নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জিয়া পরিবারকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলেই নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার আব্দুস সালাম হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর অনস্বীকার্য অবদান রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা যখন দেশ থেকে পালিয়েছিলেন, তখন কারও নির্দেশ ছাড়াই তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ করেন। তিনি তাঁর অধিনায়ক জেনারেল জানজুয়াকে গ্রেপ্তার ও হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করে নিজে যুদ্ধ করেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনা করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি ছাড়া এই দাবি কেউ করতে পারবে না। অথচ নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক এই আলোচনাসভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শহীদ জিয়া ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। সাংবিধানিক সংস্কার করে বাংলাদেশের জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আমাদের পরিচিতি হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন, যার ভেতরে বাংলাদেশের অনেক কিছু নিহিত আছে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে চেতনা সেটা, হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলেই বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন করে ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করা হয়। এটা কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না আশাবাদ ব্যক্ত করে এই নেতা বলেন, ‘তিনি (জিয়া) সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়টির পরিবর্তন করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সংবিধানে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাতিল করে মুক্তবাজার তথা অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছেন।’
বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘তারা প্রাইমারি স্কুলের বই থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস সরিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তাঁর নাম রাখা হয়নি। কেন সরকার শহীদ জিয়া ও জিয়া পরিবারকে ভয় পায়? তারা কেন নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে? কারণ তারা তো ব্যর্থ। গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল করেছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা করতে পারেনি। সে কারণে তারা নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে।’
গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে বক্তব্যে কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার তাগাদা দেন ড. মোশাররফ। তিনি বলেন, ‘সে জন্য সরকারের পদত্যাগ এখন সময়ের দাবি। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা ফরহাদ হালিম ডোনার, সংগঠনের মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালামসহ আরও অনেকেই।
জিয়া পরিবারকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলেই নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার আব্দুস সালাম হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর অনস্বীকার্য অবদান রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা যখন দেশ থেকে পালিয়েছিলেন, তখন কারও নির্দেশ ছাড়াই তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ করেন। তিনি তাঁর অধিনায়ক জেনারেল জানজুয়াকে গ্রেপ্তার ও হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করে নিজে যুদ্ধ করেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনা করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি ছাড়া এই দাবি কেউ করতে পারবে না। অথচ নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক এই আলোচনাসভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শহীদ জিয়া ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেন। সাংবিধানিক সংস্কার করে বাংলাদেশের জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আমাদের পরিচিতি হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন, যার ভেতরে বাংলাদেশের অনেক কিছু নিহিত আছে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে চেতনা সেটা, হলো বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলেই বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধন করে ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করা হয়। এটা কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না আশাবাদ ব্যক্ত করে এই নেতা বলেন, ‘তিনি (জিয়া) সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়টির পরিবর্তন করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সংবিধানে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাতিল করে মুক্তবাজার তথা অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছেন।’
বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘তারা প্রাইমারি স্কুলের বই থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস সরিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তাঁর নাম রাখা হয়নি। কেন সরকার শহীদ জিয়া ও জিয়া পরিবারকে ভয় পায়? তারা কেন নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে? কারণ তারা তো ব্যর্থ। গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল করেছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা করতে পারেনি। সে কারণে তারা নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে।’
গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে বক্তব্যে কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার তাগাদা দেন ড. মোশাররফ। তিনি বলেন, ‘সে জন্য সরকারের পদত্যাগ এখন সময়ের দাবি। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা ফরহাদ হালিম ডোনার, সংগঠনের মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালামসহ আরও অনেকেই।
বর্তমানে দেশে শ্রমিকসমাজ বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত-নিপীড়িত ও নিষ্পেষিত উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে লক্ষাধিক শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার..
২ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ এবং নির্বাচনের আগে সংস্কার কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা কারও চেয়ে কম নন। আপনারা বাংলাদেশের নাগরিক। এ দেশ আপনাদের জন্মভূমি। রাজনৈতিক মত আলাদা হতে পারে, দল ভিন্ন হতে পারে, তবে অধিকার সবারই সমান। সেই অধিকার রক্ষা করতে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
৯ ঘণ্টা আগেবিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞায় অটল নিজাম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ বিএনপির এই সমর্থকের খোঁজ নিতে বলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১ দিন আগে