গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নিয়ম অনুসারে প্রতি চার বছর পরপর লিপইয়ার বা অধিবর্ষ হয়। এই বছরও একটি লিপইয়ার অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাস এবার ২৯ দিন। তবে লিপইয়ার না থাকলে কী সমস্যা হতো, এমন প্রশ্ন অনেকের মনে আসতেই পারে।
আগে জেনে নেওয়া যাক: লিপইয়ারের বিষয়টি প্রচলিত হওয়ার বিশেষ কী কারণ রয়েছে।
বলা হয়, সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন লাগে। তবে এই তথ্য নির্ভুল নয়। কারণ সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিনের কিছু বেশি সময় লাগে। এই সময় হলো—৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। ১২ মাসের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সাধারণত ৩৬৫ দিন থাকে। বাড়তি সময়টির সমন্বয় করতে চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়। তাই ২৮ দিনের বদলে চার বছর পর ফেব্রুয়ারি মাস হয় ২৯ দিনে।
লিপইয়ারের ধারণাটি প্রাচীন রোম থেকে পাওয়া যায়। সেসময় চাঁদের চক্র ও পর্যায়গুলোর ওপর ভিত্তি করে ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে ৩৫৫ দিনের একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়।
৪৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের শাসনামলে, সূর্যের ওপর ভিত্তি করে প্রাচীন মিসরীয় পঞ্জিকার আদলে একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। প্রতি চার বছর পর ফেব্রুয়ারিতে একটি অতিরিক্ত দিন যুক্ত করা হয় এই ক্যালেন্ডারে। সিজারের নাম অনুসারে এর নাম রাখা হয় জুলিয়ান ক্যালেন্ডার।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, মানুষ বুঝতে পারে পৃথিবীর যাত্রা ঠিক ৩৬৫ দশমিক ২৫ দিন নয়। এটি আসলে ৩৬৫ দশমিক ২৪২১৯ দিন বা ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। অর্থাৎ প্রচলিত ধারণার চেয়ে ১১ মিনিট কম। ফলে প্রতি চার বছর পরপর বাড়তি একটি দিন নিয়ে সূর্য বর্ষ সমন্বয় করলে প্রয়োজনের কিছু বেশি সময় যোগ করা হয়।
এ জন্য ১৫৮২ সালে পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে একটি ছোট পরিবর্তন আনেন। এই পরিবর্তিত পঞ্জিকাবর্ষ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি চার বছর পর পরই লিপইয়ার হবে। তবে যেসব বছর (সাল) ১০০ দিয়ে নিঃশেষে ভাগ করা যাবে কিন্তু ৪০০ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য নয় সেগুলো লিপইয়ার হিসেবে গণ্য করা হয় না। যেমন: ২০০০ এবং ১৬০০ সাল লিপইয়ার হলেও ১৭০০,১৮০০ ও ১৯০০ সাল লিপইয়ার নয়।
লিপইয়ার কেন প্রয়োজনীয়
যদি ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছর অন্তর সময়ের সেই ছোট সংশোধন না করা হয় তবে ধীরে ধীরে ঋতুগুলোর সঙ্গে তারিখের আর সামঞ্জস্য থাকবে না। ক্যালেন্ডারে দেখানো গ্রীষ্মকালে প্রকৃতপক্ষে শীতকাল পড়বে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে কৃষিতে। কৃষকেরা ক্যালেন্ডার দেখলে ফসলের মৌসুম নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন।
বিশ্বের অন্যান্য ক্যালেন্ডারে সময় গণনা ঠিক রাখার নিজস্ব উপায় রয়েছে। ইহুদি ক্যালেন্ডার চাঁদ ও সূর্য উভয়কে বিবেচনায় রেখে করা হয়। এই ক্যালেন্ডারে প্রতি ১৯ বছরের মধ্যে সাতবার একটি করে পুরো মাস যোগ করা হয়। বিশেষ পার্বণ যেন প্রতি বছর একই সময় আসে তা নিশ্চিত করতে মাঝে মধ্যে এই ক্যালেন্ডারে একটি লিপ মাস যোগ করা হয়।
ইসলাম ক্যালেন্ডার আরও অনন্য। এটি চাঁদের পর্যায়গুলো অনুসরণ করে ও কোনো অতিরিক্ত দিন যোগ করে না। যেহেতু একটি চন্দ্র বছর মাত্র ৩৫৫ দিন দীর্ঘ, তাই ইসলামি ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো প্রতি বছর সৌর ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১০ থেকে ১১ দিন এগিয়ে আসে।
উদাহরণস্বরূপ, রমজান মাস ইসলামিক বা হিজরি ক্যালেন্ডারের নবম মাস। চলতি ২০২৪ সালে রমজান ১১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে গত বছর রমজান ছিল ২৪ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল। একই ভাবে ২০২৫ সালে ১ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত এবং ২০২৬ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ রমজান মাস পড়তে পারে।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের নিয়ম অনুসারে প্রতি চার বছর পরপর লিপইয়ার বা অধিবর্ষ হয়। এই বছরও একটি লিপইয়ার অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাস এবার ২৯ দিন। তবে লিপইয়ার না থাকলে কী সমস্যা হতো, এমন প্রশ্ন অনেকের মনে আসতেই পারে।
আগে জেনে নেওয়া যাক: লিপইয়ারের বিষয়টি প্রচলিত হওয়ার বিশেষ কী কারণ রয়েছে।
বলা হয়, সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন লাগে। তবে এই তথ্য নির্ভুল নয়। কারণ সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিনের কিছু বেশি সময় লাগে। এই সময় হলো—৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। ১২ মাসের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সাধারণত ৩৬৫ দিন থাকে। বাড়তি সময়টির সমন্বয় করতে চার বছর পর পর ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়। তাই ২৮ দিনের বদলে চার বছর পর ফেব্রুয়ারি মাস হয় ২৯ দিনে।
লিপইয়ারের ধারণাটি প্রাচীন রোম থেকে পাওয়া যায়। সেসময় চাঁদের চক্র ও পর্যায়গুলোর ওপর ভিত্তি করে ৩৬৫ দিনের পরিবর্তে ৩৫৫ দিনের একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়।
৪৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের শাসনামলে, সূর্যের ওপর ভিত্তি করে প্রাচীন মিসরীয় পঞ্জিকার আদলে একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। প্রতি চার বছর পর ফেব্রুয়ারিতে একটি অতিরিক্ত দিন যুক্ত করা হয় এই ক্যালেন্ডারে। সিজারের নাম অনুসারে এর নাম রাখা হয় জুলিয়ান ক্যালেন্ডার।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, মানুষ বুঝতে পারে পৃথিবীর যাত্রা ঠিক ৩৬৫ দশমিক ২৫ দিন নয়। এটি আসলে ৩৬৫ দশমিক ২৪২১৯ দিন বা ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। অর্থাৎ প্রচলিত ধারণার চেয়ে ১১ মিনিট কম। ফলে প্রতি চার বছর পরপর বাড়তি একটি দিন নিয়ে সূর্য বর্ষ সমন্বয় করলে প্রয়োজনের কিছু বেশি সময় যোগ করা হয়।
এ জন্য ১৫৮২ সালে পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে একটি ছোট পরিবর্তন আনেন। এই পরিবর্তিত পঞ্জিকাবর্ষ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি চার বছর পর পরই লিপইয়ার হবে। তবে যেসব বছর (সাল) ১০০ দিয়ে নিঃশেষে ভাগ করা যাবে কিন্তু ৪০০ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য নয় সেগুলো লিপইয়ার হিসেবে গণ্য করা হয় না। যেমন: ২০০০ এবং ১৬০০ সাল লিপইয়ার হলেও ১৭০০,১৮০০ ও ১৯০০ সাল লিপইয়ার নয়।
লিপইয়ার কেন প্রয়োজনীয়
যদি ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছর অন্তর সময়ের সেই ছোট সংশোধন না করা হয় তবে ধীরে ধীরে ঋতুগুলোর সঙ্গে তারিখের আর সামঞ্জস্য থাকবে না। ক্যালেন্ডারে দেখানো গ্রীষ্মকালে প্রকৃতপক্ষে শীতকাল পড়বে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে কৃষিতে। কৃষকেরা ক্যালেন্ডার দেখলে ফসলের মৌসুম নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন।
বিশ্বের অন্যান্য ক্যালেন্ডারে সময় গণনা ঠিক রাখার নিজস্ব উপায় রয়েছে। ইহুদি ক্যালেন্ডার চাঁদ ও সূর্য উভয়কে বিবেচনায় রেখে করা হয়। এই ক্যালেন্ডারে প্রতি ১৯ বছরের মধ্যে সাতবার একটি করে পুরো মাস যোগ করা হয়। বিশেষ পার্বণ যেন প্রতি বছর একই সময় আসে তা নিশ্চিত করতে মাঝে মধ্যে এই ক্যালেন্ডারে একটি লিপ মাস যোগ করা হয়।
ইসলাম ক্যালেন্ডার আরও অনন্য। এটি চাঁদের পর্যায়গুলো অনুসরণ করে ও কোনো অতিরিক্ত দিন যোগ করে না। যেহেতু একটি চন্দ্র বছর মাত্র ৩৫৫ দিন দীর্ঘ, তাই ইসলামি ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো প্রতি বছর সৌর ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১০ থেকে ১১ দিন এগিয়ে আসে।
উদাহরণস্বরূপ, রমজান মাস ইসলামিক বা হিজরি ক্যালেন্ডারের নবম মাস। চলতি ২০২৪ সালে রমজান ১১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে গত বছর রমজান ছিল ২৪ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল। একই ভাবে ২০২৫ সালে ১ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত এবং ২০২৬ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ রমজান মাস পড়তে পারে।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে