১৯৮০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিউজিল্যান্ড সফর। সেই সিরিজটা এখনো ক্রিকেটের পাতায় আলাদা করে লেখা আছে—আম্পায়ারের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের সংঘাতের ঘটনায়। আম্পায়ার ফ্রেড গুডঅলের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট মাইকেল হোল্ডিং লাথি মেরে ভেঙেছিলেন স্টাম্প। ক্ষুব্ধ কলিন ক্রাফট তো এই কিউই আম্পায়ারকে কনুই দিয়ে গুঁতো মেরে বসেছিলেন। আলোচিত সেই আম্পায়ার আর নেই।
আজ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে গুডঅলের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। মৃত্যুর সময় গুডঅলের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তবে কি কারণে এই কোচের মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। ১৯৬৫–১৯৮৮,২৩ বছরের আম্পায়ারিং জীবনে গুডঅল ২৪টি টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
তবে গুডঅল আলোচনায় এসেছিলেন ১৯৮০ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ–নিউজিল্যান্ডের সেই সিরিজ পরিচালনা করে। সেই সিরিজে নিউজিল্যান্ড একটি ওয়ানডে ও টেস্ট এক উইকেটে জিতেছিল, যেখানে আম্পায়ার ছিলেন গুডঅল। কিন্তু তার আম্পায়ারিংয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না ক্যারিবিয়ানরা। গুডঅলের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগও।
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে কিউই ব্যাটার জন পার্কারের বিপক্ষে আউটের আবেদনে গুডঅল সাড়া না দেওয়ায় মাইকেল হোল্ডিং ক্ষুব্ধ হয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে গুডঅলের আম্পায়ারিংয়ের বিপক্ষে অভিযোগ আরও চওড়া হতে থাকে। ওই টেস্টের তৃতীয় দিনে চা–বিরতির পর তো সফরকারী দল ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে যেতে অস্বীকার করে বসে। তারা দাবি তোলেন গুডঅলকে আম্পায়ারিং থেকে অপসারণ ছাড়া তারা বের হবেন না। অবশ্য কিউই অধিনায়ক জিউফ হর্থ বুঝিয়ে ক্যারিবিয়ানদের মাঠে আনেন।
কিন্তু এতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। চতুর্থ দিন আরও বড় ঘটনার জন্ম দেন গুডঅল। ক্রফটের বলে বেশ কয়েকটি নো-বল ডেকেছিলেন গুডঅল। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রিচার্ড হ্যাডলির বিপক্ষে ক্যাচের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেন এই আম্পায়ার। এতে ক্ষুব্ধ ক্রফট বোলিং রানআপের সময় গুডঅলকে কনুই দিয়ে গুঁতো মেরে বসেন।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ ক্যারিবিয়ানরা খেলার শেষদিনে তাদের ব্যাগ–লাগেজই গোছানো শুরু করে দেন বাড়ি ফিরতে। পরে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের হস্তক্ষেপই তারা সফর শেষ করেছেন। ২০০৬ সালে গুডঅল এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক ছিল আমার জন্য। আমি হতবাক হয়েছি যখন এ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কোনো হস্তক্ষেপ করেননি দেখে। তখন পুরোপুরি হতাশ বোধ করেছিলাম।
হতাশ গুডঅল সেই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, ‘এটা আমার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা।’ সেই দুঃখ আর হতাশা নিয়েই গুডঅল এবার পাড়ি দিলেন পরপারে।
১৯৮০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিউজিল্যান্ড সফর। সেই সিরিজটা এখনো ক্রিকেটের পাতায় আলাদা করে লেখা আছে—আম্পায়ারের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের সংঘাতের ঘটনায়। আম্পায়ার ফ্রেড গুডঅলের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট মাইকেল হোল্ডিং লাথি মেরে ভেঙেছিলেন স্টাম্প। ক্ষুব্ধ কলিন ক্রাফট তো এই কিউই আম্পায়ারকে কনুই দিয়ে গুঁতো মেরে বসেছিলেন। আলোচিত সেই আম্পায়ার আর নেই।
আজ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে গুডঅলের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। মৃত্যুর সময় গুডঅলের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তবে কি কারণে এই কোচের মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। ১৯৬৫–১৯৮৮,২৩ বছরের আম্পায়ারিং জীবনে গুডঅল ২৪টি টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
তবে গুডঅল আলোচনায় এসেছিলেন ১৯৮০ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ–নিউজিল্যান্ডের সেই সিরিজ পরিচালনা করে। সেই সিরিজে নিউজিল্যান্ড একটি ওয়ানডে ও টেস্ট এক উইকেটে জিতেছিল, যেখানে আম্পায়ার ছিলেন গুডঅল। কিন্তু তার আম্পায়ারিংয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না ক্যারিবিয়ানরা। গুডঅলের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগও।
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে কিউই ব্যাটার জন পার্কারের বিপক্ষে আউটের আবেদনে গুডঅল সাড়া না দেওয়ায় মাইকেল হোল্ডিং ক্ষুব্ধ হয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে গুডঅলের আম্পায়ারিংয়ের বিপক্ষে অভিযোগ আরও চওড়া হতে থাকে। ওই টেস্টের তৃতীয় দিনে চা–বিরতির পর তো সফরকারী দল ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে যেতে অস্বীকার করে বসে। তারা দাবি তোলেন গুডঅলকে আম্পায়ারিং থেকে অপসারণ ছাড়া তারা বের হবেন না। অবশ্য কিউই অধিনায়ক জিউফ হর্থ বুঝিয়ে ক্যারিবিয়ানদের মাঠে আনেন।
কিন্তু এতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। চতুর্থ দিন আরও বড় ঘটনার জন্ম দেন গুডঅল। ক্রফটের বলে বেশ কয়েকটি নো-বল ডেকেছিলেন গুডঅল। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রিচার্ড হ্যাডলির বিপক্ষে ক্যাচের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেন এই আম্পায়ার। এতে ক্ষুব্ধ ক্রফট বোলিং রানআপের সময় গুডঅলকে কনুই দিয়ে গুঁতো মেরে বসেন।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ ক্যারিবিয়ানরা খেলার শেষদিনে তাদের ব্যাগ–লাগেজই গোছানো শুরু করে দেন বাড়ি ফিরতে। পরে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের হস্তক্ষেপই তারা সফর শেষ করেছেন। ২০০৬ সালে গুডঅল এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক ছিল আমার জন্য। আমি হতবাক হয়েছি যখন এ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কোনো হস্তক্ষেপ করেননি দেখে। তখন পুরোপুরি হতাশ বোধ করেছিলাম।
হতাশ গুডঅল সেই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, ‘এটা আমার আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা।’ সেই দুঃখ আর হতাশা নিয়েই গুডঅল এবার পাড়ি দিলেন পরপারে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তকমায় প্রথমবার খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কাঁপাকাঁপি অবস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার। একাদশে অবশ্য বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে সংগত কারণে। কিন্তু ৫৫ রানে সফরকারীরা হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। অভিষেকে এমন কিছু দেখতে হবে, তা হয়তো কল্পনা করেননি লুয়ান-ডি প্রিটোরিয়াস। এটাও কল্পনা করেননি প্রথম টেস্ট
১ ঘণ্টা আগেট্রায়ালে প্রবাসী ফুটবলারদের প্রথম দিনটা কেমন কাটবে, তা নিয়ে মোটামুটি একটা পাকা ধারণা সবার ছিল বলা যায়। দিনশেষে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে। ৩১ ডিগ্রি তাপমাত্রার গরমে হাসফাস অবস্থা ফুটবলারদের। অনুশীলন শেষে প্রায় সবারই ছিল একই অভিযোগ।
২ ঘণ্টা আগেবয়সভিত্তিক হলেও প্রথমবারের মতো হকির কোনো বিশ্ব আসরে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ২৮ নভেম্বর থেকে ভারতের তামিলনাড়ুতে শুরু হবে জুনিয়র (অনূর্ধ্ব-২১) হকি বিশ্বকাপ। অভিষেক আসরে কঠিন পুলেই পড়েছে বাংলাদেশ। ‘এফ’ পুলে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।
৫ ঘণ্টা আগেচোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর আবারও ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় তাসকিন আহমেদ। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন এই পেসার। শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দুটোই জিততে চান। নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আবেগঘন অনুভ
৬ ঘণ্টা আগে