Ajker Patrika

ব্যাটিংয়ের লেজে ভর করে শ্রীলঙ্কার রান ১৭১ 

আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৮: ৪৯
ব্যাটিংয়ের লেজে ভর করে শ্রীলঙ্কার রান ১৭১ 

সেমিফাইনালের স্বপ্ন অনেক আগেই শেষ হয়েছে শ্রীলঙ্কার। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি তাই তাদের জন্য নিয়ম রক্ষার। তবে নিয়ম রক্ষার এই ম্যাচেই আগামীর এক টুর্নামেন্টের স্বপ্ন বেঁচে আছে তাদের। আর সেটি হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। 

২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে হলে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় আটের মধ্যে থাকবে হবে শ্রীলঙ্কাকে। সেদিক থেকে বেঙ্গালুরুতে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচ লঙ্কানদের। এমন সমীকরণের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ১৭২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা। 

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ২ রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান টিম সাউদি। শুরুটা সাউদি করলেও প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার ধসে দেন তাঁর সতীর্থ ট্রেন্ট বোল্ট। নিজের তৃতীয় ও দলের পঞ্চম ওভার করতে এসে শ্রীলঙ্কাকে জোড়া ধাক্কা দেন। 

ওভারের প্রথম ও চতুর্থ বলে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমাকে আউট করেন বোল্ট। মেন্ডিসকে আউট করে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক অর্জন করেছেন কিউই পেসার। সঙ্গে সব সংস্করণ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় বোলার হিসেবে ৬০০ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন তিনি। বাঁহাতি পেসারের ওপরে আছেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি ও সাউদি। 

বোল্টের জোড়া ধাক্কায় তখন শ্রীলঙ্কার দলীয় সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৩২ রান। সেখান থেকে চরিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন কুশল পেরেরা। কিউই বোলারদের প্রতি আক্রমণ করে ২২ বলে দ্রুত ৩৮ রানের জুটিও গড়েন তাঁরা। তবে দুজনের জুটিকে আর বড় করতে দেননি বোল্ট। আসালাঙ্কাকে ৮ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। 

আসালাঙ্কা আউট হওয়ার পরের ওভারেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন পেরেরাও। আউট হওয়ার আগে একটি রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার। ২২ বলে ফিফটি করেছেন। আউট হওয়ার সময় তাঁর রান হয় ২৮ বলে ৫১। ক্যামিও ইনিংসটি সাজান ৯ চার ও ২ ছক্কায়। 

শ্রীলঙ্কার হয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটির তালিকায় দিনেশ চান্ডিমালের সঙ্গে যৌথভাবে দুইয়ে আছেন পেরেরা। ২০ বলে শীর্ষে আছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। আর সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দখলে। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ বলে কীর্তিটি গড়েন কিউই ওপেনার। 

পেরেরা আউটের পর দলীয় রান ১০০ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা জাগে। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়ে এক শ পার করেন ম্যাথুস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা জুটি। কিন্তু দলের সেঞ্চুরি এনে দেওয়ার পরেই দ্রুত ফিরে যান দুজনে। ম্যাথুসের ১৬ রানের বিপরীতে ১৯ রানে ফেরেন ধনঞ্জয়া। সে সময় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১০৫ রান। 

সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা ১৭১ রানের সংগ্রহ পায় মহীশ তিকশানার সৌজন্যে। অন্যরা আসা–যাওয়ার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এই সংগ্রহ এনে দেন তিনি। তাঁকে অবশ্য শেষ উইকেটে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন দিলশান মদুশঙ্কও। ১০ উইকেটে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি গড়েছেন তাঁরা, ৪৩ রানের। ১৯ রান করেন মদুশঙ্ক। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কিউদের সেরা বোলার বোল্ট। 

বিশ্বকাপের শুরুতেই উইকেট হারানো যেন নিয়মিত চিত্র শ্রীলঙ্কার। প্রথম পাওয়ার প্লেতে (১–১০ ওভার) সবচেয়ে বেশি ২০ উইকেট হারিয়েছে তারাই। ১৮ উইকেট হারিয়ে তাদের পরেই আছে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত