আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ের বাইরের অন্য যেকোনো ছায়াপথ থেকে পৃথিবীর প্রাণের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সক্ষম জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। এক গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। নতুন এই আবিষ্কার আমাদের ছায়াপথের বাইরে অবস্থিত অন্যান্য গ্রহেও প্রাণের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে জেমস ওয়েবের ব্যবহারের সম্ভাব্যতা আরও বাড়িয়ে তুলল।
বিজ্ঞান বিষয়ক অনলাইন সংবাদমাধ্যম লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপকে প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে পাঠানো হয় ২০২১ সালের শেষ দিকে। এরপর থেকে এটি মহাবিশ্বের গঠন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর বাইরেও এই টেলিস্কোপের অন্যতম একটি কাজ হলো—এর আশপাশের এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর (যেসব গ্রহ কোনো একটি বড় আকারের তারকাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়) ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা। পাশাপাশি এসব গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা এমন টেকনো সিগনেচারের সন্ধান করা। টেকনো সিগনেচার হলো—এমন কিছু জৈব বা রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি যেগুলো কোনো এলিয়েন সভ্যতা তৈরি করেছে বলে অনুমান করা হয়।
জেমস ওয়েব এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ হলেও এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে, এটি কতটা ভালোভাবে বিভিন্ন এক্সোপ্ল্যানেটে উপস্থিত প্রাণের অস্তিত্বকে শনাক্ত করতে পারবে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই একদল গবেষক চেষ্টা চালান যে, জেমস ওয়েব এখন যে অবস্থানে আছে সেই অবস্থান থেকে কতটা সফলভাবে পৃথিবীর প্রাণের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে পারে।
এ বিষয়ক গবেষণার তথ্য অনলাইন সার্ভার আরজিভে আপলোড করা হয়েছে গত ২৮ আগস্ট। তবে গবেষণাটি এখনো কোনো পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। গবেষণার জন্য আমাদের বায়ুমণ্ডলে বিদ্যমান বর্ণালির মতো একটি কৃত্রিম বর্ণালি ব্যবহার করা হয়। গবেষকেরা এই বর্ণালির ঔজ্জ্বল্য স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কমিয়ে দেন। তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন—তুলনামূলক নিষ্প্রভ এই বর্ণালি জেমস ওয়েবের টেলিস্কোপে ধরে পড়ে কিনা।
বিজ্ঞানীরা একটি কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে জেমস ওয়েবের সেনসরের সক্ষমতা প্রতিলিপি করেন এবং জৈবিক প্রাণীর উৎপাদিত বিভিন্ন উপাদান যেমন—মিথেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং ক্লুরোফ্লুরোকার্বনসের মতো জৈবিক উপাদানগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে বর্ণালি তৈরি করে তা শনাক্ত করতে পারে কিনা। গবেষণা থেকে দেখা গেছে, জেমস ওয়েব আমাদের বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত প্রাণের বিভিন্ন উৎস কর্তৃক উৎপাদিত চিহ্ন শনাক্ত করতে সক্ষম।
গবেষকেরা বলছেন, যে ডেটা তাঁরা ব্যবহার করেছেন তা থেকে দেখা গেছে যে—পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ ব্যাসের মধ্যে অবস্থিত যেকোনো এক্সোপ্ল্যানেটে প্রাণের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে পারবে জেমস ওয়েব। বিজ্ঞানীদের আশা, প্রকৃতপক্ষে জেমস ওয়েব অন্তত ৫০ আলোকবর্ষ ব্যাসের মধ্যকার এক্সোপ্ল্যানেটের প্রাণের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর আশপাশের ৫০ আলোকবর্ষ এলাকার মধ্যে মাত্র ২০টি এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এই এলাকার মধ্যে যে পরিমাণ তারকার উপস্থিতি রয়েছে তাতে এই অঞ্চলে অন্তত ৪ হাজার এক্সোপ্ল্যানেট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ের বাইরের অন্য যেকোনো ছায়াপথ থেকে পৃথিবীর প্রাণের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সক্ষম জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। এক গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা বিষয়টি জানতে পেরেছেন। নতুন এই আবিষ্কার আমাদের ছায়াপথের বাইরে অবস্থিত অন্যান্য গ্রহেও প্রাণের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে জেমস ওয়েবের ব্যবহারের সম্ভাব্যতা আরও বাড়িয়ে তুলল।
বিজ্ঞান বিষয়ক অনলাইন সংবাদমাধ্যম লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপকে প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে পাঠানো হয় ২০২১ সালের শেষ দিকে। এরপর থেকে এটি মহাবিশ্বের গঠন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর বাইরেও এই টেলিস্কোপের অন্যতম একটি কাজ হলো—এর আশপাশের এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর (যেসব গ্রহ কোনো একটি বড় আকারের তারকাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়) ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা। পাশাপাশি এসব গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা এমন টেকনো সিগনেচারের সন্ধান করা। টেকনো সিগনেচার হলো—এমন কিছু জৈব বা রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি যেগুলো কোনো এলিয়েন সভ্যতা তৈরি করেছে বলে অনুমান করা হয়।
জেমস ওয়েব এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ হলেও এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে, এটি কতটা ভালোভাবে বিভিন্ন এক্সোপ্ল্যানেটে উপস্থিত প্রাণের অস্তিত্বকে শনাক্ত করতে পারবে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই একদল গবেষক চেষ্টা চালান যে, জেমস ওয়েব এখন যে অবস্থানে আছে সেই অবস্থান থেকে কতটা সফলভাবে পৃথিবীর প্রাণের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে পারে।
এ বিষয়ক গবেষণার তথ্য অনলাইন সার্ভার আরজিভে আপলোড করা হয়েছে গত ২৮ আগস্ট। তবে গবেষণাটি এখনো কোনো পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। গবেষণার জন্য আমাদের বায়ুমণ্ডলে বিদ্যমান বর্ণালির মতো একটি কৃত্রিম বর্ণালি ব্যবহার করা হয়। গবেষকেরা এই বর্ণালির ঔজ্জ্বল্য স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কমিয়ে দেন। তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন—তুলনামূলক নিষ্প্রভ এই বর্ণালি জেমস ওয়েবের টেলিস্কোপে ধরে পড়ে কিনা।
বিজ্ঞানীরা একটি কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে জেমস ওয়েবের সেনসরের সক্ষমতা প্রতিলিপি করেন এবং জৈবিক প্রাণীর উৎপাদিত বিভিন্ন উপাদান যেমন—মিথেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং ক্লুরোফ্লুরোকার্বনসের মতো জৈবিক উপাদানগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে বর্ণালি তৈরি করে তা শনাক্ত করতে পারে কিনা। গবেষণা থেকে দেখা গেছে, জেমস ওয়েব আমাদের বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত প্রাণের বিভিন্ন উৎস কর্তৃক উৎপাদিত চিহ্ন শনাক্ত করতে সক্ষম।
গবেষকেরা বলছেন, যে ডেটা তাঁরা ব্যবহার করেছেন তা থেকে দেখা গেছে যে—পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ ব্যাসের মধ্যে অবস্থিত যেকোনো এক্সোপ্ল্যানেটে প্রাণের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে পারবে জেমস ওয়েব। বিজ্ঞানীদের আশা, প্রকৃতপক্ষে জেমস ওয়েব অন্তত ৫০ আলোকবর্ষ ব্যাসের মধ্যকার এক্সোপ্ল্যানেটের প্রাণের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে পারবে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর আশপাশের ৫০ আলোকবর্ষ এলাকার মধ্যে মাত্র ২০টি এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এই এলাকার মধ্যে যে পরিমাণ তারকার উপস্থিতি রয়েছে তাতে এই অঞ্চলে অন্তত ৪ হাজার এক্সোপ্ল্যানেট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে