নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থাকা প্রমাণ করে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩৪তম আন্তর্জাতিক ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।
সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে স্লোগানটা সামনে রাখা হয়েছে যে—‘‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি; সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’’। এখন এখানে আসার আগে আমি হিসাব মিলাচ্ছিলাম। আমাদের সমাজে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা কি সব জায়গায় প্রতিবন্ধীরা অংশগ্রহণ করে এমন সমাজ নিশ্চিত করতে পারছে? সামাজিক অগ্রগতি কি নিশ্চিত করতে পারছে? পারে নাই।’
প্রিন্স বলেন, যদি তা না করে থাকে, তাহলে যেন অন্ততপক্ষে বর্তমান সরকার (যারা পূর্ববর্তী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পরে ক্ষমতায় এসেছে) যেন দায়িত্ব পালনের আলামত দেখায়। শিক্ষকদের ৩৯ দিন রাস্তায় বসে থাকতে হওয়া প্রমাণ করে যে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস নিয়ে মিরপুরে সভা হচ্ছে এবং কিছু লোককে পুরস্কারও দেওয়া হবে। আজকে এই দিবসকে সামনে রেখে বিকেলে নানা ধরনের মেলা হবে, শুধু এখানে না আরও অনেক জায়গায়। এতে তো আমাদের কোনো আপত্তি নাই। বরং, আমরা সবাই মিলে যদি ওইখানে এই কাজে শরিক হতে পারতাম, আমাদের ভালো লাগত। কিন্তু সেই সুযোগ আমাদের কেন হয়নি?’
সিপিবির এ নেতা বলেন, ‘আজকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে যে সরকার ক্ষমতায় আছে, তার আগের সরকার ছিল কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী। আমরা বলতাম তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করে, এই সাধারণদের স্বার্থ রক্ষা করে না। আমরা তো এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করতে পারি যে তারা অন্ততপক্ষে এই দায়িত্বে কী কী পালন করতেছে দয়া করে সেই কথাটা বলুন। আমরা কি তার কোনো আলামত দেখতে পাচ্ছি? সেই আলামত দেখলে আমাদের শিক্ষকদের ৩৯ দিন রাস্তায় থাকতে হয়? হয় না।’
‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি; সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’—স্লোগানটি কাগজের কথা উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলি, ওইটা হচ্ছে কাগজের কথা। আমি সরকারের উদ্দেশে বলি, ওই স্লোগান যদি বাস্তবায়ন চান, তাহলে প্রতিবন্ধীদের আমাদের সমাজের সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনেক কাজ করার দরকার। সেই কাজ করেন। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে আমাদের যে শিক্ষকেরা আছেন, তাঁদের অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারেন। তাঁদের (শিক্ষক) মনে কষ্ট দিয়ে অন্য সময় নিশ্চিত করতে পারবেন না।’
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি সম্পূর্ণ ন্যায্য দাবি উল্লেখ করে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শিক্ষকদের বেশি দিন রাস্তায় বসে থাকা উচিত নয়, কারণ, সরকারের হাতেও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য বেশি সময় নেই। যাঁরা আজ দাবি মানছেন না, তাঁদের ভবিষ্যতে রাস্তায় এসে শিক্ষকদের পক্ষে মিছিল করতে হতে পারে।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্ত্তী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ইলিয়াস রাজ, সাধারণ সম্পাদক শারমিন জাহান রিমু, ঝালকাঠি জেলার সভাপতি রাবেয়া আক্তার সুমি, বরিশাল জেলার সভাপতি জীবন কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আজ ৩৯তম দিনের মতো তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
তাঁদের পাঁচটি দাবি হলো—সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করা; সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করা; বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি মিডডে মিল, উচ্চমানের শিক্ষাসামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা; ছাত্রছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করা।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থাকা প্রমাণ করে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩৪তম আন্তর্জাতিক ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।
সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে স্লোগানটা সামনে রাখা হয়েছে যে—‘‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি; সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’’। এখন এখানে আসার আগে আমি হিসাব মিলাচ্ছিলাম। আমাদের সমাজে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা কি সব জায়গায় প্রতিবন্ধীরা অংশগ্রহণ করে এমন সমাজ নিশ্চিত করতে পারছে? সামাজিক অগ্রগতি কি নিশ্চিত করতে পারছে? পারে নাই।’
প্রিন্স বলেন, যদি তা না করে থাকে, তাহলে যেন অন্ততপক্ষে বর্তমান সরকার (যারা পূর্ববর্তী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পরে ক্ষমতায় এসেছে) যেন দায়িত্ব পালনের আলামত দেখায়। শিক্ষকদের ৩৯ দিন রাস্তায় বসে থাকতে হওয়া প্রমাণ করে যে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস নিয়ে মিরপুরে সভা হচ্ছে এবং কিছু লোককে পুরস্কারও দেওয়া হবে। আজকে এই দিবসকে সামনে রেখে বিকেলে নানা ধরনের মেলা হবে, শুধু এখানে না আরও অনেক জায়গায়। এতে তো আমাদের কোনো আপত্তি নাই। বরং, আমরা সবাই মিলে যদি ওইখানে এই কাজে শরিক হতে পারতাম, আমাদের ভালো লাগত। কিন্তু সেই সুযোগ আমাদের কেন হয়নি?’
সিপিবির এ নেতা বলেন, ‘আজকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে যে সরকার ক্ষমতায় আছে, তার আগের সরকার ছিল কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী। আমরা বলতাম তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করে, এই সাধারণদের স্বার্থ রক্ষা করে না। আমরা তো এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করতে পারি যে তারা অন্ততপক্ষে এই দায়িত্বে কী কী পালন করতেছে দয়া করে সেই কথাটা বলুন। আমরা কি তার কোনো আলামত দেখতে পাচ্ছি? সেই আলামত দেখলে আমাদের শিক্ষকদের ৩৯ দিন রাস্তায় থাকতে হয়? হয় না।’
‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি; সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’—স্লোগানটি কাগজের কথা উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলি, ওইটা হচ্ছে কাগজের কথা। আমি সরকারের উদ্দেশে বলি, ওই স্লোগান যদি বাস্তবায়ন চান, তাহলে প্রতিবন্ধীদের আমাদের সমাজের সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনেক কাজ করার দরকার। সেই কাজ করেন। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে আমাদের যে শিক্ষকেরা আছেন, তাঁদের অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারেন। তাঁদের (শিক্ষক) মনে কষ্ট দিয়ে অন্য সময় নিশ্চিত করতে পারবেন না।’
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি সম্পূর্ণ ন্যায্য দাবি উল্লেখ করে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শিক্ষকদের বেশি দিন রাস্তায় বসে থাকা উচিত নয়, কারণ, সরকারের হাতেও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য বেশি সময় নেই। যাঁরা আজ দাবি মানছেন না, তাঁদের ভবিষ্যতে রাস্তায় এসে শিক্ষকদের পক্ষে মিছিল করতে হতে পারে।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্ত্তী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ইলিয়াস রাজ, সাধারণ সম্পাদক শারমিন জাহান রিমু, ঝালকাঠি জেলার সভাপতি রাবেয়া আক্তার সুমি, বরিশাল জেলার সভাপতি জীবন কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আজ ৩৯তম দিনের মতো তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
তাঁদের পাঁচটি দাবি হলো—সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করা; সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করা; বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি মিডডে মিল, উচ্চমানের শিক্ষাসামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা; ছাত্রছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থাকা প্রমাণ করে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩৪তম আন্তর্জাতিক ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।
সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে স্লোগানটা সামনে রাখা হয়েছে যে—‘‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি; সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’’। এখন এখানে আসার আগে আমি হিসাব মিলাচ্ছিলাম। আমাদের সমাজে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা কি সব জায়গায় প্রতিবন্ধীরা অংশগ্রহণ করে এমন সমাজ নিশ্চিত করতে পারছে? সামাজিক অগ্রগতি কি নিশ্চিত করতে পারছে? পারে নাই।’
প্রিন্স বলেন, যদি তা না করে থাকে, তাহলে যেন অন্ততপক্ষে বর্তমান সরকার (যারা পূর্ববর্তী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পরে ক্ষমতায় এসেছে) যেন দায়িত্ব পালনের আলামত দেখায়। শিক্ষকদের ৩৯ দিন রাস্তায় বসে থাকতে হওয়া প্রমাণ করে যে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস নিয়ে মিরপুরে সভা হচ্ছে এবং কিছু লোককে পুরস্কারও দেওয়া হবে। আজকে এই দিবসকে সামনে রেখে বিকেলে নানা ধরনের মেলা হবে, শুধু এখানে না আরও অনেক জায়গায়। এতে তো আমাদের কোনো আপত্তি নাই। বরং, আমরা সবাই মিলে যদি ওইখানে এই কাজে শরিক হতে পারতাম, আমাদের ভালো লাগত। কিন্তু সেই সুযোগ আমাদের কেন হয়নি?’
সিপিবির এ নেতা বলেন, ‘আজকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে যে সরকার ক্ষমতায় আছে, তার আগের সরকার ছিল কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী। আমরা বলতাম তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করে, এই সাধারণদের স্বার্থ রক্ষা করে না। আমরা তো এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করতে পারি যে তারা অন্ততপক্ষে এই দায়িত্বে কী কী পালন করতেছে দয়া করে সেই কথাটা বলুন। আমরা কি তার কোনো আলামত দেখতে পাচ্ছি? সেই আলামত দেখলে আমাদের শিক্ষকদের ৩৯ দিন রাস্তায় থাকতে হয়? হয় না।’
‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি; সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’—স্লোগানটি কাগজের কথা উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলি, ওইটা হচ্ছে কাগজের কথা। আমি সরকারের উদ্দেশে বলি, ওই স্লোগান যদি বাস্তবায়ন চান, তাহলে প্রতিবন্ধীদের আমাদের সমাজের সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনেক কাজ করার দরকার। সেই কাজ করেন। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে আমাদের যে শিক্ষকেরা আছেন, তাঁদের অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারেন। তাঁদের (শিক্ষক) মনে কষ্ট দিয়ে অন্য সময় নিশ্চিত করতে পারবেন না।’
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি সম্পূর্ণ ন্যায্য দাবি উল্লেখ করে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শিক্ষকদের বেশি দিন রাস্তায় বসে থাকা উচিত নয়, কারণ, সরকারের হাতেও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য বেশি সময় নেই। যাঁরা আজ দাবি মানছেন না, তাঁদের ভবিষ্যতে রাস্তায় এসে শিক্ষকদের পক্ষে মিছিল করতে হতে পারে।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্ত্তী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ইলিয়াস রাজ, সাধারণ সম্পাদক শারমিন জাহান রিমু, ঝালকাঠি জেলার সভাপতি রাবেয়া আক্তার সুমি, বরিশাল জেলার সভাপতি জীবন কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আজ ৩৯তম দিনের মতো তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
তাঁদের পাঁচটি দাবি হলো—সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করা; সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করা; বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি মিডডে মিল, উচ্চমানের শিক্ষাসামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা; ছাত্রছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করা।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থাকা প্রমাণ করে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩৪তম আন্তর্জাতিক ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।
সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে স্লোগানটা সামনে রাখা হয়েছে যে—‘‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি; সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’’। এখন এখানে আসার আগে আমি হিসাব মিলাচ্ছিলাম। আমাদের সমাজে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা কি সব জায়গায় প্রতিবন্ধীরা অংশগ্রহণ করে এমন সমাজ নিশ্চিত করতে পারছে? সামাজিক অগ্রগতি কি নিশ্চিত করতে পারছে? পারে নাই।’
প্রিন্স বলেন, যদি তা না করে থাকে, তাহলে যেন অন্ততপক্ষে বর্তমান সরকার (যারা পূর্ববর্তী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পরে ক্ষমতায় এসেছে) যেন দায়িত্ব পালনের আলামত দেখায়। শিক্ষকদের ৩৯ দিন রাস্তায় বসে থাকতে হওয়া প্রমাণ করে যে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস নিয়ে মিরপুরে সভা হচ্ছে এবং কিছু লোককে পুরস্কারও দেওয়া হবে। আজকে এই দিবসকে সামনে রেখে বিকেলে নানা ধরনের মেলা হবে, শুধু এখানে না আরও অনেক জায়গায়। এতে তো আমাদের কোনো আপত্তি নাই। বরং, আমরা সবাই মিলে যদি ওইখানে এই কাজে শরিক হতে পারতাম, আমাদের ভালো লাগত। কিন্তু সেই সুযোগ আমাদের কেন হয়নি?’
সিপিবির এ নেতা বলেন, ‘আজকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে যে সরকার ক্ষমতায় আছে, তার আগের সরকার ছিল কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী। আমরা বলতাম তারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করে, এই সাধারণদের স্বার্থ রক্ষা করে না। আমরা তো এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করতে পারি যে তারা অন্ততপক্ষে এই দায়িত্বে কী কী পালন করতেছে দয়া করে সেই কথাটা বলুন। আমরা কি তার কোনো আলামত দেখতে পাচ্ছি? সেই আলামত দেখলে আমাদের শিক্ষকদের ৩৯ দিন রাস্তায় থাকতে হয়? হয় না।’
‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি; সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’—স্লোগানটি কাগজের কথা উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলি, ওইটা হচ্ছে কাগজের কথা। আমি সরকারের উদ্দেশে বলি, ওই স্লোগান যদি বাস্তবায়ন চান, তাহলে প্রতিবন্ধীদের আমাদের সমাজের সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনেক কাজ করার দরকার। সেই কাজ করেন। প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে আমাদের যে শিক্ষকেরা আছেন, তাঁদের অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারেন। তাঁদের (শিক্ষক) মনে কষ্ট দিয়ে অন্য সময় নিশ্চিত করতে পারবেন না।’
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি সম্পূর্ণ ন্যায্য দাবি উল্লেখ করে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শিক্ষকদের বেশি দিন রাস্তায় বসে থাকা উচিত নয়, কারণ, সরকারের হাতেও নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য বেশি সময় নেই। যাঁরা আজ দাবি মানছেন না, তাঁদের ভবিষ্যতে রাস্তায় এসে শিক্ষকদের পক্ষে মিছিল করতে হতে পারে।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা কমিটির সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্ত্তী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ইলিয়াস রাজ, সাধারণ সম্পাদক শারমিন জাহান রিমু, ঝালকাঠি জেলার সভাপতি রাবেয়া আক্তার সুমি, বরিশাল জেলার সভাপতি জীবন কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আজ ৩৯তম দিনের মতো তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
তাঁদের পাঁচটি দাবি হলো—সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করা; সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নিশ্চিত করা; বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি মিডডে মিল, উচ্চমানের শিক্ষাসামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা; ছাত্রছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় থেকে তাজনূভা জাবীন ঢাকা-১৭ ও নাসীরুদ্দীন ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নপত্র নেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছৃঙ্খল জনতা মব তৈরি করে হামলা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করছে— এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
৪ ঘণ্টা আগে
গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাবে, গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের দিকে যাবে, তার জন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন অপরিহার্য। যারাই একে বানচাল করতে চেষ্টা করবে, তাদের জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাইয়ের...
৫ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা ২০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০ জনের এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় থেকে তাজনূভা জাবীন ঢাকা-১৭ ও নাসীরুদ্দীন ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নপত্র নেন।
তাজনূভা জাবীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি আজকে। আমার জন্য দোয়া করবেন আপনারা। আমার দল এনসিপি। আমার দলের মার্কা শাপলা কলি।’
ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে গুলশান, বনানী, বারিধারা, ভাষানটেক, কালাচাঁদপুর, শাহজাদপুর, কড়াইল, মহাখালী ও ক্যান্টনমেন্ট। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এস এম খালিকুজ্জামান। বিএনপি এই আসনে এখানো দলীয় প্রার্থী দেয়নি। এই আসনের আরেকজন প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পক্ষে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা উত্তরা আজিমপুর কাঁচাবাজার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এনসিপির মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মান্নান তালুকদার (মাহিন), সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রিন্স এবং এনসিপির উত্তরার সাত থানার প্রধান সমন্বয়কারী ও যুগ্ম সমন্বয়কারীরা।
ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও দক্ষিণখান। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় থেকে তাজনূভা জাবীন ঢাকা-১৭ ও নাসীরুদ্দীন ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নপত্র নেন।
তাজনূভা জাবীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি আজকে। আমার জন্য দোয়া করবেন আপনারা। আমার দল এনসিপি। আমার দলের মার্কা শাপলা কলি।’
ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে গুলশান, বনানী, বারিধারা, ভাষানটেক, কালাচাঁদপুর, শাহজাদপুর, কড়াইল, মহাখালী ও ক্যান্টনমেন্ট। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এস এম খালিকুজ্জামান। বিএনপি এই আসনে এখানো দলীয় প্রার্থী দেয়নি। এই আসনের আরেকজন প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পক্ষে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা উত্তরা আজিমপুর কাঁচাবাজার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এনসিপির মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব মো. মান্নান তালুকদার (মাহিন), সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রিন্স এবং এনসিপির উত্তরার সাত থানার প্রধান সমন্বয়কারী ও যুগ্ম সমন্বয়কারীরা।
ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও দক্ষিণখান। এই আসনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থাকা প্রমাণ করে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
১৯ দিন আগে
দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছৃঙ্খল জনতা মব তৈরি করে হামলা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করছে— এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
৪ ঘণ্টা আগে
গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাবে, গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের দিকে যাবে, তার জন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন অপরিহার্য। যারাই একে বানচাল করতে চেষ্টা করবে, তাদের জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাইয়ের...
৫ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা ২০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০ জনের এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছৃঙ্খল জনতা মব তৈরি করে হামলা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করছে— এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে সারা দেশে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে গণতন্ত্র কখনোই শক্তিশালী হবে না। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগণ এখন ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে নষ্ট করার জন্য একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। এ ধরনের অপচেষ্টাকে কোনোভাবেই সুযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশের সঙ্গে অসম চুক্তিতে চড়া মূল্যে বিদ্যুৎ কিনে জনগণের অর্থের অপচয় করেছে। জনগণের কষ্টার্জিত টাকাকে নিজের মনে করে লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বের প্রশংসা করে রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ইশরাক এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছৃঙ্খল জনতা মব তৈরি করে হামলা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করছে— এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিভিন্ন ইস্যুকে সামনে রেখে সারা দেশে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে গণতন্ত্র কখনোই শক্তিশালী হবে না। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগণ এখন ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে নষ্ট করার জন্য একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। এ ধরনের অপচেষ্টাকে কোনোভাবেই সুযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিদেশের সঙ্গে অসম চুক্তিতে চড়া মূল্যে বিদ্যুৎ কিনে জনগণের অর্থের অপচয় করেছে। জনগণের কষ্টার্জিত টাকাকে নিজের মনে করে লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বের প্রশংসা করে রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ইশরাক এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থাকা প্রমাণ করে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
১৯ দিন আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় থেকে তাজনূভা জাবীন ঢাকা-১৭ ও নাসীরুদ্দীন ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নপত্র নেন।
৩ ঘণ্টা আগে
গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাবে, গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের দিকে যাবে, তার জন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন অপরিহার্য। যারাই একে বানচাল করতে চেষ্টা করবে, তাদের জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাইয়ের...
৫ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা ২০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০ জনের এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাবে, গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের দিকে যাবে; তার জন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন অপরিহার্য। যারাই একে বানচাল করতে চেষ্টা করবে, তাদের জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাইয়ের আদর্শে প্রতিহত করবে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, ময়মনসিংহে শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়ে শিশু আয়েশা আক্তারকে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাইয়ে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, তার বিচার করতে হবে। নির্বাচন বানচালের যে তৎপরতা চলছে, সরকারকে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার কিংবা অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন জনের ওপর হামলা করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সরকারের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সরকার, যারা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা আজকে অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী নেতৃত্বের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজটি করতে পারছে না।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে সাকি বলেন, তারা এখনো দেশকে ধ্বংস করার ক্ষেত্র থেকে নিরস্ত হয়নি। তারা গণতান্ত্রিক উত্তরণকে নস্যাৎ করে দিয়ে, বানচাল করে দিয়ে এই দেশকে আবারও চূড়ান্ত বিপর্যয়ের দিকে নিতে চায়। পতিত ফ্যাসিস্টরা বসে নেই, তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।
দেশে নব্য ফ্যাসিস্টের আগমন ঘটেছে ইঙ্গিত করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্টরা যে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল, আজকে তার বিপরীতে আরেক দল নতুন করে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে চায় এবং সেইটাকে কি সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে? এক ফ্যাসিবাদ পাল্টে আরেক ফ্যাসিবাদের ধারা সেখানে জন্ম কিংবা তাদের উত্থানে সহায়তা করছে? আমাদের সতর্ক ও সচেতন হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ তিনি গণমাধ্যমের ওপরে হামলাকে গণতন্ত্রের ওপরে হামলা বলে উল্লেখ করেন।
সমাবেশে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে এই ন্যায়বিচার ও ইনসাফের রাজনৈতিক মতাদর্শকে বুঝেছিলাম। সেই রাষ্ট্র গঠনের জন্য আমাদের এই মুহূর্তে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে।’
দলের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, ‘যারা পতিত ফ্যাসিস্টকে পুনর্বাসন করতে চায়, তারাই আমাদের নির্বাচনকে বারবার পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জিএসএর রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক কুমার রায়, আমজাদ হোসেন, অঞ্জন দাস, লুৎফুন্নাহার সুমনা প্রমুখ।

গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাবে, গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের দিকে যাবে; তার জন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন অপরিহার্য। যারাই একে বানচাল করতে চেষ্টা করবে, তাদের জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাইয়ের আদর্শে প্রতিহত করবে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, ময়মনসিংহে শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়ে শিশু আয়েশা আক্তারকে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাইয়ে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, তার বিচার করতে হবে। নির্বাচন বানচালের যে তৎপরতা চলছে, সরকারকে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার কিংবা অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন জনের ওপর হামলা করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সরকারের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সরকার, যারা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা আজকে অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী নেতৃত্বের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজটি করতে পারছে না।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে সাকি বলেন, তারা এখনো দেশকে ধ্বংস করার ক্ষেত্র থেকে নিরস্ত হয়নি। তারা গণতান্ত্রিক উত্তরণকে নস্যাৎ করে দিয়ে, বানচাল করে দিয়ে এই দেশকে আবারও চূড়ান্ত বিপর্যয়ের দিকে নিতে চায়। পতিত ফ্যাসিস্টরা বসে নেই, তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।
দেশে নব্য ফ্যাসিস্টের আগমন ঘটেছে ইঙ্গিত করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্টরা যে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল, আজকে তার বিপরীতে আরেক দল নতুন করে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে চায় এবং সেইটাকে কি সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে? এক ফ্যাসিবাদ পাল্টে আরেক ফ্যাসিবাদের ধারা সেখানে জন্ম কিংবা তাদের উত্থানে সহায়তা করছে? আমাদের সতর্ক ও সচেতন হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ তিনি গণমাধ্যমের ওপরে হামলাকে গণতন্ত্রের ওপরে হামলা বলে উল্লেখ করেন।
সমাবেশে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে এই ন্যায়বিচার ও ইনসাফের রাজনৈতিক মতাদর্শকে বুঝেছিলাম। সেই রাষ্ট্র গঠনের জন্য আমাদের এই মুহূর্তে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে।’
দলের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, ‘যারা পতিত ফ্যাসিস্টকে পুনর্বাসন করতে চায়, তারাই আমাদের নির্বাচনকে বারবার পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জিএসএর রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক কুমার রায়, আমজাদ হোসেন, অঞ্জন দাস, লুৎফুন্নাহার সুমনা প্রমুখ।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থাকা প্রমাণ করে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
১৯ দিন আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় থেকে তাজনূভা জাবীন ঢাকা-১৭ ও নাসীরুদ্দীন ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নপত্র নেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছৃঙ্খল জনতা মব তৈরি করে হামলা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করছে— এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
৪ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা ২০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০ জনের এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা ২০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০ জনের এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নাম থাকলেও সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করেছেন নুরুল হক নুর।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে ‘ডাকসু হামলার ৬ বছর’ উপলক্ষে এক প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, ‘যে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনসমক্ষে পোশাক পরিহিত অবস্থায় আমার কার্যালয়ের সামনে হামলা করেছে, সেই হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সরকারের দেওয়া গানম্যান আমি প্রত্যাখ্যান করছি।’
নুর আরও বলেন, ‘একক ব্যক্তিকে গানম্যান দিয়ে গোটা দেশকে নিরাপদ করা সম্ভব নয়। জনগণের নিরাপত্তায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। শুধু নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ও নিরাপদ ভোটের পরিবেশ তৈরি না হলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবে না।’
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুর্বৃত্তরা পোশাক পরিহিত অবস্থায় চলতি বছরের ২৯ আগস্ট জনসমক্ষে হামলা চালিয়েছিল উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও এখন পর্যন্ত এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত ও বিচার করা হয়নি। এতে বোঝা যায়, সেদিনের হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের মৌন সমর্থন রয়েছে।’
এই ঘটনার জন্য সরকারের দায় রয়েছে জানিয়ে নুর বলেন, ‘হামলার ঘটনার বিচার না হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাসহ বাকি উপদেষ্টাদেরও আমি দায়ী করব।’ তাই গানম্যান প্রত্যাখ্যান করে নিজের ওপর কোনো ধরনের হামলা হলে তার দায় বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিতে হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকা ২০ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ২০ জনের এই তালিকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নাম থাকলেও সরকারের দেওয়া গানম্যান প্রত্যাখ্যান করেছেন নুরুল হক নুর।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে ‘ডাকসু হামলার ৬ বছর’ উপলক্ষে এক প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, ‘যে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনসমক্ষে পোশাক পরিহিত অবস্থায় আমার কার্যালয়ের সামনে হামলা করেছে, সেই হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত সরকারের দেওয়া গানম্যান আমি প্রত্যাখ্যান করছি।’
নুর আরও বলেন, ‘একক ব্যক্তিকে গানম্যান দিয়ে গোটা দেশকে নিরাপদ করা সম্ভব নয়। জনগণের নিরাপত্তায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে। শুধু নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ও নিরাপদ ভোটের পরিবেশ তৈরি না হলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবে না।’
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুর্বৃত্তরা পোশাক পরিহিত অবস্থায় চলতি বছরের ২৯ আগস্ট জনসমক্ষে হামলা চালিয়েছিল উল্লেখ করে নুর বলেন, ‘৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও এখন পর্যন্ত এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত ও বিচার করা হয়নি। এতে বোঝা যায়, সেদিনের হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের মৌন সমর্থন রয়েছে।’
এই ঘটনার জন্য সরকারের দায় রয়েছে জানিয়ে নুর বলেন, ‘হামলার ঘটনার বিচার না হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাসহ বাকি উপদেষ্টাদেরও আমি দায়ী করব।’ তাই গানম্যান প্রত্যাখ্যান করে নিজের ওপর কোনো ধরনের হামলা হলে তার দায় বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিতে হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থাকা প্রমাণ করে সামাজিক অগ্রগতির আলামত নেই।
১৯ দিন আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার কার্যালয় থেকে তাজনূভা জাবীন ঢাকা-১৭ ও নাসীরুদ্দীন ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নপত্র নেন।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছৃঙ্খল জনতা মব তৈরি করে হামলা চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করছে— এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
৪ ঘণ্টা আগে
গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যাবে, গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের দিকে যাবে, তার জন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন অপরিহার্য। যারাই একে বানচাল করতে চেষ্টা করবে, তাদের জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাইয়ের...
৫ ঘণ্টা আগে