নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা উঠলেই ঘুরেফিরে আসছে যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের কথাও। তবে ঠিক কোন দেশে চিকিৎসা হবে, তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। সবাই মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহে এসে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা তাঁকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারের অনুমতি পাওয়া গেলে তাঁকে বিদেশে পাঠানোর আয়োজন শুরু হবে।
গত ১১ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হওয়ার পর শুরুতে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২৭ এপ্রিল ভর্তি করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। ৩ মে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে সাধারণ কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তরাজ্যে নাকি সিঙ্গাপুর— এ নিয়ে দলে এবং দলের বাইরে অনেক আলোচনা হয়েছে। আলোচনা এখনো চলছে। বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে তিনি ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করতে পারবেন না। যুক্তরাজ্য যাত্রার জন্য তিনি সুস্থ নন। সেখানে গেলেও তাঁকে কমপক্ষে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছে। যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য ভিএফএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। লকডাউনের কারণে সংস্থাটি বন্ধ রয়েছে। যদিও ভিএফএস খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তারপর ভিসার আবেদন করলেও তা আটকে থাকবে, যত দিন বাংলাদেশ লালতালিকা থেকে বাদ না পড়ে। আবার যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি চার বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হন; সেই ব্যক্তি যদি ভিসার আবেদন করেন, তবে তা যুক্তরাজ্যের কোনো একজন মন্ত্রীর মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
বিএনপি এবং খালেদার পরিবারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত নয়। এরপরও সিঙ্গাপুরে না নিয়ে তাঁকে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার জন্যই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর কারণ আগেও যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানকার হাসপতালে ভর্তি হওয়া খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ। সেখানকার চিকিৎসক যাঁরা আগে তাঁর চিকিৎসা করেছেন, তাঁদের অনেকে এখনো তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত আছেন। বিশেষ করে তাঁর পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান যিনি পুরো চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার আছে লন্ডনে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ডা. জোবাইদা রহমান ও যুক্তরাজ্যের আরও দুই–একজন চিকিৎসক নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্স করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশের চিকিৎসকেরাও যুক্ত হয়েছেন।
তবে যুক্তরাজ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কারণটি হচ্ছে পরিবারের কাছে থেকে চিকিৎসার সুযোগ। যুক্তরাজ্যে তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আছেন। চিকিৎসার সময় পরিবারের সদস্যদের কাছে থাকাটা খালেদা জিয়ার জন্য স্বস্তিদায়ক। এসব বিবেচনায় সিঙ্গাপুরের চেয়ে যুক্তরাজ্যকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাজ্য যেতে খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করতে হবে। কিন্তু সেখানে তিনি যে সহযোগিতা পাবেন, তা অন্য কোনো দেশে পাবেন না।
ভালো নেই খালেদা জিয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। যে অবস্থা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, বর্তমানে তাঁর চেয়ে অনেক বেশি অসুস্থ তিনি। তার ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রনের বাইরে যাচ্ছে যখন তখন। অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করছে। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেছে। এছাড়াও আরও অনেক জটিলতা আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
বিএনপি’র একটি সূত্র বলছে, চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হয়েছে। তারা বলছেন, কয়েকদিন আগেও এমনটা ছিল না। তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সেজন্য অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। কখনও অক্সিজেন বেশি লাগছে আবার কখনও কম লাগছে। ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত থাকছে। ওষুধ ও ইনসুলিন প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তাঁর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় তাঁর আরও অনেক জটিলতা ধরা পড়েছে।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা উঠলেই ঘুরেফিরে আসছে যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরের কথাও। তবে ঠিক কোন দেশে চিকিৎসা হবে, তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। সবাই মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার তৃতীয় সপ্তাহে এসে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা তাঁকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারের অনুমতি পাওয়া গেলে তাঁকে বিদেশে পাঠানোর আয়োজন শুরু হবে।
গত ১১ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হওয়ার পর শুরুতে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২৭ এপ্রিল ভর্তি করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। ৩ মে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে সাধারণ কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তরাজ্যে নাকি সিঙ্গাপুর— এ নিয়ে দলে এবং দলের বাইরে অনেক আলোচনা হয়েছে। আলোচনা এখনো চলছে। বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে তিনি ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করতে পারবেন না। যুক্তরাজ্য যাত্রার জন্য তিনি সুস্থ নন। সেখানে গেলেও তাঁকে কমপক্ষে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছে। যুক্তরাজ্যের ভিসার জন্য ভিএফএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। লকডাউনের কারণে সংস্থাটি বন্ধ রয়েছে। যদিও ভিএফএস খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তারপর ভিসার আবেদন করলেও তা আটকে থাকবে, যত দিন বাংলাদেশ লালতালিকা থেকে বাদ না পড়ে। আবার যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি চার বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হন; সেই ব্যক্তি যদি ভিসার আবেদন করেন, তবে তা যুক্তরাজ্যের কোনো একজন মন্ত্রীর মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
বিএনপি এবং খালেদার পরিবারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত নয়। এরপরও সিঙ্গাপুরে না নিয়ে তাঁকে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার জন্যই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর কারণ আগেও যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানকার হাসপতালে ভর্তি হওয়া খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ। সেখানকার চিকিৎসক যাঁরা আগে তাঁর চিকিৎসা করেছেন, তাঁদের অনেকে এখনো তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত আছেন। বিশেষ করে তাঁর পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান যিনি পুরো চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার আছে লন্ডনে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ডা. জোবাইদা রহমান ও যুক্তরাজ্যের আরও দুই–একজন চিকিৎসক নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্স করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশের চিকিৎসকেরাও যুক্ত হয়েছেন।
তবে যুক্তরাজ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কারণটি হচ্ছে পরিবারের কাছে থেকে চিকিৎসার সুযোগ। যুক্তরাজ্যে তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আছেন। চিকিৎসার সময় পরিবারের সদস্যদের কাছে থাকাটা খালেদা জিয়ার জন্য স্বস্তিদায়ক। এসব বিবেচনায় সিঙ্গাপুরের চেয়ে যুক্তরাজ্যকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুক্তরাজ্য যেতে খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করতে হবে। কিন্তু সেখানে তিনি যে সহযোগিতা পাবেন, তা অন্য কোনো দেশে পাবেন না।
ভালো নেই খালেদা জিয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। যে অবস্থা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, বর্তমানে তাঁর চেয়ে অনেক বেশি অসুস্থ তিনি। তার ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রনের বাইরে যাচ্ছে যখন তখন। অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করছে। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেছে। এছাড়াও আরও অনেক জটিলতা আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
বিএনপি’র একটি সূত্র বলছে, চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হয়েছে। তারা বলছেন, কয়েকদিন আগেও এমনটা ছিল না। তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সেজন্য অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। কখনও অক্সিজেন বেশি লাগছে আবার কখনও কম লাগছে। ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত থাকছে। ওষুধ ও ইনসুলিন প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তাঁর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় তাঁর আরও অনেক জটিলতা ধরা পড়েছে।
গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
৪ ঘণ্টা আগেদলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় মব সৃষ্টি করে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস...
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ শাখার ১১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মো. শরিফুল ইসলাম শিবলীকে আহ্বায়ক এবং মো. বাদশা বুলবুলকে সদস্যসচিব করে কমিটি অনুমোদন দেন জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক
২০ ঘণ্টা আগে