চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী ফার্মাকোলজিস্ট ফেরিদ মুরাদ মারা গেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কের বাড়িতে গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ফেরিদ মুরাদের ছেলে জো মুরাদ খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালিতে নাইট্রিক অক্সাইডের প্রভাব সম্পর্কে ফেরিদ মুরাদের গবেষণা হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসায় ব্যাপক অগ্রগতি এনে দিয়েছে। এই কাজের জন্য ১৯৯৮ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে তিনি যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান।
চিকিৎসকেরা এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে অ্যানজিনা এবং অন্যান্য হৃদ্রোগের জন্য নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করতেন। কিন্তু কেউ জানত না এটা কীভাবে কাজ করে। কারও মাথায় আসেনি যে, এখানে সক্রিয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করে নাইট্রিক অক্সাইড; যাকে সাধারণত ক্যানসার সৃষ্টিকারী এবং দূষণের সঙ্গে যুক্ত একটি যৌগমূলক হিসেবেই দেখা হতো।
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করা ড. মুরাদ বেশ কাকতালীয়ভাবেই আবিষ্কারটি করে ফেলেন। তিনি জানতেন যে, সাইক্লিক গুয়ানোসিন মনোফসফেট নামক একটি এনজাইম রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তিনি জানতে চাইতেন কীভাবে এটি কাজ করে। রক্তনালির টিস্যু ব্যবহার করে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যান তিনি। বিষাক্ত একটি পদার্থকেও খুঁজে বের করতে সক্ষম হন ড. মুরাদ, আর মাঝে নাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। তিনি লক্ষ্য করেন যে, পদার্থটি অপ্রত্যাশিতভাবে টিস্যুকে প্রসারিত করেছে। এর জন্য দায়ী যে নাইট্রিক অক্সাইড, সেটা তাঁর বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
ব্রুকলিনের এসইউএনওয়াই ডাউনস্টেট মেডিকেল সেন্টারের গবেষক রবার্ট এফ. ফার্চগট প্রায় একই সময়ে একই রকম আবিষ্কার করেছিলেন। তার কিছুদিন পর লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুই জে. ইগনারোও প্রায় একই সিদ্ধান্তে আসেন যে, রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী কোনো একটি সিগনালিং এজেন্ট। তারা অভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, এটি নাইট্রিক অক্সাইড।
এই তিন গবেষক আলাদাভাবে কাজ করতে থাকেন। আশির দশকের শেষ দিকে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করেন যে, হৃদ্যন্ত্রে হরমোন বা নিউরোট্রান্সমিটারের মতো সিগনালিং এজেন্ট হিসেবেই কাজ করে নাইট্রিক অক্সাইড। এই আবিষ্কারের ফলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি সম্ভব হয়। এর অন্যতম হচ্ছে ভায়াগ্রা। এ ছাড়া এই আবিষ্কারের ফলে জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে অগণিত শিশুর, যাদের ফুসফুস ত্রুটিপূর্ণ থাকায় বাড়তি উদ্দীপনা জোগানো প্রয়োজন ছিল। হৃদ্রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই আবিষ্কার।
ফেরিদ মুরাদ ১৯৩৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানার হোয়াইটিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জন মুরাদের জন্ম আলবেনিয়ায়। ফেরিদ মুরাদ কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব মেডিসিন পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল অব মেডিসিনে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি পূর্ণ অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৮১ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
পরে তিনি জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালে অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে স্ট্যানফোর্ডে ফিরে আসেন। মানবদেহ এবং নাইট্রিক অক্সাইড নিয়ে কাজ করা অব্যাহত রাখেন তিনি। গত আগস্ট মাসে গবেষণা কাজের একটি প্রস্তাবও জমা দেন তিনি। মৃত্যু পর্যন্তই কাজ করে গেছেন হৃদ্রোগ সারাতে গ্যাসের ব্যবহারের এই আবিষ্কর্তা।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী ফার্মাকোলজিস্ট ফেরিদ মুরাদ মারা গেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কের বাড়িতে গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ফেরিদ মুরাদের ছেলে জো মুরাদ খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালিতে নাইট্রিক অক্সাইডের প্রভাব সম্পর্কে ফেরিদ মুরাদের গবেষণা হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের চিকিৎসায় ব্যাপক অগ্রগতি এনে দিয়েছে। এই কাজের জন্য ১৯৯৮ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে তিনি যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান।
চিকিৎসকেরা এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে অ্যানজিনা এবং অন্যান্য হৃদ্রোগের জন্য নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করতেন। কিন্তু কেউ জানত না এটা কীভাবে কাজ করে। কারও মাথায় আসেনি যে, এখানে সক্রিয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করে নাইট্রিক অক্সাইড; যাকে সাধারণত ক্যানসার সৃষ্টিকারী এবং দূষণের সঙ্গে যুক্ত একটি যৌগমূলক হিসেবেই দেখা হতো।
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করা ড. মুরাদ বেশ কাকতালীয়ভাবেই আবিষ্কারটি করে ফেলেন। তিনি জানতেন যে, সাইক্লিক গুয়ানোসিন মনোফসফেট নামক একটি এনজাইম রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তিনি জানতে চাইতেন কীভাবে এটি কাজ করে। রক্তনালির টিস্যু ব্যবহার করে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যান তিনি। বিষাক্ত একটি পদার্থকেও খুঁজে বের করতে সক্ষম হন ড. মুরাদ, আর মাঝে নাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। তিনি লক্ষ্য করেন যে, পদার্থটি অপ্রত্যাশিতভাবে টিস্যুকে প্রসারিত করেছে। এর জন্য দায়ী যে নাইট্রিক অক্সাইড, সেটা তাঁর বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
ব্রুকলিনের এসইউএনওয়াই ডাউনস্টেট মেডিকেল সেন্টারের গবেষক রবার্ট এফ. ফার্চগট প্রায় একই সময়ে একই রকম আবিষ্কার করেছিলেন। তার কিছুদিন পর লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুই জে. ইগনারোও প্রায় একই সিদ্ধান্তে আসেন যে, রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী কোনো একটি সিগনালিং এজেন্ট। তারা অভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, এটি নাইট্রিক অক্সাইড।
এই তিন গবেষক আলাদাভাবে কাজ করতে থাকেন। আশির দশকের শেষ দিকে তাঁরা প্রতিষ্ঠা করেন যে, হৃদ্যন্ত্রে হরমোন বা নিউরোট্রান্সমিটারের মতো সিগনালিং এজেন্ট হিসেবেই কাজ করে নাইট্রিক অক্সাইড। এই আবিষ্কারের ফলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি সম্ভব হয়। এর অন্যতম হচ্ছে ভায়াগ্রা। এ ছাড়া এই আবিষ্কারের ফলে জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে অগণিত শিশুর, যাদের ফুসফুস ত্রুটিপূর্ণ থাকায় বাড়তি উদ্দীপনা জোগানো প্রয়োজন ছিল। হৃদ্রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই আবিষ্কার।
ফেরিদ মুরাদ ১৯৩৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানার হোয়াইটিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জন মুরাদের জন্ম আলবেনিয়ায়। ফেরিদ মুরাদ কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব মেডিসিন পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল অব মেডিসিনে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি পূর্ণ অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৮১ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
পরে তিনি জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালে অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে স্ট্যানফোর্ডে ফিরে আসেন। মানবদেহ এবং নাইট্রিক অক্সাইড নিয়ে কাজ করা অব্যাহত রাখেন তিনি। গত আগস্ট মাসে গবেষণা কাজের একটি প্রস্তাবও জমা দেন তিনি। মৃত্যু পর্যন্তই কাজ করে গেছেন হৃদ্রোগ সারাতে গ্যাসের ব্যবহারের এই আবিষ্কর্তা।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
১ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর এক দম্পতি সম্প্রতি এক চমৎকার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁরা সন্তান জন্ম দিয়ে নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। কারণ, যে ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে তা ওই দম্পতির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে তৈরি হয়নি। মূলত, তাঁরা ৩১ বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা এক ভ্রূণ থেকে তাদের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
২ দিন আগে