বিশ্বের প্রথম বায়োরোবোটিক হৃৎপিণ্ড তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি প্রায় মানুষের হৃৎপিণ্ডের মতোই দেখতে এবং একইভাবে কাজ করে। তবে এটি এখনো মানুষের দেহে প্রতিস্থাপনের উপযোগী নয়। মূলত মানুষের বিভিন্ন ধরনের হৃদ্রোগ গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই বায়োরোবোটিক হৃৎপিণ্ড। বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স ডেইলির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূলত একটি সক্রিয় হৃৎপিণ্ডে সিলিকনের তৈরি একটি কৃত্রিম পাম্প বসিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। এই হৃৎপিণ্ড মানুষের হৃৎপিণ্ডের বাম নিলয় ও অলিন্দের ভালব বা কপাটিকার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা শূকরের হৃৎপিণ্ডের টিস্যু ও সিলিকনের তৈরি পাম্পের (এক ধরনের রোবোটিক পেশি টিস্যু, যা নিজে নিজে সংকুচিত-প্রসারিত হতে পারে এবং একে বাইরে থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়) সমন্বয়ে এই বায়োরোবোটিক হার্ট তৈরি করেছেন।
এই বায়োরোবোটিক হার্টকে প্রয়োজন অনুসারে সুস্থ ও অসুস্থ দেহের হৃৎপিণ্ডের মতো করে স্পন্দিত করানো যায়। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এর সাহায্যে হৃৎপিণ্ডে কী কী বাধা তৈরি হয়, জটিলতা তৈরি হয় সে বিষয়ক জানাশোনা সহজ হবে এবং একই সঙ্গে এ থেকে হৃৎপিণ্ডের সামগ্রিক অবস্থার বিষয়ে রিয়েল টাইম বা তাৎক্ষণিক সব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে। এটিকে এখনই কোনো প্রাণীর দেহে ব্যবহার না করে আগে সিমুলেটর হিসেব ব্যবহার করে এর কার্যকারিতা ও অন্যান্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
গত ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ডিভাইসে এই বিষয়ক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই বায়োরোবোটিক হার্টের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অ্যালেন রোচে বলেছেন, ‘কল্পনা করুন, একটি গবেষণাগারে একটি হৃৎপিণ্ড স্পন্দিত হচ্ছে।’
অ্যালান রোচে আরও বলেন, ‘এই সিমুলেটরে রক্তের পরিবর্তে একটি পরিষ্কার তরল পাম্প করা হবে এবং রক্ত প্রবাহ, রক্তচাপ ও অন্যান্য অনেক বিষয় পরিমাপ করে এমন সব যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এটি। এটিকে কাস্টমাইজ বা প্রয়োজন অনুসারে এটির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অর্থাৎ, ব্যবহারকারী চাইলে হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ও অন্যান্য বিষয় পরিবর্তন করতে পারেন। তারপর এই পরিবর্তনগুলো কীভাবে একটি অভ্যন্তরীণ ক্যামেরার মাধ্যমে বাস্তব সময়ে হার্টের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে তা দেখতে পাবেন।
নতুন আবিষ্কৃত এই বায়োরোবোটিক হার্ট মানুষের হৃৎপিণ্ডে যেভাবে রক্ত প্রবাহিত হয় ঠিক সেভাবেই রক্ত পাম্প করতে পারে। পুরো সিমুলেশনে কোনো প্রাণীর সতেজ হৃৎপিণ্ড ব্যবহার করা হলে সেটি যত দিন কার্যক্ষম থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি কার্যক্ষম থাকে এই বায়োরোবোটিক হার্ট। যেমন এই সিমুলেটরে ব্যবহৃত শূকরের হৃৎপিণ্ড মাত্র কয়েক ঘণ্টা সতেজ ছিল। কিন্তু এই বায়োরোবোটিক হার্ট কয়েক মাস কাজ করেছে।
তবে গবেষকেরা এখনো এই বায়োরোবোটিক হার্ট প্রকৃতপক্ষে কত সময় টিকে থাকবে সে বিষয়ে স্থির নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি রোচ ও তাঁর দলের সদস্যরা। রোচ বলেছেন, ‘এই বায়োরোবোটিক হার্টটি ঠিক কতটা সময় কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে পারে ও কী পরিমাণ রক্ত প্রবাহের চক্র সে পূরণ করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের এখনো পরীক্ষা (শেলফ-লাইফ ফ্যাটিগ টেস্ট) করা বাকি।’
বিশ্বের প্রথম বায়োরোবোটিক হৃৎপিণ্ড তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি প্রায় মানুষের হৃৎপিণ্ডের মতোই দেখতে এবং একইভাবে কাজ করে। তবে এটি এখনো মানুষের দেহে প্রতিস্থাপনের উপযোগী নয়। মূলত মানুষের বিভিন্ন ধরনের হৃদ্রোগ গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই বায়োরোবোটিক হৃৎপিণ্ড। বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স ডেইলির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূলত একটি সক্রিয় হৃৎপিণ্ডে সিলিকনের তৈরি একটি কৃত্রিম পাম্প বসিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। এই হৃৎপিণ্ড মানুষের হৃৎপিণ্ডের বাম নিলয় ও অলিন্দের ভালব বা কপাটিকার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা শূকরের হৃৎপিণ্ডের টিস্যু ও সিলিকনের তৈরি পাম্পের (এক ধরনের রোবোটিক পেশি টিস্যু, যা নিজে নিজে সংকুচিত-প্রসারিত হতে পারে এবং একে বাইরে থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়) সমন্বয়ে এই বায়োরোবোটিক হার্ট তৈরি করেছেন।
এই বায়োরোবোটিক হার্টকে প্রয়োজন অনুসারে সুস্থ ও অসুস্থ দেহের হৃৎপিণ্ডের মতো করে স্পন্দিত করানো যায়। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এর সাহায্যে হৃৎপিণ্ডে কী কী বাধা তৈরি হয়, জটিলতা তৈরি হয় সে বিষয়ক জানাশোনা সহজ হবে এবং একই সঙ্গে এ থেকে হৃৎপিণ্ডের সামগ্রিক অবস্থার বিষয়ে রিয়েল টাইম বা তাৎক্ষণিক সব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে। এটিকে এখনই কোনো প্রাণীর দেহে ব্যবহার না করে আগে সিমুলেটর হিসেব ব্যবহার করে এর কার্যকারিতা ও অন্যান্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।
গত ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ডিভাইসে এই বিষয়ক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নতুন এই বায়োরোবোটিক হার্টের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অ্যালেন রোচে বলেছেন, ‘কল্পনা করুন, একটি গবেষণাগারে একটি হৃৎপিণ্ড স্পন্দিত হচ্ছে।’
অ্যালান রোচে আরও বলেন, ‘এই সিমুলেটরে রক্তের পরিবর্তে একটি পরিষ্কার তরল পাম্প করা হবে এবং রক্ত প্রবাহ, রক্তচাপ ও অন্যান্য অনেক বিষয় পরিমাপ করে এমন সব যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এটি। এটিকে কাস্টমাইজ বা প্রয়োজন অনুসারে এটির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অর্থাৎ, ব্যবহারকারী চাইলে হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ও অন্যান্য বিষয় পরিবর্তন করতে পারেন। তারপর এই পরিবর্তনগুলো কীভাবে একটি অভ্যন্তরীণ ক্যামেরার মাধ্যমে বাস্তব সময়ে হার্টের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে তা দেখতে পাবেন।
নতুন আবিষ্কৃত এই বায়োরোবোটিক হার্ট মানুষের হৃৎপিণ্ডে যেভাবে রক্ত প্রবাহিত হয় ঠিক সেভাবেই রক্ত পাম্প করতে পারে। পুরো সিমুলেশনে কোনো প্রাণীর সতেজ হৃৎপিণ্ড ব্যবহার করা হলে সেটি যত দিন কার্যক্ষম থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি কার্যক্ষম থাকে এই বায়োরোবোটিক হার্ট। যেমন এই সিমুলেটরে ব্যবহৃত শূকরের হৃৎপিণ্ড মাত্র কয়েক ঘণ্টা সতেজ ছিল। কিন্তু এই বায়োরোবোটিক হার্ট কয়েক মাস কাজ করেছে।
তবে গবেষকেরা এখনো এই বায়োরোবোটিক হার্ট প্রকৃতপক্ষে কত সময় টিকে থাকবে সে বিষয়ে স্থির নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি রোচ ও তাঁর দলের সদস্যরা। রোচ বলেছেন, ‘এই বায়োরোবোটিক হার্টটি ঠিক কতটা সময় কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে পারে ও কী পরিমাণ রক্ত প্রবাহের চক্র সে পূরণ করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের এখনো পরীক্ষা (শেলফ-লাইফ ফ্যাটিগ টেস্ট) করা বাকি।’
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
২ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
১ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
১ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৩ দিন আগে