আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে প্রাচীন একটি শহরে খননের সময় এক বিরল মোজাইক আবিষ্কৃত হয়েছে। গবেষকদের মতে, মোজাইকটি চতুর্থ বা পঞ্চম খ্রিষ্টীয় শতাব্দীর এক প্রবীণ নিবাস বা বৃদ্ধাশ্রমের চিহ্ন হতে পারে। এটি হতে পারে প্রবীণদের জন্য তৈরি প্রথম বৃদ্ধাশ্রমের মোজাইক।
প্রাচীন বাইজেন্টাইন খ্রিষ্টান নগরী হিপ্পোসে চলমান খননে মোজাইকটি আবিষ্কৃত হয়েছে। গ্যালিলি সাগরের পূর্বদিকে একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত নগরীটি খ্রিষ্টীয় ধর্ম ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।
মোজাইকটিতে গ্রিক ভাষায় লেখা একটি তিন লাইনের শিলালিপি রয়েছে, ‘প্রবীণদের শান্তি কামনা করি’—যা একটি ক্রুশচিহ্নের ওপরের অংশে খোদাই করা। পাশাপাশি এতে খ্রিষ্টীয় প্রতীক আলফা ও ওমেগা (গ্রিক বর্ণমালার প্রথম ও শেষ অক্ষর), ময়ূর, চ্যালিস (পানপাত্র) থেকে পানি পানরত পাখি, সাইট্রাস ও সাইপ্রাস গাছের চিত্রও রয়েছে।
গবেষক দলের মতে, এটি বাইজেন্টাইন যুগে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রবীণদের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয় বহন করে। এর আগে প্রবীণদের দেখভালের দায়িত্ব একান্তই পরিবারের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই নতুন ধাঁচের প্রতিষ্ঠান দেখায় যে খ্রিষ্টান সমাজে পরিবার ছাড়াও, যেমন—মঠ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে—প্রবীণদের যত্নে সংগঠিত ব্যবস্থা গড়ে উঠছিল।
অবশ্য প্রথমে মোজাইকটির খ্রিষ্টীয় প্রতীক দেখে এটি গির্জার অংশ বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে হিপ্পোসে ইতিমধ্যে একাধিক গির্জা খনন করে ফেলেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এবং স্থাপত্যগত কোনো প্রমাণ না পাওয়ায়, তারা ভিন্ন সম্ভাবনার কথা ভাবতে শুরু করেন। তখনই মোজাইকটির শিলালিপি, শৈলী এবং শহরের দুটি প্রধান সড়কের সংযোগস্থলে এর অবস্থান পর্যালোচনা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় অব হাইফার জিনম্যান ইনস্টিটিউট অব আর্কিওলজির নেতৃত্বে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের খননে এই মোজাইকটির একটি সংরক্ষিত খণ্ড পাওয়া যায়। এটি চারপাশে ভাঙা অবস্থায় ছিল এবং এর ওপর স্তূপ হয়ে ছিল নির্মাণের ধ্বংসাবশেষ। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বাইজেন্টাইন মৃৎপাত্রের টুকরো এবং ভাঙা মোজাইকসহ অন্যান্য অসম্পূর্ণ শিলালিপি পাওয়া গেছে। মেঝের নিচে পাওয়া কয়েনগুলোর তারিখ চতুর্থ শতাব্দীর শেষ থেকে পঞ্চম শতাব্দীর শুরুর দিকের বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় অব কোলোনের শাস্ত্রবিদ গ্রেগর স্টাবসহ গবেষক দলটি প্রাচীন গ্রিক শিলালিপি ও খ্রিষ্টীয় লেখাসমূহ বিশ্লেষণ করেন। তাঁরা জেরুজালেমের একটি শিলালিপির উল্লেখ করেন, যেখানে বাইজেন্টিয়াম থেকে আগত এক দাতা দম্পতি মেরি থিওটোকোসের (ভার্জিন মেরির খ্রিষ্টীয় উপাধি) নামে একটি গির্জার সঙ্গে ‘প্রবীণ নারীদের জন্য একটি নিবাস’ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছেন।
এই আবিষ্কারকে ‘চমকপ্রদ’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের বাইজেন্টাইন শিল্পের অধ্যাপক এমেরিটা লেসলি ব্রুবেকার। তিনি বলেন, ওই সময়ের হাসপাতালগুলোতে প্রবীণদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকত, তাই এটি হয়তো একটি বৃহৎ হাসপাতালের প্রবীণদের জন্য নির্ধারিত অংশও হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের আরেক বাইজেন্টাইন পণ্ডিত ড্যানিয়েল রেনল্ডস বলেন, ‘ক্রুশ, আলফা ও ওমেগা এবং লরেল পুষ্পমালার প্রতীক সাধারণত গির্জা বা মঠে দেখা যায়। তবে “ওয়াটার অব লাইফ” একটি নিরাময়কেন্দ্রের প্রতীকও হতে পারে। সম্ভবত আমরা একটি নগরভিত্তিক মঠের অংশ দেখছি, যেখানে প্রবীণদের যত্নের ব্যবস্থাও ছিল।’
তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও খনন জরুরি বলে মত দিয়েছেন রেনল্ডস। একই মত পোষণ করেন খনন প্রকল্পের সহপরিচালক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ মাইকেল আইজেনবার্গ। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কারের পর আমাদের সামনে অনেক নতুন প্রশ্ন এসেছে। আমাদের অনেক সহকর্মী এগুলো নিয়ে গবেষণায় উৎসাহিত।’
ডেকাপোলিস নামক গ্রিক সংস্কৃতির দশটি শহরের অন্যতম ছিল হিপ্পোস। বাইজেন্টাইন যুগে এটি একটি ধর্মীয়, সামাজিক ও কৃষিভিত্তিক কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে এটি ইসরায়েল নেচার অ্যান্ড পার্কস অথরিটি পরিচালিত সুসিতা ন্যাশনাল পার্কের অংশ।
২০০০ সাল থেকে সেখানে নিয়মিত খননকাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা রোমান যুগের একটি ব্যাসিলিকা, থিয়েটার, স্নানাগার, নগর ফটক ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছেন।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে প্রাচীন একটি শহরে খননের সময় এক বিরল মোজাইক আবিষ্কৃত হয়েছে। গবেষকদের মতে, মোজাইকটি চতুর্থ বা পঞ্চম খ্রিষ্টীয় শতাব্দীর এক প্রবীণ নিবাস বা বৃদ্ধাশ্রমের চিহ্ন হতে পারে। এটি হতে পারে প্রবীণদের জন্য তৈরি প্রথম বৃদ্ধাশ্রমের মোজাইক।
প্রাচীন বাইজেন্টাইন খ্রিষ্টান নগরী হিপ্পোসে চলমান খননে মোজাইকটি আবিষ্কৃত হয়েছে। গ্যালিলি সাগরের পূর্বদিকে একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত নগরীটি খ্রিষ্টীয় ধর্ম ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।
মোজাইকটিতে গ্রিক ভাষায় লেখা একটি তিন লাইনের শিলালিপি রয়েছে, ‘প্রবীণদের শান্তি কামনা করি’—যা একটি ক্রুশচিহ্নের ওপরের অংশে খোদাই করা। পাশাপাশি এতে খ্রিষ্টীয় প্রতীক আলফা ও ওমেগা (গ্রিক বর্ণমালার প্রথম ও শেষ অক্ষর), ময়ূর, চ্যালিস (পানপাত্র) থেকে পানি পানরত পাখি, সাইট্রাস ও সাইপ্রাস গাছের চিত্রও রয়েছে।
গবেষক দলের মতে, এটি বাইজেন্টাইন যুগে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রবীণদের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয় বহন করে। এর আগে প্রবীণদের দেখভালের দায়িত্ব একান্তই পরিবারের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই নতুন ধাঁচের প্রতিষ্ঠান দেখায় যে খ্রিষ্টান সমাজে পরিবার ছাড়াও, যেমন—মঠ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে—প্রবীণদের যত্নে সংগঠিত ব্যবস্থা গড়ে উঠছিল।
অবশ্য প্রথমে মোজাইকটির খ্রিষ্টীয় প্রতীক দেখে এটি গির্জার অংশ বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে হিপ্পোসে ইতিমধ্যে একাধিক গির্জা খনন করে ফেলেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এবং স্থাপত্যগত কোনো প্রমাণ না পাওয়ায়, তারা ভিন্ন সম্ভাবনার কথা ভাবতে শুরু করেন। তখনই মোজাইকটির শিলালিপি, শৈলী এবং শহরের দুটি প্রধান সড়কের সংযোগস্থলে এর অবস্থান পর্যালোচনা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় অব হাইফার জিনম্যান ইনস্টিটিউট অব আর্কিওলজির নেতৃত্বে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের খননে এই মোজাইকটির একটি সংরক্ষিত খণ্ড পাওয়া যায়। এটি চারপাশে ভাঙা অবস্থায় ছিল এবং এর ওপর স্তূপ হয়ে ছিল নির্মাণের ধ্বংসাবশেষ। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বাইজেন্টাইন মৃৎপাত্রের টুকরো এবং ভাঙা মোজাইকসহ অন্যান্য অসম্পূর্ণ শিলালিপি পাওয়া গেছে। মেঝের নিচে পাওয়া কয়েনগুলোর তারিখ চতুর্থ শতাব্দীর শেষ থেকে পঞ্চম শতাব্দীর শুরুর দিকের বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় অব কোলোনের শাস্ত্রবিদ গ্রেগর স্টাবসহ গবেষক দলটি প্রাচীন গ্রিক শিলালিপি ও খ্রিষ্টীয় লেখাসমূহ বিশ্লেষণ করেন। তাঁরা জেরুজালেমের একটি শিলালিপির উল্লেখ করেন, যেখানে বাইজেন্টিয়াম থেকে আগত এক দাতা দম্পতি মেরি থিওটোকোসের (ভার্জিন মেরির খ্রিষ্টীয় উপাধি) নামে একটি গির্জার সঙ্গে ‘প্রবীণ নারীদের জন্য একটি নিবাস’ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছেন।
এই আবিষ্কারকে ‘চমকপ্রদ’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের বাইজেন্টাইন শিল্পের অধ্যাপক এমেরিটা লেসলি ব্রুবেকার। তিনি বলেন, ওই সময়ের হাসপাতালগুলোতে প্রবীণদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকত, তাই এটি হয়তো একটি বৃহৎ হাসপাতালের প্রবীণদের জন্য নির্ধারিত অংশও হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের আরেক বাইজেন্টাইন পণ্ডিত ড্যানিয়েল রেনল্ডস বলেন, ‘ক্রুশ, আলফা ও ওমেগা এবং লরেল পুষ্পমালার প্রতীক সাধারণত গির্জা বা মঠে দেখা যায়। তবে “ওয়াটার অব লাইফ” একটি নিরাময়কেন্দ্রের প্রতীকও হতে পারে। সম্ভবত আমরা একটি নগরভিত্তিক মঠের অংশ দেখছি, যেখানে প্রবীণদের যত্নের ব্যবস্থাও ছিল।’
তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও খনন জরুরি বলে মত দিয়েছেন রেনল্ডস। একই মত পোষণ করেন খনন প্রকল্পের সহপরিচালক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ মাইকেল আইজেনবার্গ। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কারের পর আমাদের সামনে অনেক নতুন প্রশ্ন এসেছে। আমাদের অনেক সহকর্মী এগুলো নিয়ে গবেষণায় উৎসাহিত।’
ডেকাপোলিস নামক গ্রিক সংস্কৃতির দশটি শহরের অন্যতম ছিল হিপ্পোস। বাইজেন্টাইন যুগে এটি একটি ধর্মীয়, সামাজিক ও কৃষিভিত্তিক কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে এটি ইসরায়েল নেচার অ্যান্ড পার্কস অথরিটি পরিচালিত সুসিতা ন্যাশনাল পার্কের অংশ।
২০০০ সাল থেকে সেখানে নিয়মিত খননকাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা রোমান যুগের একটি ব্যাসিলিকা, থিয়েটার, স্নানাগার, নগর ফটক ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছেন।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরদের রাজত্বের অবসান হয় এক ভয়ংকর গ্রহাণু আছড়ে পড়ার মাধ্যমে। প্রায় ১২ কিলোমিটার প্রস্থের একটি গ্রহাণু ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই সংঘর্ষের ফলে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রজ
১ ঘণ্টা আগেপ্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
১ দিন আগেমহাবিশ্বের একেবারে প্রারম্ভিক যুগে একটি বিশাল আকারের ব্ল্যাকহলো বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। তবে এটি তাত্ত্বিক সীমার চেয়েও ২ দশমিক ৪ গুণ বেশি হারে বড় হচ্ছে। এই আবিষ্কারটি মহাবিশ্বের শুরুর দিকে জন্ম নেওয়া কৃষ্ণগহ্বরগুলো কীভাবে এত দ্রুত এত বিশাল হয়ে উঠেছে, সেই রহস্যকে আরও ঘনীভূত করেছে।
২ দিন আগেফুটবল ম্যাচে দর্শকেরা প্রায়ই দেখতে পান, খেলোয়াড়েরা পানীয়ের বোতল থেকে এক চুমুক নিয়ে তা কিছুক্ষণ পরই মুখ থেকে ফেলে দিচ্ছেন। ব্যাপারটি দেখে অবাক লাগলেও এর পেছনে রয়েছে পুরোদস্তুর কৌশল এবং বৈজ্ঞানিক কারণ।
২ দিন আগে