জহির উদ্দিন মিশু
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রায় চার মাস পেরোল। এর মধ্যে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও শুদ্ধি অভিযান থেমে নেই। তবে দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাহী কমিটিতে এখনো রয়েছে হত্যা মামলার আসামিসহ একাধিক বিতর্কিত নাম।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েক দিন পর বিওএর সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। পরে ২৫ অক্টোবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দাপ্তরিক কাগজপত্রসহ ওয়েবসাইটে থাকা কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্ত হন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বাকি ৩২ জনের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা একাধিক মামলার আসামি, কেউ পলাতক, আবার কেউ আওয়ামী সরকারের সময়ের প্রভাবশালী এমপি; এমনকি ব্যাংক লুটপাটের অভিযোগসহ নানা বিতর্কে তাঁদের নাম জড়িয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু বলেন, ‘এ সব (বিতর্কিত নাম) পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। কাউন্সিলরশিপ হালনাগাদ করারও একটা পথ খোলা আছে। এখন নির্বাহী কমিটির সভায় উঠলে তখন বলা যাবে।’
বিওএর নির্বাহী কমিটির সদস্যসংখ্যা ৩৩। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর সংস্থাটির নির্বাচন হয়েছিল। সে সময় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য (এমপি), নেতা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের কয়েকটি ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আবার বিওএর কমিটিতে জায়গা করে নেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার প্রধান ছিলেন গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি মাহবুব আরা গিনি। কদিন আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গিনি এখনো বিওএর সহসভাপতি পদে রয়েছেন। আট মামলার আসামি হয়ে কারাবন্দী ফেনী পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার। তিনিও রয়েছেন সদস্য হিসেবে। এরপর সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিওএর বর্তমান কমিটির সদস্য, যাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিওএর কমিটিতে আছেন সাবেক যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ। তাঁর বিরুদ্ধে সমবায় ব্যাংক লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদসহ আরও বিতর্কিত কয়েকজন রয়েছেন বর্তমান কমিটিতে।
ক্রীড়াঙ্গনে চলমান সংস্কারের মধ্যে এসব বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিওএ কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে কি না, এ ব্যাপারে অলিম্পিকের সহসভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘তারা তখন যে যার পেশায় ছিল বা রাজনীতির সঙ্গে ছিল, সে কারণেই হয়েছে। আমরা তো জানি না। অলিম্পিকের মহাসচিব আছেন, কমিটির অন্যরা আছেন, তাঁরা বিষয়টা ব্রিফ করবেন।’
বিষয়টি নিয়ে আরও স্পষ্টভাবে জানতে গতকাল বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজাকে একাধিকবার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। এমনকি মেসেজ দেওয়ার পরও তিনি কোনো উত্তর দেননি। বিওএর নির্বাচনী কার্যক্রম, নির্বাহী কমিটির ভালো-মন্দ দেখভাল ও আয়-ব্যয়ের হিসাব তদারক করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এনএসসির সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এটা তাদের (বিওএ) জিজ্ঞেস করুন। কমিটি তাদের।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রায় চার মাস পেরোল। এর মধ্যে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও শুদ্ধি অভিযান থেমে নেই। তবে দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নির্বাহী কমিটিতে এখনো রয়েছে হত্যা মামলার আসামিসহ একাধিক বিতর্কিত নাম।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েক দিন পর বিওএর সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। পরে ২৫ অক্টোবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দাপ্তরিক কাগজপত্রসহ ওয়েবসাইটে থাকা কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্ত হন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বাকি ৩২ জনের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যাঁরা একাধিক মামলার আসামি, কেউ পলাতক, আবার কেউ আওয়ামী সরকারের সময়ের প্রভাবশালী এমপি; এমনকি ব্যাংক লুটপাটের অভিযোগসহ নানা বিতর্কে তাঁদের নাম জড়িয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপমহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু বলেন, ‘এ সব (বিতর্কিত নাম) পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। কাউন্সিলরশিপ হালনাগাদ করারও একটা পথ খোলা আছে। এখন নির্বাহী কমিটির সভায় উঠলে তখন বলা যাবে।’
বিওএর নির্বাহী কমিটির সদস্যসংখ্যা ৩৩। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর সংস্থাটির নির্বাচন হয়েছিল। সে সময় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য (এমপি), নেতা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশের কয়েকটি ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আবার বিওএর কমিটিতে জায়গা করে নেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার প্রধান ছিলেন গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি মাহবুব আরা গিনি। কদিন আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গিনি এখনো বিওএর সহসভাপতি পদে রয়েছেন। আট মামলার আসামি হয়ে কারাবন্দী ফেনী পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার। তিনিও রয়েছেন সদস্য হিসেবে। এরপর সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিওএর বর্তমান কমিটির সদস্য, যাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিওএর কমিটিতে আছেন সাবেক যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ। তাঁর বিরুদ্ধে সমবায় ব্যাংক লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদসহ আরও বিতর্কিত কয়েকজন রয়েছেন বর্তমান কমিটিতে।
ক্রীড়াঙ্গনে চলমান সংস্কারের মধ্যে এসব বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিওএ কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে কি না, এ ব্যাপারে অলিম্পিকের সহসভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘তারা তখন যে যার পেশায় ছিল বা রাজনীতির সঙ্গে ছিল, সে কারণেই হয়েছে। আমরা তো জানি না। অলিম্পিকের মহাসচিব আছেন, কমিটির অন্যরা আছেন, তাঁরা বিষয়টা ব্রিফ করবেন।’
বিষয়টি নিয়ে আরও স্পষ্টভাবে জানতে গতকাল বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজাকে একাধিকবার ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। এমনকি মেসেজ দেওয়ার পরও তিনি কোনো উত্তর দেননি। বিওএর নির্বাচনী কার্যক্রম, নির্বাহী কমিটির ভালো-মন্দ দেখভাল ও আয়-ব্যয়ের হিসাব তদারক করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এনএসসির সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এটা তাদের (বিওএ) জিজ্ঞেস করুন। কমিটি তাদের।’
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৬ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
৮ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
৯ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
৯ ঘণ্টা আগে