অনলাইন ডেস্ক
কল্পবিজ্ঞান নয়—চিরচেনা সমুদ্রের ডলফিনদের ভাষা বুঝতে শিগগিরই সক্ষম হতে চলেছে মানুষ! আর এই বিস্ময়কর অগ্রগতির পেছনে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই।
ডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘ডলফিনগেমা’ নামে গুগলের তৈরি নতুন একটি এআই মডেল ডলফিনদের এই জটিল শব্দ-ভাষা বিশ্লেষণে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া টেক ও ওয়াইল্ড ডলফিন প্রজেক্ট (ডব্লিউডিপি)-এর গবেষকদের সহায়তায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ডব্লিউডিপি-এর গবেষণা অনুসারে, লড়াইয়ের সময় ডলফিনেরা জোরালো স্কোয়াক ব্যবহার করে। আবার সঙ্গীকে আকৃষ্ট করা বা হাঙরের পেছনে ধাওয়া করার সময় তারা মৃদু বাজ-এর মতো ক্লিক দেয় করে। এ ছাড়া মা ও শাবকেরা একে অপরকে নিজেদের বিশেষ শিস-এর মাধ্যমে খুঁজে পায়।
এআই মডেলটি এসব শব্দকে এমনভাবে রূপান্তর করবে, যা বিশ্লেষণযোগ্য। শব্দের প্যাটার্ন ও তাৎপর্য শনাক্ত করাই এ প্রকল্পের লক্ষ্য। চমকপ্রদভাবে, ‘ডলফিনগেমা’ সরাসরি ফিল্ড গবেষকদের স্মার্টফোনে চলবে। অর্থাৎ সমুদ্রে ভাসমান অবস্থাতেও গবেষণার সুবিধা হবে।
বর্তমানে আটলান্টিক স্পটেড ডলফিনদের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই এআইকে। তবে গবেষকেরা ভবিষ্যতে বটলনোজ ও স্পিনার প্রজাতির ডলফিনদের ওপরেও এটি প্রয়োগ করতে চান।
ডলফিনদের ভাষা ব্যাখ্যা করতে এই মডেলটি ব্যবহার করছে একধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যা জটিল তথ্যের মধ্যে প্যাটার্ন খুঁজে বের করতে পারদর্শী। বলা যায়, চ্যাটজিপিটি যেভাবে মানুষের ভাষা বোঝে, ঠিক তেমনিভাবেই ডলফিনগেমা ডলফিনের শব্দের কাঠামো ও সংকেত বোঝার চেষ্টা করছে।
এতে গবেষণার গণ্ডি শুধু শব্দ রেকর্ডিংয়ে সীমিত থাকছে না—ডলফিনদের ভাষা একটি বাস্তব যোগাযোগব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এতে হয়তো শিগগিরই মানুষ আর ডলফিনের মধ্যে সত্যিকার ‘আন্তঃপ্রজাতীয় সংলাপ’ সম্ভব হতে চলেছে।
কল্পবিজ্ঞান নয়—চিরচেনা সমুদ্রের ডলফিনদের ভাষা বুঝতে শিগগিরই সক্ষম হতে চলেছে মানুষ! আর এই বিস্ময়কর অগ্রগতির পেছনে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই।
ডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ‘ডলফিনগেমা’ নামে গুগলের তৈরি নতুন একটি এআই মডেল ডলফিনদের এই জটিল শব্দ-ভাষা বিশ্লেষণে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া টেক ও ওয়াইল্ড ডলফিন প্রজেক্ট (ডব্লিউডিপি)-এর গবেষকদের সহায়তায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ডব্লিউডিপি-এর গবেষণা অনুসারে, লড়াইয়ের সময় ডলফিনেরা জোরালো স্কোয়াক ব্যবহার করে। আবার সঙ্গীকে আকৃষ্ট করা বা হাঙরের পেছনে ধাওয়া করার সময় তারা মৃদু বাজ-এর মতো ক্লিক দেয় করে। এ ছাড়া মা ও শাবকেরা একে অপরকে নিজেদের বিশেষ শিস-এর মাধ্যমে খুঁজে পায়।
এআই মডেলটি এসব শব্দকে এমনভাবে রূপান্তর করবে, যা বিশ্লেষণযোগ্য। শব্দের প্যাটার্ন ও তাৎপর্য শনাক্ত করাই এ প্রকল্পের লক্ষ্য। চমকপ্রদভাবে, ‘ডলফিনগেমা’ সরাসরি ফিল্ড গবেষকদের স্মার্টফোনে চলবে। অর্থাৎ সমুদ্রে ভাসমান অবস্থাতেও গবেষণার সুবিধা হবে।
বর্তমানে আটলান্টিক স্পটেড ডলফিনদের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই এআইকে। তবে গবেষকেরা ভবিষ্যতে বটলনোজ ও স্পিনার প্রজাতির ডলফিনদের ওপরেও এটি প্রয়োগ করতে চান।
ডলফিনদের ভাষা ব্যাখ্যা করতে এই মডেলটি ব্যবহার করছে একধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যা জটিল তথ্যের মধ্যে প্যাটার্ন খুঁজে বের করতে পারদর্শী। বলা যায়, চ্যাটজিপিটি যেভাবে মানুষের ভাষা বোঝে, ঠিক তেমনিভাবেই ডলফিনগেমা ডলফিনের শব্দের কাঠামো ও সংকেত বোঝার চেষ্টা করছে।
এতে গবেষণার গণ্ডি শুধু শব্দ রেকর্ডিংয়ে সীমিত থাকছে না—ডলফিনদের ভাষা একটি বাস্তব যোগাযোগব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এতে হয়তো শিগগিরই মানুষ আর ডলফিনের মধ্যে সত্যিকার ‘আন্তঃপ্রজাতীয় সংলাপ’ সম্ভব হতে চলেছে।
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৪ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে