Ajker Patrika

ঢাবির টিএসসিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০১ জুন ২০২১, ১৪: ৫৫
ঢাবির টিএসসিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলা

ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ ১৫-২০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুলের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে টিএসসি ও টিএসসি সংলগ্ন এলাকায় অসহায়দের মাঝে খাবার ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণের জন্য টিএসসিতে দাঁড়াই। এ সময় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান পিকুলের নেতৃত্বে আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা কর্মী।

হামলায় কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজুলর রহমান খোকন, ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন, জহির উদ্দিন আহমেদ, আবু জাফর, শাহজাহান শাওন, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, মিয়া মো. রাসেল, যুগ্ম-আহ্বায়ক, আরিফুল ইসলাম, ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য মো. তরিকুল ইসলাম তারিক, রিয়াজ আনোয়ার হোসেন, ফারহান আরিফ, রাজু আহম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান খান, মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসানসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

এদিকে হামলার সময় এক ক্যাম্পাস সাংবাদিককে থাপ্পড় দেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা। ঢাকা পোস্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আমজাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ ছাত্রলীগের আমির হামজা আমাকে থাপ্পড় মারেন। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে যান।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা বলেন, আমি প্রথমে চিনতে পারিনি। পরে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তাকে সরিয়ে দিয়েছি।

হামলায় অংশ নেওয়া এসএম হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি খান মিলন হোসাইন নীরব বলেন, জিয়াউর রহমান একজন খুনি, তার কর্মসূচি পালন করতে আসছিল ছাত্রদল। সেখানে আমাদের নেতা কর্মীদের সঙ্গে মনে হয় একটু ঝামেলা হয়েছিল, তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়েছিল। পরে একটু হাতাহাতি হয়। ওখানে বেশির ভাগই উত্তর-দক্ষিণের নেতা কর্মী ছিল, ওরা হয়ত বুঝে উঠতে পারেনি।

তবে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা কয়েক দিন ধরে দেখতে পাচ্ছি, কমিটি গঠন, কর্মসূচি পালন বিশেষ করে সামরিক শাসক, অবৈধ ক্ষমতা দখলদারি মেজর জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্রে করে তারা রীতিমতো একটা সন্ত্রাসী শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, উপদলীয় কোন্দল বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজকে তাঁরা নিজেদের মধ্যে ঘটনাটা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের ওপর একটি আঘাত।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, বিষয়টি আমরা জেনেছি। ক্যাম্পাসে এখন সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ। সেখানে কোনো ধরনের অসংগতি হলে দায়ভার তাদের নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গলায় ‘জুতার মালা’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মোদির সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর

মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত