Ajker Patrika

সংবিধান সংস্কার নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চে অনৈক্য

  • সংবিধান সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন চায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
  • গণসংহতি আন্দোলন চায় গণপরিষদ বা সংস্কার সভা
  • নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেএসডি চায়, নির্বাচিত সংসদে সংবিধান সংস্কার
সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা 
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ১৬
সংবিধান সংস্কার নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চে অনৈক্য

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যমান সংবিধান নিয়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো বলছে, বিদ্যমান সংবিধানের কারণে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পেরেছেন। তাই ফ্যাসিস্ট-ব্যবস্থা বিলোপে বিদ্যমান সংবিধানের পুনর্লিখন, সংশোধন প্রয়োজন। তবে নতুন সংবিধান কীভাবে প্রণয়ন করা হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে মতবিরোধ। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অন্যতম জোট গণতন্ত্র মঞ্চেও এ নিয়ে চলছে সংকট।

গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়েছে ৬টি দল ও সংগঠন নিয়ে—নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। মঞ্চটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে গণতন্ত্র মঞ্চভুক্ত দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে। বিশেষত, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন হবে, নাকি পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।

সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে বিদ্যমান সংবিধান সংশোধন নয়; বরং সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাদের প্রস্তাব, নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন করতে হবে। সেখানেই নতুন সংবিধান অনুমোদন করা হবে।

সংবিধান সংস্কারের প্রশ্নে গণপরিষদ বা সংবিধান সভার নির্বাচন চায় গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সংবিধানের মৌলিক সংস্কার সংশোধনের মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। তাই সংবিধান সংশোধনের জন্য গণপরিষদ বা সংবিধান সভা নির্বাচন প্রয়োজন।

এ নিয়ে রাস্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংসদ শপথ নেয় সংবিধান রক্ষা করার জন্য। সংবিধানের কোনো মৌলিক সংস্কার তারা করতে পারে না। সংবিধানের কোনো পরিবর্তন যদি সংশোধনের নামে কেউ করে, তাহলে আদালত বা পরের সংসদ এটা বাতিল করে দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবর্তিত বিষয়গুলো যেন টেকসই হয়, তাই গণপরিষদ বা সংবিধান সংস্কার সভা চাই। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য সংবিধান সভার নির্বাচন লাগে। এই পদ্ধতির যারা বিরোধিতা করে, তারা অনেকে পদ্ধতিগত জায়গাটা সম্পর্কে স্পষ্টই নয়। স্পষ্ট হওয়ার পরেও যারা করে, তাদের আসলে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘আমরা চাই, সংস্কার যেন জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে হয়। এটাকে প্রধান করেই যেন আগামী নির্বাচনটা হয়। ফলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠাই হবে আগামী নির্বাচনের প্রধান লক্ষ্য।’ এ জন্য সংস্কার সভার নির্বাচন প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

সাকি আরও বলেন, ‘সংস্কারের প্রশ্নে জনগণের ম্যান্ডেট থাকলে জন-অভিপ্রায় হিসেবে সংবিধান দাঁড়াবে। সেটা আদালত কর্তৃক সংশোধন হিসেবে গৃহীত হবে না। কিন্তু জনগণের অভিপ্রায়ের সংবিধানের ভিত্তি দিতে গেলে গণপরিষদ বা সংস্কার সভা হিসেবে জনগণ থেকে ম্যান্ডেট নিতে হবে।’

এদিকে একেবারে নতুন সংবিধান তৈরির প্রেক্ষাপট এই মুহূর্তে নেই বলে মনে করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য হওয়া কঠিন।’ তবে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান পুনর্লিখন বা সংস্কারের পর সেই গণপরিষদ সংসদ হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে জানান তিনি।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটা বিষয় নিয়েই বিতর্ক আছে। গণপরিষদের প্রশ্নে যাওয়া মানে সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান পুনর্লিখন। নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে পাকিস্তানের পাঁচ বছর লেগেছিল। বাংলাদেশের নতুন সংবিধান করতে এখন কত বছর লাগবে? এই সময় কি পাওয়া যাবে? যে সকল সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো সংশোধনীর মাধ্যমে ধীরে ধীরে করা যেতে পারে। তাই আমরা সংবিধান সভার কথা বলি না।’

সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংবিধান সংস্কার করবে—এমনটাই চান গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংবিধান নিয়ে আলোচনা করবে। কোথায় ঐকমত্যের জায়গা আছে, খুঁজে বের করবেন। সংবিধান সভার নির্বাচনের বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত নয়। সরকার সেখানেই দাঁড়াবে, যেখানে ঐকমত্য আছে।’

সংবিধান কীভাবে সংস্কার হবে, সেই সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদ নেবে বলে জানিয়েছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, তা পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। যদি সংবিধান পুনর্লিখন প্রয়োজন হয়, তবে তারা গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তা করবে। যদি মনে করে, সংশোধনের মাধ্যমেই সংস্কার সম্ভব, তবে তা-ই করবে।’

দলগুলোর নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সংস্কার পদ্ধতি প্রশ্নে মতবিরোধের কারণে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি। একই সঙ্গে মতভিন্নতার কারণে মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে দূরত্ব। মতভিন্নতার বিষয়টি উঠে এসেছে নেতৃবৃন্দের আলোচনায়ও। তবে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে মঞ্চ ভাঙার অথবা একাধিক দল মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও করছেন তাঁরা।

জানা গেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই সংবিধান প্রশ্নে গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। গত ৩০ ডিসেম্বর মঞ্চের সর্বশেষ মিটিংয়েও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ২৫ জানুয়ারি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আবারও মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে একটি সমাধানে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছেন নেতা-কর্মীরা।

মতভিন্নতা প্রসঙ্গে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘সংস্কার কীভাবে হবে, তার পদ্ধতি নিয়ে মঞ্চের দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত আছে। আমরা আশা করি, শিগগির সেটা একটা জায়গায় পৌঁছাবে।’

সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এটা মতবিরোধ নয়। যার যার মত থাকতে পারে। আমরা চেষ্টা করব ঐকমত্যে পৌঁছাতে। শেষ পর্যন্ত না হলে যার যার রাজনৈতিক কর্মসূচি তারা প্রচার করবে।’

মাহমুদুর রহমান মান্না মতভিন্নতা প্রসঙ্গে বলেন, দুটি দল ভিন্ন কথা বলছে। একটা দল বলছে, সংবিধান সভা ছাড়া হবেই না। আরেকটা দল বলছে, তারা ভাবছে, কী করা যায়।

হাসনাত কাইয়ুম বলেন, টানাপোড়েন আছে, এটা সত্য। তবে মোর্চা ভেঙে যাওয়া বা দুই ভাগ হওয়ার মতো পরিস্থিতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সবারই একটা আন্তরিক চেষ্টা আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে বড় ভাইয়ের মাইকিং, স্থান পানের বরজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৪
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।

আজ সন্ধ্যায় ফোন করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জামায়াত নেতা তাহের।

সৈয়দ তাহের বলেন, ‘আমিই বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করেছিলাম। ওনাকে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি।’ জবাবে উনি বলেছেন জানাবেন।

গত সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয় এবং আজ ফোনকল করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে বড় ভাইয়ের মাইকিং, স্থান পানের বরজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘যাঁরা নিজেদের লোক হত্যা করেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না’

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’

ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’

গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে বড় ভাইয়ের মাইকিং, স্থান পানের বরজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৮ দল নিয়ে রাজনৈতিক জোট করতে পারে এনসিপি: নাসীরুদ্দীন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আটটি দল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

যে দলগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হতে চাইছে, সেগুলো হচ্ছে—গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ছয়টি দল জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘যেহেতু দেশ সংকটকালীন মুহূর্তে আছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে এক জায়গায় আসে এবং তারা যদি সংস্কারগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে বিএনপি এবং জামায়াত যে কারও সাথেই আমাদের জোট হতে পারে।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক শর্ত—বিচার এবং সংস্কার। এই বিষয়ে যদি সমাধান না হয়, তাহলে কারও সাথেই জোটে যাব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে বড় ভাইয়ের মাইকিং, স্থান পানের বরজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের আগে গণভোট নয়, বিএনপি ভেসে আসেনি— ফখরুলের কড়া হুঁশিয়ারি

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৮
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’

যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’

মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।

যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি করতে বড় ভাইয়ের মাইকিং, স্থান পানের বরজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত