পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুরের জনপ্রিয়তা শীর্ষে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নতুন এক গবেষণায় এই প্রাণীর আয়ু নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলেছেন, লম্বা নাকের কুকুর ছোট নাকের কুকুরের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে।
এই গবেষণার বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুকুরের দেহের ও মুখের আকার–আকৃতি এবং লিঙ্গ এই গবেষণায় বিবেচনা করা হয়। বিশুদ্ধ প্রজাতিগুলোর মধ্যে লম্বা নাকের স্ত্রী কুকুরগুলো বেশি দিন বাঁচে। এসব প্রজাতির গড় আয়ু হয় ১৩ দশমিক ৩ বছর।
চ্যাপ্টা মুখের কুকুরগুলো গত কয়েক বছর ধরে প্রাণীপ্রেমীদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এগুলোর গড় আয়ু প্রায় ১১ দশমিক ২ বছর। এ ছাড়া মাঝারি আকারের কুকুরের (যেমন, স্প্যানিয়েল) চেয়ে এগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি ৪০ শতাংশ বেশি।
ডগস ট্রাস্ট নামের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক ড. কারস্টেন ম্যাকমিলান বলেন, পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোতে লিঙ্গ, মুখের আকৃতি ও শরীরের আকার কুকুরের দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর আগে কেউ এই তিনটি বিষয়ের মিথস্ক্রিয়া বা বিবর্তনের ইতিহাস এবং জীবনকালের মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্র অনুসন্ধান করেনি।
বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে ম্যাকমিলান ও তার দলের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা পুনর্বাসন, কল্যাণ সংস্থা, ব্রিড রেজিস্ট্রি ও পোষা প্রাণী বিমা কোম্পানির মতো ১৮টি সংস্থার কাছ থেকে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪টি বিশুদ্ধ ও সংকট জাতের কুকুরের তথ্য সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪টি কুকুর ছিল মৃত।
বিশুদ্ধ ও সংকর প্রজাতির কুকুরগুলোর তথ্য পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা দেখতে পান, ক্যানাইন পরিবারের কুকুরের গড় আয়ু ১২ দশমিক ৫ বছর। এর মধ্যে স্ত্রী কুকুর বেশি দিন বাঁচে।
বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধানের জন্য গবেষণা দলটি ১৫৫টি বিশুদ্ধ জাতের কুকুরের তথ্য নেয়। তারা দেখতে পান, সাধারণত বড় জাতের কুকুরগুলো ছোট জাতের কুকুরের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে, আর নাকের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে কুকুরের আয়ুর সম্পর্ক রয়েছে।
ছোট ডাক্সহান্ড প্রজাতির কুকুরের গড় আয়ু ১৪ বছর, কিন্তু ফ্রেঞ্চ বুলডগের আয়ু ৯ দশমিক ৮ বছর। দুটিই ছোট জাতের কুকুর হলেও ডাক্সহান্ডের নাক লম্বা। অপরদিকে ফ্রেঞ্চ বুলডগের নাক চ্যাপ্টা। দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ব্র্যাকিসেফালিক জাতের কুকুরের মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আবার বিশাল ও লোমশ ককেশিয়ান শেফার্ড কুকরের গড় আয়ু মাত্র ৫ দশমিক ৪ বছর।
গবেষকেরা আরও লক্ষ্য করেন, সংকর প্রজাতির চেয়ে বিশুদ্ধ প্রজাতির কুকুরের গড় আয়ু বেশি হয়, যা যথাক্রমে ১২ ও ১২ দশমিক ৭ বছর।
ফলে এই পর্যবেক্ষণ আগের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। জিনগত বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে সংকর জাতগুলোর স্বাস্থ্য আরও ভালো হওয়ার কথা বলে মনে করা হতো।
তবে এ গবেষণায় বিভিন্ন ধরনের সংকর জাতের মধ্যে তুলনা করতে পারেননি। তার মানে, গবেষণার অধীন উপাত্তগুলোর মধ্যে যেসব কুকুরের প্রকৃত পূর্বপুরুষ অজানা, সেগুলোর সঙ্গে কৃত্রিম সংকরায়ণের ফলে সৃষ্ট জাতের তথ্য মিশ্রিত হয়ে থাকতে পারে। যেমন, ল্যাব্রাডুডল জাতের কুকুরগুলোর এত বেশি অভ্যন্তরীণ প্রজনন ঘটেছে যে এগুলোর সম্পর্কিত তথ্য অস্পষ্ট হয়ে গিয়ে থাকতে পারে।
যদিও গবেষণার অধীন যে আড়াই লাখের বেশি কুকুর মারা গেছে, সেগুলোর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত ডেটা এই গবেষণায় নেই। এরপরও গবেষকেরা আশা করছেন, জীবনকালের ভিন্নতার পেছনে ঝুঁকির কারণগুলো খুঁজে পেতে এটি সাহায্য করবে।
ম্যাকমিলান বলেন, জটিল জৈবিক মিথস্ক্রিয়ায় আয়ুর এই পার্থক্য দেখা যায়। যেমন—শরীরের আকার–আকৃতি, জিন, খাদ্য, কায়িক শ্রম ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরিবেশগত কারণ এতে প্রভাব ফেলে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণার ফলাফলগুলো মালিক, প্রজননকারী, নীতিনির্ধারক, তহবিল সংস্থা ও কল্যাণ সংস্থাগুলোকে পোষা কুকুরের কল্যাণে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুরের জনপ্রিয়তা শীর্ষে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নতুন এক গবেষণায় এই প্রাণীর আয়ু নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলেছেন, লম্বা নাকের কুকুর ছোট নাকের কুকুরের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে।
এই গবেষণার বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুকুরের দেহের ও মুখের আকার–আকৃতি এবং লিঙ্গ এই গবেষণায় বিবেচনা করা হয়। বিশুদ্ধ প্রজাতিগুলোর মধ্যে লম্বা নাকের স্ত্রী কুকুরগুলো বেশি দিন বাঁচে। এসব প্রজাতির গড় আয়ু হয় ১৩ দশমিক ৩ বছর।
চ্যাপ্টা মুখের কুকুরগুলো গত কয়েক বছর ধরে প্রাণীপ্রেমীদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এগুলোর গড় আয়ু প্রায় ১১ দশমিক ২ বছর। এ ছাড়া মাঝারি আকারের কুকুরের (যেমন, স্প্যানিয়েল) চেয়ে এগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি ৪০ শতাংশ বেশি।
ডগস ট্রাস্ট নামের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক ড. কারস্টেন ম্যাকমিলান বলেন, পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোতে লিঙ্গ, মুখের আকৃতি ও শরীরের আকার কুকুরের দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর আগে কেউ এই তিনটি বিষয়ের মিথস্ক্রিয়া বা বিবর্তনের ইতিহাস এবং জীবনকালের মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্র অনুসন্ধান করেনি।
বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে ম্যাকমিলান ও তার দলের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা পুনর্বাসন, কল্যাণ সংস্থা, ব্রিড রেজিস্ট্রি ও পোষা প্রাণী বিমা কোম্পানির মতো ১৮টি সংস্থার কাছ থেকে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪টি বিশুদ্ধ ও সংকট জাতের কুকুরের তথ্য সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪টি কুকুর ছিল মৃত।
বিশুদ্ধ ও সংকর প্রজাতির কুকুরগুলোর তথ্য পর্যবেক্ষণ করে গবেষকেরা দেখতে পান, ক্যানাইন পরিবারের কুকুরের গড় আয়ু ১২ দশমিক ৫ বছর। এর মধ্যে স্ত্রী কুকুর বেশি দিন বাঁচে।
বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধানের জন্য গবেষণা দলটি ১৫৫টি বিশুদ্ধ জাতের কুকুরের তথ্য নেয়। তারা দেখতে পান, সাধারণত বড় জাতের কুকুরগুলো ছোট জাতের কুকুরের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে, আর নাকের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে কুকুরের আয়ুর সম্পর্ক রয়েছে।
ছোট ডাক্সহান্ড প্রজাতির কুকুরের গড় আয়ু ১৪ বছর, কিন্তু ফ্রেঞ্চ বুলডগের আয়ু ৯ দশমিক ৮ বছর। দুটিই ছোট জাতের কুকুর হলেও ডাক্সহান্ডের নাক লম্বা। অপরদিকে ফ্রেঞ্চ বুলডগের নাক চ্যাপ্টা। দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ব্র্যাকিসেফালিক জাতের কুকুরের মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আবার বিশাল ও লোমশ ককেশিয়ান শেফার্ড কুকরের গড় আয়ু মাত্র ৫ দশমিক ৪ বছর।
গবেষকেরা আরও লক্ষ্য করেন, সংকর প্রজাতির চেয়ে বিশুদ্ধ প্রজাতির কুকুরের গড় আয়ু বেশি হয়, যা যথাক্রমে ১২ ও ১২ দশমিক ৭ বছর।
ফলে এই পর্যবেক্ষণ আগের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। জিনগত বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে সংকর জাতগুলোর স্বাস্থ্য আরও ভালো হওয়ার কথা বলে মনে করা হতো।
তবে এ গবেষণায় বিভিন্ন ধরনের সংকর জাতের মধ্যে তুলনা করতে পারেননি। তার মানে, গবেষণার অধীন উপাত্তগুলোর মধ্যে যেসব কুকুরের প্রকৃত পূর্বপুরুষ অজানা, সেগুলোর সঙ্গে কৃত্রিম সংকরায়ণের ফলে সৃষ্ট জাতের তথ্য মিশ্রিত হয়ে থাকতে পারে। যেমন, ল্যাব্রাডুডল জাতের কুকুরগুলোর এত বেশি অভ্যন্তরীণ প্রজনন ঘটেছে যে এগুলোর সম্পর্কিত তথ্য অস্পষ্ট হয়ে গিয়ে থাকতে পারে।
যদিও গবেষণার অধীন যে আড়াই লাখের বেশি কুকুর মারা গেছে, সেগুলোর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত ডেটা এই গবেষণায় নেই। এরপরও গবেষকেরা আশা করছেন, জীবনকালের ভিন্নতার পেছনে ঝুঁকির কারণগুলো খুঁজে পেতে এটি সাহায্য করবে।
ম্যাকমিলান বলেন, জটিল জৈবিক মিথস্ক্রিয়ায় আয়ুর এই পার্থক্য দেখা যায়। যেমন—শরীরের আকার–আকৃতি, জিন, খাদ্য, কায়িক শ্রম ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরিবেশগত কারণ এতে প্রভাব ফেলে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণার ফলাফলগুলো মালিক, প্রজননকারী, নীতিনির্ধারক, তহবিল সংস্থা ও কল্যাণ সংস্থাগুলোকে পোষা কুকুরের কল্যাণে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
২ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে