নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাঁক বদলের গল্প। স্মৃতি মান্ধানার ক্যাচ মিসের পর ম্যাচ ভারতের অনুকূলে। কিন্তু ৪০ ওভারের পরে ভারতের দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ফেরে বাংলাদেশ। দশম উইকেটে ভারতের যখন জয়ের জন্য ৯ রান দরকার, ১১ নম্বর ব্যাটার মেঘনা সিং চার মেরে ম্যাচটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তোলেন। কিন্তু ৪৯ ওভারের দ্বিতীয় বলে জেমিমা রদ্রিগেজ ১ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করলেও, তৃতীয় বলে মেঘনাকে ফিরিয়ে ম্যাচ টাই করে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
সিরিজে এর আগে একটি করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ ও ভারত। শেষ ম্যাচটা টাই হওয়ায় সিরিজও শেষ হলো সমতায়। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ফারজানা হক পিংকির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশও পেয়েছিল ২২৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
বোলিংয়ের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শেফালি ভার্মাকে ৪ রানে ফেরান মারুফা আক্তার। স্লটের ডেলিভারি শেফালি সোজা খেলতে গিয়ে মারুফার হাতেই ক্যাচ দেন। ডেলিভারির পর রানিং অবস্থায় প্রথম চেষ্টায় হাতে বল রাখতে পারেননি মারুফা। বল ফসকে গেলে আবারও ড্রাইভ দিয়ে বল হাতে জমা করেন এই পেসার।
শেফালি আউট হওয়ার আগেই যেন বড় ভুলটা করেছে বাংলাদেশ। যার খেসারতও দিতে হচ্ছে বেশ। মারুফার প্রথম বলেই স্মৃতি মান্ধানার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার নিগার সুলতানা জ্যোতির গ্লাভসে যায় বল, কিন্তু জ্যোতি ড্রাইভ দিয়ে বলটা গ্লাভসে ধরে রাখতে পারেননি। পরে হারলিনকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান মান্ধানা।
২৯ ওভারে ফাহিমা খাতুনের শিকার হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে গেছেন মান্ধানা। বাংলাদেশের বিপক্ষে বারবারই ভালো ইনিংস পাচ্ছিলেন না এই ওপেনার। আজ তুলে নিলেন প্রথম ফিফটি। তাঁর আগে যস্তিকা ভাটিকা ৫ এবং পরে হরমনপ্রীত কৌর ফিরেছেন ১৪ রানে।
ইনিংসের ৪২তম ওভারে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। নাহিদা আক্তারের করা ওই ওভারে দুটি রান আউটে ম্যাচে ফেরে তারা। ওভারে দ্বিতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে ফাহিমার থ্রো, দ্রুততম সময়ে স্টাম্প ভেঙে হারলিন দেওলকে ফেরান জ্যোতি। ১০৮ বলে ৭৭ রান করেন এই ব্যাটার। ওভারের শেষ বলে কাভারে ঠেলে দিয়ে রানের জন্য ছোটেন জেমিমা রদ্রিগেজ। কিন্তু পপিং ক্রিজে ব্যাট দেওয়ার আগেই সরাসরি থ্রো করে, স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দীপ্তি শর্মাকে ফেরান সোবহানি মোস্তারি।
২১৬ থেকে ২১৭ রানে আরও ৩ উইকেট হারায় ভারত। তখন ম্যাচটা আবার রোমাঞ্চের পারদ ছড়ায়। তবে অপরাজিত ছিলেন জেমিমা। কিন্তু অপরাজিত থাকলেও ম্যাচ জিতিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে পারেননি। ৩৩ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা তিনটি ও মারুফা দুটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন শামীমা সুলতানা ও ফারজানা। ওপেনিং জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৯৩ রান। ওপেনিং জুটিতে এর চেয়ে বেশি রান বাংলাদেশের মেয়েরা করেছে আর মাত্র একবার, ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। শারমীন আক্তার ও শুকতারা রহমান মিলে ১১৩ রানের জুটি গড়েন। জুটির রেকর্ড না হলেও ঠিকই রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ফারজানা হক। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই।
শামীমার ৫২ ও ফারজানার ১০৫ রানের সৌজন্য ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিকেরা ৪ উইকেট হারিয়ে করেছে ২২৩ রান। বাংলাদেশের ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছেন মূলত দুই ওপেনার। ফারজানা এ সময় কিছুটা রয়েসয়ে খেলেন। শামীমা ৭৮ বলে ৫২ রানে হলে তারপর হাত খুলতে শুরু করেন ফারজানা। শামীমার ইনিংসে পাঁচটি চারের মার রয়েছে।
শামীমার আউটের পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে ৭১ রান যোগ করেন ফারজানা। জ্যোতি ৩৬ বলে ২৪ রান করে স্নেহা রানার বলে আউট হন। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিতু মনি। ২ রান করে দেভিকা বিদ্যার বলে ফেরেন তিনি। সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে জুটিতে সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারজানা। তাঁর ১০৫ রানের ইনিংস থেমেছে ইনিংসের একদম শেষ বলে রান আউট হয়ে। এর আগে নিজের সঙ্গে দলকেও রাঙিয়েছেন ফারজানা। ১৬০ বলে তাঁর সেঞ্চুরি ইনিংসে মাত্র ৬টি চারের মার। শেষ দিকে সোবহানার ২২ বলে ২৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশের স্কোরকে সমৃদ্ধ করেছে।
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাঁক বদলের গল্প। স্মৃতি মান্ধানার ক্যাচ মিসের পর ম্যাচ ভারতের অনুকূলে। কিন্তু ৪০ ওভারের পরে ভারতের দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ফেরে বাংলাদেশ। দশম উইকেটে ভারতের যখন জয়ের জন্য ৯ রান দরকার, ১১ নম্বর ব্যাটার মেঘনা সিং চার মেরে ম্যাচটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তোলেন। কিন্তু ৪৯ ওভারের দ্বিতীয় বলে জেমিমা রদ্রিগেজ ১ রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করলেও, তৃতীয় বলে মেঘনাকে ফিরিয়ে ম্যাচ টাই করে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
সিরিজে এর আগে একটি করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ ও ভারত। শেষ ম্যাচটা টাই হওয়ায় সিরিজও শেষ হলো সমতায়। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ফারজানা হক পিংকির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশও পেয়েছিল ২২৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
বোলিংয়ের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শেফালি ভার্মাকে ৪ রানে ফেরান মারুফা আক্তার। স্লটের ডেলিভারি শেফালি সোজা খেলতে গিয়ে মারুফার হাতেই ক্যাচ দেন। ডেলিভারির পর রানিং অবস্থায় প্রথম চেষ্টায় হাতে বল রাখতে পারেননি মারুফা। বল ফসকে গেলে আবারও ড্রাইভ দিয়ে বল হাতে জমা করেন এই পেসার।
শেফালি আউট হওয়ার আগেই যেন বড় ভুলটা করেছে বাংলাদেশ। যার খেসারতও দিতে হচ্ছে বেশ। মারুফার প্রথম বলেই স্মৃতি মান্ধানার ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপার নিগার সুলতানা জ্যোতির গ্লাভসে যায় বল, কিন্তু জ্যোতি ড্রাইভ দিয়ে বলটা গ্লাভসে ধরে রাখতে পারেননি। পরে হারলিনকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান মান্ধানা।
২৯ ওভারে ফাহিমা খাতুনের শিকার হওয়ার আগে ৮৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে গেছেন মান্ধানা। বাংলাদেশের বিপক্ষে বারবারই ভালো ইনিংস পাচ্ছিলেন না এই ওপেনার। আজ তুলে নিলেন প্রথম ফিফটি। তাঁর আগে যস্তিকা ভাটিকা ৫ এবং পরে হরমনপ্রীত কৌর ফিরেছেন ১৪ রানে।
ইনিংসের ৪২তম ওভারে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। নাহিদা আক্তারের করা ওই ওভারে দুটি রান আউটে ম্যাচে ফেরে তারা। ওভারে দ্বিতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে ফাহিমার থ্রো, দ্রুততম সময়ে স্টাম্প ভেঙে হারলিন দেওলকে ফেরান জ্যোতি। ১০৮ বলে ৭৭ রান করেন এই ব্যাটার। ওভারের শেষ বলে কাভারে ঠেলে দিয়ে রানের জন্য ছোটেন জেমিমা রদ্রিগেজ। কিন্তু পপিং ক্রিজে ব্যাট দেওয়ার আগেই সরাসরি থ্রো করে, স্টাম্পের লালবাতি জ্বালিয়ে দীপ্তি শর্মাকে ফেরান সোবহানি মোস্তারি।
২১৬ থেকে ২১৭ রানে আরও ৩ উইকেট হারায় ভারত। তখন ম্যাচটা আবার রোমাঞ্চের পারদ ছড়ায়। তবে অপরাজিত ছিলেন জেমিমা। কিন্তু অপরাজিত থাকলেও ম্যাচ জিতিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে পারেননি। ৩৩ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা তিনটি ও মারুফা দুটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন শামীমা সুলতানা ও ফারজানা। ওপেনিং জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৯৩ রান। ওপেনিং জুটিতে এর চেয়ে বেশি রান বাংলাদেশের মেয়েরা করেছে আর মাত্র একবার, ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। শারমীন আক্তার ও শুকতারা রহমান মিলে ১১৩ রানের জুটি গড়েন। জুটির রেকর্ড না হলেও ঠিকই রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ফারজানা হক। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই।
শামীমার ৫২ ও ফারজানার ১০৫ রানের সৌজন্য ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিকেরা ৪ উইকেট হারিয়ে করেছে ২২৩ রান। বাংলাদেশের ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছেন মূলত দুই ওপেনার। ফারজানা এ সময় কিছুটা রয়েসয়ে খেলেন। শামীমা ৭৮ বলে ৫২ রানে হলে তারপর হাত খুলতে শুরু করেন ফারজানা। শামীমার ইনিংসে পাঁচটি চারের মার রয়েছে।
শামীমার আউটের পর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে ৭১ রান যোগ করেন ফারজানা। জ্যোতি ৩৬ বলে ২৪ রান করে স্নেহা রানার বলে আউট হন। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিতু মনি। ২ রান করে দেভিকা বিদ্যার বলে ফেরেন তিনি। সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে জুটিতে সেঞ্চুরি তুলে নেন ফারজানা। তাঁর ১০৫ রানের ইনিংস থেমেছে ইনিংসের একদম শেষ বলে রান আউট হয়ে। এর আগে নিজের সঙ্গে দলকেও রাঙিয়েছেন ফারজানা। ১৬০ বলে তাঁর সেঞ্চুরি ইনিংসে মাত্র ৬টি চারের মার। শেষ দিকে সোবহানার ২২ বলে ২৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশের স্কোরকে সমৃদ্ধ করেছে।
৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর শুরু হচ্ছে আগামী ২১ মে। তার আগে আরব আমিরাতে একটি দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ সবশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে।
৫ ঘণ্টা আগেআর্চারি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে বিতর্ক যেন কাটছেই না। এবার এই কমিটিকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ বিশ্ব আর্চারি সংস্থা। গত ২৮ এপ্রিল অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদকে পাঠানো চিঠিতে এমনটা জানায় তারা।
৫ ঘণ্টা আগেসকালের সূর্যোদয় দেখলেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। স্প্যানিশ বিস্ময় বালক লামিন ইয়ামাল মাত্র ১৭ বছর বয়সেই স্পেনের হয়ে ইউরো জিতেছেন। লা লিগার এবারের মৌসুমেই নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই। তাঁর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে কিংবদন্তিদেরও। লিওনেল মেসি থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সবার মুখেই প্রশংসা
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় সেশনেই ৮ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের সম্মিলিত স্পিন আক্রমণে দিশেহারা হয়ে উঠে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। ম্যাচশেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, খেলা আজই শেষ করতে চেয়েছেন তাঁরা। চতুর্থ দিন না গড়াতে কঠিন বল করে গেছেন বোলাররা।
৬ ঘণ্টা আগে