Ajker Patrika

অবশেষে হাসল নাজমুল–সাইফদের ব্যাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে হাসল নাজমুল–সাইফদের ব্যাট

ঢাকা: কে বলেছে ১৩ শব্দটি ‘আনলাকি’! এই সংখ্যাটাই তো ‘জীবন দিল’ সাইফ হাসানকে। সেই জীবন পেয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে মিরপুরে ঝড়ই তুললেন প্রাইম দোলেশ্বরের ওপেনার। তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সাইফের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে–৫০ রান। যে ইনিংস গড়ার পথে সাইফ তিন চারের সঙ্গে মেরেছেন চারটি ছক্কা।

শুধু সাইফ হাসান নন। আজ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একযোগেই হেসেছে জাতীয় দলের আরও দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত আর মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট। জাতীয় দলের হয়ে সময়টা বাজে যাচ্ছিল নাজমুল–সাইফদের। ডিপিএলের প্রথম তিন ম্যাচেও সেই ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি হয়ে ছিলেন তাঁরা। ভালো করার জন্য আজকের দিনটাকেই বেছে নিলেন তিনজন। সাইফ ফিফটির দেখা পেলেও, হাত ছোঁয়া দূরত্বে থাকা ফিফটি ফেলে এসেছেন নাজমুল আর নাঈম। আবাহনীর দুই ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন ৪৯ রানে। সাইফের ব্যাটিংয়ে প্রাইম দোলেশ্বর জয় পেলেও নাজমুল আর নাঈমের ব্যাটিং যথেষ্ট ছিল না আবাহনীর জয়ের জন্য। মিরাজদের খেলাঘর সমাজকল্যানের কাছে মুশফিকের আবাহনী ‘অঘটনের’ শিকার হয়ে হেরেছে ৮ রানে।

একদিনের বিরতির পর আজ মিরপুরের পাশাপাশি বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া বিকেএসপির দুটি মাঠেও শুরু হয়েছে খেলা। মিরপুরে আগে ব্যাটিং করে টপ ও মিডল অর্ডারের যৌথ অবদানে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরই পায় শাইনপুকুর। কিন্তু সাইফ–ফজলে রাব্বীদের ঝড়ে ২ বল হাতে থাকতে লক্ষ্যটা পেরিয়ে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। সাইফদের ৪ উইকেটে জয়ের ম্যাচে ব্যাটে–বলে–ফিল্ডিংয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন শামীম হোসেন। অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই অলরাউন্ডার বল হাতে দুই উইকেট ও একটি দারুণ ক্যাচের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ বলে করেছেন ২২ রান।

ডিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ ম্যাচ দুটি হলো বিকেএসপির দুই মাঠে। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ইমতিয়াজ হোসেনের (৬৬) ও মেহেদী হাসান মিরাজের ২৫ বলে ৩৩ রানে চড়ে ১৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল খেলাঘর সমাজকল্যান সমিতি। জাতীয় দলের ৭ তারকা ক্রিকেটার নিয়ে গড়া আবাহনী সেই লক্ষ্য পেরোতে পারেনি। জিততে হলে শেষ ওভারে আবাহনীকে নিতে হতো ১৭। মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ নিতে পারলেন তার অর্ধেকেরও কম–৮ রান। শেষমেশ ৮ রানে হারতে হয় মুশফিকদের।

মাইশুকুর রাহমানের অনবদ্য ৬৮ রানে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৫ উইকেটে করেছিল ১৩৯ রান। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে আনিসুল ইসলামের (৬৪) দারুণ ব্যাটিংয়ের পরেও ২ রানে হেরেছে ওল্ড ডিওএইচএস। শেষ ওভারে জেতার জন্য মাত্র ৭ রান দরকার ছিল ওল্ড ডিওএইচএসের। সুজন হাওলাদারের ওই ওভারে ৪ রানের বেশি নিতে পারেননি রায়ান রহমান ও প্রীতম কুমার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত