জশ হ্যাজলউডকে বোল্ড করার পর শামার জোসেফের দৌড়টা যেন ঠিক উসাইন বোল্টের মতোই। জ্যামাইকান কিংবদন্তি ট্র্যাকে যে ঝড়টা তোলেন, তাই যেন আজ গ্যাবায় দেখালেন এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা শামার।
শামারকে ধরতে তখন অন্য সতীর্থরাও দৌড়াচ্ছেন প্রাণপণ। টেস্ট জয়ের নায়ককে বাউন্ডারি লাইনে ধরার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসটা ছিল দেখার মতো। কেউ মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়ছেন বাতাসে, কেউ সিংহের মতো গর্জন দিয়ে খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন উদ্যাপনের রং।
ব্রিসবেনে এমন বুনো উদ্যাপন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পায় না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই খরা কাটানোর টেস্টটিও আবার ছিল রোমাঞ্চে ভরা। ক্যারিবিয়ানদের ৮ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ের ম্যাচটি যে প্রায় ছিনিয়েই নিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ।
২১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্মিথকে একা রেখে সতীর্থরা ফিরছিলেন ড্রেসিংরুমে। আর এই সিরিজ দিয়ে প্রথমবার টেস্টে ওপেনিং করতে নামা ব্যাটার স্মিথ প্রতিপক্ষের বোলারদের বিপক্ষে লড়ে যাচ্ছিলেন নিঃসঙ্গ শেরপার মতো। ম্যাচ শেষে একাই থেকে গেছেন তিনি। ক্যারিবিয়ানরা জয় পেলেও যে তাঁকে আউট করতে পারেনি। ৯১ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন তিনি।
স্মিথের সেঞ্চুরি এবং অস্ট্রেলিয়ার জয়টা আসলে ছিনিয়ে নিয়েছেন শামার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের যিনি ধসিয়ে দিয়েছেন। অথচ বোলিং করতে পারবেন কি না, তা নিয়েই শঙ্কা ছিল। কেননা, আগের দিন ব্যাটিংয়ের সময় ডান পায়ের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী পেসার।
কিন্তু আজ সেই শামারই অস্ট্রেলিয়াকে একাই হারালেন। তাঁর এই বীরত্বে ২৭ বছর পর অজিদের মাঠে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে জয় পেয়েছিল তারা। তখনো শামারের জন্ম হয়নি। কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার সেঞ্চুরি ও কার্টলি অ্যামব্রোসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেদিন ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই জয়ের দুই বছর পর জন্ম আজকের টেস্ট নায়কের।
অথচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় পাওয়ার আগে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার ছিল। তৃতীয় দিন ২ উইকেটে ৬২ রানে দিন শেষ করা অজিরা আজ টেস্ট হারবে এমন বাজি ধরার লোক কমই ছিল। ব্যাটাররা দুর্দান্ত ছন্দে থাকার সঙ্গে মাঠটাও যে তাঁদের হাতের তালুর মতো পরিচিত ছিল। কিন্তু সবকিছু ভোজবাজির মতো পাল্টে দিলেন শামার।
আজ অস্ট্রেলিয়ার বাকি ৮ উইকেটের ৭টিই নিয়েছেন শামার। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করতে নেমে শামারের বোলিং তোপে ১৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকেই দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন স্মিথ। কিন্তু শামারের দিনে তাঁর বীরত্ব পরাজয় মানল।
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩১১ রানের বিপরীতে ২৮৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৩ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। তবে ২১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েও শামারের আগুন বোলিংয়ে প্রতিপক্ষে ২০৭ রানে অলআউট করে সফরকারীরা। ৮ রানের জয়ে সিরিজও ১-১ সমতায় শেষ করেছে। এই টেস্টের ৮ উইকেটের সঙ্গে সব মিলিয়ে সিরিজে ১৩ উইকেট ও ৫৭ রানে সিরিজ-সেরা হয়েছেন তিনি।
জশ হ্যাজলউডকে বোল্ড করার পর শামার জোসেফের দৌড়টা যেন ঠিক উসাইন বোল্টের মতোই। জ্যামাইকান কিংবদন্তি ট্র্যাকে যে ঝড়টা তোলেন, তাই যেন আজ গ্যাবায় দেখালেন এই সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা শামার।
শামারকে ধরতে তখন অন্য সতীর্থরাও দৌড়াচ্ছেন প্রাণপণ। টেস্ট জয়ের নায়ককে বাউন্ডারি লাইনে ধরার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসটা ছিল দেখার মতো। কেউ মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়ছেন বাতাসে, কেউ সিংহের মতো গর্জন দিয়ে খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন উদ্যাপনের রং।
ব্রিসবেনে এমন বুনো উদ্যাপন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পায় না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই খরা কাটানোর টেস্টটিও আবার ছিল রোমাঞ্চে ভরা। ক্যারিবিয়ানদের ৮ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ের ম্যাচটি যে প্রায় ছিনিয়েই নিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ।
২১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্মিথকে একা রেখে সতীর্থরা ফিরছিলেন ড্রেসিংরুমে। আর এই সিরিজ দিয়ে প্রথমবার টেস্টে ওপেনিং করতে নামা ব্যাটার স্মিথ প্রতিপক্ষের বোলারদের বিপক্ষে লড়ে যাচ্ছিলেন নিঃসঙ্গ শেরপার মতো। ম্যাচ শেষে একাই থেকে গেছেন তিনি। ক্যারিবিয়ানরা জয় পেলেও যে তাঁকে আউট করতে পারেনি। ৯১ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন তিনি।
স্মিথের সেঞ্চুরি এবং অস্ট্রেলিয়ার জয়টা আসলে ছিনিয়ে নিয়েছেন শামার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের যিনি ধসিয়ে দিয়েছেন। অথচ বোলিং করতে পারবেন কি না, তা নিয়েই শঙ্কা ছিল। কেননা, আগের দিন ব্যাটিংয়ের সময় ডান পায়ের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী পেসার।
কিন্তু আজ সেই শামারই অস্ট্রেলিয়াকে একাই হারালেন। তাঁর এই বীরত্বে ২৭ বছর পর অজিদের মাঠে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে জয় পেয়েছিল তারা। তখনো শামারের জন্ম হয়নি। কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার সেঞ্চুরি ও কার্টলি অ্যামব্রোসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেদিন ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই জয়ের দুই বছর পর জন্ম আজকের টেস্ট নায়কের।
অথচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় পাওয়ার আগে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার ছিল। তৃতীয় দিন ২ উইকেটে ৬২ রানে দিন শেষ করা অজিরা আজ টেস্ট হারবে এমন বাজি ধরার লোক কমই ছিল। ব্যাটাররা দুর্দান্ত ছন্দে থাকার সঙ্গে মাঠটাও যে তাঁদের হাতের তালুর মতো পরিচিত ছিল। কিন্তু সবকিছু ভোজবাজির মতো পাল্টে দিলেন শামার।
আজ অস্ট্রেলিয়ার বাকি ৮ উইকেটের ৭টিই নিয়েছেন শামার। চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করতে নেমে শামারের বোলিং তোপে ১৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকেই দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন স্মিথ। কিন্তু শামারের দিনে তাঁর বীরত্ব পরাজয় মানল।
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩১১ রানের বিপরীতে ২৮৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৩ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। তবে ২১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েও শামারের আগুন বোলিংয়ে প্রতিপক্ষে ২০৭ রানে অলআউট করে সফরকারীরা। ৮ রানের জয়ে সিরিজও ১-১ সমতায় শেষ করেছে। এই টেস্টের ৮ উইকেটের সঙ্গে সব মিলিয়ে সিরিজে ১৩ উইকেট ও ৫৭ রানে সিরিজ-সেরা হয়েছেন তিনি।
দুবাইয়ে গত রাতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচে ছিল না কোনো জটিল সমীকরণের খেলা। অলিখিত সেমিফাইনালের বাধা যে টপকতে পারবে, সেই দল কাটবে ফাইনালের টিকিট। বাংলাদেশ সেখানে নিজেদের হাতে থাকা ম্যাচ ফস্কেছে বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম।
২২ মিনিট আগেজয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যটা কি খুব বড় ছিল? মোটেও না। কিন্তু মাঝারি মানের এই লক্ষ্যতাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে অস্থিরতা দেখালেন, স্ট্যাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে আত্মাহুতি দিলেন নিজেদের, তাতে ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের উপলব্ধি এটাই—এই দলের শেখার এখনো অনেক বাকি!
১০ ঘণ্টা আগেরাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচের ভূমিকায় এর আগেও ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে পুরোনো দায়িত্বে ফিরছেন শ্রীলঙ্কার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো।
১১ ঘণ্টা আগেআগের দিন বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ভারত। তাই আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সুপার ফোরের লড়াইটি হয়ে দাঁড়ায় এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনাল। যে দল জিতবে সে দলই নাম লেখাবে ফাইনাল।
১২ ঘণ্টা আগে