Ajker Patrika

বিসিবির নির্বাচনকে নির্বাচনই মনে করেন না তামিম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে তামিম ইকবালের একগাদা অভিযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে তামিম ইকবালের একগাদা অভিযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন হয়েছে দুই দিন আগে। সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আর তাঁর পরিচালনা পর্ষদ ‘এ নাইট অব সেলিব্রেশন’ নামের এক অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন। পাঁচতারা হোটেলের সেই উজ্জ্বল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলেও নির্বাচনের অস্বচ্ছতা আর সরকারি প্রভাবের অভিযোগ নিয়ে চলছে নানা কথাবার্তা।

গুলশানের এক হোটেলে আজ আবার মুখোমুখি হলো ক্লাব সংগঠকদের বড় একটি অংশ। যাঁরা নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন কিংবা শেষ মুহূর্তে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁরাই মুখ খুললেন আজ। বিসিবির সাম্প্রতিক নির্বাচনকে তাঁরা বললেন ‘একতরফা’ ও ‘অবৈধদের খেলা’। তাঁদের মধ্যে আছেন তামিম ইকবালও।

বিসিবি নির্বাচনের আগমুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম। নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আমার বেশি কিছু বলার নেই। ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমরা সবাই যখন একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছিলাম, তখন অলিখিত একটা নিয়ম ছিল—সেসব কথা বাইরে না বলার। আমি মনে করি, সবাইকেই সেই নীতিটা মানা উচিত। প্রথম দিন থেকেই আমার অবস্থান পরিষ্কার—আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল।’

নির্বাচনের সময় তামিম দেশের বাইরে থাকলেও তাঁর ই-ভোটিং নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছিল। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘দেশের বাইরে থাকায় ই-ভোটিংয়ের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পরে গণমাধ্যমে দেখলাম আমার ভোট কাস্ট হয়েছে! এটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছিল। আমি তখনই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি ও নির্বাচন কমিশনারকে ইমেইল করে জানিয়েছি। তাদের পক্ষ থেকে জবাবও পাই—আমার কোনো ই-ভোট কাস্ট হয়নি। এটা আমি পরিষ্কার করতে চাই।’

বিসিবি নির্বাচনের ই-ভোটিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি খুব হাস্যকর একটা জিনিস দেখলাম—৪২টা ভোটের মধ্যে ৩৪টা ই-ভোটিং! অথচ যারা ই-ভোট করেছেন, তারাও সেদিন ভোট সেন্টারেই ছিলেন। তাহলে ই-ভোটিংয়ের দরকারটা কী? ই-ভোটিং তো হয় যখন আপনি দেশে নেই বা সেন্টারে যেতে পারেন না। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ না একসাথে মিলে বাংলাদেশ—এটাই প্রশ্ন।’

বিসিবি সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ানোর কারণেও আলোচনার কেন্দ্র ছিলেন তামিম। তিনি একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও তেমনটা না হওয়াতেই সরে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি তাঁর। বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘এটা আসলে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। উনারা যা সঠিক মনে করেছেন, তাই করেছেন। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। শুধু একটা কথা বলব—আজকে আপনারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটার পক্ষেই থাকবেন। ভবিষ্যতে অবস্থান বদলাবেন না। প্রার্থী হলে আমি জিততাম। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আমার জন্য বাস ধরা, না ধরা কোনো ব্যাপার ছিল না। আমি সবার জন্য চেয়েছিলাম স্বচ্ছ একটা নির্বাচন। আমি একা দাঁড়ালেও সহজেই জিততে পারতাম বলে আত্মবিশ্বাস ছিল।’

বিসিবি নির্বাচন নিয়েই আজ ছিল তামিমের যত অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘যদি আমার নাম ব্যালটে থাকত, আমি নিশ্চিত অনেকেই ভোট দিতেন। আমি সবসময় ভেবেছি, ক্রিকেটের স্বার্থে যারা কাজ করছে, তারাই আসুক। কোনো সিলেকশন নয়। আমরা চেয়েছিলাম আসল ভোট হোক। ক্রিকেটের স্বার্থেই আমি সেই অবস্থানে ছিলাম।’

বিসিবি নির্বাচন বাতিল না হলে আবাহনী-মোহামেডানসহ ৪৮ ক্লাব লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল ৪ অক্টোবর। গুলশানের এক হোটেলে আজ আলোচনায় এসেছে সেই লিগ বাতিলের প্রসঙ্গ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট সংগঠক মাসুদুজ্জামান বললেন, ‘আমরা তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছি। আমাদের বাদ দিয়ে তারা নির্বাচন করেছে। ক্রিকেটের এত বড় সংগঠকদের বাইরে রেখে যদি তারা সবকিছু চালাতে চায়, তাহলে ক্রিকেটারদের দায়িত্বও তাদেরই নিতে হবে। সামনে যদি লিগ বর্জন হয়, এতগুলো ক্রিকেটার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ভারও বিসিবিকেই নিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিনা খরচে টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু, পেতে যা করতে হবে

বাগরামে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি ‘অগ্রহণযোগ্য’, পাকিস্তান–চীনের সঙ্গে এক সুর ভারতের

শহিদুল আলমকে ‘অপহরণ’ করেছে দখলদার ইসরায়েল

শহিদুল আলমদের কনসেন্সসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার সব জাহাজ আটকের দাবি ইসরায়েলের

ভারতীয়রা ভিসা ছাড় পাবে না, স্বার্থ হাসিলে ‘দুদিনের বাণিজ্য মিশনে’ মুম্বাইয়ে স্টারমার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত