Ajker Patrika

জিনিসপত্রের দাম বাড়ার ইস্যু বিএনপি হাতছাড়া করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩: ৩০
জিনিসপত্রের দাম বাড়ার ইস্যু বিএনপি হাতছাড়া করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জিনিসপত্রের দাম বাড়ার ইস্যু বিএনপি হাতছাড়া করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শুক্রবার সিলেটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বয়কট করে সরকার পরিবর্তন করা যায় না। ব্রিটিশ যুগে এসব করেছেন, এখন বয়কট করে সরকার পরিবর্তন করা যায় না।’ 

আজ বিকেল ৫টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের তিন সদস্যের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি সিলেট নগরীর ধোপাদীঘিরপাড়ের হাফিজ কমপ্লেক্সে আসে। দলে ছিলেন আইআরআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাব ঘোষ ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা। 

নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে ড. মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওরা মিস করেছে বাস। যখন জিনিসপত্রের দাম বাড়ল, তখন যথেষ্ট পপুলেটিভ একটা ইস্যু ছিল। তখন তারা এসব ইস্যু মিস করেছে। কারণ, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের অপরিপক্বতা আছে। এটা আমি প্রায়ই বলে থাকি।’ 

প্রধানমন্ত্রীর জীবননাশ করা বিএনপির উদ্দেশ্য দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘কারণ, তাদের তো দুটি ইস্যু। প্রধানমন্ত্রীর জীবননাশ করা আর তাদের নেত্রীর জেল দেওয়া। তাদের (বিএনপি) নেত্রীকে আওয়ামী লীগ জেলে দেয় নাই। তাদের নেত্রীর গড়া কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট উনাকে জেল দিয়েছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে উনি সাফার করছেন। আর ওইটা নিয়ে পাবলিকের এত মাথাব্যথা নাই।’ 

নির্বাচনে বিএনপি এল না কেন, এ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘আরেকটি প্রশ্ন ছিল তাদের (নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল), এইবারের নির্বাচনে বিএনপি এল না কেন। আমি বলেছি, তাদের (বিএনপি) জিজ্ঞাসা করেন। আমি মনে করি, তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনার অভাব রয়েছে। তাদের লোকেরা যদি আলোচনা করত, কোনো ডিসিশন নিত; তাহলে এ রকম বোকামি ডিসিশন করত না।’ 

এ সময় নির্বাচন ঘিরে ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি বিএনপির ওপর প্রয়োগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রয়োজনে নির্বাচন দুই মাস পরে করেন, কিন্তু গণভোট ছাড়া হবে না: গাজী আতাউর রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পল্টনে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
পল্টনে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিগগিরই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘দ্রুতই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট এক সঙ্গে হবে না। দুইটার তফসিলও এক সঙ্গে হবে না। আমরা নভেম্বরে গণভোটের বিষয় বারংবার বলেছি। যদি নভেম্বর গণভোট করতে না পারেন তাহলে যেদিনই দেন গণভোট আগে হতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না, দুই মাস পরে করেন। কিন্তু গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে পাঁচ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদানের আগে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে। সে জন্য অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দিতে হবে এবং জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিশ্চিত করতে তফসিলের আগেই গণভোট দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের রাজপথে নামতে হবে, দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হবে তা আমরা ভাবি নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের বাধ্য করেছে। তাদের তিনটা অঙ্গীকার ছিল। আমরা বলব, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করুন। সংস্কারের জন্য কমিশন হয়েছে, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে, জুলাই সনদ হয়েছে, সনদে সাক্ষর হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়েও সকলে একমত হয়েছে; এখন গড়িমসি কীসের? আগামী ১০ তারিখের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি না হলে আমরা ঢাকায় লোকে লোকারণ্য করে সমাবেশ করব ইনশা আল্লাহ।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আরও বলেন, ‘যারা বলে সংস্কার চায় না, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন? যারা দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যারা পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন? এটা তামাশা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা গণভোট করা যাবে: তাহের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪২
রাজধানীর পল্টন মোড়ে জমায়েতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর পল্টন মোড়ে জমায়েতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা করে গণভোটের আয়োজন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে আট দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও গণভোটের সময় থাকবে। এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা গণভোট দেওয়া যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথে এসেছি। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। জুলাইয়ের অর্জন সনদকে ব্যর্থ হতে দেব না।’

সরকার চালাকি শুরু করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা চালাকি করলেও আমরা আমাদের দাবি আদায় করব, দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।’

সময়ক্ষেপণ সরকারকে বিপদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন নায়েবে আমির।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে তার ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য বললেই হবে না। বড় দলকে বলব, আপনারা আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করুন। দ্রুত বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য আসুন।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্না। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্না। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ পৃথক শুনানির মাধ্যমে তাঁদের ছয় মাসের জামিন দেন।

লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল।

গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও ঢাবি অধ্যাপক কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ আগস্ট রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটোরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত থেকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং অন্যদের প্ররোচিত করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরে এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যমুনায় স্মারকলিপি নিয়ে জামায়াতসহ ৮ দলের প্রতিনিধিরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৭
স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনার পথে জামায়াতসহ ৮টি দলের প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনার পথে জামায়াতসহ ৮টি দলের প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনায় গিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের একটি প্রতিনিধিদল।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত আসেন ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি স্মারকলিপি নিয়ে যমুনায় প্রবেশ করে।

প্রতিনিধিদলে রয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ফজলে বারী মাসউদসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা।

এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এবং কাকরাইল মোড়ে জড়ো হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টায় বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে আসেন তাঁরা।

স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনার পথে জামায়াতসহ ৮টি দলের প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনার পথে জামায়াতসহ ৮টি দলের প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে পল্টন মোড় অভিমুখে মিছিল শুরু হয়। জামায়াতের অন্যান্য শাখাও যুক্ত হয় এই মিছিলে। সেখানে অন্যান্য ইসলামী দল একত্রে উপস্থিত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পেশ করতে যান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত