Ajker Patrika

বঙ্গবন্ধু হত্যা: জীবন সায়াহ্নে তোফায়েল আহমেদকে ব্যর্থতা স্বীকার করার অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২২, ০০: ৫১
বঙ্গবন্ধু হত্যা: জীবন সায়াহ্নে তোফায়েল আহমেদকে ব্যর্থতা স্বীকার করার অনুরোধ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে তাঁর তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদকে প্রতিবাদ না করায় নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন। 

গত ১৯ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আনোয়ার হোসেন। শহীদুলল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের বিরাট নেতা। আশা করেছিলাম গত ১৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় জীবনের সায়াহ্ণে দাঁড়িয়ে অন্তত পক্ষে একটি সত্য কথা বলে যাবেন। কিন্তু উনি বললেন না, উনি বলবেন না, বলেননি। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আশা করেছিল তোফায়েল আহমেদ ব্যর্থতা স্বীকার করুক। বলুক আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা রাজ্জাক, তোফায়েলকে সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবাসত। এই হচ্ছে প্রতিদান ওদের।’

আনোয়ার বলেন, ‘১৪ আগস্ট গভীর রাতে খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। ১৫ আগস্ট বিকেল বেলা খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে টুঙ্গিপাড়ায় সমাহিত করতে নিয়ে যায়। আমার প্রশ্ন যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যায় কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন। যারা ১০ জন, ২০ জন, ৩০ জন মন্ত্রীর ক্ষমতা রাখত, যাদেরকে বঙ্গবন্ধু পুত্র সমতুল্য স্নেহ করত। বঙ্গবন্ধু অনেক বিশ্বাস করতেন, ভরসা করতেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দেহ পড়ে থাকল ৩২ নম্বরের বাড়ির সিঁড়ির কোনায়।’

বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ আপনি থাকতেন আওয়ামী লীগ সভাপতির আজকের কার্যালয়ের (ধানমন্ডির ৩ /এ সড়ক) পাশের দেয়ালে। আপনি (তোফায়েল) কী পারতেন না, ঢাবির ১০টি হলে বঙ্গবন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিল শিক্ষার্থীরা। ধানমন্ডির ৩ /এ বাসা থেকে আপনি যদি দৌড়েই আসতেন কত সময় লাগত? ১৫ মিনিট? ২০ মিনিট? আপনারা আসেননি। আপনারা যদি এসে বলতেন বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আক্রমণ হয়েছে, তোমরা কে কোথায় আছ? ১০টা হল থেকে ১০০০ করে ছাত্র যেত তাহলে ১০ হাজার লোকের মিছিল বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের অভিমুখে যেত। ঢাকা কলেজের ছাত্ররা প্রস্তুত ছিল। কিন্তু আপনারা আসেননি বিশ্ববিদ্যালয়ে, আপনারা পরের দিনও আসেননি, যদি একটা মিছিল হত, তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হত।’

এ সময় তিনি জাতীয় নেতা প্রয়াত আবদুর রাজ্জাকেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মত মানুষেরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জানতে চাইবে আপনাদের কাছে ভূমিকার বিষয়ে। আপনাদের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। আপনারা ১৯৭৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছিলেন। আপনারা এই ১৫ দিন কোথায় ছিলেন? কি করছিলেন? আমরা যত দূর জানি ওই ফরিদপুরের খুনি কেএম ওবায়দুর রহমানের হাতে পায়ে ধরে খুনি জিয়ার অনুকম্পা নিয়ে সেদিন স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন। আমরা সবাই কম বেশি জানি। কেউ বলে, কেউ বলে না। আমি আজকে আপনাদের সামনে বলে গেলাম।’

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এইখানেই আব্দুর রাজ্জাক ক্ষান্ত হয়নি, জেল থেকে সাধারণ সম্পাদক হয়েছিল। তাঁর সভাপতি হয়েছিল ওই বিশ্ব বেইমান, মোনাফেক মোশতাকের দোসর আবদুর মালেক উকিল। তিনি তথাকথিত আওয়ামী লীগের সভাপতি। লন্ডনে যাত্রাবিরতির এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন দেশ… আপনারা জানেন না সেদিন তিনি কী বলেছিলেন? জানেন আপনারা কী বলেছিলেন লন্ডন বিমানবন্দরে? বলেছিলেন ফেরাউনের হাত থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে। এটা হচ্ছে আব্দুল মালেক উকিল।’

তিনি বলেন, ওই আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছিল খুনি জিয়ার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী। ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগ যদি শিরদাঁড়া সোজা করে, মেরুদণ্ড সোজা করে নির্বাচন করত তাহলে ওই নির্বাচনে ৩৯টি আসন পেত না। আওয়ামী লীগ ২৯০টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করত। সব হচ্ছে ধূর্ত ও চতুর আবদুর রাজ্জাকের খেলা। যিনি সারা জীবন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। যখনই সুযোগ পেয়েছেন ষড়যন্ত্র করেছেন। এক এগারোর সময়ে এই আব্দুর রাজ্জাক শেখ হাসিনাকে মাইনাস করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল। সেই স্বপ্নসাধ কোনো দিন পূরণ হয়নি। পূরণ কোনো দিন কারও হবে না।’

এ সময় আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কেউ প্রশ্ন করতে পারে এই লোক আওয়ামী লীগে কেন্দ্রীয় নেতা কী করে হয়? আমি সত্য কথা বলে গেলাম। এর জন্য আমার যদি রাজনীতিতে কোন ভাগ্য বিড়ম্বনা হয়, আমি মেনে নিতে রাজি আছি।

জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আমার নিজের বক্তব্য। আমার ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন বিএনপি নেতা মোশাররফ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নেবেন খন্দকার মোশাররফ।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তাঁর সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে ৬ সেনা নিহতের ঘটনায় তারেক রহমানের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ৫১
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার রাতে নিজের এক ফেসবুক পোস্টে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বর্বর হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত এবং ৩ জন নারী সেনাসদস্যসহ আরও ৮ জনের আহত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।

তারেক রহমান বলেন, জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী আমাদের বীর সেনাসদস্যরা জাতির গর্ব। তাদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি নিহত শান্তিরক্ষীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত সেনাসদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তার গর্বিত সন্তান হিসেবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসাধারণ পেশাদারিত্ব, সাহস আর আত্মত্যাগ আমাকে সবসময় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা জরুরি বলে আমি মনে করি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের বীর সেনাসদস্যদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে আমরা একটি সংকটজনক সময় পার করছি। আমাদের ভলান্টিয়ার ও সেন্টার ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা হসপিটাল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এমতাবস্থায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে এই আশঙ্কায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য সেন্টারের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’

পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই। ইনশাআল্লাহ, খুব শীগ্রই আমরা এই সংকটাপন্ন মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবো এবং ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম যথানিয়মে পরিচালিত হবে।’

ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠে। এর কার্যক্রম রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় পরিচালিত হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এআই দিয়ে তৈরি ছবি বুঝতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করলেন রিজভী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৯
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

রুহুল কবির রিজভীর বিবৃতি। ছবি: ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট
রুহুল কবির রিজভীর বিবৃতি। ছবি: ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরটিভির লোগো ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এ ছাড়াও শরিফ ওসমান হাদিকে আক্রমণকারী একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ডাকসুর ভিপির চা খাওয়ার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ দুইটি বিষয় ছিল ভিত্তিহীন এবং এআই জেনারেটেড।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ফ্যাক্ট চেক না করে উল্লিখিত বিষয় দুটি নিয়ে আজ দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সভায় বক্তব্য রাখি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

আজ ফেসবুক পোস্টে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি পোস্টে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে, আজ দুপুরে বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত