নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। এ অবস্থায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জানতে চাইলে তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানায়, গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর নিজের নিরাপত্তা ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি তারেক রহমান। তবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানও তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরবেন। এর কারণ, তারেককে কেন্দ্র করেই তাঁর স্ত্রী-কন্যা যুক্তরাজ্যে আছেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন। তবে সরকারিভাবে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ নিরাপত্তা পেতেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রণীত আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এখন এই সরকারের সময় বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ কারণে সরকারও বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চাইছে না।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, দল থেকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি দেশে ফেরার আগে এই নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। এই বাহিনীই তারেক রহমানকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে রাখবে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও এরই মধ্যে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনারও উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
দেশে ফিরে তারেক রহমান কোথায় উঠবেন এবং কোথায় অফিস করবেন তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। দলীয় সূত্র বলছে, গুলশান-২-এর ‘ফিরোজা’ ভবনের পাশের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার খালেদা জিয়াকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাড়িটির নামজারি শেষ করে কাগজপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে হস্তান্তর করেছে। পরে বাড়িটির সংস্কার করে সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সকে বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই অবস্থার মধ্যে আসলে তাঁর ফেরার কোনো আপডেট আমাদের কাছে নেই। যথাসময়ে, মানে উপযুক্ত মনে হলে উনি আসবেন।’
গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটময় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মায়ের এমন দুঃসময়েও কেন তারেক রহমান দেশে ফিরছেন না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সমানে। দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নানা মহলের নানা লোকেও তারেক রহমানকে অভয় দিয়ে যাচ্ছেন। এই আলোচনার মধ্যে গত শনিবার মায়ের চিকিৎসার প্রসঙ্গ তুলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’
তারেক রহমানের এই স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের দাবি, ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান দেশ, দল ও দেশের মানুষের কথা বুঝিয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেছিলেন, তিনি ভোটে অংশ নেবেন। এখনো তিনি সেই অবস্থানেই আছেন। তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরে তিনি নিজের নির্বাচনী আসনে গিয়ে সমাবেশ করবেন। ওই সমাবেশে দল ও নিজের জন্য ভোট চাইবেন তিনি।
তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে এক দিনে তাঁকে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই। তিনি দেশে ফিরতে চাইলে তাঁকে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে, এমনকি এক দিনের ব্যবধানে ট্রাভেল পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের তরফে কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর দেশে ফেরার দিন-তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ জরুরি অবস্থার সময় তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। টানা ১৭ বছর লন্ডন থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। এ অবস্থায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জানতে চাইলে তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানায়, গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর নিজের নিরাপত্তা ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি তারেক রহমান। তবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানও তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরবেন। এর কারণ, তারেককে কেন্দ্র করেই তাঁর স্ত্রী-কন্যা যুক্তরাজ্যে আছেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন। তবে সরকারিভাবে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ নিরাপত্তা পেতেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রণীত আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এখন এই সরকারের সময় বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ কারণে সরকারও বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চাইছে না।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, দল থেকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি দেশে ফেরার আগে এই নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। এই বাহিনীই তারেক রহমানকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে রাখবে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও এরই মধ্যে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনারও উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
দেশে ফিরে তারেক রহমান কোথায় উঠবেন এবং কোথায় অফিস করবেন তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। দলীয় সূত্র বলছে, গুলশান-২-এর ‘ফিরোজা’ ভবনের পাশের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার খালেদা জিয়াকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাড়িটির নামজারি শেষ করে কাগজপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে হস্তান্তর করেছে। পরে বাড়িটির সংস্কার করে সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সকে বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই অবস্থার মধ্যে আসলে তাঁর ফেরার কোনো আপডেট আমাদের কাছে নেই। যথাসময়ে, মানে উপযুক্ত মনে হলে উনি আসবেন।’
গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটময় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মায়ের এমন দুঃসময়েও কেন তারেক রহমান দেশে ফিরছেন না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সমানে। দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নানা মহলের নানা লোকেও তারেক রহমানকে অভয় দিয়ে যাচ্ছেন। এই আলোচনার মধ্যে গত শনিবার মায়ের চিকিৎসার প্রসঙ্গ তুলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’
তারেক রহমানের এই স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের দাবি, ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান দেশ, দল ও দেশের মানুষের কথা বুঝিয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেছিলেন, তিনি ভোটে অংশ নেবেন। এখনো তিনি সেই অবস্থানেই আছেন। তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরে তিনি নিজের নির্বাচনী আসনে গিয়ে সমাবেশ করবেন। ওই সমাবেশে দল ও নিজের জন্য ভোট চাইবেন তিনি।
তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে এক দিনে তাঁকে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই। তিনি দেশে ফিরতে চাইলে তাঁকে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে, এমনকি এক দিনের ব্যবধানে ট্রাভেল পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের তরফে কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর দেশে ফেরার দিন-তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ জরুরি অবস্থার সময় তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। টানা ১৭ বছর লন্ডন থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। এ অবস্থায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জানতে চাইলে তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানায়, গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর নিজের নিরাপত্তা ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি তারেক রহমান। তবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানও তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরবেন। এর কারণ, তারেককে কেন্দ্র করেই তাঁর স্ত্রী-কন্যা যুক্তরাজ্যে আছেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন। তবে সরকারিভাবে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ নিরাপত্তা পেতেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রণীত আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এখন এই সরকারের সময় বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ কারণে সরকারও বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চাইছে না।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, দল থেকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি দেশে ফেরার আগে এই নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। এই বাহিনীই তারেক রহমানকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে রাখবে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও এরই মধ্যে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনারও উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
দেশে ফিরে তারেক রহমান কোথায় উঠবেন এবং কোথায় অফিস করবেন তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। দলীয় সূত্র বলছে, গুলশান-২-এর ‘ফিরোজা’ ভবনের পাশের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার খালেদা জিয়াকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাড়িটির নামজারি শেষ করে কাগজপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে হস্তান্তর করেছে। পরে বাড়িটির সংস্কার করে সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সকে বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই অবস্থার মধ্যে আসলে তাঁর ফেরার কোনো আপডেট আমাদের কাছে নেই। যথাসময়ে, মানে উপযুক্ত মনে হলে উনি আসবেন।’
গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটময় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মায়ের এমন দুঃসময়েও কেন তারেক রহমান দেশে ফিরছেন না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সমানে। দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নানা মহলের নানা লোকেও তারেক রহমানকে অভয় দিয়ে যাচ্ছেন। এই আলোচনার মধ্যে গত শনিবার মায়ের চিকিৎসার প্রসঙ্গ তুলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’
তারেক রহমানের এই স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের দাবি, ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান দেশ, দল ও দেশের মানুষের কথা বুঝিয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেছিলেন, তিনি ভোটে অংশ নেবেন। এখনো তিনি সেই অবস্থানেই আছেন। তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরে তিনি নিজের নির্বাচনী আসনে গিয়ে সমাবেশ করবেন। ওই সমাবেশে দল ও নিজের জন্য ভোট চাইবেন তিনি।
তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে এক দিনে তাঁকে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই। তিনি দেশে ফিরতে চাইলে তাঁকে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে, এমনকি এক দিনের ব্যবধানে ট্রাভেল পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের তরফে কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর দেশে ফেরার দিন-তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ জরুরি অবস্থার সময় তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। টানা ১৭ বছর লন্ডন থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। এ অবস্থায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে জানতে চাইলে তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানায়, গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর নিজের নিরাপত্তা ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি তারেক রহমান। তবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানও তাঁর সঙ্গে দেশে ফিরবেন। এর কারণ, তারেককে কেন্দ্র করেই তাঁর স্ত্রী-কন্যা যুক্তরাজ্যে আছেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা সুবিধা পাবেন। তবে সরকারিভাবে তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সরকার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সময়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরাও বিশেষ নিরাপত্তা পেতেন। তবে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রণীত আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এখন এই সরকারের সময় বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এ কারণে সরকারও বিশেষ কোনো পরিবারের সদস্যদের সরকারিভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে চাইছে না।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, দল থেকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি দেশে ফেরার আগে এই নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। এই বাহিনীই তারেক রহমানকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে রাখবে। তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গেও এরই মধ্যে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে রেখে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনারও উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
দেশে ফিরে তারেক রহমান কোথায় উঠবেন এবং কোথায় অফিস করবেন তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। দলীয় সূত্র বলছে, গুলশান-২-এর ‘ফিরোজা’ ভবনের পাশের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে উঠবেন তারেক রহমান। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার খালেদা জিয়াকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বাড়িটির নামজারি শেষ করে কাগজপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে হস্তান্তর করেছে। পরে বাড়িটির সংস্কার করে সেখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সকে বাড়িটির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই অবস্থার মধ্যে আসলে তাঁর ফেরার কোনো আপডেট আমাদের কাছে নেই। যথাসময়ে, মানে উপযুক্ত মনে হলে উনি আসবেন।’
গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটময় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মায়ের এমন দুঃসময়েও কেন তারেক রহমান দেশে ফিরছেন না, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সমানে। দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নানা মহলের নানা লোকেও তারেক রহমানকে অভয় দিয়ে যাচ্ছেন। এই আলোচনার মধ্যে গত শনিবার মায়ের চিকিৎসার প্রসঙ্গ তুলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারেক রহমান বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।’
তারেক রহমানের এই স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের দাবি, ফেসবুক স্ট্যাটাসে তারেক রহমান দেশ, দল ও দেশের মানুষের কথা বুঝিয়েছেন। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেছিলেন, তিনি ভোটে অংশ নেবেন। এখনো তিনি সেই অবস্থানেই আছেন। তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরে তিনি নিজের নির্বাচনী আসনে গিয়ে সমাবেশ করবেন। ওই সমাবেশে দল ও নিজের জন্য ভোট চাইবেন তিনি।
তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে এক দিনে তাঁকে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই। তিনি দেশে ফিরতে চাইলে তাঁকে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে, এমনকি এক দিনের ব্যবধানে ট্রাভেল পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের তরফে কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
দলীয় সূত্র বলছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় বিএনপি। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর দেশে ফেরার দিন-তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ জরুরি অবস্থার সময় তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। টানা ১৭ বছর লন্ডন থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তিনি।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নেবেন খন্দকার মোশাররফ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তাঁর সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নেবেন খন্দকার মোশাররফ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তাঁর সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন
১৩ দিন আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার রাতে নিজের এক ফেসবুক পোস্টে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বর্বর হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত এবং ৩ জন নারী সেনাসদস্যসহ আরও ৮ জনের আহত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।
তারেক রহমান বলেন, জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী আমাদের বীর সেনাসদস্যরা জাতির গর্ব। তাদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি নিহত শান্তিরক্ষীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত সেনাসদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তার গর্বিত সন্তান হিসেবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসাধারণ পেশাদারিত্ব, সাহস আর আত্মত্যাগ আমাকে সবসময় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা জরুরি বলে আমি মনে করি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের বীর সেনাসদস্যদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করুন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার রাতে নিজের এক ফেসবুক পোস্টে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বর্বর হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত এবং ৩ জন নারী সেনাসদস্যসহ আরও ৮ জনের আহত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।
তারেক রহমান বলেন, জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী আমাদের বীর সেনাসদস্যরা জাতির গর্ব। তাদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি নিহত শান্তিরক্ষীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত সেনাসদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তার গর্বিত সন্তান হিসেবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসাধারণ পেশাদারিত্ব, সাহস আর আত্মত্যাগ আমাকে সবসময় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা জরুরি বলে আমি মনে করি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের বীর সেনাসদস্যদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করুন।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন
১৩ দিন আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে আমরা একটি সংকটজনক সময় পার করছি। আমাদের ভলান্টিয়ার ও সেন্টার ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা হসপিটাল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এমতাবস্থায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে এই আশঙ্কায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য সেন্টারের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই। ইনশাআল্লাহ, খুব শীগ্রই আমরা এই সংকটাপন্ন মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবো এবং ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম যথানিয়মে পরিচালিত হবে।’
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠে। এর কার্যক্রম রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে আমরা একটি সংকটজনক সময় পার করছি। আমাদের ভলান্টিয়ার ও সেন্টার ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা হসপিটাল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এমতাবস্থায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে এই আশঙ্কায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য সেন্টারের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই। ইনশাআল্লাহ, খুব শীগ্রই আমরা এই সংকটাপন্ন মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবো এবং ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম যথানিয়মে পরিচালিত হবে।’
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠে। এর কার্যক্রম রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন
১৩ দিন আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১১ ঘণ্টা আগে
অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরটিভির লোগো ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এ ছাড়াও শরিফ ওসমান হাদিকে আক্রমণকারী একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ডাকসুর ভিপির চা খাওয়ার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ দুইটি বিষয় ছিল ভিত্তিহীন এবং এআই জেনারেটেড।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ফ্যাক্ট চেক না করে উল্লিখিত বিষয় দুটি নিয়ে আজ দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সভায় বক্তব্য রাখি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
আজ ফেসবুক পোস্টে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি পোস্টে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে, আজ দুপুরে বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরটিভির লোগো ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এ ছাড়াও শরিফ ওসমান হাদিকে আক্রমণকারী একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ডাকসুর ভিপির চা খাওয়ার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ দুইটি বিষয় ছিল ভিত্তিহীন এবং এআই জেনারেটেড।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ফ্যাক্ট চেক না করে উল্লিখিত বিষয় দুটি নিয়ে আজ দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সভায় বক্তব্য রাখি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
আজ ফেসবুক পোস্টে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি পোস্টে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে, আজ দুপুরে বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচিত দুটি প্রশ্ন হলো—ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কবে দেশে ফিরছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি এখন
১৩ দিন আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে