কখনো কখনো ঝড়-বৃষ্টির সময় হাতের মুঠির চেয়েও বড় আকারের শিলার টুকরো পড়তে দেখা যায়। এটি ঘরের ভেতরে যারা থাকেন তাদের রোমাঞ্চিত করলেও বাইরে থাকা মানুষের জন্য বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে এই শিলাগুলো বড় ধরনের ঝড়ের পূর্বাভাস পেতে সাহায্য করতে পারে বিজ্ঞানীদের।
এই বিশাল শিলাগুলোর ভেতরের গঠন নিয়ে নতুন একটি গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে কীভাবে এগুলো এত বড় হয় তা জানা সম্ভব হয়েছে। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীদের বড় শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে। মানে ঝড়টি হুমকিতে পরিণত হওয়ার আগেই হয়তো জানা যাবে এর সম্পর্কে।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের এক প্রতিবেদনে।
ঝড়ের সময় বৃষ্টির একটি ফোঁটা মেঘের খুব ঠান্ডা অংশে জমে বরফ হয়ে যায় তখন জন্ম হয় শিলার। এরপর, তারা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। কারণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ভারী বরফের কণাগুলোকে নিচে টেনে নিয়ে আসে। একসময় তারা মাটিতে পড়ে।
নতুন গবেষণাটি ফ্রন্টিয়ার্স ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে স্পেনের উত্তরের স্বাধীন অঞ্চল কাতালোনিয়ার গবেষকেরা বিশাল শিলাগুলো সংগ্রহ করেছেন, যেগুলোর ব্যাস ছিল ১২ সেন্টিমিটার (৪.৭ ইঞ্চি) পর্যন্ত।
গবেষকেরা তিনটি শিলার ভেতরের গঠন দেখার জন্য সিটি স্ক্যান প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এই স্ক্যান সাধারণত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে ঘূর্ণায়মান এক্স-রে মেশিন মানবদেহের থ্রিডি ছবি তৈরি করে।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে, গবেষকেরা ডেন্টাল ক্লিনিক থেকে ধার নেওয়া মেশিন ব্যবহার করে বিশাল এই বরফের বলগুলোর ‘অ্যানাটমি’ বা গঠন পরীক্ষা করেন, এগুলোর কোনো ক্ষতি না করেই।
‘আমরা এমন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম, যা শিলাগুলোকে না ভেঙেই এদের অভ্যন্তরীণ স্তর সম্পর্কে আরও তথ্য দেবে।’ বলেন বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক অধ্যাপক জেভিয়ে উবিদা, ‘তবে আমরা এত পরিষ্কার ছবি পাব, তা আশা করিনি।’
উবিদা এবং তার দল শিলার ভেতরের ৫১২টি ছবি সংগ্রহ করেন। এই ছবিগুলো শিলার প্রতিটি স্তরের ঘনত্ব দেখায়। আর জানা যায়, কীভাবে শিলাগুলো ঝড়ের বিভিন্ন ধাপে বড় হয়েছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, এমনকি সবচেয়ে গোলাকার শিলাগুলোর ভেতরের অংশও অনিয়মিত। কোনো শিলার কেন্দ্রই একদম মাঝখানে ছিল না। আশ্চর্যের বিষয় হলো, যেগুলো দেখতে একদম নিখুঁত গোলাকার, সেগুলোর কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি সরে ছিল।
গবেষকেরা বলছেন, এটি দেখায় যে শিলাগুলো সব দিকে সমানভাবে বড় হয় না। আর বিষয়টি শিলার গঠন নিয়ে আগের ধারণার বিরোধী।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত শিলাগুলো ২০২২ সালের গ্রীষ্মে স্পেনে একটি শক্তিশালী বজ্রঝড়ের পর সংগ্রহ করা হয়। এগুলো ভ্যাকুয়াম করে সংরক্ষণ করা হয়। সেই গ্রীষ্মে স্পেন মারাত্মক খরার মুখোমুখি হয়েছিল, তবে গবেষকেরা মনে করেন, তখনকার গরম আবহাওয়া ক্রান্তীয় ঝড়গুলোকে আরও শক্তিশালী করেছিল।
গবেষকেরা বলছেন, এই নতুন আবিষ্কার ভবিষ্যতে এমন ঝড়ের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে। শিলার গঠন আগে থেকে বুঝতে পারলে ঝড়ের ক্ষতি কমানো সম্ভব হতে পারে।
কখনো কখনো ঝড়-বৃষ্টির সময় হাতের মুঠির চেয়েও বড় আকারের শিলার টুকরো পড়তে দেখা যায়। এটি ঘরের ভেতরে যারা থাকেন তাদের রোমাঞ্চিত করলেও বাইরে থাকা মানুষের জন্য বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে এই শিলাগুলো বড় ধরনের ঝড়ের পূর্বাভাস পেতে সাহায্য করতে পারে বিজ্ঞানীদের।
এই বিশাল শিলাগুলোর ভেতরের গঠন নিয়ে নতুন একটি গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে কীভাবে এগুলো এত বড় হয় তা জানা সম্ভব হয়েছে। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীদের বড় শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে। মানে ঝড়টি হুমকিতে পরিণত হওয়ার আগেই হয়তো জানা যাবে এর সম্পর্কে।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের এক প্রতিবেদনে।
ঝড়ের সময় বৃষ্টির একটি ফোঁটা মেঘের খুব ঠান্ডা অংশে জমে বরফ হয়ে যায় তখন জন্ম হয় শিলার। এরপর, তারা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। কারণ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ভারী বরফের কণাগুলোকে নিচে টেনে নিয়ে আসে। একসময় তারা মাটিতে পড়ে।
নতুন গবেষণাটি ফ্রন্টিয়ার্স ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে স্পেনের উত্তরের স্বাধীন অঞ্চল কাতালোনিয়ার গবেষকেরা বিশাল শিলাগুলো সংগ্রহ করেছেন, যেগুলোর ব্যাস ছিল ১২ সেন্টিমিটার (৪.৭ ইঞ্চি) পর্যন্ত।
গবেষকেরা তিনটি শিলার ভেতরের গঠন দেখার জন্য সিটি স্ক্যান প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এই স্ক্যান সাধারণত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে ঘূর্ণায়মান এক্স-রে মেশিন মানবদেহের থ্রিডি ছবি তৈরি করে।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে, গবেষকেরা ডেন্টাল ক্লিনিক থেকে ধার নেওয়া মেশিন ব্যবহার করে বিশাল এই বরফের বলগুলোর ‘অ্যানাটমি’ বা গঠন পরীক্ষা করেন, এগুলোর কোনো ক্ষতি না করেই।
‘আমরা এমন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম, যা শিলাগুলোকে না ভেঙেই এদের অভ্যন্তরীণ স্তর সম্পর্কে আরও তথ্য দেবে।’ বলেন বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক অধ্যাপক জেভিয়ে উবিদা, ‘তবে আমরা এত পরিষ্কার ছবি পাব, তা আশা করিনি।’
উবিদা এবং তার দল শিলার ভেতরের ৫১২টি ছবি সংগ্রহ করেন। এই ছবিগুলো শিলার প্রতিটি স্তরের ঘনত্ব দেখায়। আর জানা যায়, কীভাবে শিলাগুলো ঝড়ের বিভিন্ন ধাপে বড় হয়েছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, এমনকি সবচেয়ে গোলাকার শিলাগুলোর ভেতরের অংশও অনিয়মিত। কোনো শিলার কেন্দ্রই একদম মাঝখানে ছিল না। আশ্চর্যের বিষয় হলো, যেগুলো দেখতে একদম নিখুঁত গোলাকার, সেগুলোর কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি সরে ছিল।
গবেষকেরা বলছেন, এটি দেখায় যে শিলাগুলো সব দিকে সমানভাবে বড় হয় না। আর বিষয়টি শিলার গঠন নিয়ে আগের ধারণার বিরোধী।
এই গবেষণায় ব্যবহৃত শিলাগুলো ২০২২ সালের গ্রীষ্মে স্পেনে একটি শক্তিশালী বজ্রঝড়ের পর সংগ্রহ করা হয়। এগুলো ভ্যাকুয়াম করে সংরক্ষণ করা হয়। সেই গ্রীষ্মে স্পেন মারাত্মক খরার মুখোমুখি হয়েছিল, তবে গবেষকেরা মনে করেন, তখনকার গরম আবহাওয়া ক্রান্তীয় ঝড়গুলোকে আরও শক্তিশালী করেছিল।
গবেষকেরা বলছেন, এই নতুন আবিষ্কার ভবিষ্যতে এমন ঝড়ের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে। শিলার গঠন আগে থেকে বুঝতে পারলে ঝড়ের ক্ষতি কমানো সম্ভব হতে পারে।
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে