২০১৮ সালে টেস্ট অভিষেক। ৮ টেস্টে শিকার ৩১ উইকেট। মাঝে চোটসহ বিভিন্ন কারণে বছর দেড়েক জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন নাঈম হাসান। তবে ২০২৩-২৪ জাতীয় ক্রিকেট লিগে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের সৌজন্যে এই অফ স্পিনার ফিরেছেন কিউই সিরিজের টেস্ট দলে। ৬ ম্যাচে ৩৬ উইকেট পাওয়া নাঈম আজকের পত্রিকাকে বললেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের লক্ষ্য এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা।
লাইছ ত্বোহা
প্রশ্ন: এনসিএলের শেষ রাউন্ডে ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক, সেদিনই আবার দেড় বছর পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন, কোনটি বেশি উপভোগ করেছেন?
নাঈম হাসান: এর আগে অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৮’র হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলাম। তবে স্বীকৃত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি আমার প্রথম হ্যাটট্রিক। দুটোই অর্জন। হ্যাটট্রিক করে অনেক ভালো লেগেছিল। আর জাতীয় দলে সবার খেলার স্বপ্ন থাকে। আল্লাহ সুযোগ দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। তৃপ্তিটা পাব যখন পারফর্ম করতে পারব।
প্রশ্ন: এনসিএলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হলেন, দলও প্রথম স্তর নিশ্চিত করেছে...
নাঈম: আমাদের প্রথম লক্ষ্যই ছিল দলকে স্তর-২ থেকে স্তর-১ এ তোলা, চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। দলে অবদান রেখে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছি, অনেক ভালো লাগছে। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে অবদান রেখেছিলাম। একটি ফিফটি করেছি, একটি ম্যাচজয়ী ইনিংস ছিল। কখনো আবার দলের প্রয়োজন আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছি, দ্রুত রান তোলার দরকার ছিল, সফলও হয়েছি।
প্রশ্ন: ১৮ মাস দলের জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন, নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইটা কেমন ছিল?
নাঈম: তখন বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প চলছিল। ওই ক্যাম্পে ভালো অনুশীলন হয়েছিল। জেমি সিডন্স, বাবুল স্যার, সোহেল স্যার, ট্রেনার ইফতি ভাই ছিলেন। ওনারা অনেক সহায়তা করেছেন—ফিটনেস, স্কিল, ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে। ওই ক্যাম্পে থেকে অনেক লাভবান হয়েছি। ক্যাম্পের বাইরেও আমার ছোটবেলার কোচ মোমিন ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: নিজের সর্বশেষ টেস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ( ৬/১০৫) বোলিং করেছেন। তবু এতদিন দলে সুযোগ না পাওয়ার কারণ কী ছিল বলে মনে করেন?
নাঈম: আসলে আমি জানি না ওটা। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে চোটে পড়েছিলাম, আঙুল ভেঙে গিয়েছিল। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ছিল, আমার যাওয়া হয়নি। তখন এইচপির সঙ্গে আমি বাংলাদেশে ম্যাচ খেলছিলাম। ওই ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছিলাম। পরে ‘এ’ দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছি। এরপর আমাকে ‘এ’ দলের কয়েকটা সিরিজ খেলিয়েছে। আর ডাক পাইনি কোনো সিরিজে। হয়তো আমি এক এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করতে পারিনি, তাই ডাকেনি।
প্রশ্ন: শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফেরার সিরিজে পরীক্ষার জন্য কতটা প্রস্তুত?
নাঈম: চ্যালেঞ্জ সব ম্যাচেই থাকে। বিপক্ষে দলও জিততে আসে। কিন্তু যারা ভালো খেলে তারাই জেতে। আমার চেষ্টা থাকবে, যে প্রক্রিয়াটা মেনে খেলি, চেষ্টা করব সেটা ঠিক রাখার।
প্রশ্ন: এর আগে দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ভালো করেনি। এবার আপনাদের পরিকল্পনা কী?
নাঈম: পরিকল্পনা সব সময় থাকে এগিয়ে যাওয়া। আমার নিজেরও ইচ্ছে, আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলব, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। সবার লক্ষ্য একটাই থাকে। কিন্তু ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে হবে। টেস্ট খেলা ডে বাই ডে চিন্তা করতে হবে।
প্রশ্ন: নাঈম শুধু টেস্টের, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সে কতটা কার্যকরী এ প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
নাঈম: আমি মনে করি না, আমি শুধু টেস্টের খেলোয়াড়। চিন্তা করি, সব সংস্করণে খেলব। আমি বিপিএলেও খেলি, ডিপিএলেও খেলি।
প্রশ্ন: এনসিএলে আম্পায়ারিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ঘরোয়া লিগে আম্পায়ারিং ভালো হাওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
নাঈম: আমি আসলে তাঁদের (আম্পায়ারদের) দোষ দেব না। মানুষের ভুল হয়। ধরেন, আমি প্রতিদিনই খেলি, একটা ভুল করে আউট হই। সব মানুষ ভুল করে, ওনাদেরও ১-২টা ভুল হতে পারে। আম্পায়ারিং ভালো হয়েছে। হয়তো মাঝে মাঝে দেখা গেছে ভুল আউট দিয়েছে।
প্রশ্ন: এনসিএলের শেষ রাউন্ডে ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক, সেদিনই আবার দেড় বছর পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন, কোনটি বেশি উপভোগ করেছেন?
নাঈম হাসান: এর আগে অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৮’র হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলাম। তবে স্বীকৃত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি আমার প্রথম হ্যাটট্রিক। দুটোই অর্জন। হ্যাটট্রিক করে অনেক ভালো লেগেছিল। আর জাতীয় দলে সবার খেলার স্বপ্ন থাকে। আল্লাহ সুযোগ দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। তৃপ্তিটা পাব যখন পারফর্ম করতে পারব।
প্রশ্ন: এনসিএলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হলেন, দলও প্রথম স্তর নিশ্চিত করেছে...
নাঈম: আমাদের প্রথম লক্ষ্যই ছিল দলকে স্তর-২ থেকে স্তর-১ এ তোলা, চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। দলে অবদান রেখে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছি, অনেক ভালো লাগছে। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে অবদান রেখেছিলাম। একটি ফিফটি করেছি, একটি ম্যাচজয়ী ইনিংস ছিল। কখনো আবার দলের প্রয়োজন আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছি, দ্রুত রান তোলার দরকার ছিল, সফলও হয়েছি।
প্রশ্ন: ১৮ মাস দলের জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন, নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইটা কেমন ছিল?
নাঈম: তখন বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প চলছিল। ওই ক্যাম্পে ভালো অনুশীলন হয়েছিল। জেমি সিডন্স, বাবুল স্যার, সোহেল স্যার, ট্রেনার ইফতি ভাই ছিলেন। ওনারা অনেক সহায়তা করেছেন—ফিটনেস, স্কিল, ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে। ওই ক্যাম্পে থেকে অনেক লাভবান হয়েছি। ক্যাম্পের বাইরেও আমার ছোটবেলার কোচ মোমিন ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: নিজের সর্বশেষ টেস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ( ৬/১০৫) বোলিং করেছেন। তবু এতদিন দলে সুযোগ না পাওয়ার কারণ কী ছিল বলে মনে করেন?
নাঈম: আসলে আমি জানি না ওটা। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে চোটে পড়েছিলাম, আঙুল ভেঙে গিয়েছিল। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ছিল, আমার যাওয়া হয়নি। তখন এইচপির সঙ্গে আমি বাংলাদেশে ম্যাচ খেলছিলাম। ওই ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছিলাম। পরে ‘এ’ দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েছি। এরপর আমাকে ‘এ’ দলের কয়েকটা সিরিজ খেলিয়েছে। আর ডাক পাইনি কোনো সিরিজে। হয়তো আমি এক এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করতে পারিনি, তাই ডাকেনি।
প্রশ্ন: শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফেরার সিরিজে পরীক্ষার জন্য কতটা প্রস্তুত?
নাঈম: চ্যালেঞ্জ সব ম্যাচেই থাকে। বিপক্ষে দলও জিততে আসে। কিন্তু যারা ভালো খেলে তারাই জেতে। আমার চেষ্টা থাকবে, যে প্রক্রিয়াটা মেনে খেলি, চেষ্টা করব সেটা ঠিক রাখার।
প্রশ্ন: এর আগে দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ভালো করেনি। এবার আপনাদের পরিকল্পনা কী?
নাঈম: পরিকল্পনা সব সময় থাকে এগিয়ে যাওয়া। আমার নিজেরও ইচ্ছে, আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলব, আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। সবার লক্ষ্য একটাই থাকে। কিন্তু ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে হবে। টেস্ট খেলা ডে বাই ডে চিন্তা করতে হবে।
প্রশ্ন: নাঈম শুধু টেস্টের, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সে কতটা কার্যকরী এ প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
নাঈম: আমি মনে করি না, আমি শুধু টেস্টের খেলোয়াড়। চিন্তা করি, সব সংস্করণে খেলব। আমি বিপিএলেও খেলি, ডিপিএলেও খেলি।
প্রশ্ন: এনসিএলে আম্পায়ারিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। ঘরোয়া লিগে আম্পায়ারিং ভালো হাওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
নাঈম: আমি আসলে তাঁদের (আম্পায়ারদের) দোষ দেব না। মানুষের ভুল হয়। ধরেন, আমি প্রতিদিনই খেলি, একটা ভুল করে আউট হই। সব মানুষ ভুল করে, ওনাদেরও ১-২টা ভুল হতে পারে। আম্পায়ারিং ভালো হয়েছে। হয়তো মাঝে মাঝে দেখা গেছে ভুল আউট দিয়েছে।
কারও খেলা যদি ভালো লেগে যায় রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের, আর তাঁর দলে সেই খেলোয়াড়ের ভালো সম্ভাবনা থাকে, তাহলে টাকা কোনো ব্যাপার নয়। তাঁকে কিনেই ছাড়বে রিয়াল। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে দারুণ খেলা হামেস রদ্রিগেজকে বিশ্বকাপ শেষে দলে ভিড়িয়েছিল রিয়াল।
১১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ আসতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে সময় কাটছে তাঁর। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর নিউইয়র্কের স্থানীয় কিছু ম্যাচে তাঁকে দেখা গেছে অপেশাদার ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি এখনো পুরোদস্তুর পেশাদার ক্রিকেটার।
১১ ঘণ্টা আগেনেপাল সফরের জন্য গত পরশু শুরু হয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। সে জন্য ২৪ জনের দলও সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কিন্তু মাঠের অনুশীলন এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। এর মধ্যে নতুন খবর, ক্যাম্পের জন্য আপাতত নিজেদের খেলোয়াড়দের ছাড়ছে না বসুন্ধরা কিংস। আজ এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি বাফুফেকে জানিয়েছে তারা।
১৬ ঘণ্টা আগেলিওনেল মেসির সঙ্গে ধারেকাছে কেউ এলেই হতো। দেহরক্ষী ইয়াসিন চেউকো দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন। বিমানের চেয়ে যেন ক্ষিপ্রগতিতে ছুটতে পারেন চেউকো। তাঁর কারণে তাই ভক্ত-সমর্থকেরা সেলফি তোলা তো দূরে থাক, অটোগ্রাফ পর্যন্ত নিতে পারেন না।
১৬ ঘণ্টা আগে