Ajker Patrika

আ.লীগ নেতারা যেন লুকিয়ে নির্বাচনে না আসে: সিইসিকে ববি হাজ্জাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে কার্যক্রম বা নিবন্ধন স্থগিত থাকা রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় বা জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য এবং অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সদস্যকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিতভাবে এ দাবি জানান তিনি।

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘আমরা জানি আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সে হিসেবে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল যখন বলছি, আমরা আওয়ামী লীগ নিয়ে কথা বলছি। তাদের কার্যকরী পদধারী বড় নেতা যারা ছিলেন, তারা যেন ওই নাম লুকিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় না আসে, সেই ব্যবস্থা করা। এই দাবি আমরা সিইসির কাছে করেছি।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের আবেদন নিষ্পত্তি, নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত করা, আগামী ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে তারিখ ধরে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করাসহ লিখিতভাবে চার দফা দাবি জানায় দলটি।

লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় সংসদীয় আসনের নিদিষ্ট স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর ছবি সংবলিত বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর উপস্থিতিতে জনবহুল স্থানে অন্তত একটি পরিচিতি সভার আয়োজন করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীর সঙ্গে ১০ জন সমর্থক গমন করার অনুমতি দিতে হবে। প্রস্তাবিত পিভিসি ব্যানার ব্যবহার না করা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোন প্রার্থীর ব্যক্তিগত চরিত্র হনন এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোন প্রচারণা চালাতে পারবে না মর্মে আচরণবিধিতে উল্লেখ করতে হবে।

নির্বাচনে পোস্টার থাকছে না, বিলবোর্ড ও ব্যানারের মতো বিষয়গুলো যুক্ত হওয়াতে নির্বাচনী ব্যয় বাড়বে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিলবোর্ড যদি প্রার্থীকে ভাড়া করতে হয় তাহলে ৪০ লাখ টাকা নির্বাচনে ব্যয় দিয়ে সম্ভব হবে না। এটাই বাস্তব। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছি, যাতে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে প্রার্থীদের বিলবোর্ডের ব্যবস্থা করেন।’

লিখিত প্রস্তাবনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋণের জামিনদারদের ক্ষেত্রে ঋণের মূল আবেদনকারী খেলাপি হলে মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে ঋণ পরিশোধ স্লিপ প্রদান সাপেক্ষে প্রার্থীকে নির্বাচনের যোগ্য বিবেচিত করতে হবে। (বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্টের পরিবর্তে)।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাথে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের তফসিল এবং তারিখ ঘোষণা সংক্রান্ত আলোচনা হয়ে থাকলে তা দ্রুত জাতিকে জানাতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা: কে এই ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান, বাবার হাত ধরে যাঁর উত্থান

আ.লীগের এমপি শাম্মীর বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

কিশোরগঞ্জে হর্টিকালচারের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ‘সমকামিতার’ অভিযোগ, মামলা বাবুর্চির

অতিরিক্ত ফি দাবি করায় বিমানবন্দর স্টাফের চোয়াল ভেঙে দিলেন যাত্রী

সখীপুরে সন্তানদের সামনেই ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী পলাতক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত