নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাকিস্তান সিরিজের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে যথেষ্ট। আসন্ন পাকিস্তান সফর ছাড়াও আছে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে একাধিক সাদা বলের সিরিজসহ এশিয়া কাপ ও ২০২৬ বিশ্বকাপের দল গোছানোর ভাবনা। গত পরশু প্রথম ম্যাচের জয়ের পরও কিছু ভুল ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসের।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে শারজায় স্বাগতিক আমিরাতকে ২৭ রানে হারালেও খেলার ধরনে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন লিটন। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের ভুল ও শেষ দিকে ইনিংসের গতি কমে যাওয়াটা চোখে লেগেছে তাঁর। প্রথম ম্যাচে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ তোলে ১৯১ রান। ১৭ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ছিল ১৬৯। কিন্তু শেষ ৩ ওভারে আসে মাত্র ২২ রান, যেটি বাংলাদেশের স্কোর ২০০ পেরোতে দেয়নি। লিটনের দৃষ্টিতে এটিই ম্যাচে তাঁদের ‘অপূর্ণতা’। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, ভালো স্কোরই ছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। ইমন যেভাবে ব্যাট করেছে, অসাধারণ ছিল। কিন্তু শেষটা আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। শেষ তিন ওভারে আমরা বিশেষ কিছু করতে পারিনি।’
বাংলাদেশের জয়টা সহজ ছিল না। আমিরাতের দুই ওপেনার চাপ তৈরি করলেও মাঝপথে ছন্দ হারান তাঁরা। শেষ চেষ্টা করেছিলেন আসিফ খান, তবে সফল হননি। বাংলাদেশের বোলিংয়ে মোস্তাফিজ ১৭ রানে ২, তানজিম ২২ রানে ২ এবং হাসান মাহমুদ ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আমিরাতকে আটকে রাখেন। বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি লিটন, যদিও ব্যাটিং ও ফিল্ডিং নিয়ে আছে তাঁর উদ্বেগ। ইনিংসের শেষ দিকে রান কম পাওয়া ও বাজে ফিল্ডিংয়ের মতো ভুল বড় দলের বিপক্ষে ব্যর্থতার কারণ হতে পারে।
ব্যক্তিগতভাবে ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ইমনও মনে করেন, উইকেট হারানোর মধ্যেও নিজের ধরন ধরে রাখার গুরুত্ব ছিল। পরশু ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘উইকেট পড়ছিল, কিন্তু নিজের ইনটেন্ট বদলানোর চেষ্টা করিনি। শক্তির জায়গায় খেলেছি। জানতাম, ম্যাচটা আমাকে ক্যারি করতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ শেষ পর্যন্ত পেরেছি।’
আজ একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামার বার্তা দিলেন লিটন, ‘অবশ্যই আত্মবিশ্বাস নেব। যেভাবে সবাই বোলিং করেছে, স্থিরতা দেখিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোয় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা যেকোনো দিকেই যেতে পারে। কিন্তু যেভাবে সবাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটা দারুণ।’
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ আজ। বিসিবির শুরুর পরিকল্পনা ছিল, আগামীকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল, তারপর সবকিছু ঠিক থাকলে ঢাকা থেকেই পাকিস্তান সফরে যাবে। এই পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে চাইছে বিসিবি। তারা চাইছে, দেশে না ফিরে আমিরাতে আরও একটি অতিরিক্ত টি-টোয়েন্টি খেলে সেখান থেকেই পাকিস্তান সফরে যাওয়া। বিসিবি ইতিমধ্যে বাড়তি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি)। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘বিসিবির পক্ষ থেকে একটি বাড়তি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে থাকা বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বিষয়টি দেখছেন।’
বিসিবি সভাপতি ও পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান কাল রাতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসে পাকিস্তান সফর নিয়ে তাঁদের মতামত জানার চেষ্টা করবেন। যদি অতিরিক্ত ম্যাচ ও পাকিস্তান সফর নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়, তাহলে শারজায় তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলে সরাসরি আমিরাত থেকেই পাকিস্তানে পাড়ি জমাবে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান সিরিজের আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে যথেষ্ট। আসন্ন পাকিস্তান সফর ছাড়াও আছে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে একাধিক সাদা বলের সিরিজসহ এশিয়া কাপ ও ২০২৬ বিশ্বকাপের দল গোছানোর ভাবনা। গত পরশু প্রথম ম্যাচের জয়ের পরও কিছু ভুল ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসের।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে শারজায় স্বাগতিক আমিরাতকে ২৭ রানে হারালেও খেলার ধরনে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন লিটন। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের ভুল ও শেষ দিকে ইনিংসের গতি কমে যাওয়াটা চোখে লেগেছে তাঁর। প্রথম ম্যাচে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ তোলে ১৯১ রান। ১৭ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ছিল ১৬৯। কিন্তু শেষ ৩ ওভারে আসে মাত্র ২২ রান, যেটি বাংলাদেশের স্কোর ২০০ পেরোতে দেয়নি। লিটনের দৃষ্টিতে এটিই ম্যাচে তাঁদের ‘অপূর্ণতা’। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, ভালো স্কোরই ছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। ইমন যেভাবে ব্যাট করেছে, অসাধারণ ছিল। কিন্তু শেষটা আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। শেষ তিন ওভারে আমরা বিশেষ কিছু করতে পারিনি।’
বাংলাদেশের জয়টা সহজ ছিল না। আমিরাতের দুই ওপেনার চাপ তৈরি করলেও মাঝপথে ছন্দ হারান তাঁরা। শেষ চেষ্টা করেছিলেন আসিফ খান, তবে সফল হননি। বাংলাদেশের বোলিংয়ে মোস্তাফিজ ১৭ রানে ২, তানজিম ২২ রানে ২ এবং হাসান মাহমুদ ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আমিরাতকে আটকে রাখেন। বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি লিটন, যদিও ব্যাটিং ও ফিল্ডিং নিয়ে আছে তাঁর উদ্বেগ। ইনিংসের শেষ দিকে রান কম পাওয়া ও বাজে ফিল্ডিংয়ের মতো ভুল বড় দলের বিপক্ষে ব্যর্থতার কারণ হতে পারে।
ব্যক্তিগতভাবে ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ইমনও মনে করেন, উইকেট হারানোর মধ্যেও নিজের ধরন ধরে রাখার গুরুত্ব ছিল। পরশু ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘উইকেট পড়ছিল, কিন্তু নিজের ইনটেন্ট বদলানোর চেষ্টা করিনি। শক্তির জায়গায় খেলেছি। জানতাম, ম্যাচটা আমাকে ক্যারি করতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ শেষ পর্যন্ত পেরেছি।’
আজ একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামার বার্তা দিলেন লিটন, ‘অবশ্যই আত্মবিশ্বাস নেব। যেভাবে সবাই বোলিং করেছে, স্থিরতা দেখিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোয় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা যেকোনো দিকেই যেতে পারে। কিন্তু যেভাবে সবাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেটা দারুণ।’
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ আজ। বিসিবির শুরুর পরিকল্পনা ছিল, আগামীকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল, তারপর সবকিছু ঠিক থাকলে ঢাকা থেকেই পাকিস্তান সফরে যাবে। এই পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে চাইছে বিসিবি। তারা চাইছে, দেশে না ফিরে আমিরাতে আরও একটি অতিরিক্ত টি-টোয়েন্টি খেলে সেখান থেকেই পাকিস্তান সফরে যাওয়া। বিসিবি ইতিমধ্যে বাড়তি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি)। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘বিসিবির পক্ষ থেকে একটি বাড়তি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে থাকা বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বিষয়টি দেখছেন।’
বিসিবি সভাপতি ও পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান কাল রাতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসে পাকিস্তান সফর নিয়ে তাঁদের মতামত জানার চেষ্টা করবেন। যদি অতিরিক্ত ম্যাচ ও পাকিস্তান সফর নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়, তাহলে শারজায় তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলে সরাসরি আমিরাত থেকেই পাকিস্তানে পাড়ি জমাবে বাংলাদেশ।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
১০ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১২ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১২ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১৩ ঘণ্টা আগে