ক্রীড়া ডেস্ক
খুব বেশিদিন আগের ঘটনা নয়। এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচ ঘিরে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের কী পরিমাণ আগ্রহ। সেই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার জার্সি পরে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। এমনকি তখন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) ফেসবুক পেজে বাংলাদেশিরা শুভকামনা জানিয়েছিলেন লঙ্কানদের।
দুবাইয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচটি ছিল ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে জড়িয়ে ছিল বাংলাদেশেরও ভাগ্য। কারণ, শ্রীলঙ্কা জিতলে বিনা সমীকরণে সুপার ফোরে উঠত বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে ওঠে বাংলাদেশকে নিয়ে। এক সপ্তাহ না যেতেই জিনিসটা উল্টো হয়ে গেল। এবার ফাইনালে উঠতে শ্রীলঙ্কা এখন তাকিয়ে বাংলাদেশের দিকে। কারণ, সুপার ফোরে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের কাছে দুই ম্যাচ হেরেছে চারিত আসালাঙ্কার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা। তাতে লঙ্কানদের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা এক রকম শেষ হয়ে গেছে।
কাগজে-কলমে শ্রীলঙ্কার ফাইনাল খেলার যে সম্ভাবনা টিকে আছে, সেটা বাংলাদেশের কারণেই। যদি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ জেতে, তাহলে লিটন দাস-মোস্তাফিজুর রহমানদের দল ৬ পয়েন্ট নিয়ে সোজা উঠে যাবে ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কে হবে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ, সেটা নিয়ে তখন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যে হবে ত্রিমুখী লড়াই। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান-প্রত্যেকেরই এখন ২ পয়েন্ট। +০.৬৮৯ নেট রানরেট নিয়ে সবার ওপরে ভারত। দুই ও তিনে থাকা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নেট রানরেট +০.২২৬ ও +০.১২১। কোনো ম্যাচ না জেতা লঙ্কানদের নেট রানরেট এখন -০.৫৯০।
যদি এমন হয়, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারত সুপার ফোরে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ হারল। তখন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান তিন দলেরই হবে ২ পয়েন্ট। কারণ, ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ধরে নিয়েই বাংলাদেশের ৬ পয়েন্ট হিসাব করা হয়েছে। তখন শুরু হবে নেট রানরেটের খেলা। ধরা যাক, বাংলাদেশ আজ আগে ব্যাটিং করে ২০০ রান করল। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত ১৭০ রানে গুটিয়ে গেল। ৩০ রানে হেরে গেলে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতের নেট রানরেট তখন হবে -০.৪১৬। ভারত ম্যাচ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই বাংলাদেশ খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ধরে নেওয়া যাক, সালমান আলী আগার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ৪০ রানে হারল বাংলাদেশের কাছে। তখন পাকিস্তানের নেট রানরেট হবে -০.৫৩২।
বাংলাদেশ নিজেদের হাতে থাকা শেষ দুই ম্যাচ জিতলে ভারত ও পাকিস্তানের নেট রান নেগেটিভ হওয়াতে আশা তৈরি হবে শ্রীলঙ্কার। দুবাইয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে লঙ্কানরা খেলতে নামবে -০.৫৯০। ধরা যাক, শ্রীলঙ্কা এই ম্যাচে আগে ব্যাটিং নিয়ে ১৯০ রান করল। যদি এই ম্যাচ ভারত ১০ রানে হারে, তাহলে তাদের নেট রানরেট হবে -০.৪৪৩। তখন লঙ্কানদের নেট রানরেট হবে -০.২৩৮। নেট রানরেটের হিসেব করা হয়েছে আগে ব্যাটিং করে জেতার সাপেক্ষে। রান তাড়া করে জেতার হিসেব একটু আলাদা হলেও খুব একটা পার্থক্য হবে না।
তার মানে কী দাঁড়াল? এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ যেখানে শ্রীলঙ্কার ওপর নির্ভরশীল ছিল, এবার সেই লঙ্কানরা নির্ভর করবে বাংলাদেশের ওপর। লিটন-তানজিদ তামিমদের জন্য চাপের ব্যাপার হচ্ছে টানা দুই দিন ম্যাচ খেলার ব্যাপারটা। চাপ সামলে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ কী করে, সেটা সময়ই বলে দেবে। ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ফাইনাল।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল হতে পারে যেভাবে
যদি ভারতকে বাংলাদেশ ৩০ রানে হারায় এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জেতে ৪০ রানে, তখন ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা ১০ রানে জিতলেই উঠবে ফাইনালে।
আরও পড়ুন:
খুব বেশিদিন আগের ঘটনা নয়। এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচ ঘিরে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের কী পরিমাণ আগ্রহ। সেই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার জার্সি পরে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। এমনকি তখন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) ফেসবুক পেজে বাংলাদেশিরা শুভকামনা জানিয়েছিলেন লঙ্কানদের।
দুবাইয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচটি ছিল ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে জড়িয়ে ছিল বাংলাদেশেরও ভাগ্য। কারণ, শ্রীলঙ্কা জিতলে বিনা সমীকরণে সুপার ফোরে উঠত বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে ওঠে বাংলাদেশকে নিয়ে। এক সপ্তাহ না যেতেই জিনিসটা উল্টো হয়ে গেল। এবার ফাইনালে উঠতে শ্রীলঙ্কা এখন তাকিয়ে বাংলাদেশের দিকে। কারণ, সুপার ফোরে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের কাছে দুই ম্যাচ হেরেছে চারিত আসালাঙ্কার নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা। তাতে লঙ্কানদের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা এক রকম শেষ হয়ে গেছে।
কাগজে-কলমে শ্রীলঙ্কার ফাইনাল খেলার যে সম্ভাবনা টিকে আছে, সেটা বাংলাদেশের কারণেই। যদি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচই বাংলাদেশ জেতে, তাহলে লিটন দাস-মোস্তাফিজুর রহমানদের দল ৬ পয়েন্ট নিয়ে সোজা উঠে যাবে ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কে হবে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ, সেটা নিয়ে তখন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যে হবে ত্রিমুখী লড়াই। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান-প্রত্যেকেরই এখন ২ পয়েন্ট। +০.৬৮৯ নেট রানরেট নিয়ে সবার ওপরে ভারত। দুই ও তিনে থাকা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নেট রানরেট +০.২২৬ ও +০.১২১। কোনো ম্যাচ না জেতা লঙ্কানদের নেট রানরেট এখন -০.৫৯০।
যদি এমন হয়, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারত সুপার ফোরে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ হারল। তখন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান তিন দলেরই হবে ২ পয়েন্ট। কারণ, ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ধরে নিয়েই বাংলাদেশের ৬ পয়েন্ট হিসাব করা হয়েছে। তখন শুরু হবে নেট রানরেটের খেলা। ধরা যাক, বাংলাদেশ আজ আগে ব্যাটিং করে ২০০ রান করল। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত ১৭০ রানে গুটিয়ে গেল। ৩০ রানে হেরে গেলে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতের নেট রানরেট তখন হবে -০.৪১৬। ভারত ম্যাচ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই বাংলাদেশ খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ধরে নেওয়া যাক, সালমান আলী আগার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ৪০ রানে হারল বাংলাদেশের কাছে। তখন পাকিস্তানের নেট রানরেট হবে -০.৫৩২।
বাংলাদেশ নিজেদের হাতে থাকা শেষ দুই ম্যাচ জিতলে ভারত ও পাকিস্তানের নেট রান নেগেটিভ হওয়াতে আশা তৈরি হবে শ্রীলঙ্কার। দুবাইয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে লঙ্কানরা খেলতে নামবে -০.৫৯০। ধরা যাক, শ্রীলঙ্কা এই ম্যাচে আগে ব্যাটিং নিয়ে ১৯০ রান করল। যদি এই ম্যাচ ভারত ১০ রানে হারে, তাহলে তাদের নেট রানরেট হবে -০.৪৪৩। তখন লঙ্কানদের নেট রানরেট হবে -০.২৩৮। নেট রানরেটের হিসেব করা হয়েছে আগে ব্যাটিং করে জেতার সাপেক্ষে। রান তাড়া করে জেতার হিসেব একটু আলাদা হলেও খুব একটা পার্থক্য হবে না।
তার মানে কী দাঁড়াল? এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ যেখানে শ্রীলঙ্কার ওপর নির্ভরশীল ছিল, এবার সেই লঙ্কানরা নির্ভর করবে বাংলাদেশের ওপর। লিটন-তানজিদ তামিমদের জন্য চাপের ব্যাপার হচ্ছে টানা দুই দিন ম্যাচ খেলার ব্যাপারটা। চাপ সামলে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ কী করে, সেটা সময়ই বলে দেবে। ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ফাইনাল।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল হতে পারে যেভাবে
যদি ভারতকে বাংলাদেশ ৩০ রানে হারায় এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জেতে ৪০ রানে, তখন ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা ১০ রানে জিতলেই উঠবে ফাইনালে।
আরও পড়ুন:
প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৫১৮ রানের জবাব দিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে তারা। তাতেই আরও একবার ইনিংস হারের শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল সফরকারী শিবিরে কিন্তু জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ইনিংস হার এড়ানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ক্যারিবীয়রা।
২৫ মিনিট আগেদিল্লি টেস্টে চালকের আসনে ভারত। যশস্বী জয়ওয়াল ও শুবমান গিলের সেঞ্চুরিতে ৫১৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেন জয়সওয়াল। তাই মজার ছলেই এই ওপেনারকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা বলেছেন, আমাদের বোলারদের এতো খারাপভাবে পিটিয়ো না।
১ ঘণ্টা আগেলম্বা সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জেতা হয় না ইংল্যান্ডের। এবার সেই খরা কাটানোর সুযোগ দেখছেন ইংলিশদের সাবেক তারকা পেসার ক্রিস একস। বর্তমান দলের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস আছে তাঁর।
৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাইরে সাকিব আল হাসান। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার ।
৩ ঘণ্টা আগে