অনলাইন ডেস্ক
মাংস খাওয়ার কথা মনে হতেই তীব্র বিরক্তি ও বমিভাবের উদ্রেক হতে পারে অনেক নিরামিষভোজীর। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, নিরামিষভোজীরা মানুষের মল বা মানুষের দেহাংশ খাওয়ার কথা চিন্তা করে যে রকম প্রতিক্রিয়া দেখান, একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখান মাংস খাওয়ার কথা চিন্তা করে।
এই গবেষণায় ২৫২ জন নিরামিষভোজী এবং ৫৭ জন মাংসাশী মানুষের তথ্য নেওয়া হয়। প্রথমে তাঁদের সামনে রাখা হয় কিছু অপ্রিয় সবজি; যেমন—কাঁচা পেঁয়াজ, জলপাই, ব্রকোলি, বিট ও বেগুন। এই খাবারগুলোর প্রতি তাঁরা ‘অরুচিকর’ প্রতিক্রিয়া দেখান। অর্থাৎ, এসবের স্বাদ বা গন্ধের মধ্যে কিছু একটা তাঁদের কাছে ভালো লাগেনি।
এরপর যখন তাঁদের দেখানো হয় রান্না করা মুরগি, বেকন ও স্টেক—তখন নিরামিষভোজীরা একেবারে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখান। অনেকে জানান, তাঁরা মাংস খাওয়ার চিন্তাতেই বমি বোধ করেন। কেউ কেউ বলেন, এমনকি মাংসের সংস্পর্শে আসা খাবারও তাঁরা ছুঁতে চান না।
এই প্রতিক্রিয়া গবেষকেরা সংজ্ঞায়িত করেছেন ‘অস্বস্তি’ হিসেবে, যা মানসিক ও আবেগজনিত একটি গভীর প্রতিক্রিয়া।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিরামিষভোজীরা যখন মানব মল বা কুকুরের মাংস (যা আদতে সাধারণ মাংস ছিল, শুধু লেবেল বদলে দেওয়া হয়েছিল) খাওয়ার চিন্তা করেন, তখন তাঁরা একই রকম অস্বস্তি অনুভব করেন।
গবেষণাপ্রধান ড. এলিসা বেকার বলেন, ‘অরুচি হচ্ছে একটি প্রাচীন প্রতিক্রিয়া, যা তিক্ত বা অতিরিক্ত টক স্বাদের প্রতি তৈরি হয়। তবে অস্বস্তি একটি মানবিক ও জটিল প্রতিক্রিয়া, যা নির্ধারিত হয় একটি খাদ্যবস্তুকে কী ভাবা হচ্ছে, তার ওপর।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক ইতিহাসে অস্বস্তির উদ্ভব হয়েছে রোগ ও সংক্রমণ এড়াতে। মাংস বা প্রাণিজ পণ্য—এমনকি আমাদের শরীর থেকেও উৎপন্ন জিনিসগুলো—সবই রোগ ছড়ানোর বাহক হতে পারে। আর তাই আমাদের মস্তিষ্ক এসবের প্রতি অস্বস্তি গড়ে তুলেছে।
গবেষক দলের মতে, এ তথ্য ভবিষ্যতে টেকসই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। উদ্ভিদভিত্তিক বা গবেষণাগারে প্রস্তুত মাংসও অনেক নিরামিষভোজীর কাছে ‘অস্বস্তিজনক’ মনে হয়। তাই তাঁদের মানসিকতা বুঝে সেই খাদ্যগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো সম্ভব হতে পারে।
মাংস খাওয়ার কথা মনে হতেই তীব্র বিরক্তি ও বমিভাবের উদ্রেক হতে পারে অনেক নিরামিষভোজীর। সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, নিরামিষভোজীরা মানুষের মল বা মানুষের দেহাংশ খাওয়ার কথা চিন্তা করে যে রকম প্রতিক্রিয়া দেখান, একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখান মাংস খাওয়ার কথা চিন্তা করে।
এই গবেষণায় ২৫২ জন নিরামিষভোজী এবং ৫৭ জন মাংসাশী মানুষের তথ্য নেওয়া হয়। প্রথমে তাঁদের সামনে রাখা হয় কিছু অপ্রিয় সবজি; যেমন—কাঁচা পেঁয়াজ, জলপাই, ব্রকোলি, বিট ও বেগুন। এই খাবারগুলোর প্রতি তাঁরা ‘অরুচিকর’ প্রতিক্রিয়া দেখান। অর্থাৎ, এসবের স্বাদ বা গন্ধের মধ্যে কিছু একটা তাঁদের কাছে ভালো লাগেনি।
এরপর যখন তাঁদের দেখানো হয় রান্না করা মুরগি, বেকন ও স্টেক—তখন নিরামিষভোজীরা একেবারে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখান। অনেকে জানান, তাঁরা মাংস খাওয়ার চিন্তাতেই বমি বোধ করেন। কেউ কেউ বলেন, এমনকি মাংসের সংস্পর্শে আসা খাবারও তাঁরা ছুঁতে চান না।
এই প্রতিক্রিয়া গবেষকেরা সংজ্ঞায়িত করেছেন ‘অস্বস্তি’ হিসেবে, যা মানসিক ও আবেগজনিত একটি গভীর প্রতিক্রিয়া।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, নিরামিষভোজীরা যখন মানব মল বা কুকুরের মাংস (যা আদতে সাধারণ মাংস ছিল, শুধু লেবেল বদলে দেওয়া হয়েছিল) খাওয়ার চিন্তা করেন, তখন তাঁরা একই রকম অস্বস্তি অনুভব করেন।
গবেষণাপ্রধান ড. এলিসা বেকার বলেন, ‘অরুচি হচ্ছে একটি প্রাচীন প্রতিক্রিয়া, যা তিক্ত বা অতিরিক্ত টক স্বাদের প্রতি তৈরি হয়। তবে অস্বস্তি একটি মানবিক ও জটিল প্রতিক্রিয়া, যা নির্ধারিত হয় একটি খাদ্যবস্তুকে কী ভাবা হচ্ছে, তার ওপর।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক ইতিহাসে অস্বস্তির উদ্ভব হয়েছে রোগ ও সংক্রমণ এড়াতে। মাংস বা প্রাণিজ পণ্য—এমনকি আমাদের শরীর থেকেও উৎপন্ন জিনিসগুলো—সবই রোগ ছড়ানোর বাহক হতে পারে। আর তাই আমাদের মস্তিষ্ক এসবের প্রতি অস্বস্তি গড়ে তুলেছে।
গবেষক দলের মতে, এ তথ্য ভবিষ্যতে টেকসই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হতে পারে। উদ্ভিদভিত্তিক বা গবেষণাগারে প্রস্তুত মাংসও অনেক নিরামিষভোজীর কাছে ‘অস্বস্তিজনক’ মনে হয়। তাই তাঁদের মানসিকতা বুঝে সেই খাদ্যগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো সম্ভব হতে পারে।
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে