Ajker Patrika

কেমন হলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১৪: ২১
কেমন হলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

র‍্যাংকিংয়ের সেরা আটে থাকায় এবার বাংলাদেশ সরাসরি খেলবে সুপার টুয়েলভে। গ্রুপ ২-এ ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকাকে তো বাংলাদেশ পাচ্ছেই, সঙ্গে প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে আসা দুই দল: নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও খেলবেন সাকিব আল হাসানরা। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান:

১। ২৪ অক্টোবর, ২০২২; প্রতিপক্ষ: নেদারল্যান্ডস; ভেন্যু: বেলেরিভ ওভাল, হোবার্ট
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেই বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হয়েছে একবার। ২০১৬ তে ধর্মশালায় ডাচদের বিপক্ষে ৮ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ৫৮ বলে ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন সাবেক এই বাঁহাতি ওপেনার। দুই দল টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ৩ ম্যাচে। বাংলাদেশ জিতেছে ২ ম্যাচ, আর ডাচরা জিতেছে ১ ম্যাচ।

২। ২৭ অক্টোবর, ২০২২; প্রতিপক্ষ: দক্ষিণ আফ্রিকা; ভেন্যু: সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সিডনি 
২০০৭ এ প্রথম বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপটাউনে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। আফতাব আহমেদের ঝোড়ো ব্যাটিং ছাড়া (১৬ বলে ৩৬ রান) বলার মতো কেউ কিছু করতে পারেননি। ১৯.৩ ওভারে ১৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় প্রোটিয়ারা। 

কেপটাউন থেকে আবুধাবি-১৪ বছর পর বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচেও আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে অলআউট হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। তাতে ৩৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় প্রোটিয়ারা। 

দুই দল টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে ৭ ম্যাচে। সবকটিই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

৩। ৩০ অক্টোবর, ২০২২; প্রতিপক্ষ: জিম্বাবুয়ে; ভেন্যু: গ্যাবা, ব্রিসবেন 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপে একবারও খেলেনি বাংলাদেশ। দুই দল টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে ১৯ ম্যাচে। বাংলাদেশ জিতেছে ১২ ম্যাচ, জিম্বাবুয়ে জিতেছে ৭ ম্যাচ। তবে এ বছরের আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই সিরিজে স্বাগতিক ছিল জিম্বাবুয়ে। 

৪। ২ নভেম্বর, ২০২২; প্রতিপক্ষ: ভারত; ভেন্যু: অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড
বিশ্বকাপে তিনবার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবার দেখা হয় ২০০৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। নটিংহামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ওপেনিংয়ে গৌতম গম্ভীরের ফিফটি এবং যুবরাজ সিংয়ের ১৮ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভারত করে ৫ উইকেটে ১৮০ রান। ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। সেই ইনিংসে ওপেনার জুনাইদ সিদ্দিকীর ২২ বলে ৪১ রান এবং নাইম ইসলামের ১৭ বলে ২৮ রান ছাড়া বলার মতো কিছু ছিল না। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৫ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২৫ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।

২০০৯ এর পর ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া বাংলাদেশ করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে নেমে দলীয় ১৩ রানে শিখর ধাওয়ানের উইকেট হারায় ভারত। এরপর বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মার ১০০ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় স্বাগতিকেরা। ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পায় ভারত।

মিরপুরের পর বেঙ্গালুরুতে ২০১৬ বিশ্বকাপের সুপার টেনে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। ১৪৭ রানের লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ১৪৫ রানে। ১ রানে স্বাগতিকদের কাছে হেরে তীরে এসে তরী ডোবে বাংলাদেশের।

দুই দল টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে ১১ ম্যাচে। বাংলাদেশ জিতেছে ১ ম্যাচ, ভারত জয় পেয়েছে ১০ ম্যাচে। বাংলাদেশের একমাত্র জয় এসেছে ২০১৯ সালে। দিল্লিতে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

৫। ৬ নভেম্বর, ২০২২; প্রতিপক্ষ: পাকিস্তান; ভেন্যু: অ্যাডিলেড ওভাল, অ্যাডিলেড 
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচবারের মুখোমুখির প্রথম দেখা হয় ২০০৭ বিশ্বকাপেই। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯.৪ ওভারে বাংলাদেশ করেছিল ১৪০ রান। ১৪১ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান ১ ওভার হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতে যায়। বাংলাদেশ হারলেও ম্যাচসেরা হয়েছিলেন জুনাইদ সিদ্দিকী। ৪৯ বলে ৭১ রান করেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

এই দুই এশিয়ন দলের দ্বিতীয়বার দেখা হয় ২০১০ বিশ্বকাপে। সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে কামরান আকমাল ও সালমান বাটের জোড়া ফিফটিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে পাকিস্তান করে ১৭২ রান। ১৭৩ রানের লক্ষ্যে বেশ দারুণ খেলছিল বাংলাদেশ। ফিফটি করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল (৪৯ বলে ৬৫ রান)। আর সাকিব খেলেছিলেন ৩১ বলে ৪৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তারপরও বাংলাদেশ হেরে যায় ২১ রানে।

২০১০ এর পর টানা তিন বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ-পাকিস্তান মুখোমুখি হয় এই উপমহাদেশেই। ২০১২ তে পাল্লেকেলেতে সাকিব আল হাসানের ঝোড়ো ফিফটিতে (৫৪ বলে ৮৪) প্রথমে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান। ১৭৬ রানের লক্ষ্যে নামা পাকিস্তান ৮ বল আগে ৮ উইকেটের জয় পায়।

২০১৪ তে মিরপুরে আহমেদ শেহজাদের সেঞ্চুরিতে (৬২ বলে ১১১* রান) প্রথমে ব্যাটিং করা পাকিস্তান করে ৫ উইকেটে ১৯০ রান। বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ৭ উইকেটে ১৪০ রানে। পাকিস্তান জয় পায় ৫০ রানে।

২০১৬ বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে প্রথমে ব্যাটিং করা পাকিস্তান করে ৫ উইকেটে ২০১ রান। জবাবে বাংলাদেশ থেমে যায় ১৪৬ রানে। ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় পাকিস্তান। সাকিবের ৪০ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসটাই ছিল বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি। 
 
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ তো হেরেছেই। এমনকি দুই দলের টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। ১৭ বারের দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে ২ ম্যাচে, হেরেছে ১৫ ম্যাচে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত