নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেখ হাসিনা পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে ও হিমালয়সম মনোবলে অটুট আছেন বলে দাবি করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। একই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের দলীয় সভাপতির হাতকে শক্তিশালী করতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেছেন, এ আঁধার কেটে যাবে শিগগিরই।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাঠানো এক চিঠিতে এসব কথা বলেন তিনি। চিঠিটি আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল প্যাডে তাঁর নামে পাঠানো হলেও সেখানে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না। জাহাঙ্গীর কবির নানকের একজন অনুসারী গণমাধ্যম কর্মীদের চিঠিটি হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারে পাঠান। চিঠির সত্যতা জানতে নানকের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের একজন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় আজকের পত্রিকাকে জানান, চিঠিটি ঠিক আছে। তবে এক সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, তিনি এখনো চিঠিটি দেখেননি তাই কিছু বলতে পারবেন না। এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর দুই নেতা জানান, তাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিঠিটি দেখেছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। সেদিনই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তাঁর দেশ ছাড়ার সংবাদ প্রকাশ্য আসার পর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট এবং আগুন দেওয়া হয়। প্রাণে বাঁচতে দলটির নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আর্থিক সংকটে পড়েছেন। দলটির অফিশিয়াল ফেসবুকে এক পোস্টে দাবি করা ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর পরিবার বর্তমানে নিঃস্ব অবস্থায় আছেন। তাঁদের সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়েছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানকের লেখা এ চিঠিতে বলা হয়, ‘মনোবল হারাবেন না, যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর রাখবেন। সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে ও হিমালয়সম মনোবলে অটুট আছেন। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত। এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই ইনশা আল্লাহ। সবার সুস্থতা ও নিরাপত্তার দোয়া কাম্য।’
তিনি বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম নির্মম, পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী, সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সারা বাংলার স্বাধীনতার স্বপক্ষের আপামর দেশবাসীর ওপর। দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলের বাড়ি-ঘর, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ, খেতের শস্য জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কোটি কোটি নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করা হয়েছে দাবি করে নানক চিঠিতে আরও লেখেন, ‘আমাদের কোটি কোটি নেতা-কর্মী ঘর ছাড়া, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন অতিবাহিত করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে বর্বরোচিতভাবে চরম অপমানিত করেছে, এ যেন একাত্তরের বিজয়ী বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে পরাজিতদের প্রতিশোধের উন্মত্ততা।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘পয়লা জুলাই থেকে এই পর্যন্ত আমাদের যেসব নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী সমর্থককে হত্যা করেছে এবং যাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও আগুন দিয়েছে তাদের তালিকাসহ গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা দ্রুত অতি সত্তর তৈরি করে নিজের কাছে রাখুন এবং হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিন। জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করুন।’
শেখ হাসিনা পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে ও হিমালয়সম মনোবলে অটুট আছেন বলে দাবি করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। একই সঙ্গে নেতা-কর্মীদের দলীয় সভাপতির হাতকে শক্তিশালী করতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেছেন, এ আঁধার কেটে যাবে শিগগিরই।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাঠানো এক চিঠিতে এসব কথা বলেন তিনি। চিঠিটি আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল প্যাডে তাঁর নামে পাঠানো হলেও সেখানে তাঁর স্বাক্ষর ছিল না। জাহাঙ্গীর কবির নানকের একজন অনুসারী গণমাধ্যম কর্মীদের চিঠিটি হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারে পাঠান। চিঠির সত্যতা জানতে নানকের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগের একজন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় আজকের পত্রিকাকে জানান, চিঠিটি ঠিক আছে। তবে এক সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, তিনি এখনো চিঠিটি দেখেননি তাই কিছু বলতে পারবেন না। এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর দুই নেতা জানান, তাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিঠিটি দেখেছেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। সেদিনই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তাঁর দেশ ছাড়ার সংবাদ প্রকাশ্য আসার পর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট এবং আগুন দেওয়া হয়। প্রাণে বাঁচতে দলটির নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আর্থিক সংকটে পড়েছেন। দলটির অফিশিয়াল ফেসবুকে এক পোস্টে দাবি করা ৫০ হাজার নেতা-কর্মীর পরিবার বর্তমানে নিঃস্ব অবস্থায় আছেন। তাঁদের সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়েছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানকের লেখা এ চিঠিতে বলা হয়, ‘মনোবল হারাবেন না, যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর রাখবেন। সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়সম কষ্ট নিয়ে ও হিমালয়সম মনোবলে অটুট আছেন। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত। এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই ইনশা আল্লাহ। সবার সুস্থতা ও নিরাপত্তার দোয়া কাম্য।’
তিনি বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম নির্মম, পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী, সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সারা বাংলার স্বাধীনতার স্বপক্ষের আপামর দেশবাসীর ওপর। দলীয় নেতা-কর্মীদের হত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলের বাড়ি-ঘর, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ, খেতের শস্য জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কোটি কোটি নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করা হয়েছে দাবি করে নানক চিঠিতে আরও লেখেন, ‘আমাদের কোটি কোটি নেতা-কর্মী ঘর ছাড়া, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন অতিবাহিত করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে বর্বরোচিতভাবে চরম অপমানিত করেছে, এ যেন একাত্তরের বিজয়ী বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে পরাজিতদের প্রতিশোধের উন্মত্ততা।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘পয়লা জুলাই থেকে এই পর্যন্ত আমাদের যেসব নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী সমর্থককে হত্যা করেছে এবং যাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও আগুন দিয়েছে তাদের তালিকাসহ গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা দ্রুত অতি সত্তর তৈরি করে নিজের কাছে রাখুন এবং হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিন। জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করুন।’
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে বিএনপি শিগগির সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে ১৮ মাস আগে থেকে আমাদের এই কাজ (মনোনয়নপ্রক্রিয়া) শুরু হয়েছে। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা, যা সিট আছে,
১০ মিনিট আগেসালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি চালুর মূল উদ্দেশ্য সংসদীয় আসনের সংখ্যা বাড়ানো নয়; ঘন ঘন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা। এতে লাভবান হবে সেই শক্তি, যারা চায়, দেশ সব সময় অনিশ্চয়তায় থাকুক। কোনো রাজনৈতিক দলের অবৈধ ও অসাংবিধানিক আবদার মেনে জাতিকে সংকটে ফেলা যাবে না।
২৫ মিনিট আগেদেশের একটি ইসলামপন্থী দল আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে ’৭৫ এর পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চীনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী সুলভ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনকে পরস্পর ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দেখছে তাঁর দল। জামায়াত আমির চীনের সঙ্গে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব এবং প্রতিবেশীর চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ’ ব্রাদারলি রিলেশন’ বজায়
২ ঘণ্টা আগে