আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাতের আকাশে চাঁদ ও তারার সৌন্দর্যে যাঁরা মুগ্ধ হন, তাঁদের জন্য আজকের সন্ধ্যা হতে চলেছে এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। আজ দেখা যাবে একটি বিরল পূর্ণিমা—স্ট্রবেরি মুন। তবে এবারের পূর্ণিমা শুধু নামেই নয়, অবস্থানেও ব্যতিক্রম। ২০২৫ সালের এই স্ট্রবেরি মুন হবে বিগত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে ওঠা পূর্ণিমা চাঁদ। এমন দৃশ্য আবার চোখে পড়বে ১৮ বছর পর—২০৪৩ সালে। তাই আজকের রাত শুধু আকাশ দেখার নয়, সময়কে স্মরণে রাখার এক দুর্লভ সুযোগও বটে।
‘স্ট্রবেরি মুনের’ নামকরণ হয়েছে যেভাবে
বছরের প্রতিটি পূর্ণিমার নাম রয়েছে, যেগুলো প্রকৃতি ও ঋতুবৈচিত্র্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন ফেব্রুয়ারির পূর্ণিমা ‘স্নো মুন’ আর জুলাইয়েরটি ‘বাক মুন’। জুন মাসের পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘স্ট্রবেরি মুন’, কারণ এ সময়ই উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে স্ট্রবেরি বা স্ট্রবেরিজাতীয় ফলের মৌসুম শুরু হয়।
এই নামের উৎপত্তি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসী সমাজ থেকে। বিশেষ করে আলগনকুইন গোত্রের সংস্কৃতি থেকে, যারা এই সময়টাকে বুনো স্ট্রবেরি তোলার সময় হিসেবে চিহ্নিত করতেন।
তবে মনে রাখা দরকার, চাঁদ আসলে স্ট্রবেরির মতো গোলাপি বা লাল হবে না। এ নামটি শুধু ঐতিহ্যগত। অবশ্য এ বছর চাঁদ যেহেতু আকাশের খুব নিচে উঠবে, তাই কিছুটা কমলা বা লালচে দেখাতে পারে। তবে তা কেবল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আলো বিচ্ছুরণের কারণে।
বিরল ঘটনা বলার কারণ
২০২৫ সালের স্ট্রবেরি মুন-এর নিচু অবস্থানের কারণ একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা, যাকে বলা হয় ‘মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল’বা ‘লুনিস্টাইস’। যুক্তরাজ্যের প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ইতিহাসবিদ জেনিফার ওয়েক্সলার এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলে, ‘এক বছরে সূর্য আকাশে একটি নির্দিষ্ট চক্র অনুযায়ী অবস্থান পরিবর্তন করে। তবে চাঁদের চক্র অনেক বেশি দ্রুত। চাঁদকে আমরা যেভাবে দেখি, তা প্রতি ২৯.৫ দিনে পরিবর্তিত হয়—পাতলা সাদা বাঁকা চাঁদ থেকে পূর্ণ গোল চাঁদ, তারপর আবার ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে তিন দিনের জন্য আকাশ থেকে হারিয়ে যায়।
এই সময়ের মধ্যে চাঁদ ওঠে ও অস্ত যায় উত্তরতম দিক থেকে দক্ষিণতম দিকে, আবার উত্তরদিকে ফিরে আসে মাত্র ২৭ দিনের মধ্যেই।
চাঁদের এই রূপান্তরের মধ্য দিয়ে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সমাজগুলো সময় পরিমাপ করত। তবে এর বাইরেও চাঁদের একটি দীর্ঘমেয়াদি চক্র আছে, যা ১৮.৬ বছর পরপর ঘটে। এই চক্রে এক সময় আসে, যাকে বলা হয় ‘মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল’। তখন চাঁদের উত্তরতম ও দক্ষিণতম উদয় ও অস্তের অবস্থান সবচেয়ে দূরে চলে যায়। এ সময় চাঁদ সবচেয়ে নিচু অবস্থানে আকাশে দেখা দেয়।
এ বছর সেই চক্রের শিখরে রয়েছে চাঁদ। পরবর্তীবার এমন দৃশ্য আবার দেখা যাবে ২০৪৩ সালে। ফলে ২০২৫ সালের স্ট্রবেরি মুন হয়ে উঠেছে এক প্রজন্মে একবার দেখা যাওয়ার মতো এক দুর্লভ ঘটনা।
কখন ও কোথায় স্ট্রবেরি মুন দেখা যাবে
ইউটিসি সময় অনুযায়ী এর পূর্ণতা পাবে সকাল ৭টা ৪৪ মিনিটে। তবে আজ বুধবার (১১ জুন) বাংলাদেশে সূর্যাস্তের পরপরই পূর্ব আকাশে দেখা মিলবে এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের। চাঁদকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখার জন্য খোলা আকাশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকের দিগন্তে বাধাহীন দৃশ্য প্রয়োজন। উঁচু পাহাড়, খোলা মাঠ কিংবা সমুদ্রতট হতে পারে আদর্শ স্থান।
বাইনোকুলার বা ছোট টেলিস্কোপে চাঁদ দেখতে ভালো লাগলেও পূর্ণিমার চাঁদ আসলে খালি চোখেই সবচেয়ে উপভোগ্য। চা, চেয়ার, আর প্রিয়জন থাকলেই এই অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে অসাধারণ।
চাঁদ যখন নিচে থাকে, তখন তাকে অনেক বড় দেখায়—এটিই ‘মুন ইলিউশন’। সেই সঙ্গে নিচু অবস্থায় কমলা বা লালচে রং দেখা যেতে পারে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়েও এই মুহূর্তগুলো ধরে রাখা সম্ভব। ছবি তোলার চিন্তা বা যন্ত্রের মাধ্যমে দেখার আগ্রহে আমরা অনেক সময় প্রকৃত রূপের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলি। তাই মাঝে মাঝে কেবল তাকিয়ে থাকা, শ্বাস নেওয়া আর চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করাটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন
রাতের আকাশে চাঁদ ও তারার সৌন্দর্যে যাঁরা মুগ্ধ হন, তাঁদের জন্য আজকের সন্ধ্যা হতে চলেছে এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। আজ দেখা যাবে একটি বিরল পূর্ণিমা—স্ট্রবেরি মুন। তবে এবারের পূর্ণিমা শুধু নামেই নয়, অবস্থানেও ব্যতিক্রম। ২০২৫ সালের এই স্ট্রবেরি মুন হবে বিগত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে ওঠা পূর্ণিমা চাঁদ। এমন দৃশ্য আবার চোখে পড়বে ১৮ বছর পর—২০৪৩ সালে। তাই আজকের রাত শুধু আকাশ দেখার নয়, সময়কে স্মরণে রাখার এক দুর্লভ সুযোগও বটে।
‘স্ট্রবেরি মুনের’ নামকরণ হয়েছে যেভাবে
বছরের প্রতিটি পূর্ণিমার নাম রয়েছে, যেগুলো প্রকৃতি ও ঋতুবৈচিত্র্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন ফেব্রুয়ারির পূর্ণিমা ‘স্নো মুন’ আর জুলাইয়েরটি ‘বাক মুন’। জুন মাসের পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘স্ট্রবেরি মুন’, কারণ এ সময়ই উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে স্ট্রবেরি বা স্ট্রবেরিজাতীয় ফলের মৌসুম শুরু হয়।
এই নামের উৎপত্তি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসী সমাজ থেকে। বিশেষ করে আলগনকুইন গোত্রের সংস্কৃতি থেকে, যারা এই সময়টাকে বুনো স্ট্রবেরি তোলার সময় হিসেবে চিহ্নিত করতেন।
তবে মনে রাখা দরকার, চাঁদ আসলে স্ট্রবেরির মতো গোলাপি বা লাল হবে না। এ নামটি শুধু ঐতিহ্যগত। অবশ্য এ বছর চাঁদ যেহেতু আকাশের খুব নিচে উঠবে, তাই কিছুটা কমলা বা লালচে দেখাতে পারে। তবে তা কেবল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আলো বিচ্ছুরণের কারণে।
বিরল ঘটনা বলার কারণ
২০২৫ সালের স্ট্রবেরি মুন-এর নিচু অবস্থানের কারণ একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনা, যাকে বলা হয় ‘মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল’বা ‘লুনিস্টাইস’। যুক্তরাজ্যের প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ইতিহাসবিদ জেনিফার ওয়েক্সলার এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলে, ‘এক বছরে সূর্য আকাশে একটি নির্দিষ্ট চক্র অনুযায়ী অবস্থান পরিবর্তন করে। তবে চাঁদের চক্র অনেক বেশি দ্রুত। চাঁদকে আমরা যেভাবে দেখি, তা প্রতি ২৯.৫ দিনে পরিবর্তিত হয়—পাতলা সাদা বাঁকা চাঁদ থেকে পূর্ণ গোল চাঁদ, তারপর আবার ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে তিন দিনের জন্য আকাশ থেকে হারিয়ে যায়।
এই সময়ের মধ্যে চাঁদ ওঠে ও অস্ত যায় উত্তরতম দিক থেকে দক্ষিণতম দিকে, আবার উত্তরদিকে ফিরে আসে মাত্র ২৭ দিনের মধ্যেই।
চাঁদের এই রূপান্তরের মধ্য দিয়ে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সমাজগুলো সময় পরিমাপ করত। তবে এর বাইরেও চাঁদের একটি দীর্ঘমেয়াদি চক্র আছে, যা ১৮.৬ বছর পরপর ঘটে। এই চক্রে এক সময় আসে, যাকে বলা হয় ‘মেজর লুনার স্ট্যান্ডস্টিল’। তখন চাঁদের উত্তরতম ও দক্ষিণতম উদয় ও অস্তের অবস্থান সবচেয়ে দূরে চলে যায়। এ সময় চাঁদ সবচেয়ে নিচু অবস্থানে আকাশে দেখা দেয়।
এ বছর সেই চক্রের শিখরে রয়েছে চাঁদ। পরবর্তীবার এমন দৃশ্য আবার দেখা যাবে ২০৪৩ সালে। ফলে ২০২৫ সালের স্ট্রবেরি মুন হয়ে উঠেছে এক প্রজন্মে একবার দেখা যাওয়ার মতো এক দুর্লভ ঘটনা।
কখন ও কোথায় স্ট্রবেরি মুন দেখা যাবে
ইউটিসি সময় অনুযায়ী এর পূর্ণতা পাবে সকাল ৭টা ৪৪ মিনিটে। তবে আজ বুধবার (১১ জুন) বাংলাদেশে সূর্যাস্তের পরপরই পূর্ব আকাশে দেখা মিলবে এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের। চাঁদকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখার জন্য খোলা আকাশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকের দিগন্তে বাধাহীন দৃশ্য প্রয়োজন। উঁচু পাহাড়, খোলা মাঠ কিংবা সমুদ্রতট হতে পারে আদর্শ স্থান।
বাইনোকুলার বা ছোট টেলিস্কোপে চাঁদ দেখতে ভালো লাগলেও পূর্ণিমার চাঁদ আসলে খালি চোখেই সবচেয়ে উপভোগ্য। চা, চেয়ার, আর প্রিয়জন থাকলেই এই অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে অসাধারণ।
চাঁদ যখন নিচে থাকে, তখন তাকে অনেক বড় দেখায়—এটিই ‘মুন ইলিউশন’। সেই সঙ্গে নিচু অবস্থায় কমলা বা লালচে রং দেখা যেতে পারে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়েও এই মুহূর্তগুলো ধরে রাখা সম্ভব। ছবি তোলার চিন্তা বা যন্ত্রের মাধ্যমে দেখার আগ্রহে আমরা অনেক সময় প্রকৃত রূপের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলি। তাই মাঝে মাঝে কেবল তাকিয়ে থাকা, শ্বাস নেওয়া আর চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করাটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন
চাঁদে মরিচা ধরছে। আর এর জন্য দায়ী আমাদের পৃথিবী। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা , পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে ছুটে যাওয়া অক্সিজেন কণার প্রভাবে চাঁদের খনিজ পদার্থ হেমাটাইটে (haematite) রূপান্তরিত হচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগেঅর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় (৫৩ বছর) পর আবারও চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করতে চলেছে মানবজাতি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্টেমিস ২ নামের এই মিশনে চারজন নভোচারী চাঁদকে ঘিরে ১০ দিনের মিশনে অংশ নেবেন। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর পর এই প্রথম কোনো নভোচারী পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের বাইরে পা রাখবেন।
২ দিন আগেপ্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরদের রাজত্বের অবসান হয় এক ভয়ংকর গ্রহাণু আছড়ে পড়ার মাধ্যমে। প্রায় ১২ কিলোমিটার প্রস্থের একটি গ্রহাণু ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই সংঘর্ষের ফলে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রজ
৩ দিন আগেপ্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
৪ দিন আগে