নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের আশাহত করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তাঁরা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন না। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে বিএনপির সেন্ট্রাল অফিস থেকে এই সব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে যুবশক্তি আয়োজিত জাতীয় যুব সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অতীতে নেতাদের আদালতের হাজিরা দেওয়ার ঘটনা দেখে অনুপ্রাণিত হতেন জানিয়ে সারজিস আলম বলেছেন, ‘আজ আমি যদি বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে অন্যায়ের নামে সত্য কথা বলি, আমার নামে ১০ কোটি টাকার মামলা করা হয়। আমরা স্তব্ধ থাকব না। আওয়ামী লীগ হোক, বিএনপি হোক কিংবা এনসিপি—আমরা ছাড় দেব না।’
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘তাঁদের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের আশাহত করে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তাঁরা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে না। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে বিএনপির সেন্ট্রাল অফিস থেকে এই সব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
টেবিলের আলোচনায় সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘যদি টেবিলের আলোচনায় সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিশ্চিত করা না হয়, তাহলে রাজপথ দখলের প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি সংস্কার নিয়ে টালবাহানা করা হয় তাহলে রাজপথ দখলে নিয়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনের ডেট ঘোষণা হয়েছে; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তার লাশটা ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।’
গত এক বছরে প্রশাসনের চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি দাবি করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রশাসনের সংস্কার এবং তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখতে চাই। একই সঙ্গে হাসিনার আমলের বিগত নির্বাচনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
দেশের মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাসনাত বলেন, ‘পৃথিবীতে আর কোনো দেশে এই ধরনের মিডিয়া আছে কি না, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। যেখানে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ডিজিএফআই নিউজ লিখে পাঠায় এবং মিডিয়া তা প্রকাশ করে। মিডিয়ায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন এজেন্সি নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করে। এজেন্সি ছবি তুলে পাঠায়, সেটা মিডিয়া প্রকাশ করে। ফলে মিডিয়া এখন জনগণের কণ্ঠস্বর না হয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে।’
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশে কেন দিল্লি-পিন্ডির স্লোগান দিতে হচ্ছে—এমন প্রশ্ন তুলে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘৫৪ বছর পরও স্বাধীন দেশে কেন দিল্লি-পিন্ডির স্লোগান দিতে হচ্ছে আমার বাংলাদেশে? এ জন্য আমি মনে করি না, আমাদের মধ্যে কোনো আইডেনটিটি ক্রাইসিস আছে, তবে আমাদের মধ্যে হীনমন্যতা আছে। এই হীনমন্যতা বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।’
তাহের বলেন, ‘আমরা নেতারা মনে করি, ক্ষমতায় আসতে হলে অন্যদের সহযোগিতা লাগবে। বিদেশি কোনো শক্তির সহায়তা লাগবে। জুলাইয়ে যুবকেরা প্রমাণ করেছে, আমাদের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা লড়াই করতে জানি, ঐক্যবদ্ধ হতে জানি, জীবন দিতে জানি। শুধু পরাজয় জানি না।’
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘জুলাই আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে ফ্যাসিবাদের কবর দিতে হয়। ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) শিখিয়েছে কীভাবে শেখ হাসিনাকে বিদায় দিতে হয়। জুলাই আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে আয়নাঘর ধ্বংস করতে হয়।’
এ্যানি আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই। সেটি হতে হবে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়। যাকে ভাঙা যাবে না, মচকানো যাবে না। লোভের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের প্রয়োজনে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের আশাহত করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তাঁরা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন না। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে বিএনপির সেন্ট্রাল অফিস থেকে এই সব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে যুবশক্তি আয়োজিত জাতীয় যুব সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অতীতে নেতাদের আদালতের হাজিরা দেওয়ার ঘটনা দেখে অনুপ্রাণিত হতেন জানিয়ে সারজিস আলম বলেছেন, ‘আজ আমি যদি বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে অন্যায়ের নামে সত্য কথা বলি, আমার নামে ১০ কোটি টাকার মামলা করা হয়। আমরা স্তব্ধ থাকব না। আওয়ামী লীগ হোক, বিএনপি হোক কিংবা এনসিপি—আমরা ছাড় দেব না।’
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘তাঁদের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের আশাহত করে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তাঁরা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করে না। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে বিএনপির সেন্ট্রাল অফিস থেকে এই সব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
টেবিলের আলোচনায় সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘যদি টেবিলের আলোচনায় সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিশ্চিত করা না হয়, তাহলে রাজপথ দখলের প্রস্তুতি নিতে হবে। যদি সংস্কার নিয়ে টালবাহানা করা হয় তাহলে রাজপথ দখলে নিয়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনের ডেট ঘোষণা হয়েছে; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তার লাশটা ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।’
গত এক বছরে প্রশাসনের চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি দাবি করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রশাসনের সংস্কার এবং তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকায় দেখতে চাই। একই সঙ্গে হাসিনার আমলের বিগত নির্বাচনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
দেশের মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাসনাত বলেন, ‘পৃথিবীতে আর কোনো দেশে এই ধরনের মিডিয়া আছে কি না, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। যেখানে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ডিজিএফআই নিউজ লিখে পাঠায় এবং মিডিয়া তা প্রকাশ করে। মিডিয়ায় রাষ্ট্রের বিভিন্ন এজেন্সি নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করে। এজেন্সি ছবি তুলে পাঠায়, সেটা মিডিয়া প্রকাশ করে। ফলে মিডিয়া এখন জনগণের কণ্ঠস্বর না হয়ে বিভিন্ন এজেন্সির মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে।’
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশে কেন দিল্লি-পিন্ডির স্লোগান দিতে হচ্ছে—এমন প্রশ্ন তুলে সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘৫৪ বছর পরও স্বাধীন দেশে কেন দিল্লি-পিন্ডির স্লোগান দিতে হচ্ছে আমার বাংলাদেশে? এ জন্য আমি মনে করি না, আমাদের মধ্যে কোনো আইডেনটিটি ক্রাইসিস আছে, তবে আমাদের মধ্যে হীনমন্যতা আছে। এই হীনমন্যতা বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।’
তাহের বলেন, ‘আমরা নেতারা মনে করি, ক্ষমতায় আসতে হলে অন্যদের সহযোগিতা লাগবে। বিদেশি কোনো শক্তির সহায়তা লাগবে। জুলাইয়ে যুবকেরা প্রমাণ করেছে, আমাদের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। আমরা লড়াই করতে জানি, ঐক্যবদ্ধ হতে জানি, জীবন দিতে জানি। শুধু পরাজয় জানি না।’
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘জুলাই আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে ফ্যাসিবাদের কবর দিতে হয়। ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) শিখিয়েছে কীভাবে শেখ হাসিনাকে বিদায় দিতে হয়। জুলাই আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে আয়নাঘর ধ্বংস করতে হয়।’
এ্যানি আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই। সেটি হতে হবে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়। যাকে ভাঙা যাবে না, মচকানো যাবে না। লোভের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের প্রয়োজনে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। এতে বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগেসংস্কার, বিচারসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে, এর কড়া সমালোচনা করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, এই সরকার শেখ হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি এখন অনেকটা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁকে আরও কয়েক দিন বিশ্রাম নিতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে তরুণদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘তরুণদের সামরিকভাবে ট্রেনিং করতে হবে। বাংলাদেশের গণপ্রতিরক্ষার অংশীদার করতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তরুণদের সব সময়ের জন্য প্রস্তুত করে রাখতে হবে।’
৬ ঘণ্টা আগে