নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভিন্নধর্মের মানুষকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। হিন্দু-অধ্যুষিত খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে দলটির প্রার্থী হচ্ছেন কৃষ্ণ নন্দী। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি। এই আসনে মাওলানা আবু ইউসুফকে আগে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নন্দীকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এবার সেটা সত্যি হলো।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) খুলনায় আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে এসে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এ সিদ্ধান্ত দেন। এরপর আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এরপর কৃষ্ণ নন্দীকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে—কে তিনি!
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত’ একটি আসনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে প্রার্থী করার বিষয়ে আলোচনা ছিল। সেখার থেকেই ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীর নাম চর্চায় আসে। কৃষ্ণ নন্দীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি খুলনার ডুমুরিয়া, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা—এই তিন উপজেলায় রাজনৈতিক মহল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কৃষ্ণ নন্দী ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার নেতা হন এবং সেখানে দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে দেখা গেছে।
সম্প্রতি ডুমুরিয়ায় এক সভায় কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘আমি ২০০৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ সময়ে সদস্যদের দুঃখ-কষ্টে পাশে থেকেছি। গেল আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের সময়ে নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলাম। দেড় বছর আগে ডুমুরিয়ায় দলের হিন্দু শাখার সভাপতির দায়িত্ব পাই।’
দাকোপ-বটিয়াঘাটা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও কৃষ্ণ নন্দীর বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলায়। কিন্তু ডুমুরিয়া-ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলের মনোনয়ন পেতে হলে প্রার্থীকে ন্যূনতম ‘রুকন’ হতে হয়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইসলাম ধর্মের বাইরেও প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলার সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান মিজান সম্প্রতি গণমাধ্যমে বলেছেন, কিছু এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও উপজাতি প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরে দল প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারবে।
কৃষ্ণ নন্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে জামায়াতের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর আমিরে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন এবং বুধবার স্থানীয় বোর্ডে চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগির প্রচারণা শুরু করব।’
আগে ঘোষিত প্রার্থীর বিষয়ে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘১ ডিসেম্বর আমিরে জামায়াত আমাদের দুজনকে বুকে বুক মিলিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি নিজেই আমার জন্য প্রচারণায় নেমেছেন। তা ছাড়া জামায়াতের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
আগের প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা-১ আসনের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। তাঁর পক্ষে আমি প্রচারণা শুরু করেছি। যেহেতু আমাকেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক করা হয়েছে, সেহেতু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি যথাসম্ভব কাজ করব, ইনশা আল্লাহ।’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার ছয়টি আসনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। এর মধ্যে বাকি পাঁচটি আসনের প্রার্থী ঠিক থাকলেও শুধু খুলনা-১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাউকে প্রার্থী করা হলো প্রায় ১০ মাসের ব্যবধানে।
হিন্দু-অধ্যুষিত এই আসনে ১৯৯৬ সালে নির্বাচন করেন জামায়াত নেতা আবু ইউসুফ। পরের পাঁচটি নির্বাচনে জামায়াত আর প্রার্থী দেয়নি। তিন দশক পর আবার সেখানে জামায়াত নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে।
দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, প্রথম দফায় খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে প্রাথমিকভাবে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অন্য তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। এর মধ্যে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে শেখ আবু ইউসুফের নাম ঘোষণা করা হয়।
ডুমুরিয়া-ফুলতলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনও হিন্দু-অধ্যুষিত। এক বছর ধরে ডুমুরিয়া ও ফুলতলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে কৃষ্ণ নন্দীকে দেখা গেছে। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিটি সমাবেশেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষদের সরব উপস্থিতি ছিল।
দাকোপ দেশের একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজেলা। এখানে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাসিন্দাই হিন্দু। এ ছাড়া খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী আছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। অন্য ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাসিন্দা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর বটিয়াঘাটা উপজেলার ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাসিন্দা হিন্দু ধর্মের।
এই আসনে ১৯৯১ সাল থেকে টানা জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থীও এখানে কখনো সুবিধা করতে পারেননি। জামায়াতের প্রার্থী শেখ আবু ইউসুফ ১৯৯৬ সালে এই আসনে পেয়েছিলেন ২ হাজার ৩০৮ ভোট, যা মোট ভোটের মাত্র ২ শতাংশ।
জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা ধারণা দেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ। এ কারণে দলটির ঘাঁটিতে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে হিন্দু ধর্মের একজনকে প্রার্থী ঘোষণা করতে চায় জামায়াত।
খুলনা-১ আসনে ১৯৯১ সালের পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন ছাড়া বিএনপি কখনো জেতেনি। এখানে সব সময় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রার্থী জিতেছেন। একসময় বামপন্থী দলের প্রভাব থাকলেও জামায়াতের অবস্থান সব সময় দুর্বল ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা বেড়েছে।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এখানে দলীয় প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান (পাপুল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা পার্থ দেব মণ্ডল গণসংযোগ করছেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়ও আলোচনায় রয়েছেন।
১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনকার খুলনা-১ আসনটি খুলনা-৫ নামে ছিল। স্বাধীনতার পর এখানে প্রথম সংসদ সদস্য হন কুবের চন্দ্র বিশ্বাস। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পান প্রফুল্ল কুমার শীল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন প্রফুল্ল কুমার মণ্ডল।
১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে জয়ী হন শেখ হাসিনা। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শেখ হারুনুর রশিদ। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে আবার জয়ী হন পঞ্চানন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবার সংসদ সদস্য হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০২৪ সালে জয়ী হন ননী গোপাল মণ্ডল।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভিন্নধর্মের মানুষকে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। হিন্দু-অধ্যুষিত খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে দলটির প্রার্থী হচ্ছেন কৃষ্ণ নন্দী। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু কমিটির সভাপতি। এই আসনে মাওলানা আবু ইউসুফকে আগে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও নন্দীকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এবার সেটা সত্যি হলো।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) খুলনায় আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে এসে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান এ সিদ্ধান্ত দেন। এরপর আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এরপর কৃষ্ণ নন্দীকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে—কে তিনি!
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত’ একটি আসনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে প্রার্থী করার বিষয়ে আলোচনা ছিল। সেখার থেকেই ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীর নাম চর্চায় আসে। কৃষ্ণ নন্দীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি খুলনার ডুমুরিয়া, দাকোপ ও বটিয়াঘাটা—এই তিন উপজেলায় রাজনৈতিক মহল ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কৃষ্ণ নন্দী ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার নেতা হন এবং সেখানে দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে দেখা গেছে।
সম্প্রতি ডুমুরিয়ায় এক সভায় কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘আমি ২০০৭ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ সময়ে সদস্যদের দুঃখ-কষ্টে পাশে থেকেছি। গেল আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নের সময়ে নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলাম। দেড় বছর আগে ডুমুরিয়ায় দলের হিন্দু শাখার সভাপতির দায়িত্ব পাই।’
দাকোপ-বটিয়াঘাটা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও কৃষ্ণ নন্দীর বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলায়। কিন্তু ডুমুরিয়া-ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দলের মনোনয়ন পেতে হলে প্রার্থীকে ন্যূনতম ‘রুকন’ হতে হয়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইসলাম ধর্মের বাইরেও প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলার সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান মিজান সম্প্রতি গণমাধ্যমে বলেছেন, কিছু এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও উপজাতি প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরে দল প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারবে।
কৃষ্ণ নন্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে জামায়াতের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর আমিরে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছেন এবং বুধবার স্থানীয় বোর্ডে চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগির প্রচারণা শুরু করব।’
আগে ঘোষিত প্রার্থীর বিষয়ে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘১ ডিসেম্বর আমিরে জামায়াত আমাদের দুজনকে বুকে বুক মিলিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি নিজেই আমার জন্য প্রচারণায় নেমেছেন। তা ছাড়া জামায়াতের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।’
আগের প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা-১ আসনের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। তাঁর পক্ষে আমি প্রচারণা শুরু করেছি। যেহেতু আমাকেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক করা হয়েছে, সেহেতু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি যথাসম্ভব কাজ করব, ইনশা আল্লাহ।’
গত ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার ছয়টি আসনের জন্য জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। এর মধ্যে বাকি পাঁচটি আসনের প্রার্থী ঠিক থাকলেও শুধু খুলনা-১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাউকে প্রার্থী করা হলো প্রায় ১০ মাসের ব্যবধানে।
হিন্দু-অধ্যুষিত এই আসনে ১৯৯৬ সালে নির্বাচন করেন জামায়াত নেতা আবু ইউসুফ। পরের পাঁচটি নির্বাচনে জামায়াত আর প্রার্থী দেয়নি। তিন দশক পর আবার সেখানে জামায়াত নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে।
দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, প্রথম দফায় খুলনা-৪, খুলনা-৫ ও খুলনা-৬ আসনে প্রাথমিকভাবে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অন্য তিন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। এর মধ্যে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে শেখ আবু ইউসুফের নাম ঘোষণা করা হয়।
ডুমুরিয়া-ফুলতলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনও হিন্দু-অধ্যুষিত। এক বছর ধরে ডুমুরিয়া ও ফুলতলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে কৃষ্ণ নন্দীকে দেখা গেছে। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিটি সমাবেশেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষদের সরব উপস্থিতি ছিল।
দাকোপ দেশের একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজেলা। এখানে ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাসিন্দাই হিন্দু। এ ছাড়া খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী আছে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। অন্য ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাসিন্দা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর বটিয়াঘাটা উপজেলার ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাসিন্দা হিন্দু ধর্মের।
এই আসনে ১৯৯১ সাল থেকে টানা জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থীও এখানে কখনো সুবিধা করতে পারেননি। জামায়াতের প্রার্থী শেখ আবু ইউসুফ ১৯৯৬ সালে এই আসনে পেয়েছিলেন ২ হাজার ৩০৮ ভোট, যা মোট ভোটের মাত্র ২ শতাংশ।
জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা ধারণা দেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম এখন নিষিদ্ধ। এ কারণে দলটির ঘাঁটিতে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে হিন্দু ধর্মের একজনকে প্রার্থী ঘোষণা করতে চায় জামায়াত।
খুলনা-১ আসনে ১৯৯১ সালের পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন ছাড়া বিএনপি কখনো জেতেনি। এখানে সব সময় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র হিসেবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রার্থী জিতেছেন। একসময় বামপন্থী দলের প্রভাব থাকলেও জামায়াতের অবস্থান সব সময় দুর্বল ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা বেড়েছে।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে জেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এখানে দলীয় প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান (পাপুল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা পার্থ দেব মণ্ডল গণসংযোগ করছেন। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে দাকোপ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর কুমার রায়ও আলোচনায় রয়েছেন।
১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনকার খুলনা-১ আসনটি খুলনা-৫ নামে ছিল। স্বাধীনতার পর এখানে প্রথম সংসদ সদস্য হন কুবের চন্দ্র বিশ্বাস। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পান প্রফুল্ল কুমার শীল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন প্রফুল্ল কুমার মণ্ডল।
১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে জয়ী হন শেখ হাসিনা। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শেখ হারুনুর রশিদ। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে আবার জয়ী হন পঞ্চানন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবার সংসদ সদস্য হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০২৪ সালে জয়ী হন ননী গোপাল মণ্ডল।

আজ শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবির খান আরও বলেন, এখন যে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সটি আসছে, সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।
২ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।
২২ মিনিট আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডনে নিতে কাতার থেকেই আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। জার্মান কোম্পানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল শনিবার বিকেলে ঢাকায় অবতরণ করবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল কবির খান বলেছেন, কাতার রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি থাকায় কাতারের আমির তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্য একটি এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছেন, যা শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।
শায়রুল কবির খান আরও বলেন, এখন যে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সটি আসছে, সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।
এদিকে, নতুন করে পাঠানো এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সেটি জার্মানি থেকে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডনে নিতে কাতার থেকেই আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। জার্মান কোম্পানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল শনিবার বিকেলে ঢাকায় অবতরণ করবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল কবির খান বলেছেন, কাতার রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি থাকায় কাতারের আমির তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্য একটি এয়ারঅ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছেন, যা শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।
শায়রুল কবির খান আরও বলেন, এখন যে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সটি আসছে, সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।
এদিকে, নতুন করে পাঠানো এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সেটি জার্মানি থেকে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
২ দিন আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।
২২ মিনিট আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।
একই সঙ্গে রাজধানীর নয়াপল্টনে মসজিদে আয়োজিত দোয়া মাহফিলের অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।
এ সময় তিনি বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম জিয়া গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। কারাগার থেকেই তাঁর রোগের সূচনা। চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হন তিনি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সব মানুষে দলমত-নির্বিশেষে এই মহান নেত্রীর জন্য দোয়া করছেন। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এবং দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে তাঁর অভিভাবকত্বে আমরা উত্তরণ হয়ে যেতে পারি, সে জন্য দেশের জনগণে আল্লাহ তাআলার কাছে আকুতি করেছেন।’
সবার কাছে দলীয় চেয়ারপারসনের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে পরম করুণাময়ের কাছে দোয়া করি, যিনি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন, সেই নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসেন।’
রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণও দোয়ায় অংশ নেন। একই সঙ্গে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার জন্যও অনুরোধ করা হয়।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।
একই সঙ্গে রাজধানীর নয়াপল্টনে মসজিদে আয়োজিত দোয়া মাহফিলের অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।
এ সময় তিনি বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম জিয়া গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। কারাগার থেকেই তাঁর রোগের সূচনা। চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হন তিনি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সব মানুষে দলমত-নির্বিশেষে এই মহান নেত্রীর জন্য দোয়া করছেন। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এবং দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে তাঁর অভিভাবকত্বে আমরা উত্তরণ হয়ে যেতে পারি, সে জন্য দেশের জনগণে আল্লাহ তাআলার কাছে আকুতি করেছেন।’
সবার কাছে দলীয় চেয়ারপারসনের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে পরম করুণাময়ের কাছে দোয়া করি, যিনি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন, সেই নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসেন।’
রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণও দোয়ায় অংশ নেন। একই সঙ্গে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার জন্যও অনুরোধ করা হয়।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
২ দিন আগে
আজ শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবির খান আরও বলেন, এখন যে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সটি আসছে, সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।
২ মিনিট আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যান্ত্রিক ত্রুটিই শুধু নয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থাও।
আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ভালো না। এয়ারক্র্যাফটের সমস্যা আছে, একই সঙ্গে শারীরিক অবস্থাও ভালো না। এই অবস্থায় যাত্রার তারিখ বদল করা হয়েছে। এখন মেডিকেল বোর্ড বললে, ফ্লাই করার মতো থাকলে রোববার তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে।’
এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জোবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছে। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যান্ত্রিক ত্রুটিই শুধু নয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থাও।
আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ভালো না। এয়ারক্র্যাফটের সমস্যা আছে, একই সঙ্গে শারীরিক অবস্থাও ভালো না। এই অবস্থায় যাত্রার তারিখ বদল করা হয়েছে। এখন মেডিকেল বোর্ড বললে, ফ্লাই করার মতো থাকলে রোববার তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে।’
এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জোবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছে। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
২ দিন আগে
আজ শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবির খান আরও বলেন, এখন যে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সটি আসছে, সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।
২ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।
২২ মিনিট আগে
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন জুবাইদা রহমান। বেলা পৌনে ১১টার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩০২ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জুবাইদা রহমান বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন জুবাইদা রহমান। বেলা পৌনে ১১টার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩০২ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জুবাইদা রহমান বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই নেতার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। সেখানে তাঁর একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
২ দিন আগে
আজ শুক্রবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবির খান আরও বলেন, এখন যে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সটি আসছে, সেটিও কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।
২ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।
২২ মিনিট আগে
কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না।
৬ ঘণ্টা আগে