অনলাইন ডেস্ক
দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ ধ্বংস করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন হলেও সেই আন্দোলন বিফল হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘আবার নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। নব্য ফ্যাসিবাদ আবার আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
আজ বুধবার দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে দলটি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা নির্মম নির্যাতন-অত্যাচার, গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে, নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে—আমরা মনে করি, এটাও একটা ফ্যাসিবাদ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে যেখানে আমরা বৈষম্যমুক্ত সমাজ করব মনে করেছিলাম, সেখানে আমরা আবারও বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। ফ্যাসিবাদকে ধ্বংস করতে সবাই এক হলেও আবার নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। নব্য ফ্যাসিবাদ আবার আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
এ সময় একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা মন্তব্য করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করব, এখানে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না। আমরা একটি রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল, আমরা কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নই। আমরা সব সময়ই জনগণের পাশে ছিলাম। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করার অধিকার আমাদের আইনগত অধিকার, তা করতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার কথা বলে সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। কেউ হুমকি দিয়ে থাকে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, রাষ্ট্র সেটি পালন করছে না।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট যখন সরকার গঠন হয়, আমরা সেখানে ছিলাম। সকলে মিলে ঠিক করা হলো যখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করা হবে সকলই তাঁর বিষয়ে একমত হলাম। কেন? আমরা ধরে নিয়েছিলাম উনি হবেন নিউট্রাল, নিরপেক্ষ একজন ব্যক্তি। উনি হবেন লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে। তাঁর মানসম্মান সারা পৃথিবীতে আছে। এই সংকট মোকাবিলার জন্য তাঁকে আমাদের দরকার। আমরা তাঁকে মেনে নিলাম, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত দেখছি, আমরা তাঁকে মেনে নিলেও আমাদের উনি মেনে নিতে পারছেন না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তাঁর নিজস্ব ঘনিষ্ঠ লোকজন, তারা বিভিন্নভাবে দেশকে বিভাজিত করার কাজে লিপ্ত হয়েছে। একদিকে ফ্যাসিস্টবিরোধী শক্তি আরেকটি হচ্ছে ফ্যাসিস্টের দোসর ও ফ্যাসিস্ট। এভাবে ভাগ করে প্রতিহিংসার সব সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ প্রত্যক্ষভাবে এই কাজে সহায়তা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি (প্রধান উপদেষ্টা) যখন জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন। সেখানে ৪৮টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ ৩০টি দল উনি বাদ দিলেন, তখন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিভাজনটাকে উনি গ্রহণ করে নিলেন।’
সমাবেশে পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। সভা করার জন্য ডিএমপির কাছে আবেদন দিয়েছিলাম, মৌখিকভাবে অনুমতি দেয়, নিয়ম মেনে সভা করতে চেয়েছিলাম। পরে অনুমতি বাতিল করা হয়। কী কারণে সভা করতে দেওয়া হলো না, আমরা জানতে পারিনি। এক হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। তারই ফল আজকের সরকার, কিন্তু আমাদের কেন এই কর্মসূচি করতে দেওয়া হলো না?’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। সভা শেষে একটি র্যালি বের হয়ে প্রেসক্লাব গিয়ে শেষ হয়।
দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ ধ্বংস করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন হলেও সেই আন্দোলন বিফল হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘আবার নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। নব্য ফ্যাসিবাদ আবার আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
আজ বুধবার দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে দলটি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা নির্মম নির্যাতন-অত্যাচার, গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের যেভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে, নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে—আমরা মনে করি, এটাও একটা ফ্যাসিবাদ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে যেখানে আমরা বৈষম্যমুক্ত সমাজ করব মনে করেছিলাম, সেখানে আমরা আবারও বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। ফ্যাসিবাদকে ধ্বংস করতে সবাই এক হলেও আবার নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। নব্য ফ্যাসিবাদ আবার আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
এ সময় একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা মন্তব্য করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করব, এখানে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না। আমরা একটি রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল, আমরা কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নই। আমরা সব সময়ই জনগণের পাশে ছিলাম। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করার অধিকার আমাদের আইনগত অধিকার, তা করতে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার কথা বলে সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। কেউ হুমকি দিয়ে থাকে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, রাষ্ট্র সেটি পালন করছে না।’
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট যখন সরকার গঠন হয়, আমরা সেখানে ছিলাম। সকলে মিলে ঠিক করা হলো যখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করা হবে সকলই তাঁর বিষয়ে একমত হলাম। কেন? আমরা ধরে নিয়েছিলাম উনি হবেন নিউট্রাল, নিরপেক্ষ একজন ব্যক্তি। উনি হবেন লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে। তাঁর মানসম্মান সারা পৃথিবীতে আছে। এই সংকট মোকাবিলার জন্য তাঁকে আমাদের দরকার। আমরা তাঁকে মেনে নিলাম, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত দেখছি, আমরা তাঁকে মেনে নিলেও আমাদের উনি মেনে নিতে পারছেন না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তাঁর নিজস্ব ঘনিষ্ঠ লোকজন, তারা বিভিন্নভাবে দেশকে বিভাজিত করার কাজে লিপ্ত হয়েছে। একদিকে ফ্যাসিস্টবিরোধী শক্তি আরেকটি হচ্ছে ফ্যাসিস্টের দোসর ও ফ্যাসিস্ট। এভাবে ভাগ করে প্রতিহিংসার সব সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ প্রত্যক্ষভাবে এই কাজে সহায়তা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি (প্রধান উপদেষ্টা) যখন জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন। সেখানে ৪৮টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ ৩০টি দল উনি বাদ দিলেন, তখন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিভাজনটাকে উনি গ্রহণ করে নিলেন।’
সমাবেশে পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। সভা করার জন্য ডিএমপির কাছে আবেদন দিয়েছিলাম, মৌখিকভাবে অনুমতি দেয়, নিয়ম মেনে সভা করতে চেয়েছিলাম। পরে অনুমতি বাতিল করা হয়। কী কারণে সভা করতে দেওয়া হলো না, আমরা জানতে পারিনি। এক হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। তারই ফল আজকের সরকার, কিন্তু আমাদের কেন এই কর্মসূচি করতে দেওয়া হলো না?’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। সভা শেষে একটি র্যালি বের হয়ে প্রেসক্লাব গিয়ে শেষ হয়।
বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞায় অটল নিজাম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ বিএনপির এই সমর্থকের খোঁজ নিতে বলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ-সংক্রান্ত মামলা ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’-এর রায় এবং এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ও কমিশনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ এবং তা নির্বাচন ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা
১৩ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিত্যক্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ, এই লাশ নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ হবে না। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই মরা লাশকে কবর দেওয়া, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।’ আজ মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ
১৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১১১টি মামলা হয়েছে। নানা ধরনের অবাস্তব অভিযোগ আনা হয়েছে। ময়লার গাড়ি পোড়ানো, বোমা হামলার মতো অভিযোগও আছে। আমি ১১ বার জেলে গিয়েছি। প্রায় তিন বছর কারাবন্দী ছিলাম।’ আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদরের মোলানি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির গণসংযোগ
১৬ ঘণ্টা আগে