Ajker Patrika

বিসিবি চাইলে থাকতে চান নান্নু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ২১: ৫৮
বিসিবি চাইলে থাকতে চান নান্নু

ক্রান্তিকালের শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে। আরব আমিরাতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভরাডুবির পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই সংস্করণে ধবলধোলাইয়ের দুঃস্বপ্ন। তাতে বাংলাদেশ দল, নির্বাচক ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে বয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। সবচেয়ে বেশি তোপ গেছে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলের ওপর দিয়ে। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার উপলক্ষ পেলেন নির্বাচকেরা।

টানা ১০ হারের ক্লান্তি ঘুচিয়ে আজ সকালে নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অভিজাত সংস্করণে বিদেশের মাটিতে এটা দলের ষষ্ঠ জয়। আর সব সংস্করণ মিলিয়ে টানা ৩২ হারের পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম। এই ফলটাকে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা জয় হিসেবে ভাবা হচ্ছে। অভাবনীয় এই সাফল্যে তৃপ্ত নির্বাচকেরা। কারণ ধারণা করা হচ্ছিল এই সিরিজের ফল কিছুটা হলেও প্রভাব রাখতে পারে নির্বাচকদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে।

গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে নান্নু-বাশারদের নির্বাচক কমিটির মেয়াদ। নির্বাচক হিসেবে ১১ বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আছেন নান্নু। প্রায় অর্ধ যুগ ধরে প্রধান নির্বাচক তিনিই। এ সময়ে  বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। বর্তমানে যা রূপ নিয়েছে অব্যাহতির গুঞ্জনে। এই গুঞ্জনে আজকের জয়ের ফল প্রভাব রাখবে কিনা জানতে চাইলে বিসিবি অপারেশনস কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসের উত্তর, ‘আমরা আসলে জয়ের সঙ্গে নির্বাচকদের ভবিষ্যতের বিষয়টি মেলাতে চাই না।’

নান্নুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে জালালের কথায় থাকল ধোঁয়াশা। এ মাসের মধ্যেই যা কেটে যাওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইলে নিজের কাজটা চালিয়ে যেতে চান নান্নু। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন ‘আমাদের জানুয়ারি পর্যন্ত কাজ করতে বলেছে। এটা বোর্ড মিটিং না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা আসবে না। বোর্ড যদি চালিয়ে যেতে চায় অবশ্যই করব। আমি খেলা ছাড়ার পর থেকে ক্রিকেট বোর্ডে ১৬ বছর ধরে আছি। কোচিংয়ের সঙ্গে ছিলাম, নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে আছি। এটার বাইরে তো... ক্রিকেটের সঙ্গে যদি কাজ করতে বলে অবশ্যই করব।’

ঐতিহাসিক জয়ের আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। এই আনন্দ ছুঁয়ে যাচ্ছে নান্নুকেও। এই জয়টা এখন বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাঁকে, ‘অবিস্মরণীয় একটি জয়। এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্য বিরাট মাইলফলক। এভাবে যদি আমরা খেলে যেতে পারি তাহলে তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে একটা ভালো টেস্ট দল হিসেবে হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারব। ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলত। কিন্তু বায়োবাবলে থাকা যথেষ্ট কঠিন। ওখান থেকে তারা নিজেদের পারফর্ম করে ভালো একটা ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। দেশকে যে জয় দিয়েছে সেটা অবশ্যই স্যালুট করার মতো।’

বাংলাদেশ দলের জয়ে আনন্দে আত্মহারা আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের ভাষায়, ‘আসলে আমার বলার কোনো ভাষা নেই। আমি নিশ্চিত আপনারাও (সাংবাদিকরা) খুশি। আমার খুশিটা তো বুঝতেই পারছেন। শুধু নির্বাচক না, বাংলাদেশের একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে আমার মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটে এটা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। পুরো টেস্ট ম্যাচটা আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ব্যাটিং-বোলিং সব ভালো হয়েছে। টপ অর্ডারে ব্যাটিং বলেন, ফাস্ট বোলারদের উইকেট নেওয়া বলেন, স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছে, ক্যাপ্টেন ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে। সব মিলিয়ে এই টেস্টে নেগেটিভ কিছু খুঁজতে হলে অনেক কষ্ট করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত