২০২০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত কেপ কড উপদ্বীপ অঞ্চলে সন্তানসম্ভবা পোরবিগল হাঙরের শরীরে শনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। মূলত এর বাসস্থান এবং গতিবিধি জানাই ছিল এর লক্ষ্য।
সিএনএন জানিয়েছে, ৭ ফুট ২ ইঞ্চি দীর্ঘ ওই হাঙরটি পোরবিগল এবং এই প্রজাতির ছানাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবাস শনাক্ত করার জন্য একটি বিস্তৃত গবেষণার অংশ ছিল। কারণ সমুদ্রে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণের দরুন এদের বাসস্থানগুলো প্রায় সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাঙরটির শরীরে দুই ধরনের স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো হয়েছিল। এর একটি হাঙরটির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করত এবং অন্যটি দিয়ে হাঙরটি সমুদ্রের কত গভীরে এবং কেমন তাপমাত্রার মধ্যে আছে সেই সম্পর্কে জানা যেতো।
শনাক্তকরণ ট্যাগ বসানোর পর পাঁচ মাস ভালোই চলেছিল। স্বাভাবিক আচরণের মধ্য দিয়ে মা হাঙরটির জীবনযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছিল। সমুদ্রের বিভিন্ন গভীরতা এবং তাপমাত্রায় এটি বিচরণ করেছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ২০২১ সালে মার্চ মাসে। সেবার হঠাৎ করেই হাঙরটি নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি ট্যাগ ভেসে ওঠার আগে এটির সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছিল সমুদ্রের ১ হাজার ৯৬৮ ফুট গভীরে।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এমন গভীর স্থান থেকে একটি হাঙর হারিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো এটিকে আরেকটি বড় শিকারি গ্রাস করেছে। সম্ভবত সেই শিকারিটিও হাঙর। হতে পারে ওই শিকারিটি গ্রেট হোয়াইট কিংবা শর্টফিন মাকোর মতো একটি উষ্ণ রক্তের ল্যামনিড হাঙর।
তাপমাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি এবং ডুব দেওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেই গবেষকেরা এই উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, পোরবিগল হাঙরটি অন্যের খাদ্য হয়েছে। কোনো পোরবিগল হাঙরকে অন্য হাঙর দ্বারা শিকার হওয়ার এটাই প্রথম নথিভুক্ত উদাহরণ। হাঙরটি জীবিত থাকলে এর অবস্থানের ডেটা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যেত বলে বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ডেটা বন্ধ হয়ে যাওয়া এটাই নিশ্চিত করে যে হাঙরটি আর বেঁচে নেই।
হাঙরটির সম্ভাব্য শিকারি হিসেবে বিজ্ঞানীরা গ্রেট হোয়াইট প্রজাতির হাঙরকেই সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করছেন। কারণ এই প্রজাতির হাঙরেরা বিশাল আকার এবং মারাত্মক শিকারি হিসেবে পরিচিত। ফলে তুলনামূলক ছোট আকৃতি পোরবিগল হাঙরকে এরা সহজেই পরাস্ত করতে পারে। অন্যদিকে ডাইভিং প্যাটার্ন ট্যাগের ডেটার সঙ্গে বেশি মিল না থাকায় ওই ঘটনার জন্য শর্টফিন মাকোস হাঙরকে কম সন্দেহ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকদের এই অনুসন্ধানটি বড় হাঙরের মধ্যে জটিল মিথস্ক্রিয়াগুলোর ওপর আলোকপাত করে। এটি দেখায়, পোরবিগলের মতো শীর্ষ শিকারিও অন্য হাঙরের শিকার হতে পারে। পোরবিগল হাঙরের সংখ্যা এখন হুমকির মুখে। এর মধ্যে গর্ভবতী একটি পোরবিগল মায়ের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহ এই প্রজাতির জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতি।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ড. ব্রুক অ্যান্ডারসন হাঙর সংরক্ষণের জন্য এই ধরনের শিকারের ঘটনা আরও অনুসন্ধান করা উচিত বলে মনে করেন।
সাম্প্রতিক গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত না হলেও এটির উপসংহারকে সমর্থন করেছেন হাঙর জীববিজ্ঞানী ড. অ্যাড্রিয়ান গুটারিজ। তিনিও মনে করেন, গ্রেট হোয়াইট হাঙরই পোরবিগলটিকে খেয়ে ফেলেছে।
২০২০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত কেপ কড উপদ্বীপ অঞ্চলে সন্তানসম্ভবা পোরবিগল হাঙরের শরীরে শনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। মূলত এর বাসস্থান এবং গতিবিধি জানাই ছিল এর লক্ষ্য।
সিএনএন জানিয়েছে, ৭ ফুট ২ ইঞ্চি দীর্ঘ ওই হাঙরটি পোরবিগল এবং এই প্রজাতির ছানাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আবাস শনাক্ত করার জন্য একটি বিস্তৃত গবেষণার অংশ ছিল। কারণ সমুদ্রে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণের দরুন এদের বাসস্থানগুলো প্রায় সময়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাঙরটির শরীরে দুই ধরনের স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানো হয়েছিল। এর একটি হাঙরটির অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করত এবং অন্যটি দিয়ে হাঙরটি সমুদ্রের কত গভীরে এবং কেমন তাপমাত্রার মধ্যে আছে সেই সম্পর্কে জানা যেতো।
শনাক্তকরণ ট্যাগ বসানোর পর পাঁচ মাস ভালোই চলেছিল। স্বাভাবিক আচরণের মধ্য দিয়ে মা হাঙরটির জীবনযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছিল। সমুদ্রের বিভিন্ন গভীরতা এবং তাপমাত্রায় এটি বিচরণ করেছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ২০২১ সালে মার্চ মাসে। সেবার হঠাৎ করেই হাঙরটি নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি ট্যাগ ভেসে ওঠার আগে এটির সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছিল সমুদ্রের ১ হাজার ৯৬৮ ফুট গভীরে।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এমন গভীর স্থান থেকে একটি হাঙর হারিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো এটিকে আরেকটি বড় শিকারি গ্রাস করেছে। সম্ভবত সেই শিকারিটিও হাঙর। হতে পারে ওই শিকারিটি গ্রেট হোয়াইট কিংবা শর্টফিন মাকোর মতো একটি উষ্ণ রক্তের ল্যামনিড হাঙর।
তাপমাত্রার আকস্মিক বৃদ্ধি এবং ডুব দেওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেই গবেষকেরা এই উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, পোরবিগল হাঙরটি অন্যের খাদ্য হয়েছে। কোনো পোরবিগল হাঙরকে অন্য হাঙর দ্বারা শিকার হওয়ার এটাই প্রথম নথিভুক্ত উদাহরণ। হাঙরটি জীবিত থাকলে এর অবস্থানের ডেটা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যেত বলে বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ডেটা বন্ধ হয়ে যাওয়া এটাই নিশ্চিত করে যে হাঙরটি আর বেঁচে নেই।
হাঙরটির সম্ভাব্য শিকারি হিসেবে বিজ্ঞানীরা গ্রেট হোয়াইট প্রজাতির হাঙরকেই সবচেয়ে বেশি সন্দেহ করছেন। কারণ এই প্রজাতির হাঙরেরা বিশাল আকার এবং মারাত্মক শিকারি হিসেবে পরিচিত। ফলে তুলনামূলক ছোট আকৃতি পোরবিগল হাঙরকে এরা সহজেই পরাস্ত করতে পারে। অন্যদিকে ডাইভিং প্যাটার্ন ট্যাগের ডেটার সঙ্গে বেশি মিল না থাকায় ওই ঘটনার জন্য শর্টফিন মাকোস হাঙরকে কম সন্দেহ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকদের এই অনুসন্ধানটি বড় হাঙরের মধ্যে জটিল মিথস্ক্রিয়াগুলোর ওপর আলোকপাত করে। এটি দেখায়, পোরবিগলের মতো শীর্ষ শিকারিও অন্য হাঙরের শিকার হতে পারে। পোরবিগল হাঙরের সংখ্যা এখন হুমকির মুখে। এর মধ্যে গর্ভবতী একটি পোরবিগল মায়ের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহ এই প্রজাতির জন্য অনেক বড় একটি ক্ষতি।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ড. ব্রুক অ্যান্ডারসন হাঙর সংরক্ষণের জন্য এই ধরনের শিকারের ঘটনা আরও অনুসন্ধান করা উচিত বলে মনে করেন।
সাম্প্রতিক গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত না হলেও এটির উপসংহারকে সমর্থন করেছেন হাঙর জীববিজ্ঞানী ড. অ্যাড্রিয়ান গুটারিজ। তিনিও মনে করেন, গ্রেট হোয়াইট হাঙরই পোরবিগলটিকে খেয়ে ফেলেছে।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে