ক্রীড়া ডেস্ক
মিডল অর্ডারে নেমে ঝড় তুলতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কতটা সিদ্ধহস্ত, সাদা বলের ক্রিকেটে সেটা তিনি অনেকবার প্রমাণ করেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একটি সংস্করণে আর দেখা যাবে না ম্যাক্সওয়েলকে। ওয়ানডেকে বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল।
ফাইনাল ওয়ার্ল্ড পডকাস্ট নামে এক অনুষ্ঠানে দীর্ঘ এক আলোচনায় আজ ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল দলকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছিলাম। কন্ডিশনের সঙ্গে শরীর কীভাবে সাড়া দেবে, সেটা দেখার বিষয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলির সঙ্গে দারুণ আলাপ-আলোচনা করছিলাম। তাকে বলেছিলাম এমন চিন্তাভাবনা কাজ করছিল।’
সাদা বলের ক্রিকেটে আইসিসির পরবর্তী ইভেন্ট ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়ায় হতে যাওয়া সেই বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো আড়াই বছর বাকি। ম্যাক্সওয়েলের তখন বয়স হবে ৩৮ বছর। নতুনদের জন্যই মূলত জায়গা ছাড়ছেন বলে তাঁর কথায় বোঝা গেছে। ফাইনাল ওয়ার্ল্ড পডকাস্টে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়েও আমরা কথা বলছিলাম। তাকে বলেছিলাম যে আমি সেখানে থাকছি না। আমার জায়গায় কোন কোন ক্রিকেটারকে খেলানো যায়, সেটা নিয়ে পরিকল্পনার সময় এখন। তাদের এই জায়গাটা নিজের করে নিতে হবে। আশা করি, তারা সেই দায়িত্ব সামলাতে পারবে।’
২০১২ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ১৩ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৪৯ ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল করেছেন ৩৯৯০ রান। ৪ সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ২৩ ফিফটি। ক্রিকেটের এই সংস্করণে তাঁর স্ট্রাইকরেট ১২৬.৭০। ওয়ানডে ক্যারিয়ারসেরা ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক পায়ে ভর করে ম্যাক্সওয়েল যে অতিমানবীয় ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন, সেটার প্রশংসা আজও মানুষের মুখে মুখে। অনেকের চোখে তাঁর এই ইনিংসটাই ওয়ানডেতে সর্বকালের সেরা ইনিংস।
ক্রিকেটীয় ব্যাকরণের বাইরে গিয়ে অপ্রচলিত স্কুপ, রিভার্স সুইপ, সুইচ হিট—এই শটগুলো করতে যে ম্যাক্সওয়েল পারদর্শী, তাঁকে আর এমন রূপে দেখা যাবে না ওয়ানডেতে। তবে সেই ২০১ রানের ইনিংসের পর ওয়ানডেতে তাঁর ব্যাট হাসেনি। ওয়াংখেড়ের সেই ইনিংসের পর ১১ ওয়ানডে ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। এই সময়ে কোনো ফিফটি পাননি। শূন্য রানে আউট হয়েছেন দুইবার।
ম্যাক্সওয়েলের মতে অফফর্ম সঙ্গে নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়াটা স্বার্থপরের কাজ হতো। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার বলেন, ‘সব সময়ই বলেছি, যতক্ষণ আমি খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট, ততক্ষণ জায়গা ছাড়ছি না কারও জন্য। শুধু কয়েকটা সিরিজের জন্য নিজের জায়গা ধরে রাখতে চাইনি। তখন খেলাটা স্বার্থপরের মতো হতো। তারা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখেএগোচ্ছে। সামনের বিশ্বকাপ সামনে রেখে লাইনআপ কতটা ভালো হয়, সেটা দেখাটাও জরুরি। এই পরিকল্পনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমি জানি।’
ওয়ানডেতে ১০০০-এর বেশি রান করেছেন, এমন ব্যাটারদের মধ্যে ১২৬.৭০ স্ট্রাইকরেট নিয়ে দুইয়ে ম্যাক্সওয়েল। এই তালিকায় সবার ওপরে থাকা আন্দ্রে রাসেলের স্ট্রাইকরেট ১৩০.২২। ক্যারিবীয় এই ব্যাটার ৫৬ ওয়ানডেতে ১৩০.২২ স্ট্রাইকরেট ও ২৭.২১ গড়ে করেছেন ১০৩৪ রান।
ওয়ানডে ছাড়লেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত এখনো তিনি নেননি। তবে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ভবিষ্যতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চার বছরে সাত টেস্ট খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার।
মিডল অর্ডারে নেমে ঝড় তুলতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কতটা সিদ্ধহস্ত, সাদা বলের ক্রিকেটে সেটা তিনি অনেকবার প্রমাণ করেছেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে একটি সংস্করণে আর দেখা যাবে না ম্যাক্সওয়েলকে। ওয়ানডেকে বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল।
ফাইনাল ওয়ার্ল্ড পডকাস্ট নামে এক অনুষ্ঠানে দীর্ঘ এক আলোচনায় আজ ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল দলকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দিচ্ছিলাম। কন্ডিশনের সঙ্গে শরীর কীভাবে সাড়া দেবে, সেটা দেখার বিষয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলির সঙ্গে দারুণ আলাপ-আলোচনা করছিলাম। তাকে বলেছিলাম এমন চিন্তাভাবনা কাজ করছিল।’
সাদা বলের ক্রিকেটে আইসিসির পরবর্তী ইভেন্ট ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়ায় হতে যাওয়া সেই বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো আড়াই বছর বাকি। ম্যাক্সওয়েলের তখন বয়স হবে ৩৮ বছর। নতুনদের জন্যই মূলত জায়গা ছাড়ছেন বলে তাঁর কথায় বোঝা গেছে। ফাইনাল ওয়ার্ল্ড পডকাস্টে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়েও আমরা কথা বলছিলাম। তাকে বলেছিলাম যে আমি সেখানে থাকছি না। আমার জায়গায় কোন কোন ক্রিকেটারকে খেলানো যায়, সেটা নিয়ে পরিকল্পনার সময় এখন। তাদের এই জায়গাটা নিজের করে নিতে হবে। আশা করি, তারা সেই দায়িত্ব সামলাতে পারবে।’
২০১২ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত ১৩ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৪৯ ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল করেছেন ৩৯৯০ রান। ৪ সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ২৩ ফিফটি। ক্রিকেটের এই সংস্করণে তাঁর স্ট্রাইকরেট ১২৬.৭০। ওয়ানডে ক্যারিয়ারসেরা ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক পায়ে ভর করে ম্যাক্সওয়েল যে অতিমানবীয় ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন, সেটার প্রশংসা আজও মানুষের মুখে মুখে। অনেকের চোখে তাঁর এই ইনিংসটাই ওয়ানডেতে সর্বকালের সেরা ইনিংস।
ক্রিকেটীয় ব্যাকরণের বাইরে গিয়ে অপ্রচলিত স্কুপ, রিভার্স সুইপ, সুইচ হিট—এই শটগুলো করতে যে ম্যাক্সওয়েল পারদর্শী, তাঁকে আর এমন রূপে দেখা যাবে না ওয়ানডেতে। তবে সেই ২০১ রানের ইনিংসের পর ওয়ানডেতে তাঁর ব্যাট হাসেনি। ওয়াংখেড়ের সেই ইনিংসের পর ১১ ওয়ানডে ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। এই সময়ে কোনো ফিফটি পাননি। শূন্য রানে আউট হয়েছেন দুইবার।
ম্যাক্সওয়েলের মতে অফফর্ম সঙ্গে নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়াটা স্বার্থপরের কাজ হতো। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার বলেন, ‘সব সময়ই বলেছি, যতক্ষণ আমি খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট, ততক্ষণ জায়গা ছাড়ছি না কারও জন্য। শুধু কয়েকটা সিরিজের জন্য নিজের জায়গা ধরে রাখতে চাইনি। তখন খেলাটা স্বার্থপরের মতো হতো। তারা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখেএগোচ্ছে। সামনের বিশ্বকাপ সামনে রেখে লাইনআপ কতটা ভালো হয়, সেটা দেখাটাও জরুরি। এই পরিকল্পনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমি জানি।’
ওয়ানডেতে ১০০০-এর বেশি রান করেছেন, এমন ব্যাটারদের মধ্যে ১২৬.৭০ স্ট্রাইকরেট নিয়ে দুইয়ে ম্যাক্সওয়েল। এই তালিকায় সবার ওপরে থাকা আন্দ্রে রাসেলের স্ট্রাইকরেট ১৩০.২২। ক্যারিবীয় এই ব্যাটার ৫৬ ওয়ানডেতে ১৩০.২২ স্ট্রাইকরেট ও ২৭.২১ গড়ে করেছেন ১০৩৪ রান।
ওয়ানডে ছাড়লেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত এখনো তিনি নেননি। তবে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ভবিষ্যতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চার বছরে সাত টেস্ট খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৭ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৯ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৯ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে