Ajker Patrika

হাথুরুর কাছে সিলেট ‘অচেনা’ 

হাথুরুর কাছে সিলেট ‘অচেনা’ 

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্টের প্রসঙ্গে বারবার ঘুরে ফিরে আসে ২০২২ টেস্ট সিরিজের কথা। কারণ এই সিরিজেই বাংলাদেশ লিখেছিল রূপকথার গল্প। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ একমাত্র টেস্ট জিতেছিল মাউন্ট মঙ্গানুইতে। 

ঘরের মাঠে সেই সিরিজের দুই বছর পর নিউজিল্যান্ড এবার খেলতে আসছে বাংলাদেশে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরশু শুরু হচ্ছে দুই দলের প্রথম টেস্ট। দুই দলের জন্য তা ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শুরু। ঘরের মাঠ সিলেটেও রয়েছে বাংলাদেশের হতাশার গল্প। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৫১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে এখন পর্যন্ত হয়েছে এই একটাই টেস্ট। এ কারণে ২০২২ এর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের অনুপ্রেরণার গল্প আজ সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে এলেও বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে উত্তর দিয়েছেন একটু কৌশলে। হাথুরু বলেন, ‘আপনি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের কথা কেন বলছেন? সেটা তো অন্য দেশে। যতদূর মনে পড়ে আমরা এখানে (সিলেট) একটা মাত্র টেস্ট খেলেছি। উইকেট কেমন আচরণ করবে তা আমরা জানি না।’ 
 
ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে মাত্র ১ সপ্তাহ হলো। ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ শেষ হতে না হতেই বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দল দুটি খেলতে নামবে ভিন্ন এক সংস্করণে। সিলেটে পরশু প্রথম টেস্ট শুরুর আগে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড দল দুটির প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। কেইন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে, টিম সাউদি, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনারের মতো তারকারা রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের দলে। অন্যদিকে চোটে পড়ায় বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান খেলছেন না এই সিরিজ। খেলা হচ্ছে না তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেনেরও। এই দুই পেসার ২০২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন। সহ অধিনায়ক লিটন দাসও টেস্ট সিরিজ থেকে নিয়েছেন ছুটি। তামিম ইকবাল এ বছরের জুলাই থেকেই নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এ বছর বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। 

অভিজ্ঞ ও তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। যার মধ্যে নাঈম খেলেছেন ৮ টেস্ট। শাহাদাত হোসেন দিপু, হাসান মুরাদ, হাসান মাহমুদের মতো তরুণরা এসেছেন টেস্ট দলে। সাকিব-তামিম-লিটনের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার না থাকা বাংলাদেশের জন্য কতটা কঠিন হবে, সেই প্রসঙ্গ এসেছে আজ সংবাদ সম্মেলনে। এই প্রসঙ্গে হাথুরু বলেন, ‘একসঙ্গে এত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার না থাকা একটু চ্যালেঞ্জিং। যেকোনো দল বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য একটু কঠিন। কারণ তারা সবাই তিন সংস্করণের ক্রিকেটই খেলে বাংলাদেশ দলের অংশ। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেলছে। কেউ কেউ তো খেলছে ১০ বছর। যারা লম্বা সময় ধরে খেলছে তাদের ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। নিজেদের মেলে ধরতে তরুণদের জন্য ভালো সুযোগও।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত