দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারী। নির্বাচনের ঠিক তিনদিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) আরও পাঁচজন প্রার্থী। তারা হলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে অ্যাড. সোহরাব হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-২ এর রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) এর আতাউর রহমান সরকার , ময়মনসিংহ-৩ এর ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ ও সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সাব্বির আহমদ।
বুধবার এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত এই পাঁচজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তাদের অভিযোগ—তারা ক্ষমতাসীনদের হুমকির শিকার হচ্ছেন, হুমকির শিকার হচ্ছেন, হামলা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আরও পাঁচজন প্রার্থী সরে দাঁড়ান। তাঁরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আবদুল মান্নান তালুকদার, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের শংকর পাল, দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের মাহবুব আলম, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের জহিরুল ইসলাম ও গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) সামসুদ্দিন খান।
তারও আগে সরে দাঁড়ান বরিশাল-২ ও ৫ আসনের ইকবাল হোসেন, বরগুনা-১ আসনের খলিলুর রহমান এবং গাজীপুর-১ ও ৫ আসনের এম এম নিয়াজ উদ্দিন, নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের প্রার্থী আলাউদ্দিন মৃধা, সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের জাকির হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা।
নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর ভোট থেকে এখন পর্যন্ত জাপার ১৬ জন প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা-৫ আসনের জাপা প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের একতরফা নির্বাচন, আমাদের অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। আমার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কোনো আলোচনা হয়নি। মূলত আমি আর পারছি না, যার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
এই নির্বাচন ‘প্রহসন, আসন ভাগাভাগির ও একতরফা’ নির্বাচন অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়িয়েছেন বরিশাল-২ ও ৫ আসনের ইকবাল হোসেন, বরগুনা-১ আসনের খলিলুর রহমান এবং গাজীপুর-১ ও ৫ আসনের এম এম নিয়াজ উদ্দিন।
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করেছেন অনেক প্রার্থী। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে অ্যাড. সোহরাব হোসেন বলেন, এবারের ভোট কেমন হচ্ছে, তা তো জানছেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে কোনো নির্বাচনের একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমি বলতে পারি, আমি দলকে টাকা দিয়েছি, দল আমাকে টাকা দেয়নি। তারা যে ২৬ জন আছে, সেটা নিয়েই ব্যস্ত। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’
এদিকে আজ বুধবার জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের প্রার্থীরা এখনো বলছেন, তাঁরা ভালো করবেন। তা ছাড়া বিপুলসংখ্যক প্রার্থী সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, যখন সরে যাবে তখন বলা যাবে। তবে সরে গেলে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এমন হলে তখন পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বেশির ভাগ মানুষ যদি মনে করে নির্বাচনটা ভালো হচ্ছে না, তখন আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে কী করা যায়।’
(সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা সংবাদ তৈরিতে সহায়তা করেছেন)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারী। নির্বাচনের ঠিক তিনদিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) আরও পাঁচজন প্রার্থী। তারা হলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে অ্যাড. সোহরাব হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-২ এর রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) এর আতাউর রহমান সরকার , ময়মনসিংহ-৩ এর ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ ও সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সাব্বির আহমদ।
বুধবার এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত এই পাঁচজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তাদের অভিযোগ—তারা ক্ষমতাসীনদের হুমকির শিকার হচ্ছেন, হুমকির শিকার হচ্ছেন, হামলা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আরও পাঁচজন প্রার্থী সরে দাঁড়ান। তাঁরা হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আবদুল মান্নান তালুকদার, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের শংকর পাল, দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের মাহবুব আলম, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের জহিরুল ইসলাম ও গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) সামসুদ্দিন খান।
তারও আগে সরে দাঁড়ান বরিশাল-২ ও ৫ আসনের ইকবাল হোসেন, বরগুনা-১ আসনের খলিলুর রহমান এবং গাজীপুর-১ ও ৫ আসনের এম এম নিয়াজ উদ্দিন, নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের প্রার্থী আলাউদ্দিন মৃধা, সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের জাকির হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা।
নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার পর ভোট থেকে এখন পর্যন্ত জাপার ১৬ জন প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা-৫ আসনের জাপা প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের একতরফা নির্বাচন, আমাদের অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। আমার সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও কোনো আলোচনা হয়নি। মূলত আমি আর পারছি না, যার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।
এই নির্বাচন ‘প্রহসন, আসন ভাগাভাগির ও একতরফা’ নির্বাচন অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়িয়েছেন বরিশাল-২ ও ৫ আসনের ইকবাল হোসেন, বরগুনা-১ আসনের খলিলুর রহমান এবং গাজীপুর-১ ও ৫ আসনের এম এম নিয়াজ উদ্দিন।
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করেছেন অনেক প্রার্থী। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে অ্যাড. সোহরাব হোসেন বলেন, এবারের ভোট কেমন হচ্ছে, তা তো জানছেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে কোনো নির্বাচনের একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমি বলতে পারি, আমি দলকে টাকা দিয়েছি, দল আমাকে টাকা দেয়নি। তারা যে ২৬ জন আছে, সেটা নিয়েই ব্যস্ত। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’
এদিকে আজ বুধবার জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের প্রার্থীরা এখনো বলছেন, তাঁরা ভালো করবেন। তা ছাড়া বিপুলসংখ্যক প্রার্থী সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, যখন সরে যাবে তখন বলা যাবে। তবে সরে গেলে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। এমন হলে তখন পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বেশির ভাগ মানুষ যদি মনে করে নির্বাচনটা ভালো হচ্ছে না, তখন আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে কী করা যায়।’
(সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা সংবাদ তৈরিতে সহায়তা করেছেন)
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
৫ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
৮ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
৯ ঘণ্টা আগে