Ajker Patrika

রাজনীতিতে দুর্ঘটনা ঘটাতে চায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১১
রাজনীতিতে দুর্ঘটনা ঘটাতে চায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

রাজনীতিতে বিএনপি দুর্ঘটনা ঘটাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া তিনি প্রশ্ন করেন, দেশে বিএনপির চেয়ে বড় উগ্রবাদী কারা? আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাদের এ মন্তব্য করেন।   

কাদের বলেন, দেশে উগ্রবাদের জন্ম বিএনপির হাত ধরে। আজকে মির্জা ফখরুল কেন বলেন না, তাদের কথামতো না চললে দেশে উগ্রবাদ চলবে? সরকার আত্মশক্তিতে বলীয়ান। 

রাজনীতিতে বিএনপি দুর্ঘটনা ঘটাতে চায় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বেফাঁস কথা বলে না, বিএনপিই বলে। বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো বেপরোয়া রাজনীতির চালক মির্জা ফখরুল। রাজনীতিতে বিএনপি দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়। অতীতে তাদের এই ইতিহাস আছে। এ দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা বারেবারে ঘটাতে চায়। এ ছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকার তাদের আর কোনো রসদ নেই।’ 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা এ দেশে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের যারা মাস্টারমাইন্ড ছিল, খন্দকার মোস্তাকের সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমান। অবাক লাগে, নিজেরাই যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের ওপর আরোপিত অভিযোগ নতুন করে আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের ওপর। তেশরা নভেম্বর জেলহত্যা, একুশে আগস্ট ২০০৪ সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৩ জনের প্রাণ ঝরে গেছে। এসব হত্যাকাণ্ড বিএনপির আমলে সংঘটিত করেছিল। এরপর মির্জা ফখরুল হঠাৎ এক বিবৃতিতে কোথা থেকে পেলেন আওয়ামী লীগ নাকি হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে! উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। বিএনপি নিজেরাই নিজেদের নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপিয়েছিল নির্বাচন সামনে রেখে। একুশে আগস্ট জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল তারা। এমন নাটক তারা বারেবারে সাজিয়েছে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য। নিজেদের কৃতকর্মের দায় অপরের ওপর চাপাতে তাদের অপকর্ম এখনো অব্যাহত আছে। জেল থেকে বের হয়ে মির্জা ফখরুল যা বলছেন, তা এসব নাটকেরই প্রতিধ্বনি।’ 

বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি কোথায় ঘুরে দাঁড়াবে, সেটা আমাদের জানা নেই। এ কথা আগেও শুনেছি। কোন বছর ঘুরে দাঁড়াবে? আন্দোলনের যে চৌকশ কথার ফুলঝুরি অনেক শুনেছি, সে কথা বারেবারে বলতে গিয়ে বিএনপি নেতারা জনগণের কাছে নিজেদেরই খাটো করছেন। দেশে আন্দোলনের কোনো বস্তুগত ইস্যু নেই। তারা গায়ে পড়ে ইস্যু খুঁজে বেড়ায়। জনগণ জেনেশুনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছে। বাস্তবে হতাশা-নিরাশা থেকে নিজেদের আত্মতুষ্টির জন্য এবং নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে দলটির নেতারা এসব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।’ 

মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ওখানে এখন যেটা দরকার, তা হলো ইন্টেলিজেন্ট ডিপ্লোমেসি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সব পক্ষের গতিবিধি লক্ষ্য করে যুদ্ধকে পরিহার করে শান্তির জন্য ইন্টেলিজেন্স ডিপ্লোমেসি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত