Ajker Patrika

চোরেরা ক্রিকেট বোর্ড আঁকড়ে ধরে আছে 

চোরেরা ক্রিকেট বোর্ড আঁকড়ে ধরে আছে 

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অযাচিত সরকারি ব্যয় দ্বীপ দেশটির বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ৫১ বিলিয়ন ডলারের (৪ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকারও বেশি) আন্তর্জাতিক ঋণ মাথায় নিয়ে সম্প্রতি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকার। 

এতে করে জনসাধারণের তোপের মুখ পড়েছে সরকার। বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। সরকারের ভঙ্গুর পরিকল্পনা ও নজিরবিহীন দুর্নীতিকে দায়ী করছে তারা। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বেশ কিছু দিন হলো বলছে, দুর্নীতির কালো ছায়া শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডেও (এসএলসি) পড়েছে। এক সময়কার আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলের অবস্থা এখন যাচ্ছেতাই। দল নির্বাচন থেকে শুরু কর সর্বক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলে। এমনকি কোনো সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করতেও ক্রীড়ামন্ত্রীর অনুমোদন লাগে। এসব করেই অস্তমিত তাদের ক্রিকেট-সূর্য।

আইসিসি প্রকাশিত সর্বশেষ টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সপ্তম, ওয়ানডেতে অষ্টম আর টি-টোয়েন্টিতে নবম। অনেকটা অগোছালো দল নিয়েই টেস্ট সিরিজ খেলতে রোববার বাংলাদেশ সফরে আসছে শ্রীলঙ্কা। 

বোর্ডের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মনে করেন, এসএলসি তাঁর দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা। এ কারণেই করুণ দশা। এই মুহূর্তে ভারতে থাকা রানাতুঙ্গা নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সবাইকে কাঠগড়ায় তুলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে এখন চরম অব্যবস্থাপনা। পেশাদারি বলে কিছু নেই। আমার মনে হয়, দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ সংস্থা হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড। তারা সবকিছু গোলমাল করে ফেলেছে। বোর্ডে কোনো সৎ ব্যক্তি নেই।’ 

খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলার পর রানাতুঙ্গাও জড়িয়েছেন রাজনীতিতে। ৫৮ বছর বয়সী কিংবদন্তি তিনটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-উপমন্ত্রীও ছিলেন। বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এক বছর। শ্রীলঙ্কার অন্দরমহলের খুঁটিনাটি ভালো করেই জানা তাঁর। সে অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় প্রতিভাবান ক্রিকেটারের অভাব নেই। কিন্তু বোর্ডের অব্যবস্থাপনার কারণে আমরা প্রতিভাকে মূল্যায়ন করতে পারছি না। এটা বড় সমস্যা। নির্বাচনের সময় এলে দেখবেন ১৪৩-১৪৪ জন ভোটার। পুরো ব্যাপারটাই আর্থিক লেনদেনের ওপর চলে। এই মুহূর্তে আমাদের একজন ভালো ক্রীড়ামন্ত্রী দরকার, যিনি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন। পুরো বিষয়টা গোছাতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হলো শ্রীলঙ্কায় সব চোরেরা বোর্ডের পদগুলো দখল করে নিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত