নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে প্রাণের ছোঁয়া থাকবে না অনুমিতই। তবে এমন উইকেটেও কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটা এর মধ্যে দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তা সাকিব কী করেছেন, যেটা বাকি বোলাররা পারেননি।
চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব প্রথম আক্রমণে আসেন আগের দিন লাঞ্চ বিরতিরও বেশ খানেক পর। ততক্ষণে হয়তো ধারণা পেয়ে যান কীভাবে বোলিং করতে হবে সাগরিকার উইকেটে। টার্ন কিংবা বাউন্স কখনোই সাকিবের শক্তির জায়গা ছিল না। লাইন-লেংথের ওপর ভরসা আর ব্যাটারকে পড়ে নিয়ে বুদ্ধির চাল।
এদিন লাইন-লেংথ তো পারফেক্ট ছিলই, গতিও কমিয়ে আনেন সাকিব। বেশির ভাগ বলেরই গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের আশপাশে। বলের গতি কমিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে একনাগাড়ে বল করে গেছেন এ বাঁহাতি স্পিনার। বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়ার ফলে কিছু বাউন্সও আদায় করে নেন উইকেট থেকে। সাগরিকার মতো ব্যাটিং-স্বর্গ উইকেটে ব্যাটারকে বেঁধে রাখতে একজন স্পিনারের যেটা আদর্শ বোলিং।
যে কাজটা চট্টগ্রাম টেস্টে স্পিনে সাকিবের দুই সঙ্গী নাঈম হাসান আর তাইজুল ইসলাম করতে পারেননি। তাইজুল তাও রান আটকে রাখেন। ওভারপ্রতি ৪.৪৩ রান দিয়ে সে হিসেবে বেশ খরুচেই ছিলেন নাঈম। যদিও এই টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা বোলার নাঈমই। গতকালের দুটির সঙ্গে আজ আরও দুই উইকেট নিয়েছেন দীর্ঘদেহী এ স্পিনার। গতকাল ১৬ ওভারে ৭১ রান দেন নাঈম। আজ সে জন্যই কি না বেশ দেরিতেই তাঁকে আক্রমণে আনা হয়। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কার দুই উইকেটের দুটিই নিয়েছেন এ অফ স্পিনার।
উইকেটের জন্য অপেক্ষার প্রহর বাড়তে থাকা বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে স্বস্তি ফিরিয়েছেন নাঈম। তবে এক প্রান্ত থেকে চাপ তৈরি করার কাজটা ঠিকই করে গেছেন সাকিব। গতকাল বেশ দেরিতে আক্রমণে এলেও আজ দিনের ষষ্ঠ ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দেন মুমিনুল হক। প্রথম স্পেলে ৭ ওভারে ১৪ রান দিয়ে উইকেটের দেখা না পেলেও উইকেটে হাঁসফাঁস করিয়েছেন দুই শ্রীলঙ্কান ব্যাটার দিনেশ চান্দিমাল আর সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জলো ম্যাথুস। আজও গতি কমিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়ার পন্থায় হাঁটেন সাকিব। নিজে উইকেট না পেলেও অন্য প্রান্তে থেকে উইকেট নেওয়ার কাজটা সেরে রাখেন।
তবে লাঞ্চ বিরতির পর প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে বোল্ড করে ফেরান এক রান করা রামেশ মেন্ডিসকে। পরের বলে সাকিবের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। জোরের ওপরে সাকিবের ভেতরে ঢোকা বলটা ব্যাটে ফাঁকি দিয়ে এম্বুলদেনিয়ার প্যাডে লাগে। আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো আউট দিলে রিভিউ নেন লঙ্কান ব্যাটার। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের কথাটাই সই, ‘সে (সাকিব) খুব ভালো বল করেছে আজ। সবচেয়ে ইকোনমিক্যালও ছিল।’ বোলার সাকিবের বুদ্ধিমত্তা হেরাথের পরের কথায় পরিষ্কার, ‘আমি তার ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এমনকি প্রস্তুতি ছাড়াও সে ভালো কিছু করতে পারে।’
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে প্রাণের ছোঁয়া থাকবে না অনুমিতই। তবে এমন উইকেটেও কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটা এর মধ্যে দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তা সাকিব কী করেছেন, যেটা বাকি বোলাররা পারেননি।
চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব প্রথম আক্রমণে আসেন আগের দিন লাঞ্চ বিরতিরও বেশ খানেক পর। ততক্ষণে হয়তো ধারণা পেয়ে যান কীভাবে বোলিং করতে হবে সাগরিকার উইকেটে। টার্ন কিংবা বাউন্স কখনোই সাকিবের শক্তির জায়গা ছিল না। লাইন-লেংথের ওপর ভরসা আর ব্যাটারকে পড়ে নিয়ে বুদ্ধির চাল।
এদিন লাইন-লেংথ তো পারফেক্ট ছিলই, গতিও কমিয়ে আনেন সাকিব। বেশির ভাগ বলেরই গতি ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের আশপাশে। বলের গতি কমিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে একনাগাড়ে বল করে গেছেন এ বাঁহাতি স্পিনার। বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়ার ফলে কিছু বাউন্সও আদায় করে নেন উইকেট থেকে। সাগরিকার মতো ব্যাটিং-স্বর্গ উইকেটে ব্যাটারকে বেঁধে রাখতে একজন স্পিনারের যেটা আদর্শ বোলিং।
যে কাজটা চট্টগ্রাম টেস্টে স্পিনে সাকিবের দুই সঙ্গী নাঈম হাসান আর তাইজুল ইসলাম করতে পারেননি। তাইজুল তাও রান আটকে রাখেন। ওভারপ্রতি ৪.৪৩ রান দিয়ে সে হিসেবে বেশ খরুচেই ছিলেন নাঈম। যদিও এই টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা বোলার নাঈমই। গতকালের দুটির সঙ্গে আজ আরও দুই উইকেট নিয়েছেন দীর্ঘদেহী এ স্পিনার। গতকাল ১৬ ওভারে ৭১ রান দেন নাঈম। আজ সে জন্যই কি না বেশ দেরিতেই তাঁকে আক্রমণে আনা হয়। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কার দুই উইকেটের দুটিই নিয়েছেন এ অফ স্পিনার।
উইকেটের জন্য অপেক্ষার প্রহর বাড়তে থাকা বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে স্বস্তি ফিরিয়েছেন নাঈম। তবে এক প্রান্ত থেকে চাপ তৈরি করার কাজটা ঠিকই করে গেছেন সাকিব। গতকাল বেশ দেরিতে আক্রমণে এলেও আজ দিনের ষষ্ঠ ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দেন মুমিনুল হক। প্রথম স্পেলে ৭ ওভারে ১৪ রান দিয়ে উইকেটের দেখা না পেলেও উইকেটে হাঁসফাঁস করিয়েছেন দুই শ্রীলঙ্কান ব্যাটার দিনেশ চান্দিমাল আর সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জলো ম্যাথুস। আজও গতি কমিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়ার পন্থায় হাঁটেন সাকিব। নিজে উইকেট না পেলেও অন্য প্রান্তে থেকে উইকেট নেওয়ার কাজটা সেরে রাখেন।
তবে লাঞ্চ বিরতির পর প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে বোল্ড করে ফেরান এক রান করা রামেশ মেন্ডিসকে। পরের বলে সাকিবের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। জোরের ওপরে সাকিবের ভেতরে ঢোকা বলটা ব্যাটে ফাঁকি দিয়ে এম্বুলদেনিয়ার প্যাডে লাগে। আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো আউট দিলে রিভিউ নেন লঙ্কান ব্যাটার। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের কথাটাই সই, ‘সে (সাকিব) খুব ভালো বল করেছে আজ। সবচেয়ে ইকোনমিক্যালও ছিল।’ বোলার সাকিবের বুদ্ধিমত্তা হেরাথের পরের কথায় পরিষ্কার, ‘আমি তার ব্যাপারে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এমনকি প্রস্তুতি ছাড়াও সে ভালো কিছু করতে পারে।’
আঙুলের ইশারায় সুনীল গাভাস্কার বোঝাচ্ছিলেন ‘ডিগবাজি দাও’। কারণ প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এভাবেই উদ্যাপন করেন ঋষভ পন্ত। গাভাস্কারও বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন তখন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও এল উদ্যাপনের সুযোগ। কিন্তু গাভাস্কারের অনুরোধ রাখেননি পন্ত। ডান হাতের আঙুল উল্টো ঘুরিয়ে চোখের কাছে এনে...
১৬ মিনিট আগেগল টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। পরশু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকেরা। পিঠের বাঁ পাশে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন পেসার মিলান রত্নায়েকে। গলে খেলার সময় ব্যথা পান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেতাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
৫ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার—সব মিলিয়ে বাজে সময় পার করা বাংলাদেশ দলের জন্য কদিন আগে শেষ হওয়া গল টেস্টটা আসলেই বিশেষ কিছু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে সেঞ্চুরি।
৬ ঘণ্টা আগে