত। ডান হাতের আঙুল উল্টো ঘুরিয়ে চোখের কাছে এনে...
১০ ঘণ্টা আগেগল টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। পরশু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকেরা। পিঠের বাঁ পাশে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন পেসার মিলান রত্নায়েকে। গলে খেলার সময় ব্যথা পান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগেতাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
১৫ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার—সব মিলিয়ে বাজে সময় পার করা বাংলাদেশ দলের জন্য কদিন আগে শেষ হওয়া গল টেস্টটা আসলেই বিশেষ কিছু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে সেঞ্চুরি।
১৬ ঘণ্টা আগে