
আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের নিকটবর্তী নক্ষত্রমণ্ডল হলো ‘আলফা সেনটাওরি’। তবুও এটি আকাশগঙ্গা থেকে ৪ আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ, সেকেন্ডে ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেড়ে ছুটে চলা আলোককণারও এই তারকামণ্ডলীতে পৌঁছাতে ৪ বছর লাগবে। তার মানে পৃথিবী থেকে ‘আলফা সেনটাওরি’তে কোনো তথ্য পাঠাতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগবে। যেখানে আলোককণার গতিই সর্বোচ্চ ধরা হয়। আর আধুনিক ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের লেগে যাবে হাজার কোটি বছর।
কিন্তু এই কাজটি করা সম্ভব নিমেষে! যে কৌশলে এটি করা সম্ভব সেটিই হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সবচেয়ে আকর্ষণীয় তত্ত্ব এটি। যেটি আইনস্টাইনও বিশ্বাস করতে পারেননি। যদিও এরই মধ্যে একাধিক গবেষণায় এটির সম্ভাব্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
সর্বশেষ প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্ভব হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। একটি আলোক কণার (ফোটন) কোয়ান্টাম দশাকে সফলভাবে ৩০ কিলোমিটার (প্রায় ১৮ মাইল) ফাইবার অপটিক কেবলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমনকি ইন্টারনেটে প্রচুর ডেটা ট্র্যাফিকের মধ্যেই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি এমন একটি বড় সাফল্য, যা একসময় পুরোপুরি অসম্ভব মনে করা হতো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এই চমকপ্রদ বিষয়টি করে দেখিয়েছে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগকে আরও একধাপ এগিয়ে নিল এই গবেষণা। এটি ভবিষ্যতে আমাদের যোগাযোগ এবং তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
যদিও এই সাফল্য আপাতত সাধারণ কাজের জন্য স্টার ট্রেক টিভি সিরিজের মতো আস্ত বস্তু বা মানুষকে টেলিপোর্টেশনে সহায়তা করবে না। তবে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই একটি কোয়ান্টাম দশাকে টেলিপোর্ট (স্থানান্তর) করার সফলতা অর্জন বিজ্ঞানের জন্য একটি বিরাট পদক্ষেপ। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক, উন্নত এনক্রিপশন বা শক্তিশালী নতুন সেন্সিং পদ্ধতির দিকে যেতে সহায়ক হতে পারে।
গবেষণা দলের নেতৃত্বে থাকা নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং প্রকৌশলী প্রম কুমার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ কেউই ভাবেনি যে এটি সম্ভব হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কোয়ান্টাম ও প্রচলিত নেটওয়ার্কগুলোকে একটি একক ফাইবার অপটিক অবকাঠামোর মাধ্যমে সমন্বিত করার পথ দেখাচ্ছে আমাদের গবেষণা। এটি কোয়ান্টাম যোগাযোগের পরবর্তী স্তরে যাওয়ার একটি দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন বেশ কিছুটা স্টার ট্রেকে দেখানো টানেল সিস্টেমের মতো, যেখানে মহাকাশচারীরা মুহূর্তেই অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হন। টেলিপোর্টেশনের মাধ্যমে একটি বস্তু বা কোয়ান্টাম দশা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। কৌশলটি হলো, নির্দিষ্ট স্থানে থাকা বস্তুর সম্ভাব্য কোয়ান্টাম দশা শনাক্ত এবং সেটিকে সুকৌশলে ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্য কাঙ্ক্ষিত স্থানে একই বস্তুর কোয়ান্টাম দশার একই সম্ভাবনা তৈরির মাধ্যমে স্থানান্তর করা।
যদিও দুটি বস্তুর পরিমাপ কৌশল একযোগে এদের ভাগ্য চূড়ান্ত করে, এরপরও উভয়ের কোয়ান্টাম পরিচয়কে বিজড়নের জন্য (কোয়ান্টাম এন্টেঙ্গেলমেন্ট) একটি একক তথ্যের তরঙ্গ পাঠাতে হয়।
কণার কোয়ান্টাম দশাগুলো সাধারণত অত্যন্ত অস্থিতিশীল হয় এবং সৃষ্টির কিছুক্ষণের মধ্যে বাস্তবতার মধ্যে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে ফোটনের কোয়ান্টাম দশা ইন্টারনেটের প্রচলিত ট্রাফিকের মধ্যে পাঠানো—বিশেষ করে যখন তা রক্ষা করা কঠিন—একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
কোয়ান্টাম দশাগুলো কম্পিউটারে সুরক্ষিত রাখা এক বিষয়, আর যেই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যাংক লেনদেন, ভিডিও দেখা বা টেক্সট মেসেজের মতো প্রচুর ডেটা স্থানান্তর চলছে, সেখানে ফোটনকে অক্ষত অবস্থায় পাঠানো আলাদা বিষয়। কারণ সেই অপটিক্যাল ফাইবারে ফোটনের কোয়ান্টাম দশাটিকে সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশ চ্যালেঞ্জিং।
প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবিট ইন্টারনেট ট্রাফিকের প্রবাহ হয়, সেখানে একক ফোটনের কোয়ান্টাম দশা রক্ষা করতে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছে গবেষক দলটি। ফোটনের কোয়ান্টাম দশা খুবই সংবেদনশীল। যদি ফোটন প্রচুর ডেটা ট্রাফিকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি তার কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে ফোটনের পথ বা চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন গবেষকেরা। এই কৌশল ফোটনের চ্যানেলকে সীমিত করে এবং এটি অন্য তরঙ্গগুলোর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ও মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
প্রম কুমার বলেন, ‘আলো কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে অধ্যয়ন করেছি এবং ফোটন কণাগুলো এমন একটি সঠিক জায়গায় রেখেছি, যেখানে ওই ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্ল্যাসিক্যাল চ্যানেলগুলোর সঙ্গে একযোগে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এর মাধ্যমে কোয়ান্টাম যোগাযোগ সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছি।
এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
প্রত্যেকটি পরীক্ষা আরও নিশ্চিত করছে যে, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট খুব শিগগিরই বাস্তবে পাওয়া যাবে। এটি কম্পিউটিং প্রকৌশলীদের জন্য একটি নতুন ধরনের টুল সরবরাহ করবে, যার মাধ্যমে তাঁরা পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে পরিমাপ করতে, পর্যবেক্ষণ করতে, সুরক্ষিত করতে এবং গণনা করতে পারবেন। আর এ জন্য নতুন ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
গবেষক প্রম কুমার বলেন, ‘কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী নোডগুলোর মাধ্যমে নিরাপদভাবে কোয়ান্টাম সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।
কিন্তু অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করেছেন যে, কেউই আলোক কণা স্থানান্তরের জন্য বিশেষ অবকাঠামো তৈরি করবে না। তবে যদি আমরা সঠিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেছে নিই, তাহলে আমাদের নতুন কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে হবে না। প্রচলিত যোগাযোগ এবং কোয়ান্টাম যোগাযোগ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি অপটিকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের নিকটবর্তী নক্ষত্রমণ্ডল হলো ‘আলফা সেনটাওরি’। তবুও এটি আকাশগঙ্গা থেকে ৪ আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ, সেকেন্ডে ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেড়ে ছুটে চলা আলোককণারও এই তারকামণ্ডলীতে পৌঁছাতে ৪ বছর লাগবে। তার মানে পৃথিবী থেকে ‘আলফা সেনটাওরি’তে কোনো তথ্য পাঠাতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগবে। যেখানে আলোককণার গতিই সর্বোচ্চ ধরা হয়। আর আধুনিক ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের লেগে যাবে হাজার কোটি বছর।
কিন্তু এই কাজটি করা সম্ভব নিমেষে! যে কৌশলে এটি করা সম্ভব সেটিই হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সবচেয়ে আকর্ষণীয় তত্ত্ব এটি। যেটি আইনস্টাইনও বিশ্বাস করতে পারেননি। যদিও এরই মধ্যে একাধিক গবেষণায় এটির সম্ভাব্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
সর্বশেষ প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্ভব হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। একটি আলোক কণার (ফোটন) কোয়ান্টাম দশাকে সফলভাবে ৩০ কিলোমিটার (প্রায় ১৮ মাইল) ফাইবার অপটিক কেবলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমনকি ইন্টারনেটে প্রচুর ডেটা ট্র্যাফিকের মধ্যেই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি এমন একটি বড় সাফল্য, যা একসময় পুরোপুরি অসম্ভব মনে করা হতো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এই চমকপ্রদ বিষয়টি করে দেখিয়েছে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগকে আরও একধাপ এগিয়ে নিল এই গবেষণা। এটি ভবিষ্যতে আমাদের যোগাযোগ এবং তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
যদিও এই সাফল্য আপাতত সাধারণ কাজের জন্য স্টার ট্রেক টিভি সিরিজের মতো আস্ত বস্তু বা মানুষকে টেলিপোর্টেশনে সহায়তা করবে না। তবে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই একটি কোয়ান্টাম দশাকে টেলিপোর্ট (স্থানান্তর) করার সফলতা অর্জন বিজ্ঞানের জন্য একটি বিরাট পদক্ষেপ। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক, উন্নত এনক্রিপশন বা শক্তিশালী নতুন সেন্সিং পদ্ধতির দিকে যেতে সহায়ক হতে পারে।
গবেষণা দলের নেতৃত্বে থাকা নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং প্রকৌশলী প্রম কুমার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ কেউই ভাবেনি যে এটি সম্ভব হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কোয়ান্টাম ও প্রচলিত নেটওয়ার্কগুলোকে একটি একক ফাইবার অপটিক অবকাঠামোর মাধ্যমে সমন্বিত করার পথ দেখাচ্ছে আমাদের গবেষণা। এটি কোয়ান্টাম যোগাযোগের পরবর্তী স্তরে যাওয়ার একটি দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন বেশ কিছুটা স্টার ট্রেকে দেখানো টানেল সিস্টেমের মতো, যেখানে মহাকাশচারীরা মুহূর্তেই অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হন। টেলিপোর্টেশনের মাধ্যমে একটি বস্তু বা কোয়ান্টাম দশা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। কৌশলটি হলো, নির্দিষ্ট স্থানে থাকা বস্তুর সম্ভাব্য কোয়ান্টাম দশা শনাক্ত এবং সেটিকে সুকৌশলে ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্য কাঙ্ক্ষিত স্থানে একই বস্তুর কোয়ান্টাম দশার একই সম্ভাবনা তৈরির মাধ্যমে স্থানান্তর করা।
যদিও দুটি বস্তুর পরিমাপ কৌশল একযোগে এদের ভাগ্য চূড়ান্ত করে, এরপরও উভয়ের কোয়ান্টাম পরিচয়কে বিজড়নের জন্য (কোয়ান্টাম এন্টেঙ্গেলমেন্ট) একটি একক তথ্যের তরঙ্গ পাঠাতে হয়।
কণার কোয়ান্টাম দশাগুলো সাধারণত অত্যন্ত অস্থিতিশীল হয় এবং সৃষ্টির কিছুক্ষণের মধ্যে বাস্তবতার মধ্যে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে ফোটনের কোয়ান্টাম দশা ইন্টারনেটের প্রচলিত ট্রাফিকের মধ্যে পাঠানো—বিশেষ করে যখন তা রক্ষা করা কঠিন—একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
কোয়ান্টাম দশাগুলো কম্পিউটারে সুরক্ষিত রাখা এক বিষয়, আর যেই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যাংক লেনদেন, ভিডিও দেখা বা টেক্সট মেসেজের মতো প্রচুর ডেটা স্থানান্তর চলছে, সেখানে ফোটনকে অক্ষত অবস্থায় পাঠানো আলাদা বিষয়। কারণ সেই অপটিক্যাল ফাইবারে ফোটনের কোয়ান্টাম দশাটিকে সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশ চ্যালেঞ্জিং।
প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবিট ইন্টারনেট ট্রাফিকের প্রবাহ হয়, সেখানে একক ফোটনের কোয়ান্টাম দশা রক্ষা করতে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছে গবেষক দলটি। ফোটনের কোয়ান্টাম দশা খুবই সংবেদনশীল। যদি ফোটন প্রচুর ডেটা ট্রাফিকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি তার কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে ফোটনের পথ বা চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন গবেষকেরা। এই কৌশল ফোটনের চ্যানেলকে সীমিত করে এবং এটি অন্য তরঙ্গগুলোর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ও মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
প্রম কুমার বলেন, ‘আলো কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে অধ্যয়ন করেছি এবং ফোটন কণাগুলো এমন একটি সঠিক জায়গায় রেখেছি, যেখানে ওই ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্ল্যাসিক্যাল চ্যানেলগুলোর সঙ্গে একযোগে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এর মাধ্যমে কোয়ান্টাম যোগাযোগ সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছি।
এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
প্রত্যেকটি পরীক্ষা আরও নিশ্চিত করছে যে, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট খুব শিগগিরই বাস্তবে পাওয়া যাবে। এটি কম্পিউটিং প্রকৌশলীদের জন্য একটি নতুন ধরনের টুল সরবরাহ করবে, যার মাধ্যমে তাঁরা পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে পরিমাপ করতে, পর্যবেক্ষণ করতে, সুরক্ষিত করতে এবং গণনা করতে পারবেন। আর এ জন্য নতুন ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
গবেষক প্রম কুমার বলেন, ‘কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী নোডগুলোর মাধ্যমে নিরাপদভাবে কোয়ান্টাম সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।
কিন্তু অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করেছেন যে, কেউই আলোক কণা স্থানান্তরের জন্য বিশেষ অবকাঠামো তৈরি করবে না। তবে যদি আমরা সঠিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেছে নিই, তাহলে আমাদের নতুন কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে হবে না। প্রচলিত যোগাযোগ এবং কোয়ান্টাম যোগাযোগ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি অপটিকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের নিকটবর্তী নক্ষত্রমণ্ডল হলো ‘আলফা সেনটাওরি’। তবুও এটি আকাশগঙ্গা থেকে ৪ আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ, সেকেন্ডে ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেড়ে ছুটে চলা আলোককণারও এই তারকামণ্ডলীতে পৌঁছাতে ৪ বছর লাগবে। তার মানে পৃথিবী থেকে ‘আলফা সেনটাওরি’তে কোনো তথ্য পাঠাতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগবে। যেখানে আলোককণার গতিই সর্বোচ্চ ধরা হয়। আর আধুনিক ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের লেগে যাবে হাজার কোটি বছর।
কিন্তু এই কাজটি করা সম্ভব নিমেষে! যে কৌশলে এটি করা সম্ভব সেটিই হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সবচেয়ে আকর্ষণীয় তত্ত্ব এটি। যেটি আইনস্টাইনও বিশ্বাস করতে পারেননি। যদিও এরই মধ্যে একাধিক গবেষণায় এটির সম্ভাব্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
সর্বশেষ প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্ভব হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। একটি আলোক কণার (ফোটন) কোয়ান্টাম দশাকে সফলভাবে ৩০ কিলোমিটার (প্রায় ১৮ মাইল) ফাইবার অপটিক কেবলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমনকি ইন্টারনেটে প্রচুর ডেটা ট্র্যাফিকের মধ্যেই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি এমন একটি বড় সাফল্য, যা একসময় পুরোপুরি অসম্ভব মনে করা হতো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এই চমকপ্রদ বিষয়টি করে দেখিয়েছে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগকে আরও একধাপ এগিয়ে নিল এই গবেষণা। এটি ভবিষ্যতে আমাদের যোগাযোগ এবং তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
যদিও এই সাফল্য আপাতত সাধারণ কাজের জন্য স্টার ট্রেক টিভি সিরিজের মতো আস্ত বস্তু বা মানুষকে টেলিপোর্টেশনে সহায়তা করবে না। তবে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই একটি কোয়ান্টাম দশাকে টেলিপোর্ট (স্থানান্তর) করার সফলতা অর্জন বিজ্ঞানের জন্য একটি বিরাট পদক্ষেপ। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক, উন্নত এনক্রিপশন বা শক্তিশালী নতুন সেন্সিং পদ্ধতির দিকে যেতে সহায়ক হতে পারে।
গবেষণা দলের নেতৃত্বে থাকা নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং প্রকৌশলী প্রম কুমার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ কেউই ভাবেনি যে এটি সম্ভব হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কোয়ান্টাম ও প্রচলিত নেটওয়ার্কগুলোকে একটি একক ফাইবার অপটিক অবকাঠামোর মাধ্যমে সমন্বিত করার পথ দেখাচ্ছে আমাদের গবেষণা। এটি কোয়ান্টাম যোগাযোগের পরবর্তী স্তরে যাওয়ার একটি দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন বেশ কিছুটা স্টার ট্রেকে দেখানো টানেল সিস্টেমের মতো, যেখানে মহাকাশচারীরা মুহূর্তেই অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হন। টেলিপোর্টেশনের মাধ্যমে একটি বস্তু বা কোয়ান্টাম দশা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। কৌশলটি হলো, নির্দিষ্ট স্থানে থাকা বস্তুর সম্ভাব্য কোয়ান্টাম দশা শনাক্ত এবং সেটিকে সুকৌশলে ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্য কাঙ্ক্ষিত স্থানে একই বস্তুর কোয়ান্টাম দশার একই সম্ভাবনা তৈরির মাধ্যমে স্থানান্তর করা।
যদিও দুটি বস্তুর পরিমাপ কৌশল একযোগে এদের ভাগ্য চূড়ান্ত করে, এরপরও উভয়ের কোয়ান্টাম পরিচয়কে বিজড়নের জন্য (কোয়ান্টাম এন্টেঙ্গেলমেন্ট) একটি একক তথ্যের তরঙ্গ পাঠাতে হয়।
কণার কোয়ান্টাম দশাগুলো সাধারণত অত্যন্ত অস্থিতিশীল হয় এবং সৃষ্টির কিছুক্ষণের মধ্যে বাস্তবতার মধ্যে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে ফোটনের কোয়ান্টাম দশা ইন্টারনেটের প্রচলিত ট্রাফিকের মধ্যে পাঠানো—বিশেষ করে যখন তা রক্ষা করা কঠিন—একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
কোয়ান্টাম দশাগুলো কম্পিউটারে সুরক্ষিত রাখা এক বিষয়, আর যেই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যাংক লেনদেন, ভিডিও দেখা বা টেক্সট মেসেজের মতো প্রচুর ডেটা স্থানান্তর চলছে, সেখানে ফোটনকে অক্ষত অবস্থায় পাঠানো আলাদা বিষয়। কারণ সেই অপটিক্যাল ফাইবারে ফোটনের কোয়ান্টাম দশাটিকে সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশ চ্যালেঞ্জিং।
প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবিট ইন্টারনেট ট্রাফিকের প্রবাহ হয়, সেখানে একক ফোটনের কোয়ান্টাম দশা রক্ষা করতে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছে গবেষক দলটি। ফোটনের কোয়ান্টাম দশা খুবই সংবেদনশীল। যদি ফোটন প্রচুর ডেটা ট্রাফিকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি তার কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে ফোটনের পথ বা চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন গবেষকেরা। এই কৌশল ফোটনের চ্যানেলকে সীমিত করে এবং এটি অন্য তরঙ্গগুলোর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ও মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
প্রম কুমার বলেন, ‘আলো কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে অধ্যয়ন করেছি এবং ফোটন কণাগুলো এমন একটি সঠিক জায়গায় রেখেছি, যেখানে ওই ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্ল্যাসিক্যাল চ্যানেলগুলোর সঙ্গে একযোগে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এর মাধ্যমে কোয়ান্টাম যোগাযোগ সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছি।
এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
প্রত্যেকটি পরীক্ষা আরও নিশ্চিত করছে যে, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট খুব শিগগিরই বাস্তবে পাওয়া যাবে। এটি কম্পিউটিং প্রকৌশলীদের জন্য একটি নতুন ধরনের টুল সরবরাহ করবে, যার মাধ্যমে তাঁরা পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে পরিমাপ করতে, পর্যবেক্ষণ করতে, সুরক্ষিত করতে এবং গণনা করতে পারবেন। আর এ জন্য নতুন ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
গবেষক প্রম কুমার বলেন, ‘কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী নোডগুলোর মাধ্যমে নিরাপদভাবে কোয়ান্টাম সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।
কিন্তু অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করেছেন যে, কেউই আলোক কণা স্থানান্তরের জন্য বিশেষ অবকাঠামো তৈরি করবে না। তবে যদি আমরা সঠিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেছে নিই, তাহলে আমাদের নতুন কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে হবে না। প্রচলিত যোগাযোগ এবং কোয়ান্টাম যোগাযোগ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি অপটিকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথের নিকটবর্তী নক্ষত্রমণ্ডল হলো ‘আলফা সেনটাওরি’। তবুও এটি আকাশগঙ্গা থেকে ৪ আলোকবর্ষ দূরে। অর্থাৎ, সেকেন্ডে ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেড়ে ছুটে চলা আলোককণারও এই তারকামণ্ডলীতে পৌঁছাতে ৪ বছর লাগবে। তার মানে পৃথিবী থেকে ‘আলফা সেনটাওরি’তে কোনো তথ্য পাঠাতে কমপক্ষে চার বছর সময় লাগবে। যেখানে আলোককণার গতিই সর্বোচ্চ ধরা হয়। আর আধুনিক ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের লেগে যাবে হাজার কোটি বছর।
কিন্তু এই কাজটি করা সম্ভব নিমেষে! যে কৌশলে এটি করা সম্ভব সেটিই হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সবচেয়ে আকর্ষণীয় তত্ত্ব এটি। যেটি আইনস্টাইনও বিশ্বাস করতে পারেননি। যদিও এরই মধ্যে একাধিক গবেষণায় এটির সম্ভাব্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
সর্বশেষ প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্ভব হলো কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন। একটি আলোক কণার (ফোটন) কোয়ান্টাম দশাকে সফলভাবে ৩০ কিলোমিটার (প্রায় ১৮ মাইল) ফাইবার অপটিক কেবলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমনকি ইন্টারনেটে প্রচুর ডেটা ট্র্যাফিকের মধ্যেই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি এমন একটি বড় সাফল্য, যা একসময় পুরোপুরি অসম্ভব মনে করা হতো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এই চমকপ্রদ বিষয়টি করে দেখিয়েছে। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগকে আরও একধাপ এগিয়ে নিল এই গবেষণা। এটি ভবিষ্যতে আমাদের যোগাযোগ এবং তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
যদিও এই সাফল্য আপাতত সাধারণ কাজের জন্য স্টার ট্রেক টিভি সিরিজের মতো আস্ত বস্তু বা মানুষকে টেলিপোর্টেশনে সহায়তা করবে না। তবে বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করেই একটি কোয়ান্টাম দশাকে টেলিপোর্ট (স্থানান্তর) করার সফলতা অর্জন বিজ্ঞানের জন্য একটি বিরাট পদক্ষেপ। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক, উন্নত এনক্রিপশন বা শক্তিশালী নতুন সেন্সিং পদ্ধতির দিকে যেতে সহায়ক হতে পারে।
গবেষণা দলের নেতৃত্বে থাকা নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং প্রকৌশলী প্রম কুমার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ কেউই ভাবেনি যে এটি সম্ভব হবে। পরবর্তী প্রজন্মের কোয়ান্টাম ও প্রচলিত নেটওয়ার্কগুলোকে একটি একক ফাইবার অপটিক অবকাঠামোর মাধ্যমে সমন্বিত করার পথ দেখাচ্ছে আমাদের গবেষণা। এটি কোয়ান্টাম যোগাযোগের পরবর্তী স্তরে যাওয়ার একটি দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।’
কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন বেশ কিছুটা স্টার ট্রেকে দেখানো টানেল সিস্টেমের মতো, যেখানে মহাকাশচারীরা মুহূর্তেই অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হন। টেলিপোর্টেশনের মাধ্যমে একটি বস্তু বা কোয়ান্টাম দশা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। কৌশলটি হলো, নির্দিষ্ট স্থানে থাকা বস্তুর সম্ভাব্য কোয়ান্টাম দশা শনাক্ত এবং সেটিকে সুকৌশলে ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্য কাঙ্ক্ষিত স্থানে একই বস্তুর কোয়ান্টাম দশার একই সম্ভাবনা তৈরির মাধ্যমে স্থানান্তর করা।
যদিও দুটি বস্তুর পরিমাপ কৌশল একযোগে এদের ভাগ্য চূড়ান্ত করে, এরপরও উভয়ের কোয়ান্টাম পরিচয়কে বিজড়নের জন্য (কোয়ান্টাম এন্টেঙ্গেলমেন্ট) একটি একক তথ্যের তরঙ্গ পাঠাতে হয়।
কণার কোয়ান্টাম দশাগুলো সাধারণত অত্যন্ত অস্থিতিশীল হয় এবং সৃষ্টির কিছুক্ষণের মধ্যে বাস্তবতার মধ্যে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে ফোটনের কোয়ান্টাম দশা ইন্টারনেটের প্রচলিত ট্রাফিকের মধ্যে পাঠানো—বিশেষ করে যখন তা রক্ষা করা কঠিন—একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
কোয়ান্টাম দশাগুলো কম্পিউটারে সুরক্ষিত রাখা এক বিষয়, আর যেই অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যাংক লেনদেন, ভিডিও দেখা বা টেক্সট মেসেজের মতো প্রচুর ডেটা স্থানান্তর চলছে, সেখানে ফোটনকে অক্ষত অবস্থায় পাঠানো আলাদা বিষয়। কারণ সেই অপটিক্যাল ফাইবারে ফোটনের কোয়ান্টাম দশাটিকে সুরক্ষিত রাখা অনেক বেশ চ্যালেঞ্জিং।
প্রতি সেকেন্ডে ৪০০ গিগাবিট ইন্টারনেট ট্রাফিকের প্রবাহ হয়, সেখানে একক ফোটনের কোয়ান্টাম দশা রক্ষা করতে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেছে গবেষক দলটি। ফোটনের কোয়ান্টাম দশা খুবই সংবেদনশীল। যদি ফোটন প্রচুর ডেটা ট্রাফিকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি তার কোয়ান্টাম বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে ফোটনের পথ বা চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন গবেষকেরা। এই কৌশল ফোটনের চ্যানেলকে সীমিত করে এবং এটি অন্য তরঙ্গগুলোর সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ও মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
প্রম কুমার বলেন, ‘আলো কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে অধ্যয়ন করেছি এবং ফোটন কণাগুলো এমন একটি সঠিক জায়গায় রেখেছি, যেখানে ওই ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্ল্যাসিক্যাল চ্যানেলগুলোর সঙ্গে একযোগে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এর মাধ্যমে কোয়ান্টাম যোগাযোগ সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছি।
এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
প্রত্যেকটি পরীক্ষা আরও নিশ্চিত করছে যে, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট খুব শিগগিরই বাস্তবে পাওয়া যাবে। এটি কম্পিউটিং প্রকৌশলীদের জন্য একটি নতুন ধরনের টুল সরবরাহ করবে, যার মাধ্যমে তাঁরা পৃথিবীকে আরও ভালোভাবে পরিমাপ করতে, পর্যবেক্ষণ করতে, সুরক্ষিত করতে এবং গণনা করতে পারবেন। আর এ জন্য নতুন ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রয়োজন হবে না।
গবেষক প্রম কুমার বলেন, ‘কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী নোডগুলোর মাধ্যমে নিরাপদভাবে কোয়ান্টাম সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।
কিন্তু অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করেছেন যে, কেউই আলোক কণা স্থানান্তরের জন্য বিশেষ অবকাঠামো তৈরি করবে না। তবে যদি আমরা সঠিক তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেছে নিই, তাহলে আমাদের নতুন কোনো অবকাঠামো তৈরি করতে হবে না। প্রচলিত যোগাযোগ এবং কোয়ান্টাম যোগাযোগ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি অপটিকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
১৪ ঘণ্টা আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
১৪ ঘণ্টা আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৩ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
১৪ ঘণ্টা আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ এখন আরও ঘন ঘন ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় ‘প্যাসিভ রেডিয়েটিভ কুলিং’ প্রযুক্তির এই নতুন রং গরমের সময় ঘরকে শীতল রাখার পথ করে দিয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিয়ারা নেতো। তিনি জানান, নতুন আবিষ্কৃত রঙের প্রলেপটি সূর্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ বিকিরণ প্রতিফলিত করে। এর ফলে ছাদ সূর্যালোক শোষণ না করে ঠান্ডা থাকে। আর রংটির তাপ নির্গমন ক্ষমতাও খুব বেশি, তাই পরিষ্কার আকাশে এটি সহজেই বাতাসে তাপ ছড়িয়ে দিতে পারে।
নেতো বলেন, ‘রোদের মধ্যেও এই রং করা ছাদ আশপাশের বাতাসের চেয়ে শীতল থাকে।’
এই শীতল পৃষ্ঠে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির তৈরি হয়। সাধারণত রাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা শিশির জমে, কিন্তু এই আবরণ ব্যবহার করলে তা আট থেকে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ছয় মাসের পরীক্ষায় গবেষকেরা এই প্রলেপটি সিডনি ন্যানোসায়েন্স হাবের ছাদে ব্যবহার করেন। তবে প্রলেপটির ওপর একটি অতিবেগুনি রশ্মি-প্রতিরোধী স্তর যোগ করা হয়, যা শিশিরবিন্দু সংগ্রহে সহায়তা করে। তাঁরা দেখেছেন, এই রঙের সাহায্যে বছরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় প্রতিদিন প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৩৯০ মিলিলিটার পানি সংগ্রহ করা সম্ভব। অর্থাৎ ২০০ বর্গমিটার আকারের একটি ছাদে অনুকূল দিনে গড়ে প্রায় ৭০ লিটার পানি পাওয়া যেতে পারে।
অধ্যাপক নেতো বলেন, ‘এই প্রযুক্তি শহরাঞ্চলে গরমের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে ইনসুলেশন দুর্বল, সেখানে ছাদের তাপমাত্রা কমে গেলে ঘরের ভেতরের তাপও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
বর্তমানে গবেষকেরা রংটির বাণিজ্যিক সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এটি ভালো মানের সাধারণ রঙের মতোই দামে পাওয়া যাবে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান ফাউচ বলেছেন, ‘এই ধরনের কুল কোটিং প্রযুক্তি এক দশক ধরে উন্নয়নাধীন, কিন্তু এখনো ব্যাপকভাবে বাজারে আসেনি। সম্ভবত ২০৩০ সালের আগেই তা ঘটবে।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন এক ধরনের বিশেষ রং উদ্ভাবন করেছেন, যা ছাদের তাপমাত্রা আশপাশের বাতাসের চেয়েও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রং বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করতেও সক্ষম—যা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা হ্রাসের পাশাপাশি জলের ঘাটতি মোকাবিলায়ও ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপপ্রবাহ এখন আরও ঘন ঘন ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় ‘প্যাসিভ রেডিয়েটিভ কুলিং’ প্রযুক্তির এই নতুন রং গরমের সময় ঘরকে শীতল রাখার পথ করে দিয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এই গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিয়ারা নেতো। তিনি জানান, নতুন আবিষ্কৃত রঙের প্রলেপটি সূর্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ বিকিরণ প্রতিফলিত করে। এর ফলে ছাদ সূর্যালোক শোষণ না করে ঠান্ডা থাকে। আর রংটির তাপ নির্গমন ক্ষমতাও খুব বেশি, তাই পরিষ্কার আকাশে এটি সহজেই বাতাসে তাপ ছড়িয়ে দিতে পারে।
নেতো বলেন, ‘রোদের মধ্যেও এই রং করা ছাদ আশপাশের বাতাসের চেয়ে শীতল থাকে।’
এই শীতল পৃষ্ঠে বাতাসের জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির তৈরি হয়। সাধারণত রাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা শিশির জমে, কিন্তু এই আবরণ ব্যবহার করলে তা আট থেকে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ছয় মাসের পরীক্ষায় গবেষকেরা এই প্রলেপটি সিডনি ন্যানোসায়েন্স হাবের ছাদে ব্যবহার করেন। তবে প্রলেপটির ওপর একটি অতিবেগুনি রশ্মি-প্রতিরোধী স্তর যোগ করা হয়, যা শিশিরবিন্দু সংগ্রহে সহায়তা করে। তাঁরা দেখেছেন, এই রঙের সাহায্যে বছরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় প্রতিদিন প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ৩৯০ মিলিলিটার পানি সংগ্রহ করা সম্ভব। অর্থাৎ ২০০ বর্গমিটার আকারের একটি ছাদে অনুকূল দিনে গড়ে প্রায় ৭০ লিটার পানি পাওয়া যেতে পারে।
অধ্যাপক নেতো বলেন, ‘এই প্রযুক্তি শহরাঞ্চলে গরমের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেখানে ইনসুলেশন দুর্বল, সেখানে ছাদের তাপমাত্রা কমে গেলে ঘরের ভেতরের তাপও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।’
বর্তমানে গবেষকেরা রংটির বাণিজ্যিক সংস্করণ তৈরির কাজ শুরু করেছেন। এটি ভালো মানের সাধারণ রঙের মতোই দামে পাওয়া যাবে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান ফাউচ বলেছেন, ‘এই ধরনের কুল কোটিং প্রযুক্তি এক দশক ধরে উন্নয়নাধীন, কিন্তু এখনো ব্যাপকভাবে বাজারে আসেনি। সম্ভবত ২০৩০ সালের আগেই তা ঘটবে।’

এর আগে ইন্টারনেটের সিমুলেশনগুলোতে কোয়ান্টাম তথ্য প্রচলিত ডেটা স্ট্রিমের সঙ্গে সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে অন্য গবেষণা দলগুলো। তবে কুমারের দলই প্রথমবারের মতো একটি প্রকৃত ইন্টারনেট স্ট্রিমের পাশাপাশি কোয়ান্টাম অবস্থার টেলিপোর্টেশন করতে পেরেছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
১৪ ঘণ্টা আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৩ দিন আগে