নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন হয়েছে দুই দিন আগে। সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আর তাঁর পরিচালনা পর্ষদ ‘এ নাইট অব সেলিব্রেশন’ নামের এক অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন। পাঁচতারা হোটেলের সেই উজ্জ্বল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলেও নির্বাচনের অস্বচ্ছতা আর সরকারি প্রভাবের অভিযোগ নিয়ে চলছে নানা কথাবার্তা।
গুলশানের এক হোটেলে আজ আবার মুখোমুখি হলো ক্লাব সংগঠকদের বড় একটি অংশ। যাঁরা নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন কিংবা শেষ মুহূর্তে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁরাই মুখ খুললেন আজ। বিসিবির সাম্প্রতিক নির্বাচনকে তাঁরা বললেন ‘একতরফা’ ও ‘অবৈধদের খেলা’। তাঁদের মধ্যে আছেন তামিম ইকবালও।
বিসিবি নির্বাচনের আগমুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম। নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আমার বেশি কিছু বলার নেই। ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমরা সবাই যখন একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছিলাম, তখন অলিখিত একটা নিয়ম ছিল—সেসব কথা বাইরে না বলার। আমি মনে করি, সবাইকেই সেই নীতিটা মানা উচিত। প্রথম দিন থেকেই আমার অবস্থান পরিষ্কার—আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল।’
নির্বাচনের সময় তামিম দেশের বাইরে থাকলেও তাঁর ই-ভোটিং নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছিল। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘দেশের বাইরে থাকায় ই-ভোটিংয়ের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পরে গণমাধ্যমে দেখলাম আমার ভোট কাস্ট হয়েছে! এটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছিল। আমি তখনই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি ও নির্বাচন কমিশনারকে ইমেইল করে জানিয়েছি। তাদের পক্ষ থেকে জবাবও পাই—আমার কোনো ই-ভোট কাস্ট হয়নি। এটা আমি পরিষ্কার করতে চাই।’
বিসিবি নির্বাচনের ই-ভোটিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি খুব হাস্যকর একটা জিনিস দেখলাম—৪২টা ভোটের মধ্যে ৩৪টা ই-ভোটিং! অথচ যারা ই-ভোট করেছেন, তারাও সেদিন ভোট সেন্টারেই ছিলেন। তাহলে ই-ভোটিংয়ের দরকারটা কী? ই-ভোটিং তো হয় যখন আপনি দেশে নেই বা সেন্টারে যেতে পারেন না। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ না একসাথে মিলে বাংলাদেশ—এটাই প্রশ্ন।’
বিসিবি সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ানোর কারণেও আলোচনার কেন্দ্র ছিলেন তামিম। তিনি একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও তেমনটা না হওয়াতেই সরে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি তাঁর। বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘এটা আসলে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। উনারা যা সঠিক মনে করেছেন, তাই করেছেন। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। শুধু একটা কথা বলব—আজকে আপনারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটার পক্ষেই থাকবেন। ভবিষ্যতে অবস্থান বদলাবেন না। প্রার্থী হলে আমি জিততাম। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আমার জন্য বাস ধরা, না ধরা কোনো ব্যাপার ছিল না। আমি সবার জন্য চেয়েছিলাম স্বচ্ছ একটা নির্বাচন। আমি একা দাঁড়ালেও সহজেই জিততে পারতাম বলে আত্মবিশ্বাস ছিল।’
বিসিবি নির্বাচন নিয়েই আজ ছিল তামিমের যত অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘যদি আমার নাম ব্যালটে থাকত, আমি নিশ্চিত অনেকেই ভোট দিতেন। আমি সবসময় ভেবেছি, ক্রিকেটের স্বার্থে যারা কাজ করছে, তারাই আসুক। কোনো সিলেকশন নয়। আমরা চেয়েছিলাম আসল ভোট হোক। ক্রিকেটের স্বার্থেই আমি সেই অবস্থানে ছিলাম।’
বিসিবি নির্বাচন বাতিল না হলে আবাহনী-মোহামেডানসহ ৪৮ ক্লাব লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল ৪ অক্টোবর। গুলশানের এক হোটেলে আজ আলোচনায় এসেছে সেই লিগ বাতিলের প্রসঙ্গ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট সংগঠক মাসুদুজ্জামান বললেন, ‘আমরা তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছি। আমাদের বাদ দিয়ে তারা নির্বাচন করেছে। ক্রিকেটের এত বড় সংগঠকদের বাইরে রেখে যদি তারা সবকিছু চালাতে চায়, তাহলে ক্রিকেটারদের দায়িত্বও তাদেরই নিতে হবে। সামনে যদি লিগ বর্জন হয়, এতগুলো ক্রিকেটার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ভারও বিসিবিকেই নিতে হবে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন হয়েছে দুই দিন আগে। সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আর তাঁর পরিচালনা পর্ষদ ‘এ নাইট অব সেলিব্রেশন’ নামের এক অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন। পাঁচতারা হোটেলের সেই উজ্জ্বল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলেও নির্বাচনের অস্বচ্ছতা আর সরকারি প্রভাবের অভিযোগ নিয়ে চলছে নানা কথাবার্তা।
গুলশানের এক হোটেলে আজ আবার মুখোমুখি হলো ক্লাব সংগঠকদের বড় একটি অংশ। যাঁরা নির্বাচন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন কিংবা শেষ মুহূর্তে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁরাই মুখ খুললেন আজ। বিসিবির সাম্প্রতিক নির্বাচনকে তাঁরা বললেন ‘একতরফা’ ও ‘অবৈধদের খেলা’। তাঁদের মধ্যে আছেন তামিম ইকবালও।
বিসিবি নির্বাচনের আগমুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম। নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আমার বেশি কিছু বলার নেই। ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমরা সবাই যখন একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছিলাম, তখন অলিখিত একটা নিয়ম ছিল—সেসব কথা বাইরে না বলার। আমি মনে করি, সবাইকেই সেই নীতিটা মানা উচিত। প্রথম দিন থেকেই আমার অবস্থান পরিষ্কার—আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল।’
নির্বাচনের সময় তামিম দেশের বাইরে থাকলেও তাঁর ই-ভোটিং নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছিল। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘দেশের বাইরে থাকায় ই-ভোটিংয়ের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পরে গণমাধ্যমে দেখলাম আমার ভোট কাস্ট হয়েছে! এটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছিল। আমি তখনই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি ও নির্বাচন কমিশনারকে ইমেইল করে জানিয়েছি। তাদের পক্ষ থেকে জবাবও পাই—আমার কোনো ই-ভোট কাস্ট হয়নি। এটা আমি পরিষ্কার করতে চাই।’
বিসিবি নির্বাচনের ই-ভোটিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি খুব হাস্যকর একটা জিনিস দেখলাম—৪২টা ভোটের মধ্যে ৩৪টা ই-ভোটিং! অথচ যারা ই-ভোট করেছেন, তারাও সেদিন ভোট সেন্টারেই ছিলেন। তাহলে ই-ভোটিংয়ের দরকারটা কী? ই-ভোটিং তো হয় যখন আপনি দেশে নেই বা সেন্টারে যেতে পারেন না। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ না একসাথে মিলে বাংলাদেশ—এটাই প্রশ্ন।’
বিসিবি সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ানোর কারণেও আলোচনার কেন্দ্র ছিলেন তামিম। তিনি একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও তেমনটা না হওয়াতেই সরে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি তাঁর। বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘এটা আসলে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। উনারা যা সঠিক মনে করেছেন, তাই করেছেন। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। শুধু একটা কথা বলব—আজকে আপনারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটার পক্ষেই থাকবেন। ভবিষ্যতে অবস্থান বদলাবেন না। প্রার্থী হলে আমি জিততাম। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আমার জন্য বাস ধরা, না ধরা কোনো ব্যাপার ছিল না। আমি সবার জন্য চেয়েছিলাম স্বচ্ছ একটা নির্বাচন। আমি একা দাঁড়ালেও সহজেই জিততে পারতাম বলে আত্মবিশ্বাস ছিল।’
বিসিবি নির্বাচন নিয়েই আজ ছিল তামিমের যত অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘যদি আমার নাম ব্যালটে থাকত, আমি নিশ্চিত অনেকেই ভোট দিতেন। আমি সবসময় ভেবেছি, ক্রিকেটের স্বার্থে যারা কাজ করছে, তারাই আসুক। কোনো সিলেকশন নয়। আমরা চেয়েছিলাম আসল ভোট হোক। ক্রিকেটের স্বার্থেই আমি সেই অবস্থানে ছিলাম।’
বিসিবি নির্বাচন বাতিল না হলে আবাহনী-মোহামেডানসহ ৪৮ ক্লাব লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল ৪ অক্টোবর। গুলশানের এক হোটেলে আজ আলোচনায় এসেছে সেই লিগ বাতিলের প্রসঙ্গ। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট সংগঠক মাসুদুজ্জামান বললেন, ‘আমরা তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছি। আমাদের বাদ দিয়ে তারা নির্বাচন করেছে। ক্রিকেটের এত বড় সংগঠকদের বাইরে রেখে যদি তারা সবকিছু চালাতে চায়, তাহলে ক্রিকেটারদের দায়িত্বও তাদেরই নিতে হবে। সামনে যদি লিগ বর্জন হয়, এতগুলো ক্রিকেটার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দায়ভারও বিসিবিকেই নিতে হবে।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্টকে রোহিত শর্মা বিদায় বলেছেন আগেই। এবার ভারতের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবেও তাঁর পথচলা শেষ হয়েছে। কদিন আগে রোহিতকে সরিয়ে ভারত ওয়ানডে দলের নেতৃত্বভার তুলে দিয়েছে শুবমান গিলের কাঁধে।
৩৪ মিনিট আগেটি–টোয়েন্টি সিরিজের পালা শেষ হয়েছে আরও দুইদিন আগে। সংক্ষিপ্ত সংস্করণ শেষে এবার ওয়ানডের পালা। পঞ্চাশ ওভারের সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। আগে ব্যাটিং করবে তার দল। এই ম্যাচ দিয়ে..
১ ঘণ্টা আগেমাঠের ক্রিকেটে ভারত–পাকিস্তান লড়াই নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। দুই দর্শকপ্রিয় দলের ম্যাচ ঘিরে ভক্তদের উত্তেজনার মাত্রা সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায়। শ্য ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে ভক্তদের যত আগ্রহ, তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না অন্য কোনো খেলায়। তবে এবার আবরার আহমেদ যে ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, তাতে নতুন করে...
১ ঘণ্টা আগেওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের সেই স্বর্ণযুগ কত আগেই শেষ। এক সময় যে দলটি দাপট দেখিয়ে খেলত, তারা সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছে ২০১৫ সালে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলেও এই সংস্করণে বলার মতো সাফল্য নেই। এইতো কদিন আগে উইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে নেপালের কাছে।
২ ঘণ্টা আগে