Ajker Patrika

মামলা-সাজা, বিধিনিষেধে সরকারপতন ঠেকানো যাবে না: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ০৭
মামলা-সাজা, বিধিনিষেধে সরকারপতন ঠেকানো যাবে না: রিজভী

চলমান আন্দোলন প্রতিহত করতেই সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও মামলা দেওয়ার পাশাপাশি বিধিনিষেধ জারি করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর অভিযোগ, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সরকার তাদের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এমনটা করছে। তবে মামলা, সাজা আর বিধিনিষেধ দিয়ে সরকার তাদের পতন ঠেকাতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে সরকার। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা আগের হয়রানিমূলক মামলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সাজা দেওয়া শুরু করেছে। অবৈধ পথে ক্ষমতায় থাকা এবং ভোটারবিহীনভাবে আগামী নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতেই একের পর এক সাজা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের সময় পর্যন্ত এই গণধিক্কৃত সরকার কত যে অমানবিক আচরণ করবে, এটি তার একটি প্রধান নমুনা।

করোনা মোকাবিলায় সরকারের বিধিনিষেধ জারি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, শুধু বিএনপির সভা-সমাবেশ ঠেকাতেই বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিয়ে জনগণের প্রশ্ন রয়েছে। কারণ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে এবং ১৪৪ ধারা ভেঙে সভা সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেছে। এতেই আতঙ্কিত সরকার। যতই চক্রান্তের জাল ফেলা হোক না কেন, এই অবৈধ সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। মামলা দিয়ে, সাজা দিয়ে, বিধিনিষেধ নিয়ে, চক্রান্ত করে জনগণকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।

বিধিনিষেধের মধ্যেও বিএনপির কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি এখনো চলমান আছে এবং চলমান থাকবে। অবৈধ সরকারের অবৈধ মন্ত্রী কী বলল, তা জনগণ পাত্তা দেয় না।’

এর আগে সোমবার ৯ বছর আগের একটি মামলায় বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ২০১৩ সালে ভাষানটেকে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধে ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় তাঁদের এই সাজা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সুমন চন্দ্র, জসিম, আমিনুল, সোহেল, কাউছার, জুয়েল, আব্দুর রহমান, শহীদ, মহসিন ও লিটন। একই দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকেও তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এসব ঘটনার সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ভাষানটেকের যে ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ওই স্থানে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। পুলিশ বিরোধী দলের আন্দোলন দমানোর জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে বানোয়াট মামলা দায়ের করেছিল। এই মুহূর্তে মামলায় সাজা দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দেশে-বিদেশে সরকারের অপকর্ম ক্রমান্বয়ে উন্মোচিত হয়ে পড়ায় জনদৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এই সাজা দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, এই গ্রেপ্তার প্রতিহিংসামূলক। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির চলমান গণ-আন্দোলন ঠেকাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত