নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে গণতন্ত্রের জন্যই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। এখন মুক্তিযুদ্ধের দোহায় দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আজকে যারা বিনা ভোটে বাংলার মসনদে বসে আছেন তারা হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার।’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় আব্দুস সালাম হলে গণফোরামের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘দুঃশাসন হটিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ গণফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণফোরাম ১৯৯২ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দল। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ২০২২ সাল মোস্তফা মোহসীন মন্টু গণফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালে গণতান্ত্রিক রায় কার্যকর হলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করতে হতো না জানিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা ৬ দফা নিয়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের স্বপ্ন ছিল বৈষম্য, অন্যায় অবিচার বিদায় করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। বঙ্গবন্ধু কারাগারে গেছে, তখনো আন্দোলন থেমে থাকেনি। আইয়ুব খানকে বিদায় করেছে, বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে বের করে এনেছি। একাত্তরে যুদ্ধ শুরুর সময় বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হয়ে গেল, কিন্তু যুদ্ধ থেমে থাকেনি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে কেন। যদি সত্তরের নির্বাচনের গণতান্ত্রিক রায়, সঠিকভাবে কার্যকর করত আইয়ুব খান। তাহলে তো মুক্তিযুদ্ধ আমাদের করতে হতো না।’
গণফোরামের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে জোর করে থাকার একটা পাঁয়তারা হচ্ছে। জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। আজকে এই সরকার ২০১৪ সালে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসেছে। ২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট কারচুপি করে পার পেয়েছে। প্রশাসনের ভাইরা খুব সুন্দর ভূমিকা পালন করলেন। এই সরকার প্রশাসন নির্ভর সরকার। তার কর্মী লাগে না। পুলিশের পেছনে তার লাঠিয়াল বাহিনী থাকে। দুর্নীতির কথা গণতন্ত্রের কথা কেউ বলতে পারবে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। একাত্তরে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। একই ভাবে এখন মাঠে নামতে হবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান আহমদ বলেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্রের জন্য। ভারতের কাছে বিক্রি করার জন্য না। ভারতের মতোও গণতন্ত্রের অবস্থা যদি এই দেশে থাকত। তাহলে এই সরকারের টিকিও খুঁজে পাওয়া যেত না। আমরা সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব। এই সরকার একদিন দেশ ছেড়ে পলায়ন করবে।’
আওয়ামী লীগ এখন আর মুক্তিযুদ্ধের দল নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ও গণফোরামের নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল কথা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আজকে যারা বলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। আজকে আর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল নেই। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো. বাবুল সরদার চাখারী, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
দেশে গণতন্ত্রের জন্যই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। এখন মুক্তিযুদ্ধের দোহায় দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আজকে যারা বিনা ভোটে বাংলার মসনদে বসে আছেন তারা হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার।’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় আব্দুস সালাম হলে গণফোরামের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘দুঃশাসন হটিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ গণফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণফোরাম ১৯৯২ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দল। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ২০২২ সাল মোস্তফা মোহসীন মন্টু গণফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালে গণতান্ত্রিক রায় কার্যকর হলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করতে হতো না জানিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা ৬ দফা নিয়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের স্বপ্ন ছিল বৈষম্য, অন্যায় অবিচার বিদায় করে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। বঙ্গবন্ধু কারাগারে গেছে, তখনো আন্দোলন থেমে থাকেনি। আইয়ুব খানকে বিদায় করেছে, বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে বের করে এনেছি। একাত্তরে যুদ্ধ শুরুর সময় বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হয়ে গেল, কিন্তু যুদ্ধ থেমে থাকেনি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে কেন। যদি সত্তরের নির্বাচনের গণতান্ত্রিক রায়, সঠিকভাবে কার্যকর করত আইয়ুব খান। তাহলে তো মুক্তিযুদ্ধ আমাদের করতে হতো না।’
গণফোরামের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে জোর করে থাকার একটা পাঁয়তারা হচ্ছে। জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। আজকে এই সরকার ২০১৪ সালে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসেছে। ২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট কারচুপি করে পার পেয়েছে। প্রশাসনের ভাইরা খুব সুন্দর ভূমিকা পালন করলেন। এই সরকার প্রশাসন নির্ভর সরকার। তার কর্মী লাগে না। পুলিশের পেছনে তার লাঠিয়াল বাহিনী থাকে। দুর্নীতির কথা গণতন্ত্রের কথা কেউ বলতে পারবে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। একাত্তরে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। একই ভাবে এখন মাঠে নামতে হবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান আহমদ বলেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্রের জন্য। ভারতের কাছে বিক্রি করার জন্য না। ভারতের মতোও গণতন্ত্রের অবস্থা যদি এই দেশে থাকত। তাহলে এই সরকারের টিকিও খুঁজে পাওয়া যেত না। আমরা সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব। এই সরকার একদিন দেশ ছেড়ে পলায়ন করবে।’
আওয়ামী লীগ এখন আর মুক্তিযুদ্ধের দল নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রীর ও গণফোরামের নেতা অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল কথা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আজকে যারা বলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। আজকে আর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল নেই। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো. বাবুল সরদার চাখারী, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থবোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টায় তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
৭ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতির ঘোষণার (প্রেসিডেন্সিয়াল প্রক্লেমেশন) মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। বিকল্প হিসেবে গণভোটের মাধ্যমেও সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া যেতে পারে, এমনটা মনে করে দলটি। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয়...
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি এরই মধ্যে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
২০ ঘণ্টা আগেসংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত নয়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে নয় বিএনপি।’
১ দিন আগে