অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের যৌথ মহাকাশ অভিযান ‘নিসার’ (নাসা-ইসরো সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার মিশন) এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা করেছে। এই প্রথম দুই দেশের মহাকাশ সংস্থা (নাসা ও ইসরো) একসঙ্গে একটি উপগ্রহ তৈরি ও উৎক্ষেপণ করল। ভূপৃষ্ঠের ক্ষীণতম পরিবর্তন শনাক্ত করাই এই উপগ্রহের উদ্দেশ্য।
বুধবার (৩০ জুলাই) সিএনএন জানিয়েছে, ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে জিএসএলভি-এফ ১৬ রকেটের মাধ্যমে নিসার উপগ্রহটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি প্রতিদিন ১৪ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে এবং প্রতি ১২ দিনে একবার করে পৃথিবীর প্রায় সব স্থল ও বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিবর্তন রাডার প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরে আনবে। এমনকি এটি ইঞ্চির ভগ্নাংশ পরিমাণ পরিবর্তনও শনাক্ত করতে পারবে।
উপগ্রহটির বিশেষত্ব এর ‘ডুয়েল ব্যান্ড রাডার’। এর একটি এল-ব্যান্ড (২৫ সেমি তরঙ্গদৈর্ঘ্য) এবং অপরটি এস-ব্যান্ড (১০ সেমি তরঙ্গদৈর্ঘ্য)। এল-ব্যান্ড প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি থেকে এবং এস-ব্যান্ড সরবরাহ করেছে ভারতের ইসরো। এই যৌথ রাডার ব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠে মাটির গতি, ভূমিধস, ভূমিকম্প, হিমবাহ, বনাঞ্চল, জলাভূমি ও কৃষিজমির পরিবর্তন নিরীক্ষণ করা যাবে।
নাসার বিজ্ঞান মিশন পরিচালক নিকি ফক্স বলেছেন, ‘আমাদের পৃথিবীর স্থলভাগ সব সময় নীরবে নড়ছে, যদিও তা আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। সেই অদৃশ্য গতি ও পরিবর্তনের বিজ্ঞানসম্মত রেকর্ড রাখবে নিসার।’ এর মাধ্যমে ঝড়, অগ্ন্যুৎপাত, বন্যা ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস এবং প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে।
নিসার প্রকল্পটি ২০১৪ সালে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে। নাসা উপগ্রহটির রাডার অ্যানটেনা, ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে। আর ইসরো এর কায়িক গঠন, উৎক্ষেপণযান ও ডেটা বিশ্লেষণ ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে।
উপগ্রহটি নির্মাণে কাজ করেছেন দুই দেশের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা একযোগে ১৩টি টাইম জোন পেরিয়ে ১৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে থেকেও নিয়মিত ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন, একে অপরের দেশে গিয়ে কাজ করেছেন এবং মহামারির সময়ও কাজ বন্ধ করেননি।
ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ‘এই অভিযান শুধু একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ নয়; এটি দুই গণতান্ত্রিক দেশের বৈজ্ঞানিক বন্ধুত্বের এক প্রতীক। নিসার হবে বিশ্বের জন্য একটি বৈশ্বিক সহায়তার হাতিয়ার; বিশেষ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে।’
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, নিসার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য তথ্যের এক মুক্ত ভান্ডার হয়ে উঠবে। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ রক্ষায় এটি বিজ্ঞানীদের হাতকে আরও শক্তিশালী ও প্রস্তুত করবে। এটি আমাদের গ্রহকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আনবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের যৌথ মহাকাশ অভিযান ‘নিসার’ (নাসা-ইসরো সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার মিশন) এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা করেছে। এই প্রথম দুই দেশের মহাকাশ সংস্থা (নাসা ও ইসরো) একসঙ্গে একটি উপগ্রহ তৈরি ও উৎক্ষেপণ করল। ভূপৃষ্ঠের ক্ষীণতম পরিবর্তন শনাক্ত করাই এই উপগ্রহের উদ্দেশ্য।
বুধবার (৩০ জুলাই) সিএনএন জানিয়েছে, ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে জিএসএলভি-এফ ১৬ রকেটের মাধ্যমে নিসার উপগ্রহটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি প্রতিদিন ১৪ বার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে এবং প্রতি ১২ দিনে একবার করে পৃথিবীর প্রায় সব স্থল ও বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিবর্তন রাডার প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরে আনবে। এমনকি এটি ইঞ্চির ভগ্নাংশ পরিমাণ পরিবর্তনও শনাক্ত করতে পারবে।
উপগ্রহটির বিশেষত্ব এর ‘ডুয়েল ব্যান্ড রাডার’। এর একটি এল-ব্যান্ড (২৫ সেমি তরঙ্গদৈর্ঘ্য) এবং অপরটি এস-ব্যান্ড (১০ সেমি তরঙ্গদৈর্ঘ্য)। এল-ব্যান্ড প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি থেকে এবং এস-ব্যান্ড সরবরাহ করেছে ভারতের ইসরো। এই যৌথ রাডার ব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীর পৃষ্ঠে মাটির গতি, ভূমিধস, ভূমিকম্প, হিমবাহ, বনাঞ্চল, জলাভূমি ও কৃষিজমির পরিবর্তন নিরীক্ষণ করা যাবে।
নাসার বিজ্ঞান মিশন পরিচালক নিকি ফক্স বলেছেন, ‘আমাদের পৃথিবীর স্থলভাগ সব সময় নীরবে নড়ছে, যদিও তা আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। সেই অদৃশ্য গতি ও পরিবর্তনের বিজ্ঞানসম্মত রেকর্ড রাখবে নিসার।’ এর মাধ্যমে ঝড়, অগ্ন্যুৎপাত, বন্যা ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস এবং প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে।
নিসার প্রকল্পটি ২০১৪ সালে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে। নাসা উপগ্রহটির রাডার অ্যানটেনা, ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে। আর ইসরো এর কায়িক গঠন, উৎক্ষেপণযান ও ডেটা বিশ্লেষণ ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে।
উপগ্রহটি নির্মাণে কাজ করেছেন দুই দেশের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা একযোগে ১৩টি টাইম জোন পেরিয়ে ১৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে থেকেও নিয়মিত ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন, একে অপরের দেশে গিয়ে কাজ করেছেন এবং মহামারির সময়ও কাজ বন্ধ করেননি।
ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ‘এই অভিযান শুধু একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ নয়; এটি দুই গণতান্ত্রিক দেশের বৈজ্ঞানিক বন্ধুত্বের এক প্রতীক। নিসার হবে বিশ্বের জন্য একটি বৈশ্বিক সহায়তার হাতিয়ার; বিশেষ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে।’
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, নিসার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য তথ্যের এক মুক্ত ভান্ডার হয়ে উঠবে। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ রক্ষায় এটি বিজ্ঞানীদের হাতকে আরও শক্তিশালী ও প্রস্তুত করবে। এটি আমাদের গ্রহকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আনবে।
বিশ্বজুড়ে অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য আলু। হাজার হাজার বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ অঞ্চলে এই শস্যের প্রথম চাষ শুরু হয়। এরপর ১৬শ শতাব্দী থেকে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এতদিন আলুর বিবর্তন ও উৎপত্তি ঘিরে ছিল রহস্য। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানালেন, আলুর উৎপত্তি হয়েছিল টমেটো ও আলুর মতো দেখতে
১৮ ঘণ্টা আগেনিশ্বাস নেওয়ার জন্য মানুষের মতো শুধু ফুসফুসের ওপর নির্ভর করে না ব্যাঙ। এরা ত্বক দিয়েই তারা শ্বাস নিতে পারে এবং পানি পান করতে পারে। ব্যাঙসহ অন্যান্য উভচর প্রাণীদের এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য পরিবেশের সঙ্গে তাদের গভীরভাবে সংযুক্ত করে রাখে।
১ দিন আগেআলোক-তড়িৎ বা ফটোইলেকট্রিক প্রভাব ব্যাখ্যা করার জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক হিসেবে পরিচিত অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। তবে নোবেল পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কর্মজীবনের প্রতি অতিরঞ্জিত শ্রদ্ধাবোধ আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে। আমি নিজেকে একপ্রকার অনিচ্ছুক প্রতারক ভাবতে বাধ্য হই।
২ দিন আগেমঙ্গলগ্রহ জুড়ে বিস্তৃত হিমবাহগুলো মূলত বিশুদ্ধ পানির বরফে তৈরি। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই জানিয়েছেন একদল গবেষক। মঙ্গলগ্রহে কোনো ভবিষ্যৎ অভিযানের জন্য এই হিমবাহগুলো হতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পানির উৎস।
২ দিন আগে